কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি নিয়ে আজকাল বেশ আলোচনা চলছে। হবেই বা না কেন? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, বিজ্ঞানের এ ব্যাপারটি যে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে চলছে, তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই! ওর কাছে যা-ই চাওয়া হয়, সঙ্গে সঙ্গে এক থালা গরম ভাতের মতো সেই তথ্য হাজির করে দেয়। যেকোনো বিষয়ে জানতে চান, ওর কাছে উত্তর আছে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা—কত কীই-না লেখানো যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে! তাহলে বলুন, কেন হবে না আলোচনা?
আচ্ছা, এসব থাক। কখনো ভেবে দেখেছেন, যাঁরা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গড়ে তুলেছেন কিংবা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজে ব্যবহার করছেন, তাঁরা কতটা বুদ্ধিমান? মেধা আর বুদ্ধির মাপকাঠি ছাড়িয়ে যাওয়া নম্বর পেলেই বোধ হয় এ রকম একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা যায়! সম্ভবত সে রকম নম্বর পেয়েছিলেন সৌদি আরবের নারী ড. আলিয়া ওমর বাহানশাল। নয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ হওয়া কি চাট্টিখানি কথা! আজকের গল্পটা তাই আলিয়াকে নিয়ে।
আলিয়া মূলত এক দশকের বেশি সময় ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা অ্যানালিটিকস প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছেন। গত বছর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজনেস রিভিউর শীর্ষ ৩০ আরবীয় এআই বিশেষজ্ঞের তালিকায় আলিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) প্রকাশ করা শীর্ষ ৫০ নারী নেতৃত্বের তালিকায়ও ছিলেন তিনি। ব্যবসা এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের অবদানের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়েছিল সেই তালিকা। আর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে পেয়েছিলেন আইডিসির দেওয়া ‘উইমেন ইন টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস’ পুরস্কারও।
২০২০ সালে প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে আলিয়া যোগ দেন ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডেটা অ্যানালিটিকস অ্যান্ড এআইয়ে। তাঁর পরিচালিত এআই অবকাঠামো দল হিউম্যান ল্যাঙ্গুয়েজ টেকনোলজি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ, তথ্য বিশ্লেষণ, কম্পিউটার ভিশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। সে বছর তিনি জি২০ ডিজিটাল টাস্কফোর্সের ডেটা সায়েন্স ক্ষেত্রেও যোগ দেন। ২০০৯ সালে যখন আলিয়া কিং আবদুল আজিজ সিটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যোগ দেন, তিনিই ছিলেন সেখানকার প্রথম নারী কর্মী।
সৌদি সরকারের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপ, প্রজেক্ট ও কমিটির সদস্য আলিয়া ওমর বাহানশাল। কোভিডের লাগামহীন দৌড় কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্য বিশ্লেষণ প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করেছেন তিনি ও তাঁর দল।
আলিয়া পিএইচডি করেছিলেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে। বিষয়? অবশ্যই কম্পিউটার সায়েন্স। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও ডেটা অ্যানালিটিকসের ওপর বেশ কিছু গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তিনি। জানেন তো, কত সব খটমট জিনিস নিয়ে লেখাপড়া করতে হয় এ বিষয়ে!
আরবের নারীরা পিছিয়ে—এই ভুল ধারণা ভেঙে দিতেই হয়তো এত কসরত করেছেন আলিয়া। সে জন্যই এখন বয়ে বেড়াচ্ছেন সফলতার ঝুলি। আলিয়ার বুদ্ধিমত্তা ও মেধা নিশ্চয়ই মাপকাঠিকে ছাড়িয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়টি নিয়ে আজকাল বেশ আলোচনা চলছে। হবেই বা না কেন? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, বিজ্ঞানের এ ব্যাপারটি যে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে চলছে, তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই! ওর কাছে যা-ই চাওয়া হয়, সঙ্গে সঙ্গে এক থালা গরম ভাতের মতো সেই তথ্য হাজির করে দেয়। যেকোনো বিষয়ে জানতে চান, ওর কাছে উত্তর আছে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা—কত কীই-না লেখানো যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে! তাহলে বলুন, কেন হবে না আলোচনা?
আচ্ছা, এসব থাক। কখনো ভেবে দেখেছেন, যাঁরা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গড়ে তুলেছেন কিংবা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজে ব্যবহার করছেন, তাঁরা কতটা বুদ্ধিমান? মেধা আর বুদ্ধির মাপকাঠি ছাড়িয়ে যাওয়া নম্বর পেলেই বোধ হয় এ রকম একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা যায়! সম্ভবত সে রকম নম্বর পেয়েছিলেন সৌদি আরবের নারী ড. আলিয়া ওমর বাহানশাল। নয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ হওয়া কি চাট্টিখানি কথা! আজকের গল্পটা তাই আলিয়াকে নিয়ে।
আলিয়া মূলত এক দশকের বেশি সময় ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা অ্যানালিটিকস প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছেন। গত বছর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজনেস রিভিউর শীর্ষ ৩০ আরবীয় এআই বিশেষজ্ঞের তালিকায় আলিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) প্রকাশ করা শীর্ষ ৫০ নারী নেতৃত্বের তালিকায়ও ছিলেন তিনি। ব্যবসা এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের অবদানের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়েছিল সেই তালিকা। আর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে পেয়েছিলেন আইডিসির দেওয়া ‘উইমেন ইন টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস’ পুরস্কারও।
২০২০ সালে প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে আলিয়া যোগ দেন ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডেটা অ্যানালিটিকস অ্যান্ড এআইয়ে। তাঁর পরিচালিত এআই অবকাঠামো দল হিউম্যান ল্যাঙ্গুয়েজ টেকনোলজি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ, তথ্য বিশ্লেষণ, কম্পিউটার ভিশন ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। সে বছর তিনি জি২০ ডিজিটাল টাস্কফোর্সের ডেটা সায়েন্স ক্ষেত্রেও যোগ দেন। ২০০৯ সালে যখন আলিয়া কিং আবদুল আজিজ সিটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যোগ দেন, তিনিই ছিলেন সেখানকার প্রথম নারী কর্মী।
সৌদি সরকারের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদক্ষেপ, প্রজেক্ট ও কমিটির সদস্য আলিয়া ওমর বাহানশাল। কোভিডের লাগামহীন দৌড় কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং তথ্য বিশ্লেষণ প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ করেছেন তিনি ও তাঁর দল।
আলিয়া পিএইচডি করেছিলেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি থেকে। বিষয়? অবশ্যই কম্পিউটার সায়েন্স। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও ডেটা অ্যানালিটিকসের ওপর বেশ কিছু গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তিনি। জানেন তো, কত সব খটমট জিনিস নিয়ে লেখাপড়া করতে হয় এ বিষয়ে!
আরবের নারীরা পিছিয়ে—এই ভুল ধারণা ভেঙে দিতেই হয়তো এত কসরত করেছেন আলিয়া। সে জন্যই এখন বয়ে বেড়াচ্ছেন সফলতার ঝুলি। আলিয়ার বুদ্ধিমত্তা ও মেধা নিশ্চয়ই মাপকাঠিকে ছাড়িয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ
‘২০২৪ সালের মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করায় অ্যাকসেস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক শিক্ষার্থী নুজহাত তাবাসসুম জাফরিনকে শুভেচ্ছা!’ এভাবেই ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস অভিনন্দন জানিয়েছিল তাঁকে।
৩ দিন আগেমারা যাওয়ার আগে আমাদের দুই বোনের নামে পেনশন নমিনি লিখে দিয়েছিলেন বাবা। আইন অনুযায়ী সন্তানদের পেনশন ১৫ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু সন্তানদের বিবাহ হলে পেনশন পাওয়ার অধিকার থাকে না।
৩ দিন আগেবিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নারীদের মধ্যে কর্মজীবন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। সাংবাদিক ইসি ল্যাপওস্কি ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত তাঁর একটি প্রতিবেদনে এ প্রবণতাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পাওয়ার পজ’ নামে।
৩ দিন আগে