অর্চি হক, ঢাকা
কারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩০ জুনের পর চাকরিটা আর থাকছে না।
বলছি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের কথা। চলতি মাসে শেষ হচ্ছে এই প্রকল্পের মেয়াদ। ফলে বেকার হতে বসেছেন প্রকল্পের প্রায় ২ হাজার কর্মী। প্রকল্পে নিয়োগের শুরু থেকে তাঁদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পদ স্থায়ীকরণ কিংবা রাজস্ব খাতে নতুন পদ সৃজন করে তাঁদের স্থানান্তর করা হবে। প্রকল্পের ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা’ তথা ডিপিপিতে স্পষ্ট করে তাঁদের জন্য পদ স্থায়ীকরণ কিংবা রাজস্ব খাতে নতুন পদে স্থানান্তরকরণের কথা বলা হয়েছে। তবে এসবের কোনোটিই বাস্তবায়ন করা হয়নি।
নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি; আইন, কৃষি ও ব্যবসায় সুবিধা দিতে ১৪ বছর আগে ২০১১ সালে পাইলট আকারে শুরু হয়েছিল ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র বাস্তবায়ন করা এই প্রকল্পের পুরো নাম ছিল ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’। ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পে প্রতিটি উপজেলায় সরকারিভাবে নিয়োগ পাওয়া একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও দুজন তথ্যসেবা সহকারী রয়েছেন। এ ছাড়া ছিলেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৪৯৫ জন অফিস সহায়ক। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়। পরে তথ্য আপাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।
২০২৪ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘তথ্য আপা: তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়), (২য় সংশোধিত)’।
তথ্য আপা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তথ্যসেবা কর্মকর্তারা ২৭ হাজার ১০০ টাকা এবং তথ্যসেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৭ হাজার ৪৫ টাকা বেতনে নিয়োগ পান। তাঁদের অভিযোগ, কোনো লিখিত কারণ ছাড়াই ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে তথ্যসেবা কর্মকর্তারা ২৪ হাজার ৭০০ এবং তথ্যসেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা হারে বেতন পেতে থাকেন। কেন এভাবে তাঁদের বেতন কাটা হয়েছিল, তার কোনো সুস্পষ্ট উত্তর মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি। প্রকল্পের কর্মীদের অভিযোগ, গত ৭ বছরে প্রত্যেক তথ্যসেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার এবং তথ্যসেবা সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১ হাজার ৯৬৮ জন তথ্য আপার কাছ থেকে ৭ বছরে ২০ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কেটে নেওয়া টাকা পাওয়ার জন্য ২০২২ সালে আদালতে রিট করেন তথ্য আপারা। তাঁরা বলেছেন, ‘আদালতের রায় পক্ষে গেলেও এই টাকা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে তথ্য আপা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় মহিলা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টাকা কেটে নেওয়া হয়নি। বেতন তছরুপ করা হয়নি। যা হয়েছে, বিধিবিধান মেনে হয়েছে।’
চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং কেটে নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ২৮ মে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তথ্য আপারা। ঈদও রাস্তায় কেটেছে তাঁদের। টানা ২১ দিন রাস্তায় অবস্থান করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মী সংগীতা সরকার বলেন, ‘আমরা তিন সপ্তাহ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছি। আমাদের হেড অফিস এবং সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও দুটি রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সমাবেশ করেছে। পুলিশ তাদের কিছু বলেনি। অথচ আমাদের নিরীহ মেয়েদের নির্যাতন করেছে। এমনকি গর্ভবতী নারীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তথ্য আপাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন এবং তাঁদের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মীরাও তথ্য আপাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকারকর্মী মারজিয়া প্রভা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে তথ্য আপারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনি; বরং তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে গেলে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেছে, যা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।’
কারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩০ জুনের পর চাকরিটা আর থাকছে না।
বলছি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের কথা। চলতি মাসে শেষ হচ্ছে এই প্রকল্পের মেয়াদ। ফলে বেকার হতে বসেছেন প্রকল্পের প্রায় ২ হাজার কর্মী। প্রকল্পে নিয়োগের শুরু থেকে তাঁদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পদ স্থায়ীকরণ কিংবা রাজস্ব খাতে নতুন পদ সৃজন করে তাঁদের স্থানান্তর করা হবে। প্রকল্পের ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা’ তথা ডিপিপিতে স্পষ্ট করে তাঁদের জন্য পদ স্থায়ীকরণ কিংবা রাজস্ব খাতে নতুন পদে স্থানান্তরকরণের কথা বলা হয়েছে। তবে এসবের কোনোটিই বাস্তবায়ন করা হয়নি।
নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি; আইন, কৃষি ও ব্যবসায় সুবিধা দিতে ১৪ বছর আগে ২০১১ সালে পাইলট আকারে শুরু হয়েছিল ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র বাস্তবায়ন করা এই প্রকল্পের পুরো নাম ছিল ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’। ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পে প্রতিটি উপজেলায় সরকারিভাবে নিয়োগ পাওয়া একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও দুজন তথ্যসেবা সহকারী রয়েছেন। এ ছাড়া ছিলেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৪৯৫ জন অফিস সহায়ক। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়। পরে তথ্য আপাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়।
২০২৪ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘তথ্য আপা: তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়), (২য় সংশোধিত)’।
তথ্য আপা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তথ্যসেবা কর্মকর্তারা ২৭ হাজার ১০০ টাকা এবং তথ্যসেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৭ হাজার ৪৫ টাকা বেতনে নিয়োগ পান। তাঁদের অভিযোগ, কোনো লিখিত কারণ ছাড়াই ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে তথ্যসেবা কর্মকর্তারা ২৪ হাজার ৭০০ এবং তথ্যসেবা সহকারী কর্মকর্তারা ১৫ হাজার ৬৫০ টাকা হারে বেতন পেতে থাকেন। কেন এভাবে তাঁদের বেতন কাটা হয়েছিল, তার কোনো সুস্পষ্ট উত্তর মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি। প্রকল্পের কর্মীদের অভিযোগ, গত ৭ বছরে প্রত্যেক তথ্যসেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার এবং তথ্যসেবা সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১ হাজার ৯৬৮ জন তথ্য আপার কাছ থেকে ৭ বছরে ২০ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কেটে নেওয়া টাকা পাওয়ার জন্য ২০২২ সালে আদালতে রিট করেন তথ্য আপারা। তাঁরা বলেছেন, ‘আদালতের রায় পক্ষে গেলেও এই টাকা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে তথ্য আপা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় মহিলা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টাকা কেটে নেওয়া হয়নি। বেতন তছরুপ করা হয়নি। যা হয়েছে, বিধিবিধান মেনে হয়েছে।’
চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং কেটে নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ২৮ মে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তথ্য আপারা। ঈদও রাস্তায় কেটেছে তাঁদের। টানা ২১ দিন রাস্তায় অবস্থান করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মী সংগীতা সরকার বলেন, ‘আমরা তিন সপ্তাহ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছি। আমাদের হেড অফিস এবং সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও দুটি রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সমাবেশ করেছে। পুলিশ তাদের কিছু বলেনি। অথচ আমাদের নিরীহ মেয়েদের নির্যাতন করেছে। এমনকি গর্ভবতী নারীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তথ্য আপাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন এবং তাঁদের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মীরাও তথ্য আপাদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকারকর্মী মারজিয়া প্রভা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে তথ্য আপারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনি; বরং তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের দিকে গেলে পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেছে, যা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যাশিত নয়।’
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
৩ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
৩ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
৪ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৪ দিন আগে