খান রফিক, বরিশাল
বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (মহানগর ও সদর) আসনে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে সতর্কভাবে পা ফেলছে বিএনপি। দলটি এ আসনে প্রার্থী মনোনয়নে বেশ হিসাব-নিকাশ করছে। এ লক্ষ্যে ২২ সেপ্টেম্বর দলের ৩ সম্ভাব্য প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে মনোনয়ন বোর্ড। তাঁরা হচ্ছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক। ফলে অপর উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও কয়েকজনের মনোনয়ন দৌড় থেমে যাচ্ছে।
বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, জামায়াতের সঙ্গে চরমোনাইয়ের জোট হওয়ার বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বরিশাল-৫-এ শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি ভোটের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে নেতাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল-৫ আসনে প্রার্থী মনোনয়নে সোমবার বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসর রহমানের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকার গ্রহণ হয়। দলের গুলশান অফিসে সাক্ষাৎকারে প্রথমেই সরোয়ারের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর রহমাতুল্লাহ এবং সব শেষে কথা হয় নগর বিএনপির আহ্বায়ক ফারুকের সঙ্গে। জানা যায়, নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারকেও ডাকা হয়েছিল দলের মাঠের পরিস্থিতি বোঝার জন্য।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ইস্যুতে দল কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এখনো আমাদের অনেক কিছু করার বাকি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে না এসে কাউকে সিদ্ধান্ত দেবেন না। তা ছাড়া বরিশাল নগরে ৪টি গ্রুপ (পক্ষ)। এদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি না করতে পারলে নির্বাচনে ক্ষতি হবে। তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন।’
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, তিনি বরিশাল-৫ আসনে যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
মনোয়ন বোর্ডে ডাক পাওয়া নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাননি বরং আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আগ্রহের বিষয়টি বোর্ডকে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ২০০৬ সালে এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থী হয়েছিলেন; যে কারণে তাঁর দাবি ছিল, জিয়া পরিবারের কাউকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য।
তবে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল এক নেতা আজকের পত্রিকাকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, বরিশাল-৫ আসনটিকে তাঁরা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মনে করছেন। কেননা জামায়াতের সঙ্গে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন জোটভুক্ত হলে এখানে ওই জোটের প্রার্থী হতে পারেন পীরের ভাই সৈয়দ ফয়জুল করীম। সে ক্ষেত্রে এ আসনের ৪ বারের সাবেক একজন এমপিকে (সংসদ সদস্য) ছাড়া বিকল্প দেখছে না দল। সূত্র জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে দলের অপর উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ঢাকায় একটি আসনে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। দলের জরিপে রহমাতুল্লাহ ও ফারুক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মনোনয়ন বোর্ডে তাঁদের ডাকা হয়।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও মনোয়ন বোর্ডের বরিশালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, মনোনয়ন ইস্যু নিয়ে তাঁরা সোমবার স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বসেছেন। দল মনোনয়ন বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, কিছু আসনের প্রার্থীর তালিকা দল থেকেই এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে। বরিশাল-৫ আসন প্রসঙ্গে আকন কুদ্দুস বলেন, ‘এটিকে গুরুত্বপূর্ণ আসন বিবেচনা করে প্রার্থী দেবে দল। এ জন্য এখানে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কে হতে পারেন, সেটিও আমাদের মাথায় থাকতে হবে। এসব বিবেচনায় আগামী নির্বাচনে মর্যাদার আসন বরিশাল-৫-এ ভোটের লড়াই করতে স্থানীয় নেতাদের তাগিদ দিয়েছে মনোয়ন বোর্ড। যাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাঁর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বিভাগের সবচেয়ে মর্যাদার আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (মহানগর ও সদর) আসনে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে সতর্কভাবে পা ফেলছে বিএনপি। দলটি এ আসনে প্রার্থী মনোনয়নে বেশ হিসাব-নিকাশ করছে। এ লক্ষ্যে ২২ সেপ্টেম্বর দলের ৩ সম্ভাব্য প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে মনোনয়ন বোর্ড। তাঁরা হচ্ছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক। ফলে অপর উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরও কয়েকজনের মনোনয়ন দৌড় থেমে যাচ্ছে।
বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, জামায়াতের সঙ্গে চরমোনাইয়ের জোট হওয়ার বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে বরিশাল-৫-এ শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি ভোটের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে নেতাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল-৫ আসনে প্রার্থী মনোনয়নে সোমবার বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসর রহমানের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকার গ্রহণ হয়। দলের গুলশান অফিসে সাক্ষাৎকারে প্রথমেই সরোয়ারের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর রহমাতুল্লাহ এবং সব শেষে কথা হয় নগর বিএনপির আহ্বায়ক ফারুকের সঙ্গে। জানা যায়, নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারকেও ডাকা হয়েছিল দলের মাঠের পরিস্থিতি বোঝার জন্য।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন ইস্যুতে দল কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এখনো আমাদের অনেক কিছু করার বাকি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে না এসে কাউকে সিদ্ধান্ত দেবেন না। তা ছাড়া বরিশাল নগরে ৪টি গ্রুপ (পক্ষ)। এদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি না করতে পারলে নির্বাচনে ক্ষতি হবে। তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন।’
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, তিনি বরিশাল-৫ আসনে যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
মনোয়ন বোর্ডে ডাক পাওয়া নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখাননি বরং আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আগ্রহের বিষয়টি বোর্ডকে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, ২০০৬ সালে এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থী হয়েছিলেন; যে কারণে তাঁর দাবি ছিল, জিয়া পরিবারের কাউকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য।
তবে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল এক নেতা আজকের পত্রিকাকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, বরিশাল-৫ আসনটিকে তাঁরা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল মনে করছেন। কেননা জামায়াতের সঙ্গে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন জোটভুক্ত হলে এখানে ওই জোটের প্রার্থী হতে পারেন পীরের ভাই সৈয়দ ফয়জুল করীম। সে ক্ষেত্রে এ আসনের ৪ বারের সাবেক একজন এমপিকে (সংসদ সদস্য) ছাড়া বিকল্প দেখছে না দল। সূত্র জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে দলের অপর উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ঢাকায় একটি আসনে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। দলের জরিপে রহমাতুল্লাহ ও ফারুক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মনোনয়ন বোর্ডে তাঁদের ডাকা হয়।
এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও মনোয়ন বোর্ডের বরিশালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, মনোনয়ন ইস্যু নিয়ে তাঁরা সোমবার স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে বসেছেন। দল মনোনয়ন বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, কিছু আসনের প্রার্থীর তালিকা দল থেকেই এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে। বরিশাল-৫ আসন প্রসঙ্গে আকন কুদ্দুস বলেন, ‘এটিকে গুরুত্বপূর্ণ আসন বিবেচনা করে প্রার্থী দেবে দল। এ জন্য এখানে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কে হতে পারেন, সেটিও আমাদের মাথায় থাকতে হবে। এসব বিবেচনায় আগামী নির্বাচনে মর্যাদার আসন বরিশাল-৫-এ ভোটের লড়াই করতে স্থানীয় নেতাদের তাগিদ দিয়েছে মনোয়ন বোর্ড। যাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাঁর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জামায়াতে ইসলামী সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠ তত্ত্বে বিশ্বাসী নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষ নাগরিক হিসেবে সমান। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সম্প্রীতির বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত স্থাপন
১১ ঘণ্টা আগেতুরাগ থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জুলাই যোদ্ধা কে এম মামুনুর রশীদকে অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তি। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে...
১১ ঘণ্টা আগেগয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন না হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে তা হবে দেশের জন্য ভয়ংকর।
১৫ ঘণ্টা আগেগাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে পিআর নিয়ে বারবার সংস্কার কমিশনকে আলোচনা-পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হলেও সংস্কার কমিশন বারবার জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়কে উপেক্ষা করার কারণেই আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি।’
১৫ ঘণ্টা আগে