আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি জারাহ সুলতানা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, জেরেমি করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে।
সুলতানার মতে, ‘ওয়েস্টমিনস্টার ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকৃত সংকট আরও গভীর। বর্তমানে মাত্র ৫০টি পরিবার যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সম্পদের মালিক।’
করবিনের সঙ্গে গড়া দল ‘সরকারের ব্যর্থতা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারাবাহিকতার’ পরিবর্তে কার্যকর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী সুলতানা।
তবে বাস্তবে এটি কেমন হবে—তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
ওয়েস্টমিনস্টারে জন্ম নিতে যাওয়া নতুন এই বামপন্থী উদ্যোগ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
লক্ষ্য কী
সপ্তাহখানেক আগে কল্যাণব্যবস্থা ঘিরে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের প্রতি জনমনে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বর্তমান লেবার পার্টির বিপরীতে বাম বিকল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন সুলতানা।
দলটি ঘিরে পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হয়নি। তবে সুলতানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য থেকে দলটির অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

তিনি জানান, দলের প্রধান লক্ষ্য হবে লেবার, রিফর্ম ও কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্প হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এই তিন দলই ধনকুবেরদের পক্ষে লড়াই করছে বলে মনে করেন সুলতানা।
সাবেক এমপির এমন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দিতে পারে তাঁর দল।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ‘প্রতিবন্ধীদের কষ্ট বাড়াতে চায়’ বলে অভিযোগ আনেন সুলতানা, যা দেশটিকে শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন দলটি ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, স্টারমারের সরকারের বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ’ করার অভিযোগ তোলেন সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণ চায় যেন সরকারের বাজেট ‘অবিরাম যুদ্ধের’ পেছনে নয়, বরং জনসেবা খাতে বেশি ব্যয় করা হয়। এ থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে।
এদিকে জেরেমি করবিনও সমমনা অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও যুদ্ধ অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশকে এখনই দিক পরিবর্তন করতে হবে।’
কারা থাকছেন এই উদ্যোগে?
সুলতানা জানিয়েছেন, তিনি সাবেক লেবার নেতা করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
সুলতানা জানান, দলটিতে যুক্ত হবেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, কর্মসূচিকেন্দ্রিক কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অধিকারকর্মীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক লেবার কর্মী ও সমর্থক যুক্ত হবেন, যাঁরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি অতিমাত্রায় ডান দিকে সরে গেছে। ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের হুমকি মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন।
জনসমর্থন কেমন?
জেরেমি-সুলতানার নতুন দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের ঘোষণার পর মাত্র এক রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতানার পেজে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সাইন আপ করেন।
দল ঘোষণার আগে ‘মোর ইন কমন’ নামে এক সংস্থা গত মাসে এক জরিপ চালায়। সেখানে জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে একটি বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা কাকে ভোট দেবে।
তাতে ১০ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা করবিনের নেতৃত্বাধীন নতুন দলকে সমর্থন করবেন।
জরিপ অনুযায়ী, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের প্রতি জনসমর্থন ২০ শতাংশ, অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন ২৭ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি জারাহ সুলতানা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, জেরেমি করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে।
সুলতানার মতে, ‘ওয়েস্টমিনস্টার ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকৃত সংকট আরও গভীর। বর্তমানে মাত্র ৫০টি পরিবার যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সম্পদের মালিক।’
করবিনের সঙ্গে গড়া দল ‘সরকারের ব্যর্থতা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারাবাহিকতার’ পরিবর্তে কার্যকর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী সুলতানা।
তবে বাস্তবে এটি কেমন হবে—তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
ওয়েস্টমিনস্টারে জন্ম নিতে যাওয়া নতুন এই বামপন্থী উদ্যোগ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
লক্ষ্য কী
সপ্তাহখানেক আগে কল্যাণব্যবস্থা ঘিরে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের প্রতি জনমনে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বর্তমান লেবার পার্টির বিপরীতে বাম বিকল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন সুলতানা।
দলটি ঘিরে পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হয়নি। তবে সুলতানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য থেকে দলটির অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

তিনি জানান, দলের প্রধান লক্ষ্য হবে লেবার, রিফর্ম ও কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্প হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এই তিন দলই ধনকুবেরদের পক্ষে লড়াই করছে বলে মনে করেন সুলতানা।
সাবেক এমপির এমন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দিতে পারে তাঁর দল।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ‘প্রতিবন্ধীদের কষ্ট বাড়াতে চায়’ বলে অভিযোগ আনেন সুলতানা, যা দেশটিকে শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন দলটি ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, স্টারমারের সরকারের বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ’ করার অভিযোগ তোলেন সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণ চায় যেন সরকারের বাজেট ‘অবিরাম যুদ্ধের’ পেছনে নয়, বরং জনসেবা খাতে বেশি ব্যয় করা হয়। এ থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে।
এদিকে জেরেমি করবিনও সমমনা অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও যুদ্ধ অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশকে এখনই দিক পরিবর্তন করতে হবে।’
কারা থাকছেন এই উদ্যোগে?
সুলতানা জানিয়েছেন, তিনি সাবেক লেবার নেতা করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
সুলতানা জানান, দলটিতে যুক্ত হবেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, কর্মসূচিকেন্দ্রিক কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অধিকারকর্মীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক লেবার কর্মী ও সমর্থক যুক্ত হবেন, যাঁরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি অতিমাত্রায় ডান দিকে সরে গেছে। ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের হুমকি মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন।
জনসমর্থন কেমন?
জেরেমি-সুলতানার নতুন দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের ঘোষণার পর মাত্র এক রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতানার পেজে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সাইন আপ করেন।
দল ঘোষণার আগে ‘মোর ইন কমন’ নামে এক সংস্থা গত মাসে এক জরিপ চালায়। সেখানে জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে একটি বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা কাকে ভোট দেবে।
তাতে ১০ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা করবিনের নেতৃত্বাধীন নতুন দলকে সমর্থন করবেন।
জরিপ অনুযায়ী, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের প্রতি জনসমর্থন ২০ শতাংশ, অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন ২৭ শতাংশ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি জারাহ সুলতানা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, জেরেমি করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে।
সুলতানার মতে, ‘ওয়েস্টমিনস্টার ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকৃত সংকট আরও গভীর। বর্তমানে মাত্র ৫০টি পরিবার যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সম্পদের মালিক।’
করবিনের সঙ্গে গড়া দল ‘সরকারের ব্যর্থতা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারাবাহিকতার’ পরিবর্তে কার্যকর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী সুলতানা।
তবে বাস্তবে এটি কেমন হবে—তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
ওয়েস্টমিনস্টারে জন্ম নিতে যাওয়া নতুন এই বামপন্থী উদ্যোগ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
লক্ষ্য কী
সপ্তাহখানেক আগে কল্যাণব্যবস্থা ঘিরে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের প্রতি জনমনে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বর্তমান লেবার পার্টির বিপরীতে বাম বিকল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন সুলতানা।
দলটি ঘিরে পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হয়নি। তবে সুলতানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য থেকে দলটির অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

তিনি জানান, দলের প্রধান লক্ষ্য হবে লেবার, রিফর্ম ও কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্প হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এই তিন দলই ধনকুবেরদের পক্ষে লড়াই করছে বলে মনে করেন সুলতানা।
সাবেক এমপির এমন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দিতে পারে তাঁর দল।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ‘প্রতিবন্ধীদের কষ্ট বাড়াতে চায়’ বলে অভিযোগ আনেন সুলতানা, যা দেশটিকে শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন দলটি ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, স্টারমারের সরকারের বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ’ করার অভিযোগ তোলেন সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণ চায় যেন সরকারের বাজেট ‘অবিরাম যুদ্ধের’ পেছনে নয়, বরং জনসেবা খাতে বেশি ব্যয় করা হয়। এ থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে।
এদিকে জেরেমি করবিনও সমমনা অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও যুদ্ধ অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশকে এখনই দিক পরিবর্তন করতে হবে।’
কারা থাকছেন এই উদ্যোগে?
সুলতানা জানিয়েছেন, তিনি সাবেক লেবার নেতা করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
সুলতানা জানান, দলটিতে যুক্ত হবেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, কর্মসূচিকেন্দ্রিক কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অধিকারকর্মীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক লেবার কর্মী ও সমর্থক যুক্ত হবেন, যাঁরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি অতিমাত্রায় ডান দিকে সরে গেছে। ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের হুমকি মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন।
জনসমর্থন কেমন?
জেরেমি-সুলতানার নতুন দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের ঘোষণার পর মাত্র এক রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতানার পেজে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সাইন আপ করেন।
দল ঘোষণার আগে ‘মোর ইন কমন’ নামে এক সংস্থা গত মাসে এক জরিপ চালায়। সেখানে জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে একটি বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা কাকে ভোট দেবে।
তাতে ১০ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা করবিনের নেতৃত্বাধীন নতুন দলকে সমর্থন করবেন।
জরিপ অনুযায়ী, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের প্রতি জনসমর্থন ২০ শতাংশ, অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন ২৭ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সাবেক এমপি জারাহ সুলতানা গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, জেরেমি করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন বামপন্থী রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে।
সুলতানার মতে, ‘ওয়েস্টমিনস্টার ভেঙে পড়েছে। তবে প্রকৃত সংকট আরও গভীর। বর্তমানে মাত্র ৫০টি পরিবার যুক্তরাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যার চেয়েও বেশি সম্পদের মালিক।’
করবিনের সঙ্গে গড়া দল ‘সরকারের ব্যর্থতা ও বিশ্বাসভঙ্গের ধারাবাহিকতার’ পরিবর্তে কার্যকর বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী সুলতানা।
তবে বাস্তবে এটি কেমন হবে—তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
ওয়েস্টমিনস্টারে জন্ম নিতে যাওয়া নতুন এই বামপন্থী উদ্যোগ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
লক্ষ্য কী
সপ্তাহখানেক আগে কল্যাণব্যবস্থা ঘিরে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকারের প্রতি জনমনে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বর্তমান লেবার পার্টির বিপরীতে বাম বিকল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন সুলতানা।
দলটি ঘিরে পরিকল্পনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করা হয়নি। তবে সুলতানার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য থেকে দলটির অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

তিনি জানান, দলের প্রধান লক্ষ্য হবে লেবার, রিফর্ম ও কনজারভেটিভ পার্টির বিকল্প হিসেবে শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এই তিন দলই ধনকুবেরদের পক্ষে লড়াই করছে বলে মনে করেন সুলতানা।
সাবেক এমপির এমন বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর জোর দিতে পারে তাঁর দল।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ‘প্রতিবন্ধীদের কষ্ট বাড়াতে চায়’ বলে অভিযোগ আনেন সুলতানা, যা দেশটিকে শক্তিশালী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন দলটি ফিলিস্তিনের প্রতি জোরালো সমর্থন প্রদর্শন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, স্টারমারের সরকারের বিরুদ্ধে ‘গাজায় গণহত্যায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ’ করার অভিযোগ তোলেন সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণ চায় যেন সরকারের বাজেট ‘অবিরাম যুদ্ধের’ পেছনে নয়, বরং জনসেবা খাতে বেশি ব্যয় করা হয়। এ থেকে স্পষ্ট, তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে।
এদিকে জেরেমি করবিনও সমমনা অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, বৈষম্য ও যুদ্ধ অপরিহার্য নয়। আমাদের দেশকে এখনই দিক পরিবর্তন করতে হবে।’
কারা থাকছেন এই উদ্যোগে?
সুলতানা জানিয়েছেন, তিনি সাবেক লেবার নেতা করবিনের সঙ্গে মিলে নতুন এই বামপন্থী রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দেবেন।
শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
সুলতানা জানান, দলটিতে যুক্ত হবেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, কর্মসূচিকেন্দ্রিক কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অধিকারকর্মীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক লেবার কর্মী ও সমর্থক যুক্ত হবেন, যাঁরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি অতিমাত্রায় ডান দিকে সরে গেছে। ডানপন্থী দল রিফর্ম ইউকের হুমকি মোকাবিলা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই সরকারের এই অবস্থান পরিবর্তন।
জনসমর্থন কেমন?
জেরেমি-সুলতানার নতুন দলটির প্রতি জনগণের সমর্থন কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দল গঠনের ঘোষণার পর মাত্র এক রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুলতানার পেজে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সাইন আপ করেন।
দল ঘোষণার আগে ‘মোর ইন কমন’ নামে এক সংস্থা গত মাসে এক জরিপ চালায়। সেখানে জনসাধারণকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে একটি বামপন্থী দল আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তারা কাকে ভোট দেবে।
তাতে ১০ শতাংশ ভোটার জানান, তাঁরা করবিনের নেতৃত্বাধীন নতুন দলকে সমর্থন করবেন।
জরিপ অনুযায়ী, লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলের প্রতি জনসমর্থন ২০ শতাংশ, অন্যদিকে রিফর্ম ইউকের প্রতি সমর্থন ২৭ শতাংশ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। অ্যাটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদের দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই যে, নারীরা যে নির্বাচনে আসছেন, তাঁদের ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে। আমেরিকাতেও দেখবেন, এ রকম নারীদের সহায়তা দেওয়া হয়। তো নারীদের একটু সাহায্য দেওয়া এবং তাঁরা যেন নির্বাচনটা করতে পারেন, সেই রকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে, অ্যাটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না, কিন্তু ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কনটেস্ট করতে পারেন। সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর, একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ, সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও নারীদের জন্য ফান্ড পাওয়া যায় না, যেটা পুরুষেরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদের গভর্নমেন্ট যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে অনেক নারীই কিন্তু নির্বাচনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘দলগুলোকেও আমরা বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে, এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ—এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয়, উনারা যদি বলেন যে এত পারসেন্ট দেবেন, সেভাবে যদি হয়, তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেম্বার সাবেরা আহমেদ কলি, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেরুন্নেসা খান, মেম্বার আইরিন তালুকদার, এস এম আনজুমানু ফেরদৌস ও ফাহিমা কাউসার।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। অ্যাটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদের দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই যে, নারীরা যে নির্বাচনে আসছেন, তাঁদের ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে। আমেরিকাতেও দেখবেন, এ রকম নারীদের সহায়তা দেওয়া হয়। তো নারীদের একটু সাহায্য দেওয়া এবং তাঁরা যেন নির্বাচনটা করতে পারেন, সেই রকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে, অ্যাটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না, কিন্তু ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কনটেস্ট করতে পারেন। সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর, একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ, সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও নারীদের জন্য ফান্ড পাওয়া যায় না, যেটা পুরুষেরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদের গভর্নমেন্ট যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে অনেক নারীই কিন্তু নির্বাচনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘দলগুলোকেও আমরা বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে, এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ—এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয়, উনারা যদি বলেন যে এত পারসেন্ট দেবেন, সেভাবে যদি হয়, তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেম্বার সাবেরা আহমেদ কলি, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেরুন্নেসা খান, মেম্বার আইরিন তালুকদার, এস এম আনজুমানু ফেরদৌস ও ফাহিমা কাউসার।

শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
০৫ জুলাই ২০২৫
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
০৫ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
০৫ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

গর্ত আর খানাখন্দে ভরা জীর্ণ সড়ক পেরিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে ছুটে চলেছে একটি ট্রাক। সীমান্ত পর্যন্ত তিন দিনের যাত্রা। প্রায় ৮০ জনের সঙ্গে সেই ট্রাকে চড়ে বসেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর স্বামী। গন্তব্য নির্দিষ্ট হলেও তার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার! এই দীর্ঘ পথে পদে পদে বিপদ। প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পর আরএসএফ চেকপয়েন্ট। ট্রাক থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল জোর করে। পথে খাবার আর পানির দাম আকাশছোঁয়া। অনেক প্রতিকূলতার পর সেই নারী ও তাঁর স্বামী দক্ষিণ সুদানের সীমান্ত শহর আবেই-এ পৌঁছান। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানেও টেকা কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের। অবশেষে, তাঁরা এন নাহুদ থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা হয়ে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পৌঁছান।
গত ২৮ আগস্ট বিবিসি, সুদানের এমনই একটি গল্প শুনিয়েছে আমাদের। নিরাপত্তার কারণে প্রতিবেদনে ওই নারী এবং তাঁর স্বামীর নাম ব্যবহার করা হয়নি।
সুদানের সেনাবাহিনী এসএএফ, অন্যদিকে শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। সোনার খনি ও ক্ষমতার দখল নিয়ে এই দুই দলের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সে লড়াই গড়ায় গৃহযুদ্ধের দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলছে সেখানে। আরএসএফ সম্প্রতি আল-ফাশের শহরটি দখল করার পর সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
এই গৃহযুদ্ধে নৃশংসতার মাত্রা ব্যাপক। পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি, বিকৃত মৃতদেহ এবং গণকবরের প্রমাণ মিলেছে স্যাটেলাইট ও ভিডিওর মাধ্যমে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এসব বিষয় যাচাই করা এবং মানবিক সহায়তা প্রচেষ্টাকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে। নারী ও মেয়েদের হত্যা, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব, জোর করে বিয়ে এবং অপহরণের ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। স্থানীয় মেডিকেল নেটওয়ার্ক ও সুদান ডক্টরস ইউনিয়নের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নারী, কিশোরীসহ ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর সৌদি ম্যাটারনিটি হসপিটালে হামলার সময় প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা নিহত হন বলে জানা যায়। এই হাসপাতালে অনেক নারী নিরাপত্তা ও চিকিৎসার জন্য আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আক্রমণ নারীদের মাতৃ ও প্রজননস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নারী ও মেয়েদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছতে পারছে না। চলতি বছরের জুন মাসে একটি হাসপাতালে বিমান হামলায় ৫৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রসবকক্ষে থাকা নারীরাও ছিলেন। এ ছাড়া জেন্ডার ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিবেদনে সুদানের নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসুবিধাগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বেঁচে যাওয়া নারীরা ধর্ষণ-পরবর্তী স্বাস্থ্য পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত।
এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদান সীমান্তের ভেতরে কমপক্ষে ৫৮ লাখ নারী ও কিশোরী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সুদান
এবং এর বাইরে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি নারী। দুই বছরের কম সময়ে, লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০২৪ সালে লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার পরিষেবার
চাহিদা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছিল ২৮৮ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে সুদানে ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ
তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুদান কান্ট্রি ডিরেক্টর এতিজাজ ইউসিফ এই সংকটকে পুরোপুরিভাবে মানবসৃষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
যুদ্ধ যে মাত্রারই হোক না কেন, তাতে নারীদের ভিকটিম হওয়ার হার থাকে সবচেয়ে বেশি। সুদানের নারীদের ওপর এখন চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। কবে যে দেশটিতে সুদিন ফিরে আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা এই মুহূর্তে কোথাও থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সূত্র: ইউএন উইমেন, রিলিফওয়েব, বিবিসি

শুরুতে করবিন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করায় গুঞ্জন ওঠে, তিনি হয়তো পুরোপুরি যুক্ত হতে রাজি নন। তবে গত শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে করবিন নিশ্চিত করেন, দল গঠনের বিষয়ে ‘আলোচনা চলছে’।
০৫ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ দিন আগে