ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
আমাদের বিয়ের বয়স প্রায় দুই বছর। স্বামী কাতারপ্রবাসী, ফোনে বিয়ে হয়েছিল। দেশে এসে আমাকে তুলে নেয় তাদের বাড়িতে। এর পর থেকে ঝামেলা চলছে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। যৌতুকের জন্য আমি মারধরের শিকার। তিনবার মেম্বারের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিস হয়েছে।
তিন মাসের ছুটিতে দেশে এসে সন্তান নিতে আমাকে বিভিন্ন আশা দেয়। তার কথামতো সন্তান নিয়েছি। কাতারে ফিরে গিয়ে ১০ মাস খোঁজ না নিয়ে সে উল্টো আমাকে হুমকি দিত। মেয়েশিশু জন্ম দিয়েছি বলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সন্তানের জন্মের সময় চিকিৎসা বাবদ তারা কোনো টাকা দেয়নি। ছয় মাস আমার ও মেয়ের ভরণপোষণের কোনো টাকা দেয় না। কোনো ধরনের যোগাযোগও করে না। কোর্টে যৌতুকের মামলা করেছি। তিনবার হাজিরা গেছে। কী করলে ন্যায়বিচার পাব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নোয়াখালী
উত্তর: এপিবি যে যৌতুকের মামলা করেছেন তা কি শুধুই আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে, নাকি তাঁর পরিবারের যাঁরা আপনাকে অত্যাচার করেছেন সবার বিরুদ্ধে? পরিবারের অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করে না থাকলে তা করতে হবে। আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার কথা জানিয়ে তাঁর কর্মক্ষেত্রে আপনার উকিলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তাঁর সঙ্গে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার সমনটির কপিও সংযুক্ত করতে বলুন। আপনার স্বামী এই চিঠির প্রাপ্তি অস্বীকার করলেও সমস্যা নেই। কাতারে তাঁর চাকরিদাতার কাছে চিঠির কপি গেলে তারাই তাঁকে চাপ প্রয়োগ করবে দেশে এসে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে আপনার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে থাকলে তারাও কোর্টে আসবে অথবা তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে।
আপনার ও মেয়ের ভরণপোষণের জন্য আপনি পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। এই মামলার কপিও আপনার কাতারপ্রবাসী স্বামীর কর্মক্ষেত্রে পাঠিয়ে দিতে পারেন। আশা করি আপনার স্বামী তাঁর চাকরি বাঁচাতে দেশে আসতে বা মধ্যস্থতা করতে রাজি হবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আমাদের বিয়ের বয়স প্রায় দুই বছর। স্বামী কাতারপ্রবাসী, ফোনে বিয়ে হয়েছিল। দেশে এসে আমাকে তুলে নেয় তাদের বাড়িতে। এর পর থেকে ঝামেলা চলছে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। যৌতুকের জন্য আমি মারধরের শিকার। তিনবার মেম্বারের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিস হয়েছে।
তিন মাসের ছুটিতে দেশে এসে সন্তান নিতে আমাকে বিভিন্ন আশা দেয়। তার কথামতো সন্তান নিয়েছি। কাতারে ফিরে গিয়ে ১০ মাস খোঁজ না নিয়ে সে উল্টো আমাকে হুমকি দিত। মেয়েশিশু জন্ম দিয়েছি বলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সন্তানের জন্মের সময় চিকিৎসা বাবদ তারা কোনো টাকা দেয়নি। ছয় মাস আমার ও মেয়ের ভরণপোষণের কোনো টাকা দেয় না। কোনো ধরনের যোগাযোগও করে না। কোর্টে যৌতুকের মামলা করেছি। তিনবার হাজিরা গেছে। কী করলে ন্যায়বিচার পাব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নোয়াখালী
উত্তর: এপিবি যে যৌতুকের মামলা করেছেন তা কি শুধুই আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে, নাকি তাঁর পরিবারের যাঁরা আপনাকে অত্যাচার করেছেন সবার বিরুদ্ধে? পরিবারের অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করে না থাকলে তা করতে হবে। আপনার স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার কথা জানিয়ে তাঁর কর্মক্ষেত্রে আপনার উকিলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তাঁর সঙ্গে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার সমনটির কপিও সংযুক্ত করতে বলুন। আপনার স্বামী এই চিঠির প্রাপ্তি অস্বীকার করলেও সমস্যা নেই। কাতারে তাঁর চাকরিদাতার কাছে চিঠির কপি গেলে তারাই তাঁকে চাপ প্রয়োগ করবে দেশে এসে কোর্টে হাজিরা দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে আপনার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে থাকলে তারাও কোর্টে আসবে অথবা তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে।
আপনার ও মেয়ের ভরণপোষণের জন্য আপনি পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। এই মামলার কপিও আপনার কাতারপ্রবাসী স্বামীর কর্মক্ষেত্রে পাঠিয়ে দিতে পারেন। আশা করি আপনার স্বামী তাঁর চাকরি বাঁচাতে দেশে আসতে বা মধ্যস্থতা করতে রাজি হবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সিলেটের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্স নারী শিক্ষার্থী সাহারা চৌধুরীকে আজীবন বহিষ্কারাদেশের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক কর্মীসহ ১৬২ জন নাগরিক। আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতিতে অবিলম্বে অন্যায্য বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে ওই শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা
৮ ঘণ্টা আগেদেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
৪ দিন আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
৪ দিন আগেযুদ্ধের উত্তাপে জর্জরিত গাজায় প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর ছায়া ঘোরে। তবু সেখানে নতুন প্রাণের আশা যেন এক অনন্য বিজয়। গাজার আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স আর ইন্টার্নরা এই জীবন ও মৃত্যুর এক অপরিহার্য সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে ওঠেন প্রতিনিয়ত। সেখানে অনিশ্চিত নিকষ কালো..
৪ দিন আগে