নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হুট করে রাতের দিকে পানি বাড়তেছিল। স্রোতের কারণে জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়ারও উপায় ছিল না। বাড়ির সবাই মিলে এলাকার স্কুলে আশ্রয় নিই। সেখানে লোকে লোকারণ্য অবস্থা! বাথরুমের অসুবিধা। অনেকে বাথরুম আটকায় বসে ছিল। যাদের মাসিক চলছিল, তাদের জন্য অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। সাহায্য আসছিল। কিন্তু পানির সংকট কাটছিল না। বন্যার নোংরা পানি মেয়েদের বাথরুমের কাজে ব্যবহারের কারণে নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছিল।—একটানা কথাগুলো বলছিলেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামের কলেজছাত্রী তামান্না আক্তার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ বছর দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ১১টি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫১ লাখের বেশি। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) তথ্য অনুসারে, প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে ২২ থেকে ২৪ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকেন। সে হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা এক লাখের বেশি।
তামান্নার মতো অভিজ্ঞতার কথা জানান একই এলাকার গৃহবধূ পারভিন সুলতানা। ‘যেদিন স্কুলে উঠলাম। বাথরুমে গিয়ে দেখি পুরাটা ভরা। এরপর প্রায় দেড় দিন বাথরুমে না গিয়েই কাটাইছি। এমনকি খাওয়াদাওয়াও করি নাই বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে।’ বলছিলেন বছর পঁচিশের এই নারী। বন্যার পানি নেমেছে মাস দেড়েক হলো। এখনো বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা বয়ে বেড়াচ্ছেন বন্যাদুর্গত গ্রামীণ এলাকার বহু নারী। চর্মরোগসহ শারীরিক নানা সমস্যা তাঁদের ভোগাচ্ছে।
‘সবকিছু তো মানষেরে কওন যায় না। বন্যার পর থেকে শরীলে অনেক সমস্যা। হাসপাতাল দূরে। যাওয়া সমস্যা।’ এ কথা জানিয়েছেন চল্লিশোর্ধ্ব নারী হালিমা খাতুন।
বন্যায় ভয়, আতঙ্ক, সম্পদের ক্ষতির কারণে মন খারাপ, পুষ্টিকর খাদ্য ও যত্নের অভাব এবং চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় বেশ ভুগেছে দেশের পূর্বাঞ্চলের নারীরা। গ্রামীণ এই নারীদের বেশির ভাগ এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল ১৫ অক্টোবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘দুর্যোগে নারীর সুরক্ষায় দরকার সচেতনতা সৃষ্টি’।
নারী অধিকারকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, দুর্যোগে একজন নারীর শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়টিও উপস্থিত থাকে।
কিন্তু সেটি অদৃশ্য করে রাখা হয়। এ কারণে দুর্যোগ ও দুর্যোগ-পরবর্তী সংকট চিহ্নিত করে সেসব নিরসনে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নারীবান্ধব এবং সংবেদনশীল পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কারণ, দুর্যোগে নারীর শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক সংকট কাটিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য যেসব সেবা-শুশ্রূষা দরকার, তা অপ্রতুল অথবা নেই বললেই চলে।
হুট করে রাতের দিকে পানি বাড়তেছিল। স্রোতের কারণে জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়ারও উপায় ছিল না। বাড়ির সবাই মিলে এলাকার স্কুলে আশ্রয় নিই। সেখানে লোকে লোকারণ্য অবস্থা! বাথরুমের অসুবিধা। অনেকে বাথরুম আটকায় বসে ছিল। যাদের মাসিক চলছিল, তাদের জন্য অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। সাহায্য আসছিল। কিন্তু পানির সংকট কাটছিল না। বন্যার নোংরা পানি মেয়েদের বাথরুমের কাজে ব্যবহারের কারণে নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা হচ্ছিল।—একটানা কথাগুলো বলছিলেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামের কলেজছাত্রী তামান্না আক্তার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এ বছর দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ১১টি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫১ লাখের বেশি। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) তথ্য অনুসারে, প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে ২২ থেকে ২৪ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকেন। সে হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর সংখ্যা এক লাখের বেশি।
তামান্নার মতো অভিজ্ঞতার কথা জানান একই এলাকার গৃহবধূ পারভিন সুলতানা। ‘যেদিন স্কুলে উঠলাম। বাথরুমে গিয়ে দেখি পুরাটা ভরা। এরপর প্রায় দেড় দিন বাথরুমে না গিয়েই কাটাইছি। এমনকি খাওয়াদাওয়াও করি নাই বাথরুমে যাওয়ার ভয়ে।’ বলছিলেন বছর পঁচিশের এই নারী। বন্যার পানি নেমেছে মাস দেড়েক হলো। এখনো বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা বয়ে বেড়াচ্ছেন বন্যাদুর্গত গ্রামীণ এলাকার বহু নারী। চর্মরোগসহ শারীরিক নানা সমস্যা তাঁদের ভোগাচ্ছে।
‘সবকিছু তো মানষেরে কওন যায় না। বন্যার পর থেকে শরীলে অনেক সমস্যা। হাসপাতাল দূরে। যাওয়া সমস্যা।’ এ কথা জানিয়েছেন চল্লিশোর্ধ্ব নারী হালিমা খাতুন।
বন্যায় ভয়, আতঙ্ক, সম্পদের ক্ষতির কারণে মন খারাপ, পুষ্টিকর খাদ্য ও যত্নের অভাব এবং চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় বেশ ভুগেছে দেশের পূর্বাঞ্চলের নারীরা। গ্রামীণ এই নারীদের বেশির ভাগ এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল ১৫ অক্টোবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘দুর্যোগে নারীর সুরক্ষায় দরকার সচেতনতা সৃষ্টি’।
নারী অধিকারকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, দুর্যোগে একজন নারীর শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়টিও উপস্থিত থাকে।
কিন্তু সেটি অদৃশ্য করে রাখা হয়। এ কারণে দুর্যোগ ও দুর্যোগ-পরবর্তী সংকট চিহ্নিত করে সেসব নিরসনে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নারীবান্ধব এবং সংবেদনশীল পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কারণ, দুর্যোগে নারীর শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক সংকট কাটিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য যেসব সেবা-শুশ্রূষা দরকার, তা অপ্রতুল অথবা নেই বললেই চলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
১৪ ঘণ্টা আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
১৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
১৪ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
১৪ ঘণ্টা আগে