Ajker Patrika

নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার পথে বাধা: নারীপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫২
নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার পথে বাধা: নারীপক্ষ

নারী কোটা কমিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা নারীর কর্মসংস্থানকে দুর্বল ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতাকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছে নারীপক্ষ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।

নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে, যা শিগগির কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিধিমালায় নারীর জন্য পূর্বনির্ধারিত কোটা পরিবর্তন করে মাত্র ৭ শতাংশ কোটা চালু করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কেবল সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রধান শিক্ষক পদের ৮০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

নারীপক্ষ মনে করে, নতুন এ বিধিমালা নারীর কর্মসংস্থানকে দুর্বল ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। মেয়েশিক্ষার্থীর হার কমিয়ে দেবে। শিক্ষকতা পেশায় নারীর অংশগ্রহণে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নারীপক্ষ নারী-পুরুষের সমতায় দৃঢ় বিশ্বাসী, কিন্তু সেটা অবশ্যই ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে। বাংলাদেশে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি লাভ করেছে, কিন্তু সামগ্রিক অর্থে এখনো নারীরা সামাজিক ও কাঠামোগত বাধার কারণে পিছিয়ে রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছেন না। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকতা পেশায় নারী কোটার এ ব্যাপক পরিবর্তন নারীকে পুরুষের সঙ্গে এক অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেবে এবং দেশে নারী শিক্ষকের হার অনেকটাই কমে যাবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যদিও ২০২৪ সালে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগের কোটাপদ্ধতি বাতিল করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কোটাব্যবস্থা একটি কার্যকর নীতিগত পদক্ষেপ। এটি নারীর কর্মসংস্থানে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে, গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের জন্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

অপরদিকে আমাদের বাস্তবতায় এখনো মেয়েশিক্ষার্থীর জন্য নারী শিক্ষক নিরাপদ, সহানুভূতিশীল ও উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি করে। নারী শিক্ষকের সংখ্যা কমে গেলে নারীবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হবে, ফলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে ভর্তি ও উপস্থিতি কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে, যা নারী শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করবে। নারীর কর্মসংস্থান কমে যাবে, ফলে তাঁর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দুর্গম হবে। এই অবস্থা নারী-পুরুষের মধ্যকার বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দেবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।

নারীপক্ষের দাবি, অবিলম্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ বাতিল করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নারীবান্ধব কোটাপদ্ধতি চালু করা হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় ওয়াকআউট করল কোন কোন দেশ, বাংলাদেশও কি ছিল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্টলেডির সঙ্গে ড. ইউনূস, পাশে মেয়ে দীনা

বাগমারা উপজেলা বিএনপি: বেপরোয়া বহিষ্কৃত নেতারা

বিএনপির চোখ জামায়াত ও চরমোনাইয়ের দিকে

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: হাইব্রিড পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয় চলবে দুপুর থেকে সন্ধ্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত