১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামের নানাবাড়িতে জন্ম সায়েবা আখ্তারের। তিনি বেড়ে উঠেছেন টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজের প্রফেসরস কোয়ার্টারে। বাবা এম এ মালেক ছিলেন সেই কলেজের অধ্যাপক। বাবা-মায়ের পঞ্চম কন্যা সায়েবা। চার বোনের পর তাঁর জন্ম, তাঁর পরে আছেন আরও দুই ভাই। সায়েবার ইচ্ছে ছিল, তিনি বাবার মতো অধ্যাপক হবেন। কিন্তু বাবার ইচ্ছা—মেয়ে হবে চিকিৎসক। সেই ইচ্ছাকে মূল্য দিয়ে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়ার সিদ্ধান্ত নেন সায়েবা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
প্রথমে বাবার ওপর কিছুটা রাগ হলেও পরে থাকেনি সেটা। নিজের তৈরি হাসপাতালে নিজের চেম্বারে বসে তাই বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সায়েবা। বললেন, ‘আজকে আমি যে অবস্থানে আছি, তা শুধু তাঁর কারণেই। তিনি না চাইলে আমি কখনোই ডাক্তারি পড়তাম না।’ জানালেন, নিজের লেখাপড়ার পেছনে বাবার অবদান থাকলেও অন্য ভাইবোনের লেখাপড়ার পেছনে ছিল মায়ের অবদান।
জেদ থেকে প্রসূতি বিভাগ
চিকিৎসাবিদ্যায় মেডিসিন নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন সায়েবা। কিন্তু এক বান্ধবীর টিটকারিতে সিদ্ধান্ত নেন, প্রসূতি বিভাগে লেখাপড়া করবেন। সেই স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, ‘ওই দিন ওর সঙ্গে জেদ না করলে প্রসববেদনায় কাতরানো মায়েদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতাম না।’ প্রসূতি বিভাগের কাজকে খুবই উপভোগ করেন সায়েবা। যার প্রমাণ মেলে তাঁর কাজে, গবেষণায়। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি তাঁর একটি গবেষণাকে ‘সায়েবা’স মেথড’ নামে উল্লেখ করে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘সায়েবা’স মেথড’ হলো ‘অত্যন্ত অল্প খরচে প্রসূতির রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায়’ (ইউবিটি) সম্পর্কিত একটি বিকল্প পদ্ধতি। এটি মাতৃমৃত্যু হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১১ সালে সায়েবা যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট থেকে তাঁর উদ্ভাবনের জন্য সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন।
কেন এই গবেষণা
একবার একজন প্রসূতি স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম দিলেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর রক্তক্ষরণ শুরু হলো। বিছানা, মেঝে ভেসে যাচ্ছিল রক্তে; যা লেবার রুমের পাশের ড্রেনে গড়িয়ে গেল। পাশের ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত আসছে, দেওয়া হচ্ছে সেই নারীকে; কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। একপর্যায়ে সায়েবার হাতের ওপর মারা গেল সেই নতুন মা। ঘটনার পর মাসখানেক স্বাভাবিক হতে পারেননি সায়েবা।
প্রসূতি বিভাগের এসব বেদনাদায়ক ঘটনা অস্থির করে তুলেছিল সায়েবাকে। কীভাবে এসব কমানো যায়, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ বিভিন্ন নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ দিয়েছেনও। এভাবেই এক প্রশিক্ষণে গিয়ে পরিচিত হন একধরনের বিশেষ বেলুনের সঙ্গে। সেটি বিদেশে ব্যবহার করা হতো প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য। সেখান থেকে একটা বেলুন এনে বেশ কিছুদিন সেটি ব্যবহার করেন সায়েবা। একটা সময় সেই বেলুন নষ্ট হয়ে গেল। সেই বেলুনের অভাবে আঠারো বছরের এক কিশোরী মা রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান সায়েবার সামনে। সব মিলিয়ে একটা উপায় বের করার জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠলেন তিনি। শুরু করলেন গবেষণা। সেখান থেকেই উদ্ভব ঘটল ‘সায়েবা’স মেথড’ নামের সেই জীবনদায়ী পদ্ধতি।
ওই দিন ওর সঙ্গে জেদ না করলে প্রসববেদনায় কাতরানো মায়েদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতাম না। আমি চাই, অর্থের অভাবে ফিস্টুলার মতো চিকিৎসায় যেন মানুষের কোনো চিন্তা না থাকে।
ফিস্টুলার চিকিৎসায় তোড়জোড়
১৯৮৭ সাল থেকে ফিস্টুলা নিয়ে কাজ করছেন সায়েরা আখ্তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ফিস্টুলা সেন্টার করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নেন তিনি। সেটা করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে তাঁকে। অনেকের দুর্ব্যবহারে ফিরে এসে বাথরুমে ঢুকে কেঁদেছেন নীরবে। ভেবেছেন, আর নয়। কিন্তু হাসপাতালের বাস্তবতায় ভুলে গেছেন সব অপমান। আবার শুরু করেছেন দ্বারে দ্বারে ঘোরা। কিন্তু কেন অসহযোগিতা? সায়েরা জানান, রোগটার প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া। কারণ, রোগটা যাদের আলাদা করে, তাদের নিয়ে তখন কেউ ভাবতেন না।
তবে দেরিতে হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত হয়েছে ন্যাশনাল ফিস্টুলা সেন্টার। সেখানে বিভাগও খোলা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে অবসর নেওয়ার পর সেই রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালের কথা ভাবেন সায়েবা। জমি থাকার পরেও জটিলতার কারণে সেখানে ফিস্টুলা হাসপাতাল করা হয়ে ওঠেনি তাঁর। তবু হাল ছাড়েননি। মগবাজারে একটি ভবনের একটি ফ্লোর নিয়ে খুলেছেন মাম’স ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড ওম্যান্স হেলথ।
ছোট ভাই, স্বামী, আত্মীয়স্বজন ও চিকিৎসকদের সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে চলছে এই হাসপাতাল। এখানে হতদরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে করা হয় ফিস্টুলার চিকিৎসা। শুধু তা-ই নয়, সায়েবা জানান, এমনও রোগী আসেন, যাঁদের বাড়ি ফেরার পয়সা থাকে না। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। যাঁদের পরিবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় না, তাঁদের হাসপাতাল থেকে সাহায্য করা হয় সাধ্যমতো। কাউকে গবাদিপশু দিয়ে সাহায্য করা হয়, কাউকে সেলাই মেশিন দিয়ে। যাতে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এমন অনেকে আছেন যাঁরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। হাসপাতালের ঠিকানায় ছবি পাঠিয়েছেন।
প্রাপ্তির মাঝেও অভিমান
সাহায্যের আবেদন করার পরেও অনেক জায়গা থেকে সাড়া পাননি ডা. সায়েরা আখ্তার। অনেকবার বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মাম’স ইনস্টিটিউটের জায়গার জন্য। সাড়া মেলেনি। নতুন প্রজন্মের কাছে এ বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটাও হচ্ছে না বলে কিছুটা হতাশ ডা. সায়েরা। তবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দরজা খোলা রেখেছেন তিনি—যেকোনো পক্ষের জন্য। দিন শেষে মাম’স ইনস্টিটিউটকে বড় পরিসরে নিয়ে যেতে চান তিনি, যাতে অর্থের অভাবে ফিস্টুলার মতো চিকিৎসায় মানুষের কোনো চিন্তা না থাকে।
১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামের নানাবাড়িতে জন্ম সায়েবা আখ্তারের। তিনি বেড়ে উঠেছেন টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজের প্রফেসরস কোয়ার্টারে। বাবা এম এ মালেক ছিলেন সেই কলেজের অধ্যাপক। বাবা-মায়ের পঞ্চম কন্যা সায়েবা। চার বোনের পর তাঁর জন্ম, তাঁর পরে আছেন আরও দুই ভাই। সায়েবার ইচ্ছে ছিল, তিনি বাবার মতো অধ্যাপক হবেন। কিন্তু বাবার ইচ্ছা—মেয়ে হবে চিকিৎসক। সেই ইচ্ছাকে মূল্য দিয়ে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়ার সিদ্ধান্ত নেন সায়েবা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
প্রথমে বাবার ওপর কিছুটা রাগ হলেও পরে থাকেনি সেটা। নিজের তৈরি হাসপাতালে নিজের চেম্বারে বসে তাই বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সায়েবা। বললেন, ‘আজকে আমি যে অবস্থানে আছি, তা শুধু তাঁর কারণেই। তিনি না চাইলে আমি কখনোই ডাক্তারি পড়তাম না।’ জানালেন, নিজের লেখাপড়ার পেছনে বাবার অবদান থাকলেও অন্য ভাইবোনের লেখাপড়ার পেছনে ছিল মায়ের অবদান।
জেদ থেকে প্রসূতি বিভাগ
চিকিৎসাবিদ্যায় মেডিসিন নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন সায়েবা। কিন্তু এক বান্ধবীর টিটকারিতে সিদ্ধান্ত নেন, প্রসূতি বিভাগে লেখাপড়া করবেন। সেই স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, ‘ওই দিন ওর সঙ্গে জেদ না করলে প্রসববেদনায় কাতরানো মায়েদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতাম না।’ প্রসূতি বিভাগের কাজকে খুবই উপভোগ করেন সায়েবা। যার প্রমাণ মেলে তাঁর কাজে, গবেষণায়। ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ জার্নাল অব অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি তাঁর একটি গবেষণাকে ‘সায়েবা’স মেথড’ নামে উল্লেখ করে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘সায়েবা’স মেথড’ হলো ‘অত্যন্ত অল্প খরচে প্রসূতির রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায়’ (ইউবিটি) সম্পর্কিত একটি বিকল্প পদ্ধতি। এটি মাতৃমৃত্যু হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১১ সালে সায়েবা যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট থেকে তাঁর উদ্ভাবনের জন্য সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন।
কেন এই গবেষণা
একবার একজন প্রসূতি স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম দিলেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর রক্তক্ষরণ শুরু হলো। বিছানা, মেঝে ভেসে যাচ্ছিল রক্তে; যা লেবার রুমের পাশের ড্রেনে গড়িয়ে গেল। পাশের ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত আসছে, দেওয়া হচ্ছে সেই নারীকে; কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। একপর্যায়ে সায়েবার হাতের ওপর মারা গেল সেই নতুন মা। ঘটনার পর মাসখানেক স্বাভাবিক হতে পারেননি সায়েবা।
প্রসূতি বিভাগের এসব বেদনাদায়ক ঘটনা অস্থির করে তুলেছিল সায়েবাকে। কীভাবে এসব কমানো যায়, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ বিভিন্ন নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ দিয়েছেনও। এভাবেই এক প্রশিক্ষণে গিয়ে পরিচিত হন একধরনের বিশেষ বেলুনের সঙ্গে। সেটি বিদেশে ব্যবহার করা হতো প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য। সেখান থেকে একটা বেলুন এনে বেশ কিছুদিন সেটি ব্যবহার করেন সায়েবা। একটা সময় সেই বেলুন নষ্ট হয়ে গেল। সেই বেলুনের অভাবে আঠারো বছরের এক কিশোরী মা রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান সায়েবার সামনে। সব মিলিয়ে একটা উপায় বের করার জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠলেন তিনি। শুরু করলেন গবেষণা। সেখান থেকেই উদ্ভব ঘটল ‘সায়েবা’স মেথড’ নামের সেই জীবনদায়ী পদ্ধতি।
ওই দিন ওর সঙ্গে জেদ না করলে প্রসববেদনায় কাতরানো মায়েদের জন্য কাজ করার সুযোগ পেতাম না। আমি চাই, অর্থের অভাবে ফিস্টুলার মতো চিকিৎসায় যেন মানুষের কোনো চিন্তা না থাকে।
ফিস্টুলার চিকিৎসায় তোড়জোড়
১৯৮৭ সাল থেকে ফিস্টুলা নিয়ে কাজ করছেন সায়েরা আখ্তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ফিস্টুলা সেন্টার করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নেন তিনি। সেটা করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে তাঁকে। অনেকের দুর্ব্যবহারে ফিরে এসে বাথরুমে ঢুকে কেঁদেছেন নীরবে। ভেবেছেন, আর নয়। কিন্তু হাসপাতালের বাস্তবতায় ভুলে গেছেন সব অপমান। আবার শুরু করেছেন দ্বারে দ্বারে ঘোরা। কিন্তু কেন অসহযোগিতা? সায়েরা জানান, রোগটার প্রতি গুরুত্ব না দেওয়া। কারণ, রোগটা যাদের আলাদা করে, তাদের নিয়ে তখন কেউ ভাবতেন না।
তবে দেরিতে হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত হয়েছে ন্যাশনাল ফিস্টুলা সেন্টার। সেখানে বিভাগও খোলা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে অবসর নেওয়ার পর সেই রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালের কথা ভাবেন সায়েবা। জমি থাকার পরেও জটিলতার কারণে সেখানে ফিস্টুলা হাসপাতাল করা হয়ে ওঠেনি তাঁর। তবু হাল ছাড়েননি। মগবাজারে একটি ভবনের একটি ফ্লোর নিয়ে খুলেছেন মাম’স ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড ওম্যান্স হেলথ।
ছোট ভাই, স্বামী, আত্মীয়স্বজন ও চিকিৎসকদের সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে চলছে এই হাসপাতাল। এখানে হতদরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে করা হয় ফিস্টুলার চিকিৎসা। শুধু তা-ই নয়, সায়েবা জানান, এমনও রোগী আসেন, যাঁদের বাড়ি ফেরার পয়সা থাকে না। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। যাঁদের পরিবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় না, তাঁদের হাসপাতাল থেকে সাহায্য করা হয় সাধ্যমতো। কাউকে গবাদিপশু দিয়ে সাহায্য করা হয়, কাউকে সেলাই মেশিন দিয়ে। যাতে তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এমন অনেকে আছেন যাঁরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। হাসপাতালের ঠিকানায় ছবি পাঠিয়েছেন।
প্রাপ্তির মাঝেও অভিমান
সাহায্যের আবেদন করার পরেও অনেক জায়গা থেকে সাড়া পাননি ডা. সায়েরা আখ্তার। অনেকবার বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মাম’স ইনস্টিটিউটের জায়গার জন্য। সাড়া মেলেনি। নতুন প্রজন্মের কাছে এ বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটাও হচ্ছে না বলে কিছুটা হতাশ ডা. সায়েরা। তবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দরজা খোলা রেখেছেন তিনি—যেকোনো পক্ষের জন্য। দিন শেষে মাম’স ইনস্টিটিউটকে বড় পরিসরে নিয়ে যেতে চান তিনি, যাতে অর্থের অভাবে ফিস্টুলার মতো চিকিৎসায় মানুষের কোনো চিন্তা না থাকে।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
৪ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৬ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৬ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৬ দিন আগে