আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আইটি ব্যবসা থেকে কমিউনিটি কিচেন—নূপুর পাঞ্জাবির জীবনের গল্প যেন এক অনুপ্রেরণার যাত্রা। এক সময় তিনি ছিলেন আইটি ব্যবসায় এক সফল উদ্যোক্তা। কিন্তু মায়ের মৃত্যু ও করোনা মহামারির পর জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন অসহায়দের জন্য রান্না করবেন, গড়বেন এক মানবিক উদ্যোগ।
নূপুরের সেই উদ্যোগের নাম ‘অন্ন সুধা।’ সংস্কৃত শব্দ ‘অন্ন’ মানে খাবার আর ‘সুধা’ মানে অমৃত। নামের মতোই নূপুরের হেঁশেল আজ ভালোবাসা ও সহানুভূতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বর্তমানে মাসে গড়ে ৬ হাজার ৫০০ মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করছে এই কমিউনিটি কিচেন।
এখানে প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন। তারা ভারতীয় খাবারের সঙ্গে আমেরিকান খাবারের সংমিশ্রণ রান্না করেন। মেনুতে থাকে সমুচা, ছোলা, বাটার চিকেনের মতো ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পদ। আবার থাকে চিকেন পাস্তার মতো আমেরিকান খাবারও।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সেনা মোতায়েন করেছেন, যা দেশটির দীর্ঘদিনের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। রাজধানীজুড়ে মোতায়েন করা সেনাদের পাশাপাশি দেখা যায় এক দারুণ দৃশ্যও। সেখানকার গৃহহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য খাবারের বড় ভরসা নূপুরের কমিউনিটি কিচেন।
ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা টম নামের একজন বলেন, ‘আমি সেতুর নিচে তাঁবুতে থাকি। এই রান্নাঘর আমাকে বাঁচতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে ভারতীয় খাবারগুলো আমার খুব ভালো লাগে।’
শুধু উপকারভোগীরাই নন, স্বেচ্ছাসেবীরাও এই উদ্যোগ থেকে মানসিক তৃপ্তি পান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকা শালিকা নামে এক তরুণী বলেন, ‘এখানে কাজ করলে মনে হয়, সবাই মিলে একটা উদ্দেশ্যের জন্য এগোচ্ছি। এটা সত্যিই আনন্দের।’
কিচেনটিকে টেকসই রাখার জন্য গ্রীষ্মে শিশুদের রান্না শেখানোর ক্যাম্পও পরিচালনা করা হয়। পরিবারগুলো ফি দিয়ে সন্তানদের পাঠায়। শিশুরা দোসা, উটপমের মতো ভারতীয় খাবার রান্না শেখে। এভাবে সংগৃহীত অর্থ আবার ব্যয় হয় গৃহহীনদের জন্য খাবার তৈরিতে।
একদিকে ভার্জিনিয়ায় নূপুর পাঞ্জাবির মতো স্বেচ্ছাসেবীরা নীরবে ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরাচ্ছেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলছে ভিন্ন চিত্র। সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে প্রায় দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার বলছে, এটি অপরাধ দমন অভিযানের অংশ। কিন্তু সমালোচকেরা এটিকে রাজনৈতিক প্রদর্শনী বলছেন।
এই দুই ভিন্ন বাস্তবতার মাঝেই নূপুর পাঞ্জাবির উদ্যোগ আমেরিকায় মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আমি শূন্য থেকে আমার আইটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। মায়ের মৃত্যু ও মহামারির আঘাতের পর, আমি সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করি। তখনই কিচেনের আইডিয়া মাথায় আসে। ব্যবসা ছেড়ে এই কমিউনিটি কিচেন চালু করার পর আমি গভীর সন্তুষ্টি পাই। এটাই আমার সুখের জায়গা।’
আইটি ব্যবসা থেকে কমিউনিটি কিচেন—নূপুর পাঞ্জাবির জীবনের গল্প যেন এক অনুপ্রেরণার যাত্রা। এক সময় তিনি ছিলেন আইটি ব্যবসায় এক সফল উদ্যোক্তা। কিন্তু মায়ের মৃত্যু ও করোনা মহামারির পর জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন অসহায়দের জন্য রান্না করবেন, গড়বেন এক মানবিক উদ্যোগ।
নূপুরের সেই উদ্যোগের নাম ‘অন্ন সুধা।’ সংস্কৃত শব্দ ‘অন্ন’ মানে খাবার আর ‘সুধা’ মানে অমৃত। নামের মতোই নূপুরের হেঁশেল আজ ভালোবাসা ও সহানুভূতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বর্তমানে মাসে গড়ে ৬ হাজার ৫০০ মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ করছে এই কমিউনিটি কিচেন।
এখানে প্রায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন। তারা ভারতীয় খাবারের সঙ্গে আমেরিকান খাবারের সংমিশ্রণ রান্না করেন। মেনুতে থাকে সমুচা, ছোলা, বাটার চিকেনের মতো ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পদ। আবার থাকে চিকেন পাস্তার মতো আমেরিকান খাবারও।
সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সেনা মোতায়েন করেছেন, যা দেশটির দীর্ঘদিনের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। রাজধানীজুড়ে মোতায়েন করা সেনাদের পাশাপাশি দেখা যায় এক দারুণ দৃশ্যও। সেখানকার গৃহহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য খাবারের বড় ভরসা নূপুরের কমিউনিটি কিচেন।
ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা টম নামের একজন বলেন, ‘আমি সেতুর নিচে তাঁবুতে থাকি। এই রান্নাঘর আমাকে বাঁচতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে ভারতীয় খাবারগুলো আমার খুব ভালো লাগে।’
শুধু উপকারভোগীরাই নন, স্বেচ্ছাসেবীরাও এই উদ্যোগ থেকে মানসিক তৃপ্তি পান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত থাকা শালিকা নামে এক তরুণী বলেন, ‘এখানে কাজ করলে মনে হয়, সবাই মিলে একটা উদ্দেশ্যের জন্য এগোচ্ছি। এটা সত্যিই আনন্দের।’
কিচেনটিকে টেকসই রাখার জন্য গ্রীষ্মে শিশুদের রান্না শেখানোর ক্যাম্পও পরিচালনা করা হয়। পরিবারগুলো ফি দিয়ে সন্তানদের পাঠায়। শিশুরা দোসা, উটপমের মতো ভারতীয় খাবার রান্না শেখে। এভাবে সংগৃহীত অর্থ আবার ব্যয় হয় গৃহহীনদের জন্য খাবার তৈরিতে।
একদিকে ভার্জিনিয়ায় নূপুর পাঞ্জাবির মতো স্বেচ্ছাসেবীরা নীরবে ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরাচ্ছেন। অন্যদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলছে ভিন্ন চিত্র। সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে প্রায় দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার বলছে, এটি অপরাধ দমন অভিযানের অংশ। কিন্তু সমালোচকেরা এটিকে রাজনৈতিক প্রদর্শনী বলছেন।
এই দুই ভিন্ন বাস্তবতার মাঝেই নূপুর পাঞ্জাবির উদ্যোগ আমেরিকায় মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আমি শূন্য থেকে আমার আইটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। মায়ের মৃত্যু ও মহামারির আঘাতের পর, আমি সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করি। তখনই কিচেনের আইডিয়া মাথায় আসে। ব্যবসা ছেড়ে এই কমিউনিটি কিচেন চালু করার পর আমি গভীর সন্তুষ্টি পাই। এটাই আমার সুখের জায়গা।’
‘২০২৪ সালের মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করায় অ্যাকসেস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক শিক্ষার্থী নুজহাত তাবাসসুম জাফরিনকে শুভেচ্ছা!’ এভাবেই ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস অভিনন্দন জানিয়েছিল তাঁকে।
৪ দিন আগেমারা যাওয়ার আগে আমাদের দুই বোনের নামে পেনশন নমিনি লিখে দিয়েছিলেন বাবা। আইন অনুযায়ী সন্তানদের পেনশন ১৫ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু সন্তানদের বিবাহ হলে পেনশন পাওয়ার অধিকার থাকে না।
৫ দিন আগেবিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের নারীদের মধ্যে কর্মজীবন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। সাংবাদিক ইসি ল্যাপওস্কি ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত তাঁর একটি প্রতিবেদনে এ প্রবণতাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পাওয়ার পজ’ নামে।
৫ দিন আগে