ইশতিয়াক হাসান

একসময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
কাঠামোটির পরনে সেইলর স্যুট, ছোটরা যেগুলো পরে। ছোট্ট মুখটায় অবশ্য একটা বালকের সঙ্গে মিল আছে কমই। সেখানে আঁচড়ের মতো কিছু দাগ বা খাঁজ আছে। চোখ পুঁতির মতো, কালো। মুখে লেগে আছে অশুভ একটি হাসি। কোলে একটা খেলনা কুকুর। এই তো গেল চেহারা। মানুষ এর সম্পর্কে অনেক কিছুই বিশ্বাস করে, তবে সেগুলোর কোনোটাই স্বাভাবিক কিছু নয়। চলুন পাঠক, তাহলে প্রবেশ করা যাক রবার্টের গা ছমছম করা জগতে।
রবার্ট দ্য ডল নামে পরিচিত পুতুল রবার্টের বর্তমান বয়স ১১৯, বাসস্থান ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে। নতুন একটি বাক্সের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে। জাদুঘরের কিউরেটর করি কনভেরটিটেটা জানান, যিনি এটি দিয়েছেন তিনি রবার্টের ভক্ত। তবে জলীয় বাষ্প নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়া কাচসহ নতুন এ আস্তানা রবার্টের ওপর তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করেছে বলে মনে হয় না। কারণ, জাদুঘরে এখনো রবার্টের নানা অশুভ কীর্তিকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৯৯৪ সালে জাদুঘরে আসার আগে রবার্টের মালিক ছিলেন রবার্ট ইউজিন অট্টো নামের এক খামখেয়ালি শিল্পী ও কি ওয়েস্টের এক অভিজাত পরিবারের সদস্য। অট্টোদের বাড়িটি পরিচিত ‘আর্টিস্ট হাউস’ নামে। কেউ কেউ বলেন অট্টোর দাদা বালক বয়সের অট্টোকে পুতুলটি উপহার দেন। তবে বেশির ভাগ সূত্রের দাবি, অট্টোদের গৃহপরিচারিকা তাঁকে পুতুলটি দেন।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও পুতুলটি হাতছাড়া করেননি অট্টো। বলা চলে তাঁদের এ সম্পর্কটা মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। সঙ্গে করে সব জায়গায় নিয়ে যেতেন পুতুলটাকে। ওটার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলতেন যেন পুতুল নয়, এর জীবন আছে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে পুতুলটি তৈরি করে স্টেইফ কোম্পানি। কোম্পানি সূত্রে জানা যায় রবার্টকে ঠিক পুতুল হিসেবে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়নি। সম্ভবত উইন্ডো ডিসপ্লের জন্য ভাঁড় হিসেবে তাকে তৈরি করা হয়।
মজার ঘটনা হলো, রবার্টের গায়ে চাপানো কোটটা প্রস্তুতকারক কোম্পানির দেওয়া নয়, বরং যতদূর জানা যায় অট্টো নিজে ছোটবেলায় এটা পরতেন। এদিকে পুতুলটিকে আনার পর একটার পর একটা অশুভ ঘটনা ঘটতে লাগল। শিশু অট্টো এর জন্য দায়ী করে রবার্টকেই। বাড়ির বড় সদস্যরা একে বালকের গালগপ্প বলে উড়িয়ে দেন গোড়ার দিকে। তবে সময় যত গড়াতে লাগল বাড়ি ও পুতুলটিকে ঘিরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটতে দেখলেন তাঁরা।
অস্বাভাবিক ঘটনার শুরু যখন, অট্টোর তখন দশ বছর বয়স। এক রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখেন বিছানার কিনারে বসে রবার্ট তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। অট্টোর চিৎকারে তাঁর মায়ের ঘুম ভেঙে গেল, অট্টোর কামরার আসবাবপত্র উল্টে পড়ার শব্দও কানে এল তাঁর। দৌড়ে এসে আবিষ্কার করলেন ছোট্ট ছেলেটা আতঙ্কে কুঁকড়ে শুয়ে আছে বিছানায়। পাশে মেঝেতে বসে আছে পুতুলটি। কিন্তু একটা পুতুল কীভাবে এমনটা করতে পারে?
তবে বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা ভুলে যেতে চাইলেও এতেই থেমে থাকল না অস্বাভাবিক কাণ্ডকীর্তি। অট্টোর মা-বাবা মাঝে মাঝেই ওপর তলা থেকে পুতুলটির সঙ্গে কথা বলতে শুনতেন ছেলেকে। অন্য রকম কণ্ঠে জবাবও শুনতে পেতেন। এমনকি পুতুলটির মুখের অভিব্যক্তি বদলে যেতে দেখেন তাঁরা মাঝে মাঝেই।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর আর্টিস্ট হাউসে স্ত্রী অ্যানের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন অট্টো। অ্যান গোড়া থেকেই রবার্টকে নিয়ে একটু অস্বস্তিতে ভুগতে লাগলেন। চাইলেন একে চিলেকোঠায় বন্দী করে রাখতে। অতএব সেখানে ঠাঁই হলো তার। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেল রবার্ট তার এ অবস্থানে মোটেই খুশি হয়নি। বাড়িটির পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়া ছেলে-মেয়েরা জানাল, পুতুলটি হঠাৎ দুই তলার শোবার কামরার জানালার সামনে হাজির হয়, পরমুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যায়। যেন সে চলাফেরা করতে পারে। বাড়িটিকে এড়াতে অন্য পথে স্কুলে যেতে শুরু করল তারা।
বিষয়টি শুনে অট্টো অনুসন্ধানে নামলেন। কারণ রবার্টকে তিনি রেখেছেন চিলেকোঠায়, সে দুই তলার ওই কামরায় এল কীভাবে? কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার, একদিন সত্যি ওটাকে শোবার ঘরে আবিষ্কার করলেন। জানালার পাশের রকিং চেয়ারটায় আরামে পুতুলটিকে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠলেন তিনি। নিজে নিজেই রবার্ট চিলেকোঠা থেকে এখানে চলে এসেছে? তারপর কয়েকবারই তাকে চিলেকোঠায় বন্দী করলেন, প্রত্যেকবারই পরে আবার শোবার কামরার রকিং চেয়ারে আবিষ্কার করেন।
১৯৭৪ সালে অট্টো মারা গেলে আর্টিস্ট হাউস কিনে নেন মার্টলে রিউটার। রবার্ট রইল তাঁর জিম্মাতেই। মার্টলেদের দশ বছরের মেয়ে শুরুতে পুতুলটিকে পেয়ে খুশিই ছিল। তবে একপর্যায়ে সে দাবি করল পুতুলটা হাঁটা-চলা করতে পারে, আর তাকে আঘাত করতে চায়। কখনো কখনো রাতে আতঙ্কে চিৎকার করে জেগে যেত সে। মা-বাবা এসে কী হয়েছে জানতে চাইলে বলত রবার্ট তার কামরায় চলে এসেছিল।
বাড়িটিতে বেড়াতে আসা লোকেরা দাবি করতে থাকলেন, চিলেকোঠায় মৃদু পদশব্দ আর ফিক ফিক করে হাসির শব্দ শোনেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার জানালেন, রবার্টের সামনে তার আগের মালিক অট্টো সম্পর্কে কেউ কটু কথা বললে পুতুলটির চেহারায় রাগের ছাপ দেখা যায়। ২০ বছর রবার্টকে নিজের কাছে রাখার পর ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে দিয়ে দেন।
অনেকেই দাবি করেন, রবার্টের অশুভ আচরণের মূলে আছে অট্টোর বাড়ির সেই গৃহপরিচারিকা, যিনি অট্টোকে পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন। বলা হয়, অট্টোর মা-বাবা ওই নারীর সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। এ জন্য তাঁদের শিক্ষা দিতে ভুডু আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্য নিয়ে পুতুলটির ওপর অশুভ প্রভাব তৈরি করেছিলেন। এতে অনেক প্রশ্নের জবাব মিললেও আরেকটি রহস্য রয়ে যায়, অট্টোর মা-বাবা, ওই গৃহপরিচারিকা এমনকি অট্টো মারা যাওয়ার পরও রবার্টের অশুভ প্রভাব রয়ে গেল কেন?
বলা চলে জাদুঘরে রবার্টের আগমন তার এবং জাদুঘর দুটির জন্যই নতুন মাইলফলক হয়ে দেখা দিল। রবার্টের আগমনের পর থেকে জাদুঘরে মানুষের ভিড় বেড়ে গেল। সবাই অশুভ পুতুলটিকে একটিবার দেখতে চান। টিভি শোতে দেখা গেল রবার্টকে, আলোকচিত্রীরা ছবি তুলতে হাজির হতে লাগলেন জাদুঘরে, রবার্টে অনুপ্রাণিত হয়ে হরর মুভি হতে লাগল। রবার্টের রেপ্লিকা, তার ছবিসহ টি-শার্ট বিক্রি হতে থাকল হুহু করে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের কেউ কেউ বদ্ধ কামরায় রবার্টের সঙ্গে একা একা রাতও কাটালেন।
এমনকি রবার্টের নামে চিঠিও আসতে লাগল জাদুঘরের ঠিকানায়। তবে সাধারণ ভক্তদের কোনো চিঠি নয় সেগুলো, বেশির ভাগ ক্ষমা চেয়ে লেখা চিঠি। তাদের দাবি, জাদুঘরে এসে রবার্টের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন। তার পর থেকেই একটার পর একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে তাঁদের জীবনে। কাজেই মাফ চেয়ে এর থেকে মুক্তি চান। এমনকি তার জন্য ক্যান্ডি আর চকোলেটও পাঠাতে লাগলেন ভক্তরা। কখনো রবার্টকে কাচের ঘেরাটোপ থেকে ফ্লোরিডার মুক্ত আবহাওয়ায় বের কর আনেন তার কেয়রটেকার কনভারটিটো।
কনভারটিটোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘আপনি কি মনে করেন রবার্ট ভুতুড়ে?’
‘আমি জানি না। সত্যি জানি না,’ উত্তর দিলেন তিনি, ‘রবার্টের সঙ্গে আমার কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি। আমার কখনো অস্বস্তি লাগেনি। আমি আমার কাজ করে যাই। তার মধ্যে কিছু থাকুক না থাকুক, আমার কাজে সে কখনো বাধা দেয়নি।’
তবে তাকে দেখতে জাদুঘরে আসা মানুষকে এখনো আতঙ্কিত করে চলেছে রবার্ট। জাদুঘরে যাঁরা রবার্টের ছবি তোলেন, তাঁদের অনেকে দাবি করেন ওই সময়ই ক্যামেরা উল্টাপাল্টা আচরণ শুরু করে। জাদুঘর ছেড়ে বের হয়ে গেলে আবার সব ঠিকঠাক। তার মানে রবার্টের অশুভ বা ভুতুড়ে তকমা দূর হচ্ছে না সহসাই।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ঘোস্টস অ্যান্ড গ্রেইভস্টোনস ডট কম

একসময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
কাঠামোটির পরনে সেইলর স্যুট, ছোটরা যেগুলো পরে। ছোট্ট মুখটায় অবশ্য একটা বালকের সঙ্গে মিল আছে কমই। সেখানে আঁচড়ের মতো কিছু দাগ বা খাঁজ আছে। চোখ পুঁতির মতো, কালো। মুখে লেগে আছে অশুভ একটি হাসি। কোলে একটা খেলনা কুকুর। এই তো গেল চেহারা। মানুষ এর সম্পর্কে অনেক কিছুই বিশ্বাস করে, তবে সেগুলোর কোনোটাই স্বাভাবিক কিছু নয়। চলুন পাঠক, তাহলে প্রবেশ করা যাক রবার্টের গা ছমছম করা জগতে।
রবার্ট দ্য ডল নামে পরিচিত পুতুল রবার্টের বর্তমান বয়স ১১৯, বাসস্থান ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে। নতুন একটি বাক্সের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে। জাদুঘরের কিউরেটর করি কনভেরটিটেটা জানান, যিনি এটি দিয়েছেন তিনি রবার্টের ভক্ত। তবে জলীয় বাষ্প নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়া কাচসহ নতুন এ আস্তানা রবার্টের ওপর তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করেছে বলে মনে হয় না। কারণ, জাদুঘরে এখনো রবার্টের নানা অশুভ কীর্তিকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৯৯৪ সালে জাদুঘরে আসার আগে রবার্টের মালিক ছিলেন রবার্ট ইউজিন অট্টো নামের এক খামখেয়ালি শিল্পী ও কি ওয়েস্টের এক অভিজাত পরিবারের সদস্য। অট্টোদের বাড়িটি পরিচিত ‘আর্টিস্ট হাউস’ নামে। কেউ কেউ বলেন অট্টোর দাদা বালক বয়সের অট্টোকে পুতুলটি উপহার দেন। তবে বেশির ভাগ সূত্রের দাবি, অট্টোদের গৃহপরিচারিকা তাঁকে পুতুলটি দেন।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও পুতুলটি হাতছাড়া করেননি অট্টো। বলা চলে তাঁদের এ সম্পর্কটা মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। সঙ্গে করে সব জায়গায় নিয়ে যেতেন পুতুলটাকে। ওটার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলতেন যেন পুতুল নয়, এর জীবন আছে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে পুতুলটি তৈরি করে স্টেইফ কোম্পানি। কোম্পানি সূত্রে জানা যায় রবার্টকে ঠিক পুতুল হিসেবে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়নি। সম্ভবত উইন্ডো ডিসপ্লের জন্য ভাঁড় হিসেবে তাকে তৈরি করা হয়।
মজার ঘটনা হলো, রবার্টের গায়ে চাপানো কোটটা প্রস্তুতকারক কোম্পানির দেওয়া নয়, বরং যতদূর জানা যায় অট্টো নিজে ছোটবেলায় এটা পরতেন। এদিকে পুতুলটিকে আনার পর একটার পর একটা অশুভ ঘটনা ঘটতে লাগল। শিশু অট্টো এর জন্য দায়ী করে রবার্টকেই। বাড়ির বড় সদস্যরা একে বালকের গালগপ্প বলে উড়িয়ে দেন গোড়ার দিকে। তবে সময় যত গড়াতে লাগল বাড়ি ও পুতুলটিকে ঘিরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটতে দেখলেন তাঁরা।
অস্বাভাবিক ঘটনার শুরু যখন, অট্টোর তখন দশ বছর বয়স। এক রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখেন বিছানার কিনারে বসে রবার্ট তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। অট্টোর চিৎকারে তাঁর মায়ের ঘুম ভেঙে গেল, অট্টোর কামরার আসবাবপত্র উল্টে পড়ার শব্দও কানে এল তাঁর। দৌড়ে এসে আবিষ্কার করলেন ছোট্ট ছেলেটা আতঙ্কে কুঁকড়ে শুয়ে আছে বিছানায়। পাশে মেঝেতে বসে আছে পুতুলটি। কিন্তু একটা পুতুল কীভাবে এমনটা করতে পারে?
তবে বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা ভুলে যেতে চাইলেও এতেই থেমে থাকল না অস্বাভাবিক কাণ্ডকীর্তি। অট্টোর মা-বাবা মাঝে মাঝেই ওপর তলা থেকে পুতুলটির সঙ্গে কথা বলতে শুনতেন ছেলেকে। অন্য রকম কণ্ঠে জবাবও শুনতে পেতেন। এমনকি পুতুলটির মুখের অভিব্যক্তি বদলে যেতে দেখেন তাঁরা মাঝে মাঝেই।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর আর্টিস্ট হাউসে স্ত্রী অ্যানের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন অট্টো। অ্যান গোড়া থেকেই রবার্টকে নিয়ে একটু অস্বস্তিতে ভুগতে লাগলেন। চাইলেন একে চিলেকোঠায় বন্দী করে রাখতে। অতএব সেখানে ঠাঁই হলো তার। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেল রবার্ট তার এ অবস্থানে মোটেই খুশি হয়নি। বাড়িটির পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়া ছেলে-মেয়েরা জানাল, পুতুলটি হঠাৎ দুই তলার শোবার কামরার জানালার সামনে হাজির হয়, পরমুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যায়। যেন সে চলাফেরা করতে পারে। বাড়িটিকে এড়াতে অন্য পথে স্কুলে যেতে শুরু করল তারা।
বিষয়টি শুনে অট্টো অনুসন্ধানে নামলেন। কারণ রবার্টকে তিনি রেখেছেন চিলেকোঠায়, সে দুই তলার ওই কামরায় এল কীভাবে? কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার, একদিন সত্যি ওটাকে শোবার ঘরে আবিষ্কার করলেন। জানালার পাশের রকিং চেয়ারটায় আরামে পুতুলটিকে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠলেন তিনি। নিজে নিজেই রবার্ট চিলেকোঠা থেকে এখানে চলে এসেছে? তারপর কয়েকবারই তাকে চিলেকোঠায় বন্দী করলেন, প্রত্যেকবারই পরে আবার শোবার কামরার রকিং চেয়ারে আবিষ্কার করেন।
১৯৭৪ সালে অট্টো মারা গেলে আর্টিস্ট হাউস কিনে নেন মার্টলে রিউটার। রবার্ট রইল তাঁর জিম্মাতেই। মার্টলেদের দশ বছরের মেয়ে শুরুতে পুতুলটিকে পেয়ে খুশিই ছিল। তবে একপর্যায়ে সে দাবি করল পুতুলটা হাঁটা-চলা করতে পারে, আর তাকে আঘাত করতে চায়। কখনো কখনো রাতে আতঙ্কে চিৎকার করে জেগে যেত সে। মা-বাবা এসে কী হয়েছে জানতে চাইলে বলত রবার্ট তার কামরায় চলে এসেছিল।
বাড়িটিতে বেড়াতে আসা লোকেরা দাবি করতে থাকলেন, চিলেকোঠায় মৃদু পদশব্দ আর ফিক ফিক করে হাসির শব্দ শোনেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার জানালেন, রবার্টের সামনে তার আগের মালিক অট্টো সম্পর্কে কেউ কটু কথা বললে পুতুলটির চেহারায় রাগের ছাপ দেখা যায়। ২০ বছর রবার্টকে নিজের কাছে রাখার পর ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে দিয়ে দেন।
অনেকেই দাবি করেন, রবার্টের অশুভ আচরণের মূলে আছে অট্টোর বাড়ির সেই গৃহপরিচারিকা, যিনি অট্টোকে পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন। বলা হয়, অট্টোর মা-বাবা ওই নারীর সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। এ জন্য তাঁদের শিক্ষা দিতে ভুডু আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্য নিয়ে পুতুলটির ওপর অশুভ প্রভাব তৈরি করেছিলেন। এতে অনেক প্রশ্নের জবাব মিললেও আরেকটি রহস্য রয়ে যায়, অট্টোর মা-বাবা, ওই গৃহপরিচারিকা এমনকি অট্টো মারা যাওয়ার পরও রবার্টের অশুভ প্রভাব রয়ে গেল কেন?
বলা চলে জাদুঘরে রবার্টের আগমন তার এবং জাদুঘর দুটির জন্যই নতুন মাইলফলক হয়ে দেখা দিল। রবার্টের আগমনের পর থেকে জাদুঘরে মানুষের ভিড় বেড়ে গেল। সবাই অশুভ পুতুলটিকে একটিবার দেখতে চান। টিভি শোতে দেখা গেল রবার্টকে, আলোকচিত্রীরা ছবি তুলতে হাজির হতে লাগলেন জাদুঘরে, রবার্টে অনুপ্রাণিত হয়ে হরর মুভি হতে লাগল। রবার্টের রেপ্লিকা, তার ছবিসহ টি-শার্ট বিক্রি হতে থাকল হুহু করে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের কেউ কেউ বদ্ধ কামরায় রবার্টের সঙ্গে একা একা রাতও কাটালেন।
এমনকি রবার্টের নামে চিঠিও আসতে লাগল জাদুঘরের ঠিকানায়। তবে সাধারণ ভক্তদের কোনো চিঠি নয় সেগুলো, বেশির ভাগ ক্ষমা চেয়ে লেখা চিঠি। তাদের দাবি, জাদুঘরে এসে রবার্টের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন। তার পর থেকেই একটার পর একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে তাঁদের জীবনে। কাজেই মাফ চেয়ে এর থেকে মুক্তি চান। এমনকি তার জন্য ক্যান্ডি আর চকোলেটও পাঠাতে লাগলেন ভক্তরা। কখনো রবার্টকে কাচের ঘেরাটোপ থেকে ফ্লোরিডার মুক্ত আবহাওয়ায় বের কর আনেন তার কেয়রটেকার কনভারটিটো।
কনভারটিটোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘আপনি কি মনে করেন রবার্ট ভুতুড়ে?’
‘আমি জানি না। সত্যি জানি না,’ উত্তর দিলেন তিনি, ‘রবার্টের সঙ্গে আমার কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি। আমার কখনো অস্বস্তি লাগেনি। আমি আমার কাজ করে যাই। তার মধ্যে কিছু থাকুক না থাকুক, আমার কাজে সে কখনো বাধা দেয়নি।’
তবে তাকে দেখতে জাদুঘরে আসা মানুষকে এখনো আতঙ্কিত করে চলেছে রবার্ট। জাদুঘরে যাঁরা রবার্টের ছবি তোলেন, তাঁদের অনেকে দাবি করেন ওই সময়ই ক্যামেরা উল্টাপাল্টা আচরণ শুরু করে। জাদুঘর ছেড়ে বের হয়ে গেলে আবার সব ঠিকঠাক। তার মানে রবার্টের অশুভ বা ভুতুড়ে তকমা দূর হচ্ছে না সহসাই।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ঘোস্টস অ্যান্ড গ্রেইভস্টোনস ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

একসময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
কাঠামোটির পরনে সেইলর স্যুট, ছোটরা যেগুলো পরে। ছোট্ট মুখটায় অবশ্য একটা বালকের সঙ্গে মিল আছে কমই। সেখানে আঁচড়ের মতো কিছু দাগ বা খাঁজ আছে। চোখ পুঁতির মতো, কালো। মুখে লেগে আছে অশুভ একটি হাসি। কোলে একটা খেলনা কুকুর। এই তো গেল চেহারা। মানুষ এর সম্পর্কে অনেক কিছুই বিশ্বাস করে, তবে সেগুলোর কোনোটাই স্বাভাবিক কিছু নয়। চলুন পাঠক, তাহলে প্রবেশ করা যাক রবার্টের গা ছমছম করা জগতে।
রবার্ট দ্য ডল নামে পরিচিত পুতুল রবার্টের বর্তমান বয়স ১১৯, বাসস্থান ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে। নতুন একটি বাক্সের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে। জাদুঘরের কিউরেটর করি কনভেরটিটেটা জানান, যিনি এটি দিয়েছেন তিনি রবার্টের ভক্ত। তবে জলীয় বাষ্প নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়া কাচসহ নতুন এ আস্তানা রবার্টের ওপর তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করেছে বলে মনে হয় না। কারণ, জাদুঘরে এখনো রবার্টের নানা অশুভ কীর্তিকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৯৯৪ সালে জাদুঘরে আসার আগে রবার্টের মালিক ছিলেন রবার্ট ইউজিন অট্টো নামের এক খামখেয়ালি শিল্পী ও কি ওয়েস্টের এক অভিজাত পরিবারের সদস্য। অট্টোদের বাড়িটি পরিচিত ‘আর্টিস্ট হাউস’ নামে। কেউ কেউ বলেন অট্টোর দাদা বালক বয়সের অট্টোকে পুতুলটি উপহার দেন। তবে বেশির ভাগ সূত্রের দাবি, অট্টোদের গৃহপরিচারিকা তাঁকে পুতুলটি দেন।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও পুতুলটি হাতছাড়া করেননি অট্টো। বলা চলে তাঁদের এ সম্পর্কটা মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। সঙ্গে করে সব জায়গায় নিয়ে যেতেন পুতুলটাকে। ওটার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলতেন যেন পুতুল নয়, এর জীবন আছে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে পুতুলটি তৈরি করে স্টেইফ কোম্পানি। কোম্পানি সূত্রে জানা যায় রবার্টকে ঠিক পুতুল হিসেবে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়নি। সম্ভবত উইন্ডো ডিসপ্লের জন্য ভাঁড় হিসেবে তাকে তৈরি করা হয়।
মজার ঘটনা হলো, রবার্টের গায়ে চাপানো কোটটা প্রস্তুতকারক কোম্পানির দেওয়া নয়, বরং যতদূর জানা যায় অট্টো নিজে ছোটবেলায় এটা পরতেন। এদিকে পুতুলটিকে আনার পর একটার পর একটা অশুভ ঘটনা ঘটতে লাগল। শিশু অট্টো এর জন্য দায়ী করে রবার্টকেই। বাড়ির বড় সদস্যরা একে বালকের গালগপ্প বলে উড়িয়ে দেন গোড়ার দিকে। তবে সময় যত গড়াতে লাগল বাড়ি ও পুতুলটিকে ঘিরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটতে দেখলেন তাঁরা।
অস্বাভাবিক ঘটনার শুরু যখন, অট্টোর তখন দশ বছর বয়স। এক রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখেন বিছানার কিনারে বসে রবার্ট তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। অট্টোর চিৎকারে তাঁর মায়ের ঘুম ভেঙে গেল, অট্টোর কামরার আসবাবপত্র উল্টে পড়ার শব্দও কানে এল তাঁর। দৌড়ে এসে আবিষ্কার করলেন ছোট্ট ছেলেটা আতঙ্কে কুঁকড়ে শুয়ে আছে বিছানায়। পাশে মেঝেতে বসে আছে পুতুলটি। কিন্তু একটা পুতুল কীভাবে এমনটা করতে পারে?
তবে বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা ভুলে যেতে চাইলেও এতেই থেমে থাকল না অস্বাভাবিক কাণ্ডকীর্তি। অট্টোর মা-বাবা মাঝে মাঝেই ওপর তলা থেকে পুতুলটির সঙ্গে কথা বলতে শুনতেন ছেলেকে। অন্য রকম কণ্ঠে জবাবও শুনতে পেতেন। এমনকি পুতুলটির মুখের অভিব্যক্তি বদলে যেতে দেখেন তাঁরা মাঝে মাঝেই।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর আর্টিস্ট হাউসে স্ত্রী অ্যানের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন অট্টো। অ্যান গোড়া থেকেই রবার্টকে নিয়ে একটু অস্বস্তিতে ভুগতে লাগলেন। চাইলেন একে চিলেকোঠায় বন্দী করে রাখতে। অতএব সেখানে ঠাঁই হলো তার। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেল রবার্ট তার এ অবস্থানে মোটেই খুশি হয়নি। বাড়িটির পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়া ছেলে-মেয়েরা জানাল, পুতুলটি হঠাৎ দুই তলার শোবার কামরার জানালার সামনে হাজির হয়, পরমুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যায়। যেন সে চলাফেরা করতে পারে। বাড়িটিকে এড়াতে অন্য পথে স্কুলে যেতে শুরু করল তারা।
বিষয়টি শুনে অট্টো অনুসন্ধানে নামলেন। কারণ রবার্টকে তিনি রেখেছেন চিলেকোঠায়, সে দুই তলার ওই কামরায় এল কীভাবে? কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার, একদিন সত্যি ওটাকে শোবার ঘরে আবিষ্কার করলেন। জানালার পাশের রকিং চেয়ারটায় আরামে পুতুলটিকে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠলেন তিনি। নিজে নিজেই রবার্ট চিলেকোঠা থেকে এখানে চলে এসেছে? তারপর কয়েকবারই তাকে চিলেকোঠায় বন্দী করলেন, প্রত্যেকবারই পরে আবার শোবার কামরার রকিং চেয়ারে আবিষ্কার করেন।
১৯৭৪ সালে অট্টো মারা গেলে আর্টিস্ট হাউস কিনে নেন মার্টলে রিউটার। রবার্ট রইল তাঁর জিম্মাতেই। মার্টলেদের দশ বছরের মেয়ে শুরুতে পুতুলটিকে পেয়ে খুশিই ছিল। তবে একপর্যায়ে সে দাবি করল পুতুলটা হাঁটা-চলা করতে পারে, আর তাকে আঘাত করতে চায়। কখনো কখনো রাতে আতঙ্কে চিৎকার করে জেগে যেত সে। মা-বাবা এসে কী হয়েছে জানতে চাইলে বলত রবার্ট তার কামরায় চলে এসেছিল।
বাড়িটিতে বেড়াতে আসা লোকেরা দাবি করতে থাকলেন, চিলেকোঠায় মৃদু পদশব্দ আর ফিক ফিক করে হাসির শব্দ শোনেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার জানালেন, রবার্টের সামনে তার আগের মালিক অট্টো সম্পর্কে কেউ কটু কথা বললে পুতুলটির চেহারায় রাগের ছাপ দেখা যায়। ২০ বছর রবার্টকে নিজের কাছে রাখার পর ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে দিয়ে দেন।
অনেকেই দাবি করেন, রবার্টের অশুভ আচরণের মূলে আছে অট্টোর বাড়ির সেই গৃহপরিচারিকা, যিনি অট্টোকে পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন। বলা হয়, অট্টোর মা-বাবা ওই নারীর সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। এ জন্য তাঁদের শিক্ষা দিতে ভুডু আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্য নিয়ে পুতুলটির ওপর অশুভ প্রভাব তৈরি করেছিলেন। এতে অনেক প্রশ্নের জবাব মিললেও আরেকটি রহস্য রয়ে যায়, অট্টোর মা-বাবা, ওই গৃহপরিচারিকা এমনকি অট্টো মারা যাওয়ার পরও রবার্টের অশুভ প্রভাব রয়ে গেল কেন?
বলা চলে জাদুঘরে রবার্টের আগমন তার এবং জাদুঘর দুটির জন্যই নতুন মাইলফলক হয়ে দেখা দিল। রবার্টের আগমনের পর থেকে জাদুঘরে মানুষের ভিড় বেড়ে গেল। সবাই অশুভ পুতুলটিকে একটিবার দেখতে চান। টিভি শোতে দেখা গেল রবার্টকে, আলোকচিত্রীরা ছবি তুলতে হাজির হতে লাগলেন জাদুঘরে, রবার্টে অনুপ্রাণিত হয়ে হরর মুভি হতে লাগল। রবার্টের রেপ্লিকা, তার ছবিসহ টি-শার্ট বিক্রি হতে থাকল হুহু করে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের কেউ কেউ বদ্ধ কামরায় রবার্টের সঙ্গে একা একা রাতও কাটালেন।
এমনকি রবার্টের নামে চিঠিও আসতে লাগল জাদুঘরের ঠিকানায়। তবে সাধারণ ভক্তদের কোনো চিঠি নয় সেগুলো, বেশির ভাগ ক্ষমা চেয়ে লেখা চিঠি। তাদের দাবি, জাদুঘরে এসে রবার্টের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন। তার পর থেকেই একটার পর একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে তাঁদের জীবনে। কাজেই মাফ চেয়ে এর থেকে মুক্তি চান। এমনকি তার জন্য ক্যান্ডি আর চকোলেটও পাঠাতে লাগলেন ভক্তরা। কখনো রবার্টকে কাচের ঘেরাটোপ থেকে ফ্লোরিডার মুক্ত আবহাওয়ায় বের কর আনেন তার কেয়রটেকার কনভারটিটো।
কনভারটিটোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘আপনি কি মনে করেন রবার্ট ভুতুড়ে?’
‘আমি জানি না। সত্যি জানি না,’ উত্তর দিলেন তিনি, ‘রবার্টের সঙ্গে আমার কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি। আমার কখনো অস্বস্তি লাগেনি। আমি আমার কাজ করে যাই। তার মধ্যে কিছু থাকুক না থাকুক, আমার কাজে সে কখনো বাধা দেয়নি।’
তবে তাকে দেখতে জাদুঘরে আসা মানুষকে এখনো আতঙ্কিত করে চলেছে রবার্ট। জাদুঘরে যাঁরা রবার্টের ছবি তোলেন, তাঁদের অনেকে দাবি করেন ওই সময়ই ক্যামেরা উল্টাপাল্টা আচরণ শুরু করে। জাদুঘর ছেড়ে বের হয়ে গেলে আবার সব ঠিকঠাক। তার মানে রবার্টের অশুভ বা ভুতুড়ে তকমা দূর হচ্ছে না সহসাই।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ঘোস্টস অ্যান্ড গ্রেইভস্টোনস ডট কম

একসময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
কাঠামোটির পরনে সেইলর স্যুট, ছোটরা যেগুলো পরে। ছোট্ট মুখটায় অবশ্য একটা বালকের সঙ্গে মিল আছে কমই। সেখানে আঁচড়ের মতো কিছু দাগ বা খাঁজ আছে। চোখ পুঁতির মতো, কালো। মুখে লেগে আছে অশুভ একটি হাসি। কোলে একটা খেলনা কুকুর। এই তো গেল চেহারা। মানুষ এর সম্পর্কে অনেক কিছুই বিশ্বাস করে, তবে সেগুলোর কোনোটাই স্বাভাবিক কিছু নয়। চলুন পাঠক, তাহলে প্রবেশ করা যাক রবার্টের গা ছমছম করা জগতে।
রবার্ট দ্য ডল নামে পরিচিত পুতুল রবার্টের বর্তমান বয়স ১১৯, বাসস্থান ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে। নতুন একটি বাক্সের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে। জাদুঘরের কিউরেটর করি কনভেরটিটেটা জানান, যিনি এটি দিয়েছেন তিনি রবার্টের ভক্ত। তবে জলীয় বাষ্প নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়া কাচসহ নতুন এ আস্তানা রবার্টের ওপর তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করেছে বলে মনে হয় না। কারণ, জাদুঘরে এখনো রবার্টের নানা অশুভ কীর্তিকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়।
১৯৯৪ সালে জাদুঘরে আসার আগে রবার্টের মালিক ছিলেন রবার্ট ইউজিন অট্টো নামের এক খামখেয়ালি শিল্পী ও কি ওয়েস্টের এক অভিজাত পরিবারের সদস্য। অট্টোদের বাড়িটি পরিচিত ‘আর্টিস্ট হাউস’ নামে। কেউ কেউ বলেন অট্টোর দাদা বালক বয়সের অট্টোকে পুতুলটি উপহার দেন। তবে বেশির ভাগ সূত্রের দাবি, অট্টোদের গৃহপরিচারিকা তাঁকে পুতুলটি দেন।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও পুতুলটি হাতছাড়া করেননি অট্টো। বলা চলে তাঁদের এ সম্পর্কটা মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। সঙ্গে করে সব জায়গায় নিয়ে যেতেন পুতুলটাকে। ওটার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলতেন যেন পুতুল নয়, এর জীবন আছে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে পুতুলটি তৈরি করে স্টেইফ কোম্পানি। কোম্পানি সূত্রে জানা যায় রবার্টকে ঠিক পুতুল হিসেবে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়নি। সম্ভবত উইন্ডো ডিসপ্লের জন্য ভাঁড় হিসেবে তাকে তৈরি করা হয়।
মজার ঘটনা হলো, রবার্টের গায়ে চাপানো কোটটা প্রস্তুতকারক কোম্পানির দেওয়া নয়, বরং যতদূর জানা যায় অট্টো নিজে ছোটবেলায় এটা পরতেন। এদিকে পুতুলটিকে আনার পর একটার পর একটা অশুভ ঘটনা ঘটতে লাগল। শিশু অট্টো এর জন্য দায়ী করে রবার্টকেই। বাড়ির বড় সদস্যরা একে বালকের গালগপ্প বলে উড়িয়ে দেন গোড়ার দিকে। তবে সময় যত গড়াতে লাগল বাড়ি ও পুতুলটিকে ঘিরে নানা ধরনের অস্বাভাবিক কাণ্ড ঘটতে দেখলেন তাঁরা।
অস্বাভাবিক ঘটনার শুরু যখন, অট্টোর তখন দশ বছর বয়স। এক রাতে ঘুম থেকে জেগে দেখেন বিছানার কিনারে বসে রবার্ট তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। অট্টোর চিৎকারে তাঁর মায়ের ঘুম ভেঙে গেল, অট্টোর কামরার আসবাবপত্র উল্টে পড়ার শব্দও কানে এল তাঁর। দৌড়ে এসে আবিষ্কার করলেন ছোট্ট ছেলেটা আতঙ্কে কুঁকড়ে শুয়ে আছে বিছানায়। পাশে মেঝেতে বসে আছে পুতুলটি। কিন্তু একটা পুতুল কীভাবে এমনটা করতে পারে?
তবে বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা ভুলে যেতে চাইলেও এতেই থেমে থাকল না অস্বাভাবিক কাণ্ডকীর্তি। অট্টোর মা-বাবা মাঝে মাঝেই ওপর তলা থেকে পুতুলটির সঙ্গে কথা বলতে শুনতেন ছেলেকে। অন্য রকম কণ্ঠে জবাবও শুনতে পেতেন। এমনকি পুতুলটির মুখের অভিব্যক্তি বদলে যেতে দেখেন তাঁরা মাঝে মাঝেই।
মা-বাবা মারা যাওয়ার পর আর্টিস্ট হাউসে স্ত্রী অ্যানের সঙ্গে থাকতে শুরু করলেন অট্টো। অ্যান গোড়া থেকেই রবার্টকে নিয়ে একটু অস্বস্তিতে ভুগতে লাগলেন। চাইলেন একে চিলেকোঠায় বন্দী করে রাখতে। অতএব সেখানে ঠাঁই হলো তার। তবে কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেল রবার্ট তার এ অবস্থানে মোটেই খুশি হয়নি। বাড়িটির পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়া ছেলে-মেয়েরা জানাল, পুতুলটি হঠাৎ দুই তলার শোবার কামরার জানালার সামনে হাজির হয়, পরমুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যায়। যেন সে চলাফেরা করতে পারে। বাড়িটিকে এড়াতে অন্য পথে স্কুলে যেতে শুরু করল তারা।
বিষয়টি শুনে অট্টো অনুসন্ধানে নামলেন। কারণ রবার্টকে তিনি রেখেছেন চিলেকোঠায়, সে দুই তলার ওই কামরায় এল কীভাবে? কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার, একদিন সত্যি ওটাকে শোবার ঘরে আবিষ্কার করলেন। জানালার পাশের রকিং চেয়ারটায় আরামে পুতুলটিকে বসে থাকতে দেখে চমকে উঠলেন তিনি। নিজে নিজেই রবার্ট চিলেকোঠা থেকে এখানে চলে এসেছে? তারপর কয়েকবারই তাকে চিলেকোঠায় বন্দী করলেন, প্রত্যেকবারই পরে আবার শোবার কামরার রকিং চেয়ারে আবিষ্কার করেন।
১৯৭৪ সালে অট্টো মারা গেলে আর্টিস্ট হাউস কিনে নেন মার্টলে রিউটার। রবার্ট রইল তাঁর জিম্মাতেই। মার্টলেদের দশ বছরের মেয়ে শুরুতে পুতুলটিকে পেয়ে খুশিই ছিল। তবে একপর্যায়ে সে দাবি করল পুতুলটা হাঁটা-চলা করতে পারে, আর তাকে আঘাত করতে চায়। কখনো কখনো রাতে আতঙ্কে চিৎকার করে জেগে যেত সে। মা-বাবা এসে কী হয়েছে জানতে চাইলে বলত রবার্ট তার কামরায় চলে এসেছিল।
বাড়িটিতে বেড়াতে আসা লোকেরা দাবি করতে থাকলেন, চিলেকোঠায় মৃদু পদশব্দ আর ফিক ফিক করে হাসির শব্দ শোনেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার জানালেন, রবার্টের সামনে তার আগের মালিক অট্টো সম্পর্কে কেউ কটু কথা বললে পুতুলটির চেহারায় রাগের ছাপ দেখা যায়। ২০ বছর রবার্টকে নিজের কাছে রাখার পর ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টের ইস্ট মারটেল্লো জাদুঘরে দিয়ে দেন।
অনেকেই দাবি করেন, রবার্টের অশুভ আচরণের মূলে আছে অট্টোর বাড়ির সেই গৃহপরিচারিকা, যিনি অট্টোকে পুতুলটি উপহার দিয়েছিলেন। বলা হয়, অট্টোর মা-বাবা ওই নারীর সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন না। এ জন্য তাঁদের শিক্ষা দিতে ভুডু আর ব্ল্যাক ম্যাজিকের সাহায্য নিয়ে পুতুলটির ওপর অশুভ প্রভাব তৈরি করেছিলেন। এতে অনেক প্রশ্নের জবাব মিললেও আরেকটি রহস্য রয়ে যায়, অট্টোর মা-বাবা, ওই গৃহপরিচারিকা এমনকি অট্টো মারা যাওয়ার পরও রবার্টের অশুভ প্রভাব রয়ে গেল কেন?
বলা চলে জাদুঘরে রবার্টের আগমন তার এবং জাদুঘর দুটির জন্যই নতুন মাইলফলক হয়ে দেখা দিল। রবার্টের আগমনের পর থেকে জাদুঘরে মানুষের ভিড় বেড়ে গেল। সবাই অশুভ পুতুলটিকে একটিবার দেখতে চান। টিভি শোতে দেখা গেল রবার্টকে, আলোকচিত্রীরা ছবি তুলতে হাজির হতে লাগলেন জাদুঘরে, রবার্টে অনুপ্রাণিত হয়ে হরর মুভি হতে লাগল। রবার্টের রেপ্লিকা, তার ছবিসহ টি-শার্ট বিক্রি হতে থাকল হুহু করে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের কেউ কেউ বদ্ধ কামরায় রবার্টের সঙ্গে একা একা রাতও কাটালেন।
এমনকি রবার্টের নামে চিঠিও আসতে লাগল জাদুঘরের ঠিকানায়। তবে সাধারণ ভক্তদের কোনো চিঠি নয় সেগুলো, বেশির ভাগ ক্ষমা চেয়ে লেখা চিঠি। তাদের দাবি, জাদুঘরে এসে রবার্টের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন। তার পর থেকেই একটার পর একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে তাঁদের জীবনে। কাজেই মাফ চেয়ে এর থেকে মুক্তি চান। এমনকি তার জন্য ক্যান্ডি আর চকোলেটও পাঠাতে লাগলেন ভক্তরা। কখনো রবার্টকে কাচের ঘেরাটোপ থেকে ফ্লোরিডার মুক্ত আবহাওয়ায় বের কর আনেন তার কেয়রটেকার কনভারটিটো।
কনভারটিটোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘আপনি কি মনে করেন রবার্ট ভুতুড়ে?’
‘আমি জানি না। সত্যি জানি না,’ উত্তর দিলেন তিনি, ‘রবার্টের সঙ্গে আমার কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা হয়নি। আমার কখনো অস্বস্তি লাগেনি। আমি আমার কাজ করে যাই। তার মধ্যে কিছু থাকুক না থাকুক, আমার কাজে সে কখনো বাধা দেয়নি।’
তবে তাকে দেখতে জাদুঘরে আসা মানুষকে এখনো আতঙ্কিত করে চলেছে রবার্ট। জাদুঘরে যাঁরা রবার্টের ছবি তোলেন, তাঁদের অনেকে দাবি করেন ওই সময়ই ক্যামেরা উল্টাপাল্টা আচরণ শুরু করে। জাদুঘর ছেড়ে বের হয়ে গেলে আবার সব ঠিকঠাক। তার মানে রবার্টের অশুভ বা ভুতুড়ে তকমা দূর হচ্ছে না সহসাই।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, ঘোস্টস অ্যান্ড গ্রেইভস্টোনস ডট কম

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
যেখানে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সেখানে দীর্ঘ এই দাম্পত্য জীবনের পথচলা বিস্ময়েরই। তবে এই দম্পতি বলেন, তাঁদের এই দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে শুধু একে অপরের প্রতি ভালোবাসা।
১০০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের তথ্য সংরক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা লংজেভিকোয়েস্ট ওয়েবসাইট এলিনর-লাইল দম্পতির বিয়ের শংসাপত্র, মার্কিন আদমশুমারি নথি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করেছে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৮৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের অধিকারী ব্রাজিলের ম্যানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম দিনো (১০৬) এবং তাঁর স্ত্রী মারিয়া দে সোসা দিনো (১০২)-এর দখলে। তাঁদের মৃত্যুর পর গিটেনস দম্পতি এই খেতাব পান।
এলিনর ও লাইলের প্রথম দেখা ১৯৪১ সালে একটি কলেজ বাস্কেটবল ম্যাচে। লাইল ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির পক্ষে খেলছিলেন। আর এলিনর ছিলেন দর্শকের সারিতে।
এই পরিচয় ১৯৪২ সালের ৪ জুন পরিণয়ে গড়াল। জর্জিয়ার সেনা প্রশিক্ষণ থেকে মাত্র তিন দিন ছুটি পেয়ে লাইল বিয়ে করেন এলিনরকে। লাইল যখন ইউএস আর্মির ৯২ তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে ইতালিতে দায়িত্বরত, এলিনর ভাবছিলেন আর কি হবে দেখা!
প্রথম সন্তানকে গর্ভে। এ সময় এলিনর চলে যান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখানে লাইলের পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন। কাজের পাশাপাশি চিঠির মাধ্যমে লাইলের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছিলেন এলিনর। স্মৃতিচারণ করে এলিনর জানান, প্রত্যেকটা চিঠি সেনাবাহিনী পরীক্ষা করত। তাই সব কথা বলাও যেত না।
যুদ্ধের পর নিউইয়র্কের স্থায়ী বাসিন্দা হন গিটেনস দম্পতি। একসঙ্গে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৬৯ বছর বয়সে ফোর্ডহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান এডুকেশনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন এলিনর। এরপর তারা ক্লার্ক আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কয়েক দশক কাটান। পরে তিন সন্তানের একজন অ্যাঞ্জেলার কাছাকাছি থাকতে মিয়ামিতে চলে যান।
লাইল জানান, তিনি এলিনরের সঙ্গে সময় কাটানো ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরে খুশি। তাঁদের দুজনই একসঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং জীবনে একসঙ্গে অনেক কিছু করেছেন।
লংজেভিকোয়েস্ট সংস্থা জানায়, গিটেনস দম্পতির সম্মিলিত বয়স ২১৮ বছরেরও বেশি। তাঁরা বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক বিবাহিত দম্পতিও।

এক সময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
২০ মার্চ ২০২৩
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এদিকে চীনের ১১ বছর বয়সী এক শিশু গিলে ফেলেছে সোনার দানা (গোল্ড বিন)। যার বাজারমূল্য ১০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫ টাকা)।
দক্ষিণ-পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের কুনশানের বাসিন্দা জি গত ১৭ অক্টোবর ১০ গ্রামের একটি সোনার দানা কেনেন। কয়েক দিন পর ২২ অক্টোবর তাঁর ছেলে সোনার দানাটি হাতে পেয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎ গিলে ফেলে।
এ সময় জি বারান্দায় কাপড় ধুচ্ছিলেন। তাঁর ছেলে আতঙ্কিত হয়ে ছুটে এসে জানায়, সে গোল্ড বিনটি গিলে ফেলেছে। তার ভয় হচ্ছে সে কি এখন মারা যাবে!
জিকে তাঁর ছেলে আরও জানায়, জিব দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করার সময় সে সোনার দানাটি গিলে ফেলেছে।
প্রথমে জি ভেবেছিলেন, ছেলে মজা করছে। পরে দেখেন সোনার দানাটি নেই। তখন তিনি চিন্তায় পড়ে যান।
জির তখন মনে পড়ে, তাঁর ভাগনিও একবার একটি কয়েন গিলে ফেলেছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেছিলেন, এটি গুরুতর কিছু নয়। মলের সঙ্গে বের হয়ে যাবে।
জি মাথা ঠান্ডা করে ভাবতে থাকেন কী করা যায়। ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করে তিনি দেখেন, সোনার জিনিসও একইভাবে মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।
এরপর জি ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে থাকেন হারানো এই মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের আশায়। ছেলেকে সতর্ক করতে থাকেন বাইরে মলত্যাগ না করে ঘরে নির্ধারিত স্থানে করতে। কারণ, মলের সঙ্গে সোনার দানাটি বের হয়ে আসবে। তা সত্ত্বেও টানা পাঁচ দিন ধরে দিনে দুবার পরীক্ষা করেও সোনাটি পাওয়া যায়নি।
পরে গত ২৬ অক্টোবর ছেলেকে কুনশান ফিফথ পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান জি। পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখেন, শিশুটির পেটে একটি বস্তু রয়েছে। তবে শিশুটির কোনো ব্যথা বা বমির লক্ষণ ছিল না।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় সোনার দানাটি নিরাপদে বের হয়। তবে এটি কি স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে নাকি চিকিৎসার মাধ্যমে বের করা হয়েছে, তা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

এক সময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
২০ মার্চ ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর হ্যালোইনের বিশেষ পোশাক হিসেবে টেইলরের কাছে সেদিন বিকল্প ছিল মাত্র দুটো—তাঁকে হয় যিশুখ্রিষ্ট সাজতে হবে, নয়তো অ্যামাজন প্রাইম সিরিজ দ্য বয়েজ-এর কুখ্যাত সুপারহিরো ‘হোমল্যান্ডার’। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপারহিরোর পোশাকটিই বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য গার্ডিয়ানে টেইলর লিখেছেন, সেদিন অন্য এক চরিত্র ‘স্টারলাইট’ সেজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী চেলসি। তাঁদের দুই সন্তানও ছিল গাড়িতে—তাদের একজন সেজেছিল ‘আয়রন ম্যান’ আর অন্যজন ‘ড্রাগন’।
যাত্রাপথে হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান একটি বাড়ি থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। টেইলর তখনই তাঁর স্ত্রী চেলসিকে বলেন, ‘গাড়ি থামাও, আর ৯১১-এ ফোন দাও।’ তিনি দৌড়ে চলে যান জ্বলন্ত বাড়ির দিকে।
বাড়িটির সামনে কয়েকজন মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা শুধু আগুনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখেই যাচ্ছিলেন, যেন কারওরই কিছু করার নেই। টেইলর তাঁদের কাছে জানতে চান—ভেতরে কেউ আছে কি না। উত্তর আসে, ‘জানি না।’
টেইলর অবশ্য দৌড়ে বাড়িটির আরও কাছে এগিয়ে যান এবং দরজা খুলে ডাক দেন, ‘কেউ আছেন?’ ভেতর থেকে ক্ষীণ একটি আওয়াজও ভেসে আসে। দেরি না করে তখনই দৌড়ে আগুনের ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি।
ভেতরে প্রবল ধোঁয়া ও তাপ সহ্য করেই সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গিয়ে টেইলর দেখতে পান এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। সময় নষ্ট না করে তিনি প্রায় ছয় লম্বা ওই লোকটিকে বহন করে রাস্তায় নিয়ে আসেন।
লোকটির জ্ঞান ফিরে আসার পর অবশ্য পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসও আসে। কিন্তু টেইলর তখন নিজের অদ্ভুত বেশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসেন।
তবে টেইলরের এই জীবন বাঁচানোর খবরটি আর চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর সবাই তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বলে সবাই ডাকতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ‘কার্নেগি মেডেল ফর হিরোইজম’ পান তিনি এবং ওহাইও ফায়ার সার্ভিস হল অব ফেমে তাঁর নাম ওঠে। পাঁচ বছর পরও তাঁর সন্তানেরা গর্ব করে বলে—‘আমার বাবা সত্যিকারের সুপারহিরো।’
এমনকি দ্য বয়েজ সিরিজে হোমল্যান্ডারের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যান্টনি স্টার তাঁর গল্পটি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘এর চেয়ে গর্বিত মুহূর্ত আর হতে পারে না।’

এক সময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
২০ মার্চ ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
১৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল রিফ। প্রশান্ত মহাসাগরের কোরাল সাগরের এই প্রবাল রিফের কাছাকাছি এক দ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৮০ বছর বয়সী এক নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
গত শনিবার কেয়ার্নস শহর থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বা ১৫৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত লিজার্ড আইল্যান্ডে হাইক করতে গিয়েছিলেন ওই নারী। কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার নামের একটি ক্রুজ জাহাজে চড়ে আরও অনেকের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ওই নারী পর্যটক হাইক করার সময় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে গিয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূর্যাস্তের সময় জাহাজটি দ্বীপ ছেড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ক্রুরা বুঝতে পারেন, ওই নারী জাহাজে নেই। পরে জাহাজটি দ্বীপে ফিরে যায়। ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
পরদিন রোববার সকালে অনুসন্ধানকারীরা দ্বীপ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (এএমএসএ) জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি ডারউইনে পৌঁছালে ক্রু সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
এএমএসএর এক মুখপাত্র জানান, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৯টার দিকে (জিএমটি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৫ টা) জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রথমবারের মতো ওই নারীর নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন।
সংস্থাটি বলেছে, তারা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করবে এবং তারা বাণিজ্যিক জাহাজে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
কোরাল এক্সপেডিশনস-এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ফাইফিল্ড জানিয়েছেন, সংস্থার কর্মীরা ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই ‘দুঃখজনক মৃত্যু’-র ঘটনায় পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত এখনো চলছে, তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত এবং ওই নারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছি।’
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, নারীর এই ‘হঠাৎ এবং সন্দেহাতীত’ মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কুরিয়ার মেল পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই প্রবীণ নারী দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কুকস লুক-এ ওঠার জন্য দলের সঙ্গে হাইকিংয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
৬০ দিনের ক্রুজে গিয়েছিলেন ওই নারী, যার টিকিটের দাম কয়েক হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কোরাল অ্যাডভেঞ্চারার জাহাজে সর্বোচ্চ ১২০ জন যাত্রী ও ৪৬ জন ক্রু সদস্য থাকতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার উপকূলের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাওয়ার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই জাহাজে ছোট নৌকা বা ‘টেন্ডার’ রয়েছে যেগুলো দিয়ে দিনের বেলা যাত্রীদের ভ্রমণে ব্যবহার করা হয়।

এক সময় সে ছিল এক শিশুর খেলার পুতুল। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জন্ম নানা ভুতুড়ে ঘটনার। এখন এক জাদুঘরে বন্দী অবস্থায়ও তাকে বিবেচনা করেন অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে পুতুল হিসেবে। গল্পটা রবার্ট দ্য ডলের।
২০ মার্চ ২০২৩
১৯৪২ সালে বিয়ে। একসঙ্গে ৮৩ বছর পার করলেন যুক্তরাষ্ট্রে শতবর্ষী দম্পতি এলিনর ও লাইল গিটেনস। এই দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের মধ্য দিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ডও। বিশ্বের দীর্ঘতম বিবাহিত জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০৭ বছর বয়সী এলিনর ও ১০৮ বছর বয়সী লাইল গিটেনস।
১ দিন আগে
শিশুদের কয়েন মুখে দেওয়া বা গিলে ফেলা নতুন কিছু নয়। চোখের পলকে এই অঘটন অনেক শিশুই ঘটিয়ে ফেলে। পরে অনেককে দৌড়াতে হয় হাসপাতালে, আবার অনেকের স্বাভাবিক নিয়মে তা মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে।
৮ দিন আগে
২০২০ সালের হ্যালোইন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গ্রিনভিলে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার মুখোমুখি হন ক্রিস্টোফার লি টেইলর। সেই রাতে স্ত্রীর বোনের বাড়িতে হ্যালোইন পার্টিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
১০ দিন আগে