Ajker Patrika

তিনি বেঁচে আছেন মানতেই চায়নি কর্তৃপক্ষ, বন্ধ করে দেয় অবসরভাতা

তিনি বেঁচে আছেন মানতেই চায়নি কর্তৃপক্ষ, বন্ধ করে দেয় অবসরভাতা

এখনো জীবিত আছেন বিশ্বাস করতে চান না পেনশন দাতারা। তাই চারবারই অবসরভাতা বন্ধ হয়ে যায় এক স্কুল শিক্ষিকার। গেল বড়দিনের উৎসবে কোনো ধরনের আয় উপার্জন ছিল না এইলিন ম্যাক গ্রাথের (৮৫)। মৃত এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলে অবসরভাতা বন্ধ করে দেয় টিচার্স পেনশন। সংস্থাটি যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের অবসরভাতার বিষয়টি দেখভাল করে। 

অশীতিপর এইলিন বলেন, ‘গত নভেম্বর আমি টিচার্স পেনশনের কাছ থেকে দুটি চিঠি পেয়েছি। চিঠিগুলোতে পরোক্ষভাবে জিজ্ঞেস করা হয়, আমি জীবিত আছি কি না। আমি বেঁচে আছি তা স্পষ্ট করার জন্য আমি তাৎক্ষণিক তাদের ফোন দিই। এর এক বা দুই সপ্তাহ পরে আরও দুটি চিঠি আসে আর তাতেও একই কথা জিজ্ঞেস করা হয়। আমিও তাদের লিখে জানাই, এখনো মরিনি!’ 

ক্রিসমাসের চার দিন আগে এইলিন জানতে পারেন তাঁর অবসরভাতা জমা হয়নি। এমনকি এর সঙ্গে তাঁর বিধবা ভাতাও আসেনি। অভিযোগ করার পর অবশেষে গত ২ জানুয়ারি তিনি এ দুই ভাতা পান। 

এইলিন বলেন, গত ২০২০ সাল থেকেই তাঁর কাছে বারবার তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ চাওয়া হয়েছে আর প্রত্যেকবারই তাঁর ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় লকডাউনের সময় তিনি ছেলের বাড়িতে থাকায় টিচার্স পেনশনের চিঠির জবাব দিতে পারেননি। অবসরভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন কোনো সমস্যা হয়েছে। 

অবসরভাতার সুবিধাভোগীদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হয়। ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন (ডিএফই) বলছে, মৃত্যু নিবন্ধের তালিকা কোনো স্কিম সদস্যের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের কাছে প্রতি ১২ মাস অন্তর জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা সেই মৃত ব্যক্তি কি না। 

এইলিন বলেন, ‘অভিযোগ করার পর আমার অবসরভাতা আবারও চালু হলেও কোনো ধরনের ক্ষমা চাওয়া হয়নি। জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসে মৃতদের পুরো নাম ও জন্ম তারিখ তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রতি বছর একই তারিখে জন্ম নেওয়া একই নামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা মারা যাবে তা সম্ভব নয়।’ 

 ‘সৌভাগ্যবশত এমন সময়ের জন্য আমার অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে। তবে আমি নিশ্চিত এটা সবার নেই। তা ছাড়া বারবার কেউ আপনাকে মৃত ভাবলে তা তো বিব্রতকর!’ বলেন এইলিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত