ইমরান খান
সাল ২০৬০। নাতনি সুস্মিতাকে গল্প শোনাচ্ছেন সুনীতি কুমার–
অনেক বছর আগের কথা। এই বঙ্গদেশে পরীক্ষা নামের এক আতঙ্ক ছিল। পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ত শিক্ষার্থীদের বুকের কাঁপন। তবে শেষ রাতে ফাটিয়ে দেওয়ার মতো বীরও যে ছিল না তা নয়। ভোররাতে উঠে পড়ব বলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে যাওয়ার মতো কলিজাও ছিল কারো কারো।
পরীক্ষা আর ফল প্রকাশের আগে অনেকেই বাড়াবাড়ি রকম ধর্মকর্মে মন দিত। পরীক্ষার সেই মাহেন্দ্রক্ষণে বাধ্য হয়ে কোনোরকম পরীক্ষার হলে গেলেও ছোটবেলা থেকে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাওয়া মগজটা বিশ্বাসঘাতকতা করত। বিষয়টি এমন যে, ক্লাসে ঠিকঠাক বুঝলেও নিজে পড়ার সময় সব উল্টাপাল্টা লাগত। পরীক্ষার হলে স্মৃতি পুরাই পল্টি মারতো। তাই বলে থেমে থাকত না অকুতভয়ীরা। শুরুর এক ঘণ্টা ক্যালিগ্রাফি, দ্বিতীয় ঘণ্টা বাঁকা অক্ষরে এবং শেষ ঘণ্টা ডাক্তারের স্টাইলে কী যেন লিখত। বন্ধুরা পরীক্ষার খবর জানতে চাইলে সহজ উত্তর- প্রশ্ন কী আসছে বুঝি নাই। উত্তর কী লিখছি তাও স্যার বুঝবে না!
চাপে চ্যাপ্টা হওয়ার জোগার অনেকে আবার হন্যে হয়ে খুঁজতো পরীক্ষার আবিষ্কারককেও। কেউ আবার হঠাৎ চরমপন্থী পরিবেশবাদী হয়ে উঠতো। বলত- পরীক্ষার কাগজ, মার্জিন টানার স্কেল ও পেনসিল বানাতে প্রতি বছর অসংখ্য গাছ কাটা হয়। এ বৃক্ষনিধন পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর সে খোঁজ তো কেউ রাখে না। তা ছাড়া গাছেরও তো জীবন আছে। গাছের বিরুদ্ধে এ নিষ্ঠুরতা বন্ধ হোক!
আন্দোলন সংগ্রাম যাই হোক, এই পরীক্ষার ফলও একদিন প্রকাশিত হতো। ফল ভালো না হলেও নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছিল দুর্দান্ত সব মোটিভেশন। শুধু পরীক্ষার ফল দিয়ে আমি আমার মেধাকে মাপতে পারি না। এ ছাড়া এক বিষয়ে ফেল করলে সব বিষয়ে ফেল ধরা হলেও এক বিষয়ে এ প্লাস পেলে সব বিষয়ে এ প্লাস কেন ধরা হয় না সে নিয়ম নিয়েও কর্তৃপক্ষকে তুলোধুনে করতো অনেকে।
অবশেষে ২০২১ সালে এসে কোমলমতিদের মনের দুঃখ বুঝল বাংলাদেশ। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব পরীক্ষা, পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের মতো শিক্ষার্থীবান্ধব ঘোষণা এল। আনন্দে আত্মহারা শিক্ষার্থীরা টের পেল ‘ছাত্রজীবন মধুর হতো, যদি না থাকিত পরীক্ষা’র আসল স্বাদ। কবিগুরুর সুরে ছন্দ এল ‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা; আর নয় পরীক্ষা এবার গেল বাঁচা!’ উচ্ছ্বসিত ঢল একযোগে গাইল, ‘আমাকে আমার মতো ঘুরতে দাও। আমি পড়াটা নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। যেটা পড়িনি পড়িনি সেটা না পড়াই থাক। বইয়ের পাতায় চোখ রাখব না... না...।’
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে কেউ কেউ আবার আফসোসও করল। আবেগতাড়িত হয়ে বললো, পরীক্ষা একদিনের জন্য হলেও আমাদের সঙ্গে বইয়ের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করত। এখন যে কী হবে জানি না। তবে বইগুলোকে বড় মিস করব। একই সঙ্গে পরীক্ষার আগের রাতে ‘অনিবার্য কারণবশত’ বাতিল হওয়ার যে মজা তাও তো আর পাওয়া যাবে না। এছাড়া বড় ভাইদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিও করে তারা।
সাল ২০৬০। নাতনি সুস্মিতাকে গল্প শোনাচ্ছেন সুনীতি কুমার–
অনেক বছর আগের কথা। এই বঙ্গদেশে পরীক্ষা নামের এক আতঙ্ক ছিল। পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ত শিক্ষার্থীদের বুকের কাঁপন। তবে শেষ রাতে ফাটিয়ে দেওয়ার মতো বীরও যে ছিল না তা নয়। ভোররাতে উঠে পড়ব বলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে যাওয়ার মতো কলিজাও ছিল কারো কারো।
পরীক্ষা আর ফল প্রকাশের আগে অনেকেই বাড়াবাড়ি রকম ধর্মকর্মে মন দিত। পরীক্ষার সেই মাহেন্দ্রক্ষণে বাধ্য হয়ে কোনোরকম পরীক্ষার হলে গেলেও ছোটবেলা থেকে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাওয়া মগজটা বিশ্বাসঘাতকতা করত। বিষয়টি এমন যে, ক্লাসে ঠিকঠাক বুঝলেও নিজে পড়ার সময় সব উল্টাপাল্টা লাগত। পরীক্ষার হলে স্মৃতি পুরাই পল্টি মারতো। তাই বলে থেমে থাকত না অকুতভয়ীরা। শুরুর এক ঘণ্টা ক্যালিগ্রাফি, দ্বিতীয় ঘণ্টা বাঁকা অক্ষরে এবং শেষ ঘণ্টা ডাক্তারের স্টাইলে কী যেন লিখত। বন্ধুরা পরীক্ষার খবর জানতে চাইলে সহজ উত্তর- প্রশ্ন কী আসছে বুঝি নাই। উত্তর কী লিখছি তাও স্যার বুঝবে না!
চাপে চ্যাপ্টা হওয়ার জোগার অনেকে আবার হন্যে হয়ে খুঁজতো পরীক্ষার আবিষ্কারককেও। কেউ আবার হঠাৎ চরমপন্থী পরিবেশবাদী হয়ে উঠতো। বলত- পরীক্ষার কাগজ, মার্জিন টানার স্কেল ও পেনসিল বানাতে প্রতি বছর অসংখ্য গাছ কাটা হয়। এ বৃক্ষনিধন পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর সে খোঁজ তো কেউ রাখে না। তা ছাড়া গাছেরও তো জীবন আছে। গাছের বিরুদ্ধে এ নিষ্ঠুরতা বন্ধ হোক!
আন্দোলন সংগ্রাম যাই হোক, এই পরীক্ষার ফলও একদিন প্রকাশিত হতো। ফল ভালো না হলেও নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ছিল দুর্দান্ত সব মোটিভেশন। শুধু পরীক্ষার ফল দিয়ে আমি আমার মেধাকে মাপতে পারি না। এ ছাড়া এক বিষয়ে ফেল করলে সব বিষয়ে ফেল ধরা হলেও এক বিষয়ে এ প্লাস পেলে সব বিষয়ে এ প্লাস কেন ধরা হয় না সে নিয়ম নিয়েও কর্তৃপক্ষকে তুলোধুনে করতো অনেকে।
অবশেষে ২০২১ সালে এসে কোমলমতিদের মনের দুঃখ বুঝল বাংলাদেশ। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সব পরীক্ষা, পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের মতো শিক্ষার্থীবান্ধব ঘোষণা এল। আনন্দে আত্মহারা শিক্ষার্থীরা টের পেল ‘ছাত্রজীবন মধুর হতো, যদি না থাকিত পরীক্ষা’র আসল স্বাদ। কবিগুরুর সুরে ছন্দ এল ‘ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা; আর নয় পরীক্ষা এবার গেল বাঁচা!’ উচ্ছ্বসিত ঢল একযোগে গাইল, ‘আমাকে আমার মতো ঘুরতে দাও। আমি পড়াটা নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি। যেটা পড়িনি পড়িনি সেটা না পড়াই থাক। বইয়ের পাতায় চোখ রাখব না... না...।’
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে কেউ কেউ আবার আফসোসও করল। আবেগতাড়িত হয়ে বললো, পরীক্ষা একদিনের জন্য হলেও আমাদের সঙ্গে বইয়ের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করত। এখন যে কী হবে জানি না। তবে বইগুলোকে বড় মিস করব। একই সঙ্গে পরীক্ষার আগের রাতে ‘অনিবার্য কারণবশত’ বাতিল হওয়ার যে মজা তাও তো আর পাওয়া যাবে না। এছাড়া বড় ভাইদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিও করে তারা।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে সাধারণ মানুষের মধ্যে লাড্ডু বিতরণ করা হয়েছিল। কিন্তু একটি লাড্ডু কম পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এক গ্রামবাসী সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে অভিযোগ করেন। মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলার এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
২১ মিনিট আগেকনসার্টে বিনা মূল্যে দেওয়া টি-শার্টের জন্য মারামারি! আর সেই মারামারিতে এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিউইয়র্কের হ্যাম্পটনে একটি কনসার্টে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধা একজন আবাসন ব্যবসায়ী।
১৩ ঘণ্টা আগেচীনে এক নারী তাঁর কারাবন্দীত্ব এড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার গর্ভধারণ করছিলেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি টানা ৪ বছরে ৩ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে বিচারপ্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শানসি ইভিনিং নিউজের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে ঘটেছে এক আজব ও মজার ঘটনা। মা-ছেলের কাণ্ডকারখানা এলাকাটিতে রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় নারী হলি লাফেভার্স এক সকালে দেখলেন, তাঁর বারান্দা ভর্তি ললিপপের বাক্স। ছোটখাটো দোকানের মতো অবস্থা। কিন্তু এই অর্ডার তিনি নিজে দেননি। কে দিয়েছে?
৪ দিন আগে