আজকের পত্রিকা ডেস্ক
স্ত্রীকে বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির মতো বানাতে দৈনিক তিন ঘণ্টা করে জোরপূর্বক ব্যায়াম করাতেন শিবম উজ্জ্বল নামের উত্তর প্রদেশের এক বাসিন্দা। কোনো দিন ব্যায়াম না করলে দেওয়া হতো না খাবার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম শানু ওরফে শানভি। তিনি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের মেয়ে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিবম আর শানুর পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়। শিবম একটি সরকারি স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক। শানুর দেওয়া তথ্যমতে, শিবমের ধারণা ছিল তিনি চাইলেই নোরা ফাতেহি কিংবা বলিউডের যেকোনো অভিনেত্রী বা তাদের মতো ‘সুন্দর’ দেখতে কোনো নারীকে বিয়ে করতে পারতেন। এ ছাড়া, শিবম ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিতই অশ্লীল ভিডিও দেখতেন বলে অভিযোগ শানুর।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ৬ মার্চ বিয়ে হয় শানু আর শিবমের। বিয়েতে শানুর পরিবারকে প্রায় ৭৬ লাখ রুপির যৌতুক দিতে হয়েছে, যার মধ্যে গয়নাই ছিল ১৬ লাখ রুপির। এ ছাড়া, শিবমকে ২৪ লাখ টাকার একটি মাহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি উপহার দিয়েছে শানুর পরিবার। এ ছাড়া, নগদ আরও ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। শানু ভেবেছিলেন জীবনের নতুন অধ্যায় বেশ সুখেই কাটবে তাঁর। কিন্তু বিয়ের পরপরই ভুল ভাঙে।
বউকে নোরা ফাতেহির মতো দেখতে হতে হবে—স্বামীর এমন অদ্ভুত চাহিদায় পুরোপুরি সায় ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ছাড়া শ্বশুর-শাশুড়িও অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ শানুর। শানু জানান, ঘরের সব কাজ তাঁকে দিয়েই করাতেন শাশুড়ি। স্বামীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে দেওয়া হতো না তাঁকে। এমনকি তাঁদের শোয়ার ঘরের দরজা লাগানোরও অনুমতি ছিল না। শ্বশুর যখন-তখন ঘরে ঢুকে পড়তেন বলেও অভিযোগ করেছেন শানু। শিবমও অমানবিক আচরণ করতেন। শানু জানান, একবার মশারি না টাঙানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধরও করেন শিবম।
এ ছাড়া, শানুকে নিয়মিতই শারীরিক নির্যাতন ও বডি শেমিং করতেন শিবম। শানু বলেন, ‘আমার গড়পড়তা উচ্চতা এবং গায়ের রং ফরসা থাকা সত্ত্বেও আমাকে কুৎসিত বলে অপমান করতেন। তিনি ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে নারীদের অশ্লীল ভিডিও দেখতেন এবং বলতেন, আমি নাকি তার জীবন নষ্ট করছি। কারণ তিনি নাকি সহজেই নোরা ফাতেহির মতো কাউকে স্ত্রী হিসেবে পেতে পারতেন।’ শিবম চাইতেন, শানু নোরা ফাতেহির মতো শারীরিক গড়ন অর্জন করুক। তাই তাঁকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করতে বাধ্য করা হতো। কোনো দিন ব্যায়াম না করলে দিনের পর দিন খেতে দিত না।
এমন অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেই গর্ভবতী হন শানু। ভাবেন, এবার বুঝি কিছুটা কমবে অত্যাচার, খুশি হবেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু তারা মোটেই খুশি হননি। উল্টো গর্ভপাতের জন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ায় তাঁর ননদ। শানু বলেন, দইয়ের সঙ্গে কিছু একটি মিশিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হয়। খাওয়ানোর সময় তাকে বলা হয়েছিল, এটি ভ্রূণের জন্য উপাদেয়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর অস্বস্তিবোধ হতে শুরু করে, গলা জ্বলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুন অসুস্থ অবস্থায় শানুকে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেদিনই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফোন করে তাঁকে গালাগালি করেন এবং তালাকের হুমকি দেন। পরে অবস্থা আরও খারাপ হলে গত ৯ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখা যায়, তার গর্ভপাত হয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
শানু জানান, এ ঘটনার পর শিবম তাঁকে বলেছেন, ‘যেদিন তোমাকে স্ত্রী বলে মেনে নিতে পারব, সেদিনই সন্তানকেও মেনে নেব। তার আগে না।’
পরে ২৬ জুলাই শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেলে তারা শানুকে ভেতরে ঢুকতে দেননি। এমনকি তাঁর গয়না ও জামাকাপড়ও ফেরত দেননি। এরপর থেকে শানু তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকছেন। পরে, গত ১৪ আগস্ট মানসিক, শারীরিক ও আবেগজনিত নির্যাতন, যৌতুক দাবি, জোরপূর্বক গর্ভপাত, ব্ল্যাকমেল ও তালাকের হুমকির অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শানু।
স্ত্রীকে বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির মতো বানাতে দৈনিক তিন ঘণ্টা করে জোরপূর্বক ব্যায়াম করাতেন শিবম উজ্জ্বল নামের উত্তর প্রদেশের এক বাসিন্দা। কোনো দিন ব্যায়াম না করলে দেওয়া হতো না খাবার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম শানু ওরফে শানভি। তিনি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের মেয়ে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিবম আর শানুর পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়। শিবম একটি সরকারি স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক। শানুর দেওয়া তথ্যমতে, শিবমের ধারণা ছিল তিনি চাইলেই নোরা ফাতেহি কিংবা বলিউডের যেকোনো অভিনেত্রী বা তাদের মতো ‘সুন্দর’ দেখতে কোনো নারীকে বিয়ে করতে পারতেন। এ ছাড়া, শিবম ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিতই অশ্লীল ভিডিও দেখতেন বলে অভিযোগ শানুর।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ৬ মার্চ বিয়ে হয় শানু আর শিবমের। বিয়েতে শানুর পরিবারকে প্রায় ৭৬ লাখ রুপির যৌতুক দিতে হয়েছে, যার মধ্যে গয়নাই ছিল ১৬ লাখ রুপির। এ ছাড়া, শিবমকে ২৪ লাখ টাকার একটি মাহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি উপহার দিয়েছে শানুর পরিবার। এ ছাড়া, নগদ আরও ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। শানু ভেবেছিলেন জীবনের নতুন অধ্যায় বেশ সুখেই কাটবে তাঁর। কিন্তু বিয়ের পরপরই ভুল ভাঙে।
বউকে নোরা ফাতেহির মতো দেখতে হতে হবে—স্বামীর এমন অদ্ভুত চাহিদায় পুরোপুরি সায় ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ছাড়া শ্বশুর-শাশুড়িও অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ শানুর। শানু জানান, ঘরের সব কাজ তাঁকে দিয়েই করাতেন শাশুড়ি। স্বামীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে দেওয়া হতো না তাঁকে। এমনকি তাঁদের শোয়ার ঘরের দরজা লাগানোরও অনুমতি ছিল না। শ্বশুর যখন-তখন ঘরে ঢুকে পড়তেন বলেও অভিযোগ করেছেন শানু। শিবমও অমানবিক আচরণ করতেন। শানু জানান, একবার মশারি না টাঙানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধরও করেন শিবম।
এ ছাড়া, শানুকে নিয়মিতই শারীরিক নির্যাতন ও বডি শেমিং করতেন শিবম। শানু বলেন, ‘আমার গড়পড়তা উচ্চতা এবং গায়ের রং ফরসা থাকা সত্ত্বেও আমাকে কুৎসিত বলে অপমান করতেন। তিনি ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে নারীদের অশ্লীল ভিডিও দেখতেন এবং বলতেন, আমি নাকি তার জীবন নষ্ট করছি। কারণ তিনি নাকি সহজেই নোরা ফাতেহির মতো কাউকে স্ত্রী হিসেবে পেতে পারতেন।’ শিবম চাইতেন, শানু নোরা ফাতেহির মতো শারীরিক গড়ন অর্জন করুক। তাই তাঁকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ব্যায়াম করতে বাধ্য করা হতো। কোনো দিন ব্যায়াম না করলে দিনের পর দিন খেতে দিত না।
এমন অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেই গর্ভবতী হন শানু। ভাবেন, এবার বুঝি কিছুটা কমবে অত্যাচার, খুশি হবেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু তারা মোটেই খুশি হননি। উল্টো গর্ভপাতের জন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে তাঁকে ওষুধ খাওয়ায় তাঁর ননদ। শানু বলেন, দইয়ের সঙ্গে কিছু একটি মিশিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হয়। খাওয়ানোর সময় তাকে বলা হয়েছিল, এটি ভ্রূণের জন্য উপাদেয়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর অস্বস্তিবোধ হতে শুরু করে, গলা জ্বলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুন অসুস্থ অবস্থায় শানুকে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেদিনই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফোন করে তাঁকে গালাগালি করেন এবং তালাকের হুমকি দেন। পরে অবস্থা আরও খারাপ হলে গত ৯ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখা যায়, তার গর্ভপাত হয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
শানু জানান, এ ঘটনার পর শিবম তাঁকে বলেছেন, ‘যেদিন তোমাকে স্ত্রী বলে মেনে নিতে পারব, সেদিনই সন্তানকেও মেনে নেব। তার আগে না।’
পরে ২৬ জুলাই শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেলে তারা শানুকে ভেতরে ঢুকতে দেননি। এমনকি তাঁর গয়না ও জামাকাপড়ও ফেরত দেননি। এরপর থেকে শানু তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকছেন। পরে, গত ১৪ আগস্ট মানসিক, শারীরিক ও আবেগজনিত নির্যাতন, যৌতুক দাবি, জোরপূর্বক গর্ভপাত, ব্ল্যাকমেল ও তালাকের হুমকির অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শানু।
আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শুধু বাংলায় কথা বলার কারণে তাঁদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। হামলার পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
১৮ মিনিট আগেইউক্রেনে আবারও বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল রাতভর ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চল লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কমপক্ষে ৬১৪টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়
৪২ মিনিট আগেতিব্বতে বিরল সফর করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। অঞ্চলটিতে চীনা শাসন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সফর করলেন তিনি। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বুধবার আঞ্চলিক রাজধানী লাসায় পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে প্রায় ২০ হাজার কর্মকর্তা ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন
১ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ইউনিট ৮২০০’ মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই সিস্টেমে ফিলিস্তিনিদের ফোনকলের রেকর্ড সংরক্ষণ করছে
৩ ঘণ্টা আগে