ইশতিয়াক হাসান
গরুর রেস বা গরুদৌড়ের কথা তো অবশ্যই শুনেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই গরুদৌড় এবং গরুর গাড়ির রেসের আয়োজন করা হয়। তবে ইন্দোনেশিয়ায় পাচু জাওয়ি নামের যে গরুদৌড়ের উৎসব হয় সেটির সঙ্গে মেলানো যাবে না অন্য কোনোটাকে। জমি থেকে ধান কেটে ফেলার পর অর্থাৎ ধানের মৌসুম শেষে এই গরুদৌড় প্রতিযোগিতা হয় শুকনো জমিতে নয়, বরং হাঁটুসমান কাদার মধ্যে। এ ছাড়া আছে আরও নানা অদ্ভুত নিয়ম।
এই গরুর রেস এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে স্থানীয়রা তো বটেই, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন এটা দেখতে। এ ধরনের রেসে ষাঁড়দের ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো খুবই শক্তিশালী। এতটাই যে রেস শুরুর আগে কৃষক অর্থাৎ জকিদের কমছে কম ছয়জন মানুষের সাহায্য লাগে এক রেসের দুটি ষাঁড়কে জায়গায় স্থির রাখতে।
এই গরুদৌড় হয় পশ্চিম সুমাত্রার তানাহ দাতার রিজেন্সিতে। সাধারণ গরুদৌড় ইন্দোনেশিয়ায় খুব সাধারণ বিষয় হলেও পাচু জাওয়ি নামে পরিচিত এই গরুদৌড় বিষয়টিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মিনাংকাবাউ ভাষায় পাচু জাওয়ির অর্থ কিন্তু কাউ রেস বা গরুদৌড়ই। শুকনো, খটখটে জমির বদলে এই দৌড় হয় হাঁটুসমান গভীর কাদাময় ধানের জমিতে। এটা একে একই সঙ্গে গরুদৌড় আর কাদায় স্কিইংয়ের মিলিত একটা কিছুতে পরিণত করে।
এখন অবশ্য এই আশ্চর্য গরুদৌড় বিদেশি পর্যটকদের কাছেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর বিদেশিদের কথা মাথায় রেখে এখন নিয়মিতই হয় এটা। সাপ্তাহিক প্রায় ছুটির দিনই এখন এ ধরনের গরুদৌড় হয়। আপনার শুধু জানতে হবে কোন সপ্তাহে কোথায় হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বড় আর মূল উৎসবটি হয় ধান ঘরে তোলার পর, সাধারণত এপ্রিল–মেতে। চারটি সপ্তাহ ধরে এটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে হয় চারটি জায়গায়—সুনগাই তারাব, রামবাতান, লিমো কাউম ও পারিয়ানগানে।
এবার তাহলে এই রেসটির আরও কিছু অদ্ভুত বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। একসঙ্গে এখানে অনেক প্রতিযোগী অংশ নেয় না। বরং প্রতিটি দল আলাদা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরোয়। তাই একবারে এতে দুটি ষাঁড় আর একজন জকি থাকেন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একজন নেতা ও তাঁর দলের সদস্যরা একই পথে চলে কি না সেটার একটা পরীক্ষা হয়। এখানে কম সময়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরোনোর পাশাপাশি সোজা পথে গন্তব্যে পৌঁছানোটা বিজয়ী হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আগেই বলেছি রেস শুরুর আগে ছয়জন কিংবা তারও বেশি মানুষ ষাঁড় দুটিকে জায়গায় আটকে রাখেন। তাঁরা ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন বাজি রেখে ছুটতে শুরু করে ষাঁড় দুটি। সেই সঙ্গে কাদায় ভরপুর জমি দিয়ে টেনে নিয়ে চলে জকিকে। এদিকে পশুগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা পাতলা কাঠের ফ্রেমে ভারসাম্য রাখতে রাখতে সোজা পথে এদের পরিচালিত করতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠে জকির। এটা কত বড় চ্যালেঞ্জ সেটা যাঁরা সামনাসামনি এই প্রতিযোগিতা দেখেছেন, তাঁরা ছাড়া অন্য কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
ষাঁড় দুটি যেহেতু একটির সঙ্গে আরেকটি আটকানো থাকে না, তারা কখনো কখনো দুই দিকে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করে। জকির দুই হাত তাই সব সময় ব্যস্ত থাকে প্রাণী দুটিকে নিয়ন্ত্রণ করায়।
কেবল জকিদেরই ষাঁড়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয় তা নয়। যেহেতু রেসের জায়গাটিতে কোনো ঘেরাও থাকে না, দর্শকদের যেকোনো সময় অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। কোনো ধরনের সংকেত না দিয়েই হয়তো কোনো একটি ষাঁড় রেসের ময়দান ত্যাগ করে ছুটতে শুরু করে দর্শকদের দিকে।
কারও কারও ধারণা পাচু জাওয়াই নামের রেসটির সূচনা তানাহ দাতার রিজেন্সির রাজধানী বাতুশঙ্কর থেকে। বলা হয়, রোমাঞ্চকর এই খেলার শুরু আজ থেকে ৪০০ বছর আগে। একই সঙ্গে ধান তোলাটা উদ্যাপন ও নতুন মৌসুম শুরুর আগে স্থানীয়দের বিনোদনের সুযোগ করে দিতেই এই ব্যবস্থা।
তবে সময়ের সঙ্গে এটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করায় উৎসবটির আরেকটি গুরুত্ব ক্রমেই ডালপালা মেলেছে। সেটা হলো রেসের ষাঁড়কে নিলামে তোলা। প্রতিটি রেসের পর ষাঁড়গুলোকে ধুয়ে-মুছে সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে তোলা হয়। রেসে ষাঁড়টি কেমন মুনশিয়ানা দেখাল সেটার ওপর নির্ভর করে পরের দিনের নিলামে কেমন দাম উঠবে তার। যে ষাঁড় যত শক্তিশালী, দ্রুতগতিসম্পন্ন তার দাম থাকে বাজারে তত চড়া।
সূত্র: ট্রাভেল কন্টিনিউয়াসলি ডট কম, সানি সাইড সার্কাস ডট কম
গরুর রেস বা গরুদৌড়ের কথা তো অবশ্যই শুনেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই গরুদৌড় এবং গরুর গাড়ির রেসের আয়োজন করা হয়। তবে ইন্দোনেশিয়ায় পাচু জাওয়ি নামের যে গরুদৌড়ের উৎসব হয় সেটির সঙ্গে মেলানো যাবে না অন্য কোনোটাকে। জমি থেকে ধান কেটে ফেলার পর অর্থাৎ ধানের মৌসুম শেষে এই গরুদৌড় প্রতিযোগিতা হয় শুকনো জমিতে নয়, বরং হাঁটুসমান কাদার মধ্যে। এ ছাড়া আছে আরও নানা অদ্ভুত নিয়ম।
এই গরুর রেস এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে স্থানীয়রা তো বটেই, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন এটা দেখতে। এ ধরনের রেসে ষাঁড়দের ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো খুবই শক্তিশালী। এতটাই যে রেস শুরুর আগে কৃষক অর্থাৎ জকিদের কমছে কম ছয়জন মানুষের সাহায্য লাগে এক রেসের দুটি ষাঁড়কে জায়গায় স্থির রাখতে।
এই গরুদৌড় হয় পশ্চিম সুমাত্রার তানাহ দাতার রিজেন্সিতে। সাধারণ গরুদৌড় ইন্দোনেশিয়ায় খুব সাধারণ বিষয় হলেও পাচু জাওয়ি নামে পরিচিত এই গরুদৌড় বিষয়টিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মিনাংকাবাউ ভাষায় পাচু জাওয়ির অর্থ কিন্তু কাউ রেস বা গরুদৌড়ই। শুকনো, খটখটে জমির বদলে এই দৌড় হয় হাঁটুসমান গভীর কাদাময় ধানের জমিতে। এটা একে একই সঙ্গে গরুদৌড় আর কাদায় স্কিইংয়ের মিলিত একটা কিছুতে পরিণত করে।
এখন অবশ্য এই আশ্চর্য গরুদৌড় বিদেশি পর্যটকদের কাছেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর বিদেশিদের কথা মাথায় রেখে এখন নিয়মিতই হয় এটা। সাপ্তাহিক প্রায় ছুটির দিনই এখন এ ধরনের গরুদৌড় হয়। আপনার শুধু জানতে হবে কোন সপ্তাহে কোথায় হচ্ছে।
তবে সবচেয়ে বড় আর মূল উৎসবটি হয় ধান ঘরে তোলার পর, সাধারণত এপ্রিল–মেতে। চারটি সপ্তাহ ধরে এটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে হয় চারটি জায়গায়—সুনগাই তারাব, রামবাতান, লিমো কাউম ও পারিয়ানগানে।
এবার তাহলে এই রেসটির আরও কিছু অদ্ভুত বিষয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। একসঙ্গে এখানে অনেক প্রতিযোগী অংশ নেয় না। বরং প্রতিটি দল আলাদা আলাদাভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরোয়। তাই একবারে এতে দুটি ষাঁড় আর একজন জকি থাকেন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একজন নেতা ও তাঁর দলের সদস্যরা একই পথে চলে কি না সেটার একটা পরীক্ষা হয়। এখানে কম সময়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব পেরোনোর পাশাপাশি সোজা পথে গন্তব্যে পৌঁছানোটা বিজয়ী হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আগেই বলেছি রেস শুরুর আগে ছয়জন কিংবা তারও বেশি মানুষ ষাঁড় দুটিকে জায়গায় আটকে রাখেন। তাঁরা ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন বাজি রেখে ছুটতে শুরু করে ষাঁড় দুটি। সেই সঙ্গে কাদায় ভরপুর জমি দিয়ে টেনে নিয়ে চলে জকিকে। এদিকে পশুগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা পাতলা কাঠের ফ্রেমে ভারসাম্য রাখতে রাখতে সোজা পথে এদের পরিচালিত করতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠে জকির। এটা কত বড় চ্যালেঞ্জ সেটা যাঁরা সামনাসামনি এই প্রতিযোগিতা দেখেছেন, তাঁরা ছাড়া অন্য কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।
ষাঁড় দুটি যেহেতু একটির সঙ্গে আরেকটি আটকানো থাকে না, তারা কখনো কখনো দুই দিকে দৌড় দেওয়ার চেষ্টা করে। জকির দুই হাত তাই সব সময় ব্যস্ত থাকে প্রাণী দুটিকে নিয়ন্ত্রণ করায়।
কেবল জকিদেরই ষাঁড়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয় তা নয়। যেহেতু রেসের জায়গাটিতে কোনো ঘেরাও থাকে না, দর্শকদের যেকোনো সময় অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। কোনো ধরনের সংকেত না দিয়েই হয়তো কোনো একটি ষাঁড় রেসের ময়দান ত্যাগ করে ছুটতে শুরু করে দর্শকদের দিকে।
কারও কারও ধারণা পাচু জাওয়াই নামের রেসটির সূচনা তানাহ দাতার রিজেন্সির রাজধানী বাতুশঙ্কর থেকে। বলা হয়, রোমাঞ্চকর এই খেলার শুরু আজ থেকে ৪০০ বছর আগে। একই সঙ্গে ধান তোলাটা উদ্যাপন ও নতুন মৌসুম শুরুর আগে স্থানীয়দের বিনোদনের সুযোগ করে দিতেই এই ব্যবস্থা।
তবে সময়ের সঙ্গে এটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করায় উৎসবটির আরেকটি গুরুত্ব ক্রমেই ডালপালা মেলেছে। সেটা হলো রেসের ষাঁড়কে নিলামে তোলা। প্রতিটি রেসের পর ষাঁড়গুলোকে ধুয়ে-মুছে সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে তোলা হয়। রেসে ষাঁড়টি কেমন মুনশিয়ানা দেখাল সেটার ওপর নির্ভর করে পরের দিনের নিলামে কেমন দাম উঠবে তার। যে ষাঁড় যত শক্তিশালী, দ্রুতগতিসম্পন্ন তার দাম থাকে বাজারে তত চড়া।
সূত্র: ট্রাভেল কন্টিনিউয়াসলি ডট কম, সানি সাইড সার্কাস ডট কম
চুরি গেছে গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে গাড়ি কোথায় আছে সে তথ্য বের করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ এতটাই ‘ব্যস্ত’ যে, কোথায় আছে গাড়িটি সে তথ্য থাকার পর এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সময় বা সুযোগ তাদের নেই। এ অবস্থা দেখে গাড়ি উদ্ধারে নিজেরাই
১২ দিন আগেসাইপ্রাসের লিমাসলের বাসিন্দা লিউবভ সিরিকের (২০) একটি অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চা পান করতে ভালোবাসেন, কিন্তু মার্কেটিং ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা লিউবভ পছন্দ করেন চা-পাতা ও টি-ব্যাগ। তাঁর মতে, এটি ‘সুস্বাদু’ এবং তিনি দিনে দুবার...
১৬ মে ২০২৫সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫আজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
২০ এপ্রিল ২০২৫