আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কাশ্মীরের সবচেয়ে আলোচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে ঘিরে নতুন এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টে জমা দেওয়া ৮৪ পৃষ্ঠার হলফনামায় মালিক দাবি করেছেন, দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ভারতের একাধিক প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন। পাকিস্তানি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাঁর বৈঠকও ছিল ভারতীয় সরকারের অনুমোদিত শান্তি প্রচেষ্টার অংশ। এই দাবি এখন নতুন প্রশ্ন তুলেছে—তিনি কি আসলেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচর ছিলেন?
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, শ্রীনগরের মাইসুমা এলাকায় জন্ম নেওয়া মালিক প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৮৭ সালের বিতর্কিত কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের পর। সেবার ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পরে সেখানে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। দেশে ফিরে তিনি জেকেএলএফ (জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট) এর নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৯ সালে এই দলটি সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
তবে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দ্রুত খারাপ হয়েছিল। কারণ ইয়াসিন মালিক চেয়েছিলেন স্বাধীন কাশ্মীর, পাকিস্তানের সঙ্গে একীকরণ নয়। ১৯৯০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি দাবি করেন, তিহার জেলে বা দিল্লির অতিথিশালায় তাঁর সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রতিদিন দেখা করতেন এবং সশস্ত্র পথ ত্যাগ করতে উৎসাহিত করতেন।
১৯৯৪ সালে মুক্তির পর তিনি সশস্ত্র লড়াই পরিত্যাগের ঘোষণা দেন এবং অহিংস প্রতিবাদের মাধ্যমে স্বাধীন কাশ্মীরের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তিনি বারবার গ্রেপ্তার হলেও ‘অদম্য নেতা’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর মালিক আবারও গ্রেপ্তার হন, নিষিদ্ধ করা হয় তাঁর সংগঠন জেকেএলএফ-কে, তাঁর বিরুদ্ধে পুরোনো মামলাগুলোও আবার সচল করা হয়। ২০২২ সালে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ একাধিক সাজা দেন। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহার কারাগারে বন্দী।
হলফনামার বিস্ফোরক অভিযোগ
গত আগস্টে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মালিকের যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার আবেদন করলে মালিক পাল্টা হলফনামা দেন। তিনি দাবি করেন—নব্বইয়ের দশক থেকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, আরএসএস নেতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেছেন। ২০০৬ সালে পাকিস্তানি জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি-এর উদ্যোগে। তিনি দিল্লির নির্দেশে বারবার শান্তি প্রচেষ্টায় অংশ নিয়েছেন, এমনকি ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরের বিক্ষোভ প্রশমনে গোপনে ভূমিকা রেখেছেন। ২০০১ সালে ভারত সরকার তাঁকে পাসপোর্ট দেয়, যার মাধ্যমে তিনি বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং প্রতিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তাঁর যোগাযোগের বিষয়ে অবহিত রাখেন।
প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
মালিকের এমন দাবিতে ভারতের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে ‘সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত অতীতে অনেককে ব্যবহার করে পরে বাদ দিয়েছে বা শাস্তি দিয়েছে, মালিকও হয়তো সেই ভাগ্য বরণ করছেন।
তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অজয় সাহনির মতে—মালিক নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে যা দেখিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি দুই দিকেই খেলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আছে। আর সরকার সুবিধা দিয়েছে বলেই এত বছর মুক্ত থেকে তাঁর কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
অন্যদিকে সাংবাদিক বিক্রম জিত সিংহ মনে করেন, মালিকের দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য’। তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ার প্রয়োজনে ভারত সরকার বহু ক্ষেত্রেই এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কাজে লাগিয়েছে।’
এ অবস্থায় মালিকের হলফনামা একদিকে ভারতের কাশ্মীর নীতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে, অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের চরিত্র নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। তিনি কি সত্যিই শান্তির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিলেন, নাকি পরিস্থিতি সামলাতে তাঁকে হাতিয়ার বানানো হয়েছিল—এখন সেই সত্যই আলোচনার কেন্দ্রে।
কাশ্মীরের সবচেয়ে আলোচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে ঘিরে নতুন এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টে জমা দেওয়া ৮৪ পৃষ্ঠার হলফনামায় মালিক দাবি করেছেন, দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ভারতের একাধিক প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন। পাকিস্তানি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাঁর বৈঠকও ছিল ভারতীয় সরকারের অনুমোদিত শান্তি প্রচেষ্টার অংশ। এই দাবি এখন নতুন প্রশ্ন তুলেছে—তিনি কি আসলেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচর ছিলেন?
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, শ্রীনগরের মাইসুমা এলাকায় জন্ম নেওয়া মালিক প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৮৭ সালের বিতর্কিত কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের পর। সেবার ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পরে সেখানে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। দেশে ফিরে তিনি জেকেএলএফ (জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট) এর নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৯ সালে এই দলটি সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
তবে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দ্রুত খারাপ হয়েছিল। কারণ ইয়াসিন মালিক চেয়েছিলেন স্বাধীন কাশ্মীর, পাকিস্তানের সঙ্গে একীকরণ নয়। ১৯৯০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি দাবি করেন, তিহার জেলে বা দিল্লির অতিথিশালায় তাঁর সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রতিদিন দেখা করতেন এবং সশস্ত্র পথ ত্যাগ করতে উৎসাহিত করতেন।
১৯৯৪ সালে মুক্তির পর তিনি সশস্ত্র লড়াই পরিত্যাগের ঘোষণা দেন এবং অহিংস প্রতিবাদের মাধ্যমে স্বাধীন কাশ্মীরের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তিনি বারবার গ্রেপ্তার হলেও ‘অদম্য নেতা’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর মালিক আবারও গ্রেপ্তার হন, নিষিদ্ধ করা হয় তাঁর সংগঠন জেকেএলএফ-কে, তাঁর বিরুদ্ধে পুরোনো মামলাগুলোও আবার সচল করা হয়। ২০২২ সালে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ একাধিক সাজা দেন। বর্তমানে তিনি দিল্লির তিহার কারাগারে বন্দী।
হলফনামার বিস্ফোরক অভিযোগ
গত আগস্টে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মালিকের যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার আবেদন করলে মালিক পাল্টা হলফনামা দেন। তিনি দাবি করেন—নব্বইয়ের দশক থেকে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, আরএসএস নেতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেছেন। ২০০৬ সালে পাকিস্তানি জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি-এর উদ্যোগে। তিনি দিল্লির নির্দেশে বারবার শান্তি প্রচেষ্টায় অংশ নিয়েছেন, এমনকি ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরের বিক্ষোভ প্রশমনে গোপনে ভূমিকা রেখেছেন। ২০০১ সালে ভারত সরকার তাঁকে পাসপোর্ট দেয়, যার মাধ্যমে তিনি বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং প্রতিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তাঁর যোগাযোগের বিষয়ে অবহিত রাখেন।
প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
মালিকের এমন দাবিতে ভারতের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে ‘সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত অতীতে অনেককে ব্যবহার করে পরে বাদ দিয়েছে বা শাস্তি দিয়েছে, মালিকও হয়তো সেই ভাগ্য বরণ করছেন।
তবে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অজয় সাহনির মতে—মালিক নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে যা দেখিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি দুই দিকেই খেলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আছে। আর সরকার সুবিধা দিয়েছে বলেই এত বছর মুক্ত থেকে তাঁর কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
অন্যদিকে সাংবাদিক বিক্রম জিত সিংহ মনে করেন, মালিকের দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য’। তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়ার প্রয়োজনে ভারত সরকার বহু ক্ষেত্রেই এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কাজে লাগিয়েছে।’
এ অবস্থায় মালিকের হলফনামা একদিকে ভারতের কাশ্মীর নীতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে, অন্যদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের চরিত্র নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। তিনি কি সত্যিই শান্তির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিলেন, নাকি পরিস্থিতি সামলাতে তাঁকে হাতিয়ার বানানো হয়েছিল—এখন সেই সত্যই আলোচনার কেন্দ্রে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান থেকে দেশটির প্রশাসনিক কেন্দ্র অন্যত্র সরানো এখন আর বিকল্প নয়, বরং বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, ভয়াবহ পানি সংকট ও ভূমিধসের হুমকির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
৪ মিনিট আগেআজ বিকেল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অস্থায়ী সেতুর ওপর পার্ক করা অবস্থায় গাড়িটি লেকের মধ্যে পড়ে যায়। ঘটনার পর ১০-১৫ জন লোক লেকে ঝাঁপ দিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, তবে ডুবে যাওয়া কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নাবালকসহ ১০ জন ছিল।
৩৯ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ৪৭টি দেশের অন্তত ৪৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ইসরায়েলি বাহিনী বেআইনিভাবে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এ সময় জাহাজে থাকা কর্মীদের ওপর জলকামান ব্যবহার ও নোংরা পানি ছিটানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের সচেতনভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেগাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের একটি বাদে অন্য সব জাহাজ আটক করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। এরপর ফেসবুকে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন ওই নৌবহরে থাকা বাংলাদেশি শহিদুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুকে ওই ভিডিওবার্তায় নিজের শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে