চট্টগ্রাম বন্দর

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথমবারের মতো ২০০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বন্দরের মূল জেটিতে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজটি ভেড়ে। এর আগে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারত।

চট্টগ্রাম নগরী বর্তমানে কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাশের বেশ কয়েক বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। চট্টগ্রাম বন্দরও কর্ণফুলী নদীর উত্তর পারে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত। অথচ নদীর স্বাভাবিক খাঁড়ি নদীর দক্ষিণ পাড়সংলগ্ন জলধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উল্টো দিকে নদীর জলপ্রবাহের সঙ্গে আসা পলিমাটি জমা হওয়াই স্বা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি, ডলার সংকট, এলসি খোলায় ব্যাংকের কড়াকড়িসহ সর্বোপরি বৈশ্বিক মন্দার কারণে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে এক লাখ কন্টেইনার কম হ্যান্ডেলিং হয়েছে। এতে বিশ্বের ব্যস্ততম ১০০ বন্দরের বৈশ্বিক তালিকা

নৌযানশ্রমিকদের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত লাইটার জাহাজ, তেলের ট্যাংকারসহ সব ধরনের নৌযান বন্ধ ছিল।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার ও একটি ঘাটের ইজারা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার কর্মবিরতি পালন করেছেন লাইটার জাহাজের শ্রমিকেরা। ভোর ছয়টা থেকে কর্ণফুলীর ১৬টি ঘাট ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত লাইটার জাহাজের শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করে

ইউক্রেন থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে ম্যাগনাম ফরচুন নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খাদ্য বিভাগের উপনিয়ন্ত্রক (সংরক্ষণ ও চলাচল) সুনিল দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আটকা ভারতীয় ট্রানজিটের চালান ১০ দিন ধরে সাগরেই ভাসছে। ভারতের মেঘালয় থেকে সড়ক পথে আসা ৮ মেট্রিক টন চা পাতা বোঝাই ট্রানজিটের চালানটি ৩৪ দিন চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকার পর গত ১৯ অক্টোবর রওনা দেয়। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ট্রানজিটের পণ্যে চালানবাহী জাহাজ ‘ট্রান্সসামুদে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০০ মেট্রিকটন সরকারি সার বহনকারী লাইটার জাহাজ সালসাবিল-১। গত সোমবার বাঘাবাড়ী যাওয়া পথে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মাধবচর ঘাটে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ভারতের মেঘালয় থেকে সড়ক পথে আসা আট মেট্রিক টন চা পাতা বোঝাই ট্রানজিটের চালান ৩৪ দিন চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকার পর গত ১৯ অক্টোবর রওনা দেয়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে চালানবাহী জাহাজ ট্রান্সসামুদেরা বহির্নোঙরে গিয়ে আটকা পড়ে। আজ শুক্রবার পর্যন্ত ট্রানজিট চালানসহ অন্য পণ্যভর্তি জাহাজ ‘ট্রান্সসামুদেরা’

সরকারি খাতে কেনা ১২ লাখ টন চাল ও গম দেশে আসতে শুরু করেছে। তিনটি জাহাজে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৮ টন গম চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ভারত থেকে একটি জাহাজে ২৯ হাজার ৯৮ টন চাল বন্দরে পৌঁছেছে।

আমাদের জাহাজটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কলকাতায় আটকা পড়া বাকি ৬ জন নাবিক কখন দেশে ফিরে আসবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের মুক্তি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার ও আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ১ হাজার ২৪১টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউএস কোস্টগার্ড সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ১১০ কোটি টাকায় হংকং থেকে দুটি টাগবোট কেনা হয়েছে তিন মাস আগে। এখন এই টাগবোট চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে দুই দলে ভাগ করে মোট ১০ জন যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর। প্রশিক্ষণার্থীর তালিকায় আছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব, বন্দরের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান এবং একটি প্রকল্প পরিচালকের নামও।

চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা পুরোনো অকশন গোলাটি ৭ বছরেও খালি করতে পারেনি কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। বন্দরের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ একর জায়গা দখল করে থাকা জরাজীর্ণ অকশন গোলাটি এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে এখানে নতুন ইয়ার্ডের নির্মাণকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বারবার এ নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কোনো কাজে আসেনি।

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বন্দরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন‍্য স্ক‍্যানার বসানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্দরের প্রত্যেক গেটে আমদানি-রপ্তানির

চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি যোগ্য বিপজ্জনক/হ্যাজার্ডাস কার্গো/কন্টেইনার বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী পরিবাহিত হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পণ্য হ্যান্ডেলিং করে। বিপজ্জনক পণ্য হ্যান্ডেলিং সম্পর্কে বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন করে কোনো পরিবর্তন, আদেশ

গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড গড়েছে মোংলা বন্দর। বিগত বছরের তুলনায় সব রেকর্ড ভেঙে, যা চট্টগ্রাম বন্দরকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছর ২০২১-২২ এ বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৮০৮টি। যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ আমদানির সংখ্যা বলে নিশ্চিত করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।