জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রাম। রীতিমতো উন্মুক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিণত হয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম। এই সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভ। জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাশিয়ায় হলেও এখন আর নিজ দেশে থাকেন না। তিনটি দেশের পাসপোর্টের মালিক তিনি।
ফরচুন ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, টেলিগ্রামের বর্তমান বাজারমূল্য ৩ হাজার কোটি (৩০ বিলিয়ন) ডলার। তবে তিনি এই সংস্থা থেকে কোনো বেতন নেন না। যদিও কোম্পানির পুরো শেয়ারের মালিক তিনি। এ ছাড়া কোটি কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে তাঁর। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ধারণা করা হয় ৯০০ কোটি থেকে ১ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার।
পাভেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে তাঁর জীবনযাপন। বলতে গেলে এক ঋষির জীবন যাপন করতেই পছন্দ করেন তিনি। গত আগস্টের শেষর দিকে ফ্রান্স পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর আয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান, কফি, অ্যালকোহল, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং কোনো ওষুধ সেবন থেকে দূরে থাকেন। তাঁর মতেই এতেই জীবন উন্নত হয়। দৈনিক সকালে বরফ স্নান করে। মরুভূমিতে মেডিটেশন করেন নিয়মিত। আর বছরে মাত্র ‘১ আমিরাতি দিরহাম’ বা প্রায় শূন্য দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার নেন কোম্পানি থেকে।
এসব তথ্য ফ্রান্সের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধন্দে ফেলে দিয়েছিল। বক্তব্য অনুযায়ী, কোম্পানির মালিক হয়েও কোনো বেতন না নিলেও টেলিগ্রামের এই সিইও কিন্তু কয়েক শ কোটি ডলারের মালিক।
২০১৪ সালে রুশ সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ভিকন্তাক্তে (VKontakte)–এ নিজের শেয়ার বিক্রি থেকে পেয়েছেন ৩০ কোটি ইউরো (প্রায় ৩২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার)। এটি ছাড়াও, দুরভ টেলিগ্রামের পুরো শেয়ার মূলধনের মালিক। এই সংস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার বিনিয়োগ আছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। গত মার্চে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এ তথ্য দিয়েছিলেন দুরভ।
একই সাক্ষাৎকারে দুরভ স্বীকার করেছিলেন, তাঁর মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি বাজারে আসার এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই সংস্থা কিন্তু এখনো লাভজনক নয়।
দুরভের আয়ের উৎসের সঙ্গে তাঁর সম্পদের পরিমাণ এবং দ্রুত তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ফ্রান্সের আদালতকেও কিছুটা বিভ্রান্ত করেছিল। গত ২৮ আগস্ট পুলিশ হেফাজতের শেষে জামিনের বন্ড ২ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ডলার নির্ধারণ করার আবেদন করেছিলেন কৌঁসুলিরা। তবে আদালত কমিয়ে ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ২৫০ ডলার করে। ফরাসি, রুশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতি পাসপোর্ট রয়েছে দুরভের। তিনি যাতে ফরাসি ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে না পারেন, সেই নিশ্চয়তা পেতেই জামিনের এই বন্ড নির্ধারণ করা হয়।
দুরভকে ১২টি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে ফরাসি আদালত। টেলিগ্রামে প্রতারণা এবং শিশু পর্নোগ্রাফি প্রচারের ক্ষেত্রে তদন্তে বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডের তথ্য অনুযায়ী, জামিনের শর্তের আওতায় দুরভকে নিয়মিত কাছাকাছি পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিতে হবে।
গত এপ্রিলে আমেরিকান টিভি হোস্ট টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক দুর্লভ সাক্ষাৎকারে দুরভ ব্যাখ্যা করেন, কেন তিনি কোনো রিয়েল এস্টেট বা নিজের বাড়ির মালিক হননি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত সম্পদ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে দুরভ বলেন, ব্যাংকে ও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে (বিটকয়েন) তাঁর কয়েক শ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। ১০ বছর আগে থেকেই এই অর্থ রয়েছে তাঁর। ওই টাকায় তিনি হাত দেন না। তাঁর ব্যক্তিগত বাড়ি, উড়োজাহাজ বা ইয়ট (প্রমোদতরি) নেই। তিনি মনে করেন, এসব থাকলে সেদিকেই তাঁকে মনোযোগ দিতে হতো। এতে অনেক সময় অপচয় হতো।
আরও খবর পড়ুন:
জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রাম। রীতিমতো উন্মুক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিণত হয়েছে এই প্ল্যাটফর্ম। এই সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল দুরভ। জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাশিয়ায় হলেও এখন আর নিজ দেশে থাকেন না। তিনটি দেশের পাসপোর্টের মালিক তিনি।
ফরচুন ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, টেলিগ্রামের বর্তমান বাজারমূল্য ৩ হাজার কোটি (৩০ বিলিয়ন) ডলার। তবে তিনি এই সংস্থা থেকে কোনো বেতন নেন না। যদিও কোম্পানির পুরো শেয়ারের মালিক তিনি। এ ছাড়া কোটি কোটি ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে তাঁর। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ধারণা করা হয় ৯০০ কোটি থেকে ১ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার।
পাভেলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে তাঁর জীবনযাপন। বলতে গেলে এক ঋষির জীবন যাপন করতেই পছন্দ করেন তিনি। গত আগস্টের শেষর দিকে ফ্রান্স পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর আয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান, কফি, অ্যালকোহল, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং কোনো ওষুধ সেবন থেকে দূরে থাকেন। তাঁর মতেই এতেই জীবন উন্নত হয়। দৈনিক সকালে বরফ স্নান করে। মরুভূমিতে মেডিটেশন করেন নিয়মিত। আর বছরে মাত্র ‘১ আমিরাতি দিরহাম’ বা প্রায় শূন্য দশমিক ২৭ মার্কিন ডলার নেন কোম্পানি থেকে।
এসব তথ্য ফ্রান্সের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধন্দে ফেলে দিয়েছিল। বক্তব্য অনুযায়ী, কোম্পানির মালিক হয়েও কোনো বেতন না নিলেও টেলিগ্রামের এই সিইও কিন্তু কয়েক শ কোটি ডলারের মালিক।
২০১৪ সালে রুশ সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ভিকন্তাক্তে (VKontakte)–এ নিজের শেয়ার বিক্রি থেকে পেয়েছেন ৩০ কোটি ইউরো (প্রায় ৩২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার)। এটি ছাড়াও, দুরভ টেলিগ্রামের পুরো শেয়ার মূলধনের মালিক। এই সংস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার বিনিয়োগ আছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। গত মার্চে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এ তথ্য দিয়েছিলেন দুরভ।
একই সাক্ষাৎকারে দুরভ স্বীকার করেছিলেন, তাঁর মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি বাজারে আসার এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই সংস্থা কিন্তু এখনো লাভজনক নয়।
দুরভের আয়ের উৎসের সঙ্গে তাঁর সম্পদের পরিমাণ এবং দ্রুত তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ফ্রান্সের আদালতকেও কিছুটা বিভ্রান্ত করেছিল। গত ২৮ আগস্ট পুলিশ হেফাজতের শেষে জামিনের বন্ড ২ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ডলার নির্ধারণ করার আবেদন করেছিলেন কৌঁসুলিরা। তবে আদালত কমিয়ে ৫৪ লাখ ৭২ হাজার ২৫০ ডলার করে। ফরাসি, রুশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতি পাসপোর্ট রয়েছে দুরভের। তিনি যাতে ফরাসি ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে না পারেন, সেই নিশ্চয়তা পেতেই জামিনের এই বন্ড নির্ধারণ করা হয়।
দুরভকে ১২টি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে ফরাসি আদালত। টেলিগ্রামে প্রতারণা এবং শিশু পর্নোগ্রাফি প্রচারের ক্ষেত্রে তদন্তে বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে মন্ডের তথ্য অনুযায়ী, জামিনের শর্তের আওতায় দুরভকে নিয়মিত কাছাকাছি পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিতে হবে।
গত এপ্রিলে আমেরিকান টিভি হোস্ট টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক দুর্লভ সাক্ষাৎকারে দুরভ ব্যাখ্যা করেন, কেন তিনি কোনো রিয়েল এস্টেট বা নিজের বাড়ির মালিক হননি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত সম্পদ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে দুরভ বলেন, ব্যাংকে ও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে (বিটকয়েন) তাঁর কয়েক শ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। ১০ বছর আগে থেকেই এই অর্থ রয়েছে তাঁর। ওই টাকায় তিনি হাত দেন না। তাঁর ব্যক্তিগত বাড়ি, উড়োজাহাজ বা ইয়ট (প্রমোদতরি) নেই। তিনি মনে করেন, এসব থাকলে সেদিকেই তাঁকে মনোযোগ দিতে হতো। এতে অনেক সময় অপচয় হতো।
আরও খবর পড়ুন:
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
৯ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১২ ঘণ্টা আগে