প্রযুক্তি ডেস্ক
ফেসবুক হ্যাক করার জন্য হ্যাকাররা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। এর মধ্যে যে পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত তা হলো—ফিশিং। পদ্ধতিটি বহুল প্রচলিত হলেও অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখনো এর থেকে বাঁচার উপায় জানেন না। ফলে এর মাধ্যমে এখনো অনেকে অনলাইনে হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছেন।
ফিশিং কি?
ফিশিং এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘মাছ ধরা’। মাছ ধরতে যেমন বড়শিতে ফাঁদ পাতা হয়, ‘ফিশিং’ এর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটিই ঘটে। অর্থাৎ একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য অনলাইনে ফাঁদ পাতা হয়। ফিশিং করা হয় মূলত একটি ভুয়া ওয়েবসাইট দিয়ে। একজন হ্যাকার একটি ওয়েব হোস্টিং সাইটে ফেসবুকের লগইন পেজের মতো হুবহু দেখতে একটি পেজ আপলোড করে রাখেন।
পরবর্তীতে এই ওয়েবসাইটের লিংকটি সেই হ্যাকার বিভিন্ন মানুষকে পাঠান। অনেক সময় দেখা যায় হ্যাকারটি ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে এটি অন্যদের পাঠান। ব্যবহারকারীরা এটি ক্লিক করে ফেসবুকের লগইন পেজ দেখে মনে করেন তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কোনো কারণে লগ-আউট হয়ে গিয়েছে। এরপর কেউ এই পেজ থেকে লগইন করে ফেললেই সেই ব্যবহারকারীর ফেসবুক ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড জমা হয় সেই ‘ভুয়া’ ওয়েবসাইটের ডেটাবেইসে। ফলস্বরূপ হ্যাকার আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যান।
যেভাবে বাঁচবেন হ্যাকিং থেকে
৩টি উপায়ে সাবধানতা অবলম্বন করলেই এই হ্যাকিং থেকে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
১। লিংকে ক্লিক না করা—অপরিচিত মানুষ থেকে পাওয়া লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সাধারণত অপরিচিত ইমেইল আইডি, ফেসবুকে অপরিচিত মানুষ থেকেই এই ধরনের হ্যাকিং এর লিংক পেয়ে থাকেন সবাই। অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও এমন অনেক লিংক দেওয়া থাকে। ওয়েবসাইটটি বিশ্বস্ত না হলে এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন।
২। লিংক ‘পড়া’—হ্যাকিং এর লিংক যে শুধুমাত্র অপরিচিত মানুষের থেকেই আসবে এমনটি নয়। আপনার পরিচিত কোনো মানুষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেও হ্যাকার আপনাকে এমন লিংক পাঠাতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে লিংকটি ভালো করে দেখে নেওয়া। উদাহরণ স্বরূপ কেউ যদি আপনাকে মেসেঞ্জারে একটা লিংক পাঠায় যা দেখে মনে হচ্ছে একটি ফেসবুক পোস্টের লিংক। কিন্তু লিংক টি পড়ে আপনি দেখলেন সেখানে লেখা ‘fasebook’ কিংবা ‘faacebook’ ডট কম। সে ক্ষেত্রে সেই লিংক এড়িয়ে যাবেন। হুবহু ফেসবুকের মতো দেখতে লিংকটি আপনাকে ফাঁদে ফেলার জন্যই পাঠানো হয়েছে।
৩। ফেসবুকে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা—আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা থাকলে আপনার অ্যাকাউন্টের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকার জেনে গেলেও আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ হ্যাকার আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলে ফেসবুক হ্যাকারকে একটি নতুন ওয়েবপেজে নিয়ে যাবে। যেখানে হ্যাকারকে একটি ‘ভেরিফিকেশন কোড’ দিতে বলা হবে। সেই কোডটি মূলত আপনার ফোন নম্বরে আসবে। যে কোডটি আপনি ছাড়া আর কারও জানার সুযোগ থাকবে না। সেই ভেরিফিকেশন কোডটি হ্যাকার না পেলে সে কোনোভাবেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
অনেক সময় অনেকে বুঝতে পারেন যে তাকে একটি ‘ফিশিং’ লিংক পাঠানো হয়েছে। তখন তাঁরা আগ্রহ নিয়ে লিংকে ক্লিক করেন এই ভেবে যে–লগইন না করলে তো কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এটি ভুল ধারণা। কারণ অনেক সময় হ্যাকাররা তাঁদের ওয়েবসাইটগুলোতে ম্যালওয়্যার যুক্ত করে রাখে। এ ক্ষেত্রে আপনি সেই লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই ভাইরাস আপনার ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়বে। হ্যাকার তখন আপনার পুরো ডিভাইসেরই নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।
‘ফিশিং’ শুধুমাত্র ফেসবুক হ্যাকিংয়েই ব্যবহার করা হয়, তা নয়। এর মাধ্যমে যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাক করা সম্ভব যদি ব্যবহারকারী অসতর্ক হন।
ফেসবুক হ্যাক করার জন্য হ্যাকাররা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। এর মধ্যে যে পদ্ধতি সবচেয়ে প্রচলিত তা হলো—ফিশিং। পদ্ধতিটি বহুল প্রচলিত হলেও অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখনো এর থেকে বাঁচার উপায় জানেন না। ফলে এর মাধ্যমে এখনো অনেকে অনলাইনে হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছেন।
ফিশিং কি?
ফিশিং এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘মাছ ধরা’। মাছ ধরতে যেমন বড়শিতে ফাঁদ পাতা হয়, ‘ফিশিং’ এর ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটিই ঘটে। অর্থাৎ একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য অনলাইনে ফাঁদ পাতা হয়। ফিশিং করা হয় মূলত একটি ভুয়া ওয়েবসাইট দিয়ে। একজন হ্যাকার একটি ওয়েব হোস্টিং সাইটে ফেসবুকের লগইন পেজের মতো হুবহু দেখতে একটি পেজ আপলোড করে রাখেন।
পরবর্তীতে এই ওয়েবসাইটের লিংকটি সেই হ্যাকার বিভিন্ন মানুষকে পাঠান। অনেক সময় দেখা যায় হ্যাকারটি ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে এটি অন্যদের পাঠান। ব্যবহারকারীরা এটি ক্লিক করে ফেসবুকের লগইন পেজ দেখে মনে করেন তাঁদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কোনো কারণে লগ-আউট হয়ে গিয়েছে। এরপর কেউ এই পেজ থেকে লগইন করে ফেললেই সেই ব্যবহারকারীর ফেসবুক ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড জমা হয় সেই ‘ভুয়া’ ওয়েবসাইটের ডেটাবেইসে। ফলস্বরূপ হ্যাকার আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যান।
যেভাবে বাঁচবেন হ্যাকিং থেকে
৩টি উপায়ে সাবধানতা অবলম্বন করলেই এই হ্যাকিং থেকে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
১। লিংকে ক্লিক না করা—অপরিচিত মানুষ থেকে পাওয়া লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সাধারণত অপরিচিত ইমেইল আইডি, ফেসবুকে অপরিচিত মানুষ থেকেই এই ধরনের হ্যাকিং এর লিংক পেয়ে থাকেন সবাই। অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও এমন অনেক লিংক দেওয়া থাকে। ওয়েবসাইটটি বিশ্বস্ত না হলে এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন।
২। লিংক ‘পড়া’—হ্যাকিং এর লিংক যে শুধুমাত্র অপরিচিত মানুষের থেকেই আসবে এমনটি নয়। আপনার পরিচিত কোনো মানুষের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেও হ্যাকার আপনাকে এমন লিংক পাঠাতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে লিংকটি ভালো করে দেখে নেওয়া। উদাহরণ স্বরূপ কেউ যদি আপনাকে মেসেঞ্জারে একটা লিংক পাঠায় যা দেখে মনে হচ্ছে একটি ফেসবুক পোস্টের লিংক। কিন্তু লিংক টি পড়ে আপনি দেখলেন সেখানে লেখা ‘fasebook’ কিংবা ‘faacebook’ ডট কম। সে ক্ষেত্রে সেই লিংক এড়িয়ে যাবেন। হুবহু ফেসবুকের মতো দেখতে লিংকটি আপনাকে ফাঁদে ফেলার জন্যই পাঠানো হয়েছে।
৩। ফেসবুকে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা—আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু করা থাকলে আপনার অ্যাকাউন্টের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকার জেনে গেলেও আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ হ্যাকার আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলে ফেসবুক হ্যাকারকে একটি নতুন ওয়েবপেজে নিয়ে যাবে। যেখানে হ্যাকারকে একটি ‘ভেরিফিকেশন কোড’ দিতে বলা হবে। সেই কোডটি মূলত আপনার ফোন নম্বরে আসবে। যে কোডটি আপনি ছাড়া আর কারও জানার সুযোগ থাকবে না। সেই ভেরিফিকেশন কোডটি হ্যাকার না পেলে সে কোনোভাবেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
অনেক সময় অনেকে বুঝতে পারেন যে তাকে একটি ‘ফিশিং’ লিংক পাঠানো হয়েছে। তখন তাঁরা আগ্রহ নিয়ে লিংকে ক্লিক করেন এই ভেবে যে–লগইন না করলে তো কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এটি ভুল ধারণা। কারণ অনেক সময় হ্যাকাররা তাঁদের ওয়েবসাইটগুলোতে ম্যালওয়্যার যুক্ত করে রাখে। এ ক্ষেত্রে আপনি সেই লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই ভাইরাস আপনার ডিভাইসে ছড়িয়ে পড়বে। হ্যাকার তখন আপনার পুরো ডিভাইসেরই নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।
‘ফিশিং’ শুধুমাত্র ফেসবুক হ্যাকিংয়েই ব্যবহার করা হয়, তা নয়। এর মাধ্যমে যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাক করা সম্ভব যদি ব্যবহারকারী অসতর্ক হন।
গুগল ক্রোম ইনস্টল করার সময় উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের ‘এখনই নিরাপদে ব্রাউজ করুন’ লিখে সতর্ক করছে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটির দাবি, ‘মাইক্রোসফট-এজ’ও ক্রোমের মতো একই প্রযুক্তিতে চলে, তবে এর সঙ্গে আছে মাইক্রোসফটের বিশ্বাসযোগ্যতা।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের এয়ারপডসে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন যুগান্তকারী ফিচার ‘লাইভ ট্রান্সলেশন’। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোনকলের পাশাপাশি সামনে থাকা ব্যক্তির কথাও অনুবাদ করে দেবে এয়ারপডসটি।
১০ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছবিকে এবার সরাসরি থ্রিডি মডেলে রূপ দেওয়া যাবে। এমনই এক চমকপ্রদ প্রযুক্তি এনেছে মাইক্রোসফট। ‘কোপাইলট থ্রিডি’ নামের এই নতুন এআই টুলটি তৈরি করেছে কোপাইলট ল্যাবস। এর মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ইমেজ, পিএনজি বা জেপিজি ফরম্যাটের ১০ মেগাবাইটের নিচের যেকোনো ছবি দিয়ে তৈরি করা যাবে থ্রিডি মডেল।
১২ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে