স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস
টি এইচ মাহির
শহরবাসী অনেকে ঘরের বারান্দায় কিংবা ছাদে বাগান করেন। তবে ব্যস্ত জীবনে এর যত্ন নিয়ে পড়তে হয় বিপত্তিতে। কখনো বেশি সময়ের জন্য কোথাও ঘুরতে গেলে গাছে পানি দেওয়া নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। ফলে শখের গাছগুলো মারা যায়।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে। তিন সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন, শখের গাছগুলোর বেশির ভাগ মরে গেছে। কষ্ট পেয়েই এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে থাকেন জুবায়ের।
পেশাগত জীবনে জুবায়ের একজন অ্যাপ ডেভেলপার। সেই বিদ্যা কাজে লাগিয়ে আবিষ্কারের চেষ্টা করলেন অ্যাপ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাছে পানি দেওয়ার উপায়। এরপর ঘরে বসে আইসক্রিমের বাক্স দিয়ে একটি স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসের প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ব্যাপক সাড়া মেলে। স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস নামের এই স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসের মাধ্যমে বাসায় না থাকলেও গাছে পানি দেওয়া যাবে। পরবর্তী সময়ে জুবায়ের এটি বাজারে আনার পরিকল্পনা করেন।
স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস
মানুষের অনুপস্থিতিতে গাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি দেওয়ার ব্যবস্থাই হলো স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস। মোবাইল ফোনের একটি অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডিভাইসটি। এমনকি গাছে পানি কতটুকু দিতে হবে বা কোন সময়ে গাছে পানি দিতে হবে, তার সময়সূচিও নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে এই অ্যাপে।
ছোট আকারের স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসটির দুটি প্রান্ত পানির পাইপের সঙ্গে সংযোগ থাকবে। এক প্রান্ত থেকে পানি আসবে পাইপ দিয়ে এবং অন্য প্রান্ত দিয়ে তা বাগানে বা গাছের গোড়ায় চলে যাবে।
আউটপুট প্রান্তের পাইপ আবার বাগানে ভিন্ন ভিন্ন গাছের জন্য আলাদা ছোট পাইপ দিয়ে যুক্ত থাকবে। গাছের ধরন ও আকার অনুযায়ী পানি পড়ার গতি কম-বেশি করা যাবে।
ছোট এই স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসটি ঘরের যেকোনো প্রান্তে স্থাপন করা যায়। তারপর ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বর্তমানে বঙ্গ টেক এআই ওয়েবসাইটে ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই দুই ধরনের সংযোগসহ স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে। এটি বিদ্যুতে চলে।
অ্যাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিভাইসটি যুক্ত করার অ্যাপ পাওয়া যাবে গুগল প্লে স্টোরে। স্মার্ট ওয়াটারিং সার্ভিস নামে অ্যাপটিতে প্রবেশ করলেই ডিভাইসটি ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত করার অপশন আসবে। অ্যাপ ব্যবহার করে নির্ধারণ করা যাবে গাছে পানি দেওয়ার সময়। কতক্ষণ একটি গাছে পানি দিতে হবে, সেটিও ঠিক করে দেওয়া যাবে। বাসার বাইরে থাকলেও ডিভাইসটি নিয়মিত গাছে পানি দিতে ভুলবে না। এমনকি দেশের বাইরে থেকেও ওয়াই-ফাই সংযোগ দিয়ে গাছে পানি দেওয়া যাবে।
মেইড ইন বাংলাদেশ
স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসটি সম্পূর্ণ দেশে তৈরি। এটির উদ্ভাবন, ডিজাইন ও উৎপাদন—সবকিছুই করা হয়েছে বাংলাদেশে। এটি দেশের প্রযুক্তি খাতে আইওটি ডিভাইস তৈরিতে বড় অনুপ্রেরণা। ডিভাইসটি দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে। বাজারে আসার পর বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তাই সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, কানাডা, সাইপ্রাস, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে এই স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস রপ্তানি করা হচ্ছে।
স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসের উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসেন স্নাতক সম্পন্নের পর বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ বানিয়ে বেশ সাফল্য পান।
তিনি বঙ্গ একাডেমি নামে তাঁর প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখান।
পুরস্কার ও সম্মাননা
জুবায়ের হোসেন তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন জাতীয় মোবাইল অ্যাপস অ্যাওয়ার্ড, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা উদ্যোক্তা সম্মাননা, ব্র্যাক আয়োজিত মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ভিয়েনা আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড, দিল্লির এমবিলিয়ন্থ অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা।
জুবায়েরের এই ডিভাইস গাছপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক খবর। শহুরে ব্যস্ততায় এমন একটি ডিভাইস আমাদের শখের গাছগুলো আরও সবুজ করে তুলতে পারবে।
শহরবাসী অনেকে ঘরের বারান্দায় কিংবা ছাদে বাগান করেন। তবে ব্যস্ত জীবনে এর যত্ন নিয়ে পড়তে হয় বিপত্তিতে। কখনো বেশি সময়ের জন্য কোথাও ঘুরতে গেলে গাছে পানি দেওয়া নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। ফলে শখের গাছগুলো মারা যায়।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে। তিন সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন, শখের গাছগুলোর বেশির ভাগ মরে গেছে। কষ্ট পেয়েই এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে থাকেন জুবায়ের।
পেশাগত জীবনে জুবায়ের একজন অ্যাপ ডেভেলপার। সেই বিদ্যা কাজে লাগিয়ে আবিষ্কারের চেষ্টা করলেন অ্যাপ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাছে পানি দেওয়ার উপায়। এরপর ঘরে বসে আইসক্রিমের বাক্স দিয়ে একটি স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসের প্রোটোটাইপ তৈরি করেন। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ব্যাপক সাড়া মেলে। স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস নামের এই স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসের মাধ্যমে বাসায় না থাকলেও গাছে পানি দেওয়া যাবে। পরবর্তী সময়ে জুবায়ের এটি বাজারে আনার পরিকল্পনা করেন।
স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস
মানুষের অনুপস্থিতিতে গাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি দেওয়ার ব্যবস্থাই হলো স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস। মোবাইল ফোনের একটি অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডিভাইসটি। এমনকি গাছে পানি কতটুকু দিতে হবে বা কোন সময়ে গাছে পানি দিতে হবে, তার সময়সূচিও নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে এই অ্যাপে।
ছোট আকারের স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসটির দুটি প্রান্ত পানির পাইপের সঙ্গে সংযোগ থাকবে। এক প্রান্ত থেকে পানি আসবে পাইপ দিয়ে এবং অন্য প্রান্ত দিয়ে তা বাগানে বা গাছের গোড়ায় চলে যাবে।
আউটপুট প্রান্তের পাইপ আবার বাগানে ভিন্ন ভিন্ন গাছের জন্য আলাদা ছোট পাইপ দিয়ে যুক্ত থাকবে। গাছের ধরন ও আকার অনুযায়ী পানি পড়ার গতি কম-বেশি করা যাবে।
ছোট এই স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসটি ঘরের যেকোনো প্রান্তে স্থাপন করা যায়। তারপর ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বর্তমানে বঙ্গ টেক এআই ওয়েবসাইটে ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই দুই ধরনের সংযোগসহ স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস পাওয়া যাচ্ছে। এটি বিদ্যুতে চলে।
অ্যাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিভাইসটি যুক্ত করার অ্যাপ পাওয়া যাবে গুগল প্লে স্টোরে। স্মার্ট ওয়াটারিং সার্ভিস নামে অ্যাপটিতে প্রবেশ করলেই ডিভাইসটি ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত করার অপশন আসবে। অ্যাপ ব্যবহার করে নির্ধারণ করা যাবে গাছে পানি দেওয়ার সময়। কতক্ষণ একটি গাছে পানি দিতে হবে, সেটিও ঠিক করে দেওয়া যাবে। বাসার বাইরে থাকলেও ডিভাইসটি নিয়মিত গাছে পানি দিতে ভুলবে না। এমনকি দেশের বাইরে থেকেও ওয়াই-ফাই সংযোগ দিয়ে গাছে পানি দেওয়া যাবে।
মেইড ইন বাংলাদেশ
স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসটি সম্পূর্ণ দেশে তৈরি। এটির উদ্ভাবন, ডিজাইন ও উৎপাদন—সবকিছুই করা হয়েছে বাংলাদেশে। এটি দেশের প্রযুক্তি খাতে আইওটি ডিভাইস তৈরিতে বড় অনুপ্রেরণা। ডিভাইসটি দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে। বাজারে আসার পর বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তাই সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, কানাডা, সাইপ্রাস, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে এই স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইস রপ্তানি করা হচ্ছে।
স্মার্ট ওয়াটারিং ডিভাইসের উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসেন স্নাতক সম্পন্নের পর বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ বানিয়ে বেশ সাফল্য পান।
তিনি বঙ্গ একাডেমি নামে তাঁর প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখান।
পুরস্কার ও সম্মাননা
জুবায়ের হোসেন তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন জাতীয় মোবাইল অ্যাপস অ্যাওয়ার্ড, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা উদ্যোক্তা সম্মাননা, ব্র্যাক আয়োজিত মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ভিয়েনা আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড, দিল্লির এমবিলিয়ন্থ অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়াসহ বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা।
জুবায়েরের এই ডিভাইস গাছপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক খবর। শহুরে ব্যস্ততায় এমন একটি ডিভাইস আমাদের শখের গাছগুলো আরও সবুজ করে তুলতে পারবে।
বর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
২ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৩ ঘণ্টা আগেএক রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলের ফ্রি অ্যাপ তালিকার শীর্ষে উঠে আসে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি চ্যাটবট ডিপসিক আর১। অ্যাপটি যেন ঝড় তোলে প্রযুক্তি বিশ্বে। কোম্পানিটি দাবি করে, এ চ্যাটবট ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তা তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে সামান্য অর্থ।
১৯ ঘণ্টা আগে