Ajker Patrika

ইন্টেলের ১০ শতাংশ শেয়ার কিনবে যুক্তরাষ্ট্র, নিশ্চিত করল হোয়াইট হাউস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সরকার অনুমোদিত অনুদানের বিনিময়ে ইন্টেলের শেয়ার নেওয়া হতে পারে। ছবি: ইন্টেল
সরকার অনুমোদিত অনুদানের বিনিময়ে ইন্টেলের শেয়ার নেওয়া হতে পারে। ছবি: ইন্টেল

চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের ১০ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ জন্য একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে ট্রাম্প প্রসাশন। গত মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউস।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আমেরিকার স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চান, তা জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে হোক।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, সরকার অনুমোদিত অনুদানের বিনিময়ে ইন্টেলের শেয়ার নেওয়া হতে পারে। এই অস্বাভাবিক পদক্ষেপ ইন্টেলের পক্ষে সহায়ক হতে পারে, কারণ তারা এনভিডিয়া, স্যামসাং ও টিএসএমসির মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছে, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ বাজারে।

লুটনিক সিএনবিসিতে বলেন, ‘আমাদের অর্থের বিনিময়ে আমাদেরই শেয়ার পাওয়া উচিত। আমরা অনুদান শুধু দিয়ে দেব না, বরং তার বদলে শেয়ার পাব।’

এই সম্ভাব্য চুক্তির লক্ষ্য হলো ইন্টেলকে ওহাইও রাজ্যে একটি প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করা। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসে, এ ধরনের খবর কেবল ধারণা হিসেবে গণ্য করা উচিত।’

গত সপ্তাহে ইন্টেল সরাসরি মন্তব্য না করলেও বলেছিল, তাঁরা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগকে সমর্থন করতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ও প্রযুক্তি শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।

গত সোমবার, জাপানের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক ঘোষণা করেছে, তারা ইন্টেলে ২০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি ইন্টেলের পুনরুজ্জীবনের প্রতি আত্মবিশ্বাসের পরিচয়।

এই ঘোষণার পর ইন্টেলের শেয়ার প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে।

ইন্টেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে অন্যতম, যারা বৃহৎ পরিসরে উচ্চমানের সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করতে সক্ষম। তবে, বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে কোম্পানিটি।

বিনিয়োগ পরামর্শ সংস্থা জিরো ওয়ানের ভিনসেন্ট ফার্নান্ডো বলেন, ‘সরকারের ইন্টেলের শেয়ারে অংশগ্রহণ যুক্তিসংগত, কারণ কোম্পানিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াশিংটনকে জটিল শিল্প, যেমন—চিপ উৎপাদন ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বিদেশি সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভর করতে হবে না।’

অনুদান থেকে শেয়ারে রূপান্তর ইন্টেলের ব্যবসা এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তবে যারা ইতিমধ্যে ফেডারেল অনুদান প্রোগ্রামের অংশ অথবা বিবেচনায় রয়েছে, সেই সব কোম্পানির জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।

টেলোস ওয়েলথ অ্যাডভাইজার্সের ড্যান শিহান বলেন, ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সিদ্ধান্ত গ্রহণকে ধীর করতে পারে এবং অগ্রাধিকার বদলাতে পারে, যা ইতিমধ্যে কঠিন অবস্থায় থাকা ইন্টেলের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি শেয়ার থাকার ফলে বাণিজ্যিক শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমানা অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।’

এই সব ঘটনা এমন সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের চিপ শিল্পকে হোয়াইট হাউস তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রেখেছে।

গত সপ্তাহে এনভিডিয়া ও এএমডি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে একটি বিরল চুক্তিতে পৌঁছেছে, যেখানে তারা চীনে তাদের আয় থেকে ১৫ শতাংশ সরকারের কাছে দিতে সম্মত হয়েছে, যা চীনে রপ্তানি লাইসেন্স পেতে সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন, মুখ খুললেন জাহিদ হাসান

অবশেষে ইকবালের পরিবারমুক্ত হলো প্রিমিয়ার ব্যাংক

‘হেল্প, হেল্প’ বলে চিৎকার—শিক্ষক এগিয়ে যেতেই গলায় ছুরি চালাল কিশোরী

শিশুদের জন্য বিনা মূল্যে টাইফয়েডের টিকা, যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন

‘আপত্তিকর’ ভিডিও: বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেন গভর্নর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত