আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে সার্চের ক্ষেত্রে গুগলের বাজারের শেয়ার ৯০ শতাংশের বেশি। দেশটির প্রায় ২ লাখ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারে গুগলের সার্চ বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে। এই একচেটিয়া বাজার ধরে রাখতে যুক্তরাজ্যে বেশ লম্বা সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম এই প্রযুক্তি জায়ান্টকে। এমনকি আইনের মুখোমুখিও হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ) গুগলের সার্চ সেবার ওপর তদন্ত শুরু করে। সিএমএর আইন অনুযায়ী, যদি কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোনো নির্দিষ্ট বাজারে অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে সেই প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সিএমএ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের একজন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০টি সার্চ করে থাকেন। আর ব্যবসায়ীরা গুগল বিজ্ঞাপনের পেছনে বছরে গড়ে ৩৩ হাজার পাউন্ড খরচ করেন। তবে যদি প্রতিযোগিতা যথাযথভাবে কাজ করত, তাহলে এই খরচ আরও কম হতে পারত।
এই তদন্তের মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করে যুক্তরাজ্য। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে।
গুগলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ এসেছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল সার্চ ও ক্রোম ব্রাউজার আগেই ইনস্টল করে রাখার জন্য মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল। সেই সঙ্গে নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনকে আইফোনের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখতেও অ্যাপলকে অর্থ দিয়েছে কোম্পানিটি।
এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএমএ জানিয়েছে, গুগলকে যুক্তরাজ্যে তাদের সার্চ পরিষেবায় পরিবর্তন আনতে হতে পারে, যাতে দেশটিতে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ে এবং অন্যান্য সার্চ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগ পায়।
এদিকে গুগলের মূল কোম্পানি মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট দাবি করেছে, সিএমএর প্রস্তাবগুলো ‘অত্যন্ত বিস্তৃত ও অস্পষ্ট’। তবে তারা এ বিষয়ে ‘গঠনমূলকভাবে কাজ করতে আগ্রহী’।
সিএমএর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মুহূর্তে গুগলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতাবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হচ্ছে না। তবে এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি একটি খসড়া প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে গুগল কী কী পরিবর্তন আনতে পারে। আগামী অক্টোবর মাসে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সিএমএ বলছে, গুগল ছাড়াও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে—এমন ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব প্রকাশকের কনটেন্ট সার্চের রেজাল্টে দেখা যায়, তাদের জন্য আরও স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সিএমএর প্রধান নির্বাহী সারাহ কার্ডেল বলেন, গুগল সার্চ অনেক বেশি সুবিধা দিচ্ছে, তবে তদন্তে দেখা গেছে, সার্চ ইঞ্জিনের বাজারকে আরও বেশি উন্মুক্ত, প্রতিযোগিতামূলক ও উদ্ভাবনী করা সম্ভব। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের জন্য গুগলের সার্চ পরিষেবার ব্যবহার আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত ও পছন্দসই তথ্য পাওয়ার সুযোগ করে দেবে।
তবে গুগলের দাবি, এ তদন্তের ফলাফল ও প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের কার্যক্রম শুধু যুক্তরাজ্য নয়, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তদন্তের মুখে পড়েছে। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক রায় দেন, গুগল অবৈধভাবে সার্চ বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা চালিয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২ বিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা হয়েছে গুগলের। বেআইনিভাবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে এই টেক জায়ান্টের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাজ্যে সার্চের ক্ষেত্রে গুগলের বাজারের শেয়ার ৯০ শতাংশের বেশি। দেশটির প্রায় ২ লাখ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রচারে গুগলের সার্চ বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে। এই একচেটিয়া বাজার ধরে রাখতে যুক্তরাজ্যে বেশ লম্বা সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম এই প্রযুক্তি জায়ান্টকে। এমনকি আইনের মুখোমুখিও হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ) গুগলের সার্চ সেবার ওপর তদন্ত শুরু করে। সিএমএর আইন অনুযায়ী, যদি কোনো প্রতিষ্ঠানকে কোনো নির্দিষ্ট বাজারে অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে সেই প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সিএমএ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের একজন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০টি সার্চ করে থাকেন। আর ব্যবসায়ীরা গুগল বিজ্ঞাপনের পেছনে বছরে গড়ে ৩৩ হাজার পাউন্ড খরচ করেন। তবে যদি প্রতিযোগিতা যথাযথভাবে কাজ করত, তাহলে এই খরচ আরও কম হতে পারত।
এই তদন্তের মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করে যুক্তরাজ্য। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে।
গুগলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ এসেছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল সার্চ ও ক্রোম ব্রাউজার আগেই ইনস্টল করে রাখার জন্য মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে গুগল। সেই সঙ্গে নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনকে আইফোনের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে রাখতেও অ্যাপলকে অর্থ দিয়েছে কোম্পানিটি।
এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএমএ জানিয়েছে, গুগলকে যুক্তরাজ্যে তাদের সার্চ পরিষেবায় পরিবর্তন আনতে হতে পারে, যাতে দেশটিতে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ে এবং অন্যান্য সার্চ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগ পায়।
এদিকে গুগলের মূল কোম্পানি মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট দাবি করেছে, সিএমএর প্রস্তাবগুলো ‘অত্যন্ত বিস্তৃত ও অস্পষ্ট’। তবে তারা এ বিষয়ে ‘গঠনমূলকভাবে কাজ করতে আগ্রহী’।
সিএমএর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মুহূর্তে গুগলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতাবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হচ্ছে না। তবে এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি একটি খসড়া প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে গুগল কী কী পরিবর্তন আনতে পারে। আগামী অক্টোবর মাসে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সিএমএ বলছে, গুগল ছাড়াও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের সুযোগ থাকবে—এমন ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব প্রকাশকের কনটেন্ট সার্চের রেজাল্টে দেখা যায়, তাদের জন্য আরও স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
সিএমএর প্রধান নির্বাহী সারাহ কার্ডেল বলেন, গুগল সার্চ অনেক বেশি সুবিধা দিচ্ছে, তবে তদন্তে দেখা গেছে, সার্চ ইঞ্জিনের বাজারকে আরও বেশি উন্মুক্ত, প্রতিযোগিতামূলক ও উদ্ভাবনী করা সম্ভব। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের জন্য গুগলের সার্চ পরিষেবার ব্যবহার আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত ও পছন্দসই তথ্য পাওয়ার সুযোগ করে দেবে।
তবে গুগলের দাবি, এ তদন্তের ফলাফল ও প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো যুক্তরাজ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের কার্যক্রম শুধু যুক্তরাজ্য নয়, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তদন্তের মুখে পড়েছে। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক রায় দেন, গুগল অবৈধভাবে সার্চ বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা চালিয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো (প্রায় ২ বিলিয়ন পাউন্ড) জরিমানা হয়েছে গুগলের। বেআইনিভাবে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে এই টেক জায়ান্টের বিরুদ্ধে।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পৌঁছে গেল এক নতুন উচ্চতায়। প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৩০০ কোটির গণ্ডি। গতকাল বুধবার মেটা চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
৮ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটে রীতিমতো ঝড় তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনির নতুন ন্যানো ব্যানানা টুল। প্রচলিত ইমেজ জেনারেটরের চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে এই এআই। খুব সহজেই সাধারণ ছবি থেকে বাস্তবধর্মী ৩ডি মডেলের ছবি তৈরি করে।
৮ ঘণ্টা আগেভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এক্সের অভিযোগ ছিল, ভারত সরকারের ‘সহযোগ’ নামের পোর্টাল ব্যবহার করে তাদের প্ল্যাটফর্মে নির্বিচারে কনটেন্ট সেন্সর করা হচ্ছে, যা বাক স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিরোধী।
৮ ঘণ্টা আগেআমাদের আধুনিক জীবনের মূল চালিকা শক্তিই যেন এখন ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ। শিক্ষা, অফিস, চিকিৎসা, বিনোদন—সবকিছুই এককভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই দুইটির ওপর। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যান্ত্রিক ত্রুটি, সাইবার হামলা কিংবা জাতীয় সংকটের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট অস্বাভাবিক নয়।
১১ ঘণ্টা আগে