বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রতিষ্ঠান এক্সএআই নতুন করে ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির মূলধন দাঁড়িয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং বাজারমূল্য হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এই বিনিয়োগের ফলে গত ছয় মাসের মধ্যে এক্সএআই–এর বাজারমূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে কোম্পানিটি এআই খাতে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে।
এই রাউন্ডে বা অর্থায়নে ৯৭টি বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। প্রধান প্রধান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে—এনভিডিয়া, এএমডি, অ্যান্ড্রিসেন হোরোভিটজ, ব্ল্যাকরক, ফিডেলিটি, কিংডম হোল্ডিংস ও সিকোইয়া ক্যাপিটাল।
যারা মাস্কের পূর্ববর্তী উদ্যোগগুলোতে (যেমন: টুইটার অধিগ্রহণ) সমর্থন দিয়েছিলেন, শুধু তারাই এই বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর সর্বনিম্ন বিনিয়োগ পরিমাণ ছিল ৭৭ হাজার ৫৯৩ ডলার। তবে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কোম্পানিটি আগামী বছর অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে, যাতে তারা নিজের বৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে এবং জেনারেটিভ এআই মার্কেটে বৃহত্তর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়।
এক্সএআই ইতিমধ্যেই কলসাস সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছে, যা ১ লাখ এনভিডিয়া এইচ ১০০ জিপিইউ এর মাধ্যমে চলবে। আগামী কয়েক মাসে এটি ২ লাখ এনভিডিয়া জিপিইউতে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাস্ক আশা করছেন, তিনি একটি সুপারকম্পিউটার তৈরি করবেন যার মধ্য থাকবে ১ মিলিয়ন জিপিইউ।
তুলনামূলকভাবে ৬ বিলিয়ন ডলার প্রায় ১ লাখ এনভিডিয়া জিপিইউ সংবলিত একটি সুপারকম্পিউটার কেনার জন্য যথেষ্ট, যেখানে প্রতিটি প্রসেসরের মূল্য হবে ৩০ হাজার ডলার। সাধারণত সুপারকম্পিউটার ক্লাস্টারের খরচের প্রায় অর্ধেক জিপিইউ–এর কারণে হয়ে থাকে।
আরও শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে এক্সএআই আরও উন্নত ভাষার মডেল প্রশিক্ষণ দিতে পারবে। এর মাধ্যমে ওপেনএআই এর চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনি এর বিরুদ্ধে একটি সুবিধা তৈরি করবে।
এক্সএআই–কে সরাসরি ওপেনএআই এর মতো শিল্পের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত করেছেন ইলন মাস্ক। তিনি ওপেনএআই এবং তার অংশীদার মাইক্রোসফট এর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-কম্পিটিটিভ বা প্রতিযোগী বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছেন, যা বিকল্প কোম্পানিগুলোর জন্য অর্থায়ন সীমিত করে। এ ছাড়া মাস্ক দাবি করেছেন যে, এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্ম থেকে ডেটা ব্যবহার করে এক্সএআই উপকৃত হয়। সম্প্রতি এক্স–এর গোপনীয়তা নীতি পরিবর্তন হয়। এর ফলে এক্সএআই মডেল প্রশিক্ষণে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের তৈরি কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারে মাস্ক। এক্স এর বাইরে টেসলা এবং স্পেসএক্সের মতো মাস্কের অন্যান্য সেবা থেকেও ডেটা ব্যবহার করে এক্সএআই।
এক্সএআই তার ফ্ল্যাগশিপ এআই মডেল গ্রোক–এর মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি সাধন করেছে। এটি এক্স প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন টুলসে ব্যবহার করা যায়। যেমন: এক্স প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য একটি চ্যাটবট এবং ছবি তৈরি টুল ফ্লুক্স। এখন আইওএসের জন্য গ্রোক অ্যাপের সংস্করণ নিয়েও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগরিই এই অ্যাপটি স্মার্টফোনে ব্যবহারের জন্য উন্মোচন করা হবে।
রাজনৈতিকভাবে ওপেনএআই এর থেকে আলাদা এক্সএআই। কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে সীমাবদ্ধতা বজায় রেখে চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে গ্রোক।
বর্তমানে গ্রোক স্পেসএক্সের স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহক সেবা সমর্থন করছে এবং টেসলার সঙ্গে গবেষণা ও উন্নয়ন উদ্দেশ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার সুযোগ খতিয়ে দেখছে এক্সএআই। তবে কিছু টেসলা শেয়ারহোল্ডার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন করেছেন যে, মাস্ক টেসলা থেকে সম্পদ এক্সএআইতে বিনিয়োগ করছেন এবং তিনি দুটি কোম্পানিকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন।
তথ্যসূত্র: টেকরেডার
বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রতিষ্ঠান এক্সএআই নতুন করে ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির মূলধন দাঁড়িয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং বাজারমূল্য হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এই বিনিয়োগের ফলে গত ছয় মাসের মধ্যে এক্সএআই–এর বাজারমূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে কোম্পানিটি এআই খাতে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে।
এই রাউন্ডে বা অর্থায়নে ৯৭টি বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। প্রধান প্রধান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে—এনভিডিয়া, এএমডি, অ্যান্ড্রিসেন হোরোভিটজ, ব্ল্যাকরক, ফিডেলিটি, কিংডম হোল্ডিংস ও সিকোইয়া ক্যাপিটাল।
যারা মাস্কের পূর্ববর্তী উদ্যোগগুলোতে (যেমন: টুইটার অধিগ্রহণ) সমর্থন দিয়েছিলেন, শুধু তারাই এই বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর সর্বনিম্ন বিনিয়োগ পরিমাণ ছিল ৭৭ হাজার ৫৯৩ ডলার। তবে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। কোম্পানিটি আগামী বছর অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে, যাতে তারা নিজের বৃদ্ধি বজায় রাখতে পারে এবং জেনারেটিভ এআই মার্কেটে বৃহত্তর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হয়।
এক্সএআই ইতিমধ্যেই কলসাস সুপারকম্পিউটার তৈরি করেছে, যা ১ লাখ এনভিডিয়া এইচ ১০০ জিপিইউ এর মাধ্যমে চলবে। আগামী কয়েক মাসে এটি ২ লাখ এনভিডিয়া জিপিইউতে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাস্ক আশা করছেন, তিনি একটি সুপারকম্পিউটার তৈরি করবেন যার মধ্য থাকবে ১ মিলিয়ন জিপিইউ।
তুলনামূলকভাবে ৬ বিলিয়ন ডলার প্রায় ১ লাখ এনভিডিয়া জিপিইউ সংবলিত একটি সুপারকম্পিউটার কেনার জন্য যথেষ্ট, যেখানে প্রতিটি প্রসেসরের মূল্য হবে ৩০ হাজার ডলার। সাধারণত সুপারকম্পিউটার ক্লাস্টারের খরচের প্রায় অর্ধেক জিপিইউ–এর কারণে হয়ে থাকে।
আরও শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে এক্সএআই আরও উন্নত ভাষার মডেল প্রশিক্ষণ দিতে পারবে। এর মাধ্যমে ওপেনএআই এর চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনি এর বিরুদ্ধে একটি সুবিধা তৈরি করবে।
এক্সএআই–কে সরাসরি ওপেনএআই এর মতো শিল্পের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত করেছেন ইলন মাস্ক। তিনি ওপেনএআই এবং তার অংশীদার মাইক্রোসফট এর বিরুদ্ধে অ্যান্টি-কম্পিটিটিভ বা প্রতিযোগী বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছেন, যা বিকল্প কোম্পানিগুলোর জন্য অর্থায়ন সীমিত করে। এ ছাড়া মাস্ক দাবি করেছেন যে, এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্ম থেকে ডেটা ব্যবহার করে এক্সএআই উপকৃত হয়। সম্প্রতি এক্স–এর গোপনীয়তা নীতি পরিবর্তন হয়। এর ফলে এক্সএআই মডেল প্রশিক্ষণে প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারীদের তৈরি কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারে মাস্ক। এক্স এর বাইরে টেসলা এবং স্পেসএক্সের মতো মাস্কের অন্যান্য সেবা থেকেও ডেটা ব্যবহার করে এক্সএআই।
এক্সএআই তার ফ্ল্যাগশিপ এআই মডেল গ্রোক–এর মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি সাধন করেছে। এটি এক্স প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন টুলসে ব্যবহার করা যায়। যেমন: এক্স প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য একটি চ্যাটবট এবং ছবি তৈরি টুল ফ্লুক্স। এখন আইওএসের জন্য গ্রোক অ্যাপের সংস্করণ নিয়েও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগরিই এই অ্যাপটি স্মার্টফোনে ব্যবহারের জন্য উন্মোচন করা হবে।
রাজনৈতিকভাবে ওপেনএআই এর থেকে আলাদা এক্সএআই। কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে সীমাবদ্ধতা বজায় রেখে চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে গ্রোক।
বর্তমানে গ্রোক স্পেসএক্সের স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহক সেবা সমর্থন করছে এবং টেসলার সঙ্গে গবেষণা ও উন্নয়ন উদ্দেশ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার সুযোগ খতিয়ে দেখছে এক্সএআই। তবে কিছু টেসলা শেয়ারহোল্ডার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন করেছেন যে, মাস্ক টেসলা থেকে সম্পদ এক্সএআইতে বিনিয়োগ করছেন এবং তিনি দুটি কোম্পানিকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন।
তথ্যসূত্র: টেকরেডার
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১০ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
১০ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে