অনলাইন ডেস্ক
ইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এ ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি কেবল পুরোনো তথ্য নয়—অধিকাংশ পাসওয়ার্ড নতুন, সুসংগঠিত এবং ‘ইনফোস্টিলার’ নামক ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড চুরির শিকার হওয়া প্ল্যাটফর্মের তালিকায় আছে ফেসবুক, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, গুগল, অ্যাপলের মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নামও।
অধিকাংশ তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে আগে ওয়েবসাইটের ঠিকানা, এরপর ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দেখা যায়। ফলে সাইবার অপরাধীদের জন্য ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে লগইন করা খুবই সহজ হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁসের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাদের ডিভাইসে চালু হয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব ম্যালওয়্যার, যেগুলোকে ‘ইনফোস্টিলার’ বলা হয়, একবার ডিভাইসে প্রবেশ করলে সেখান থেকে লগইন-সংক্রান্ত যাবতীয় সংবেদনশীল তথ্য (যেমন: ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড) সংগ্রহ করা হয় এবং পরবর্তীতে হ্যাকারদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
ফাঁস হওয়া তথ্যের তালিকায় রয়েছে নানান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যক্তিগত অ্যাক্সেস তথ্য। এর মধ্যে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন), ডেভেলপারদের টুলস এবং সরকারি ওয়েবসাইটসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সেবা। অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, গিটহাব, টেলিগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রভাবশীল প্ল্যাটফর্মও বাদ যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন, ‘গ্লোবাল সাইবার অপরাধের নীল নকশা’। তারা জানাচ্ছেন, অন্তত ৩০টি বড় ডেটাসেট থেকে এসব তথ্য সংগৃহীত হয়েছে, যার প্রতিটিতে রয়েছে কয়েক মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন পর্যন্ত লগইন তথ্য। সব মিলিয়ে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬ বিলিয়নে।
এই ডেটা এতটাই সহজে কেনাবেচা হচ্ছে যে, অল্প প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও সামান্য অর্থ থাকলেই যে কেউ এগুলো সংগ্রহ করতে পারছে। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়ছেন সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে বড় করপোরেশন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানও।
ইতিমধ্যে গুগল ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ করেছে, তারা যেন ঐতিহ্যগত পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ‘পাসকি’ ব্যবহার শুরু করেন। এফবিআইও সতর্কবার্তা জারি করে বলেছে এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে আসা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে, বিশেষ করে যদি সেখানে লগইন তথ্য চাওয়া হয়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সতর্ক হওয়ার সময়। নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা—
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত আপনি সতর্ক হবেন, আপনার ঝুঁকি তত কমবে।
ইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এ ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি কেবল পুরোনো তথ্য নয়—অধিকাংশ পাসওয়ার্ড নতুন, সুসংগঠিত এবং ‘ইনফোস্টিলার’ নামক ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড চুরির শিকার হওয়া প্ল্যাটফর্মের তালিকায় আছে ফেসবুক, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, গুগল, অ্যাপলের মতো বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নামও।
অধিকাংশ তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে আগে ওয়েবসাইটের ঠিকানা, এরপর ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দেখা যায়। ফলে সাইবার অপরাধীদের জন্য ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে লগইন করা খুবই সহজ হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁসের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে একধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাদের ডিভাইসে চালু হয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব ম্যালওয়্যার, যেগুলোকে ‘ইনফোস্টিলার’ বলা হয়, একবার ডিভাইসে প্রবেশ করলে সেখান থেকে লগইন-সংক্রান্ত যাবতীয় সংবেদনশীল তথ্য (যেমন: ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড) সংগ্রহ করা হয় এবং পরবর্তীতে হ্যাকারদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
ফাঁস হওয়া তথ্যের তালিকায় রয়েছে নানান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যক্তিগত অ্যাক্সেস তথ্য। এর মধ্যে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন), ডেভেলপারদের টুলস এবং সরকারি ওয়েবসাইটসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সেবা। অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, গিটহাব, টেলিগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্রভাবশীল প্ল্যাটফর্মও বাদ যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন, ‘গ্লোবাল সাইবার অপরাধের নীল নকশা’। তারা জানাচ্ছেন, অন্তত ৩০টি বড় ডেটাসেট থেকে এসব তথ্য সংগৃহীত হয়েছে, যার প্রতিটিতে রয়েছে কয়েক মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন পর্যন্ত লগইন তথ্য। সব মিলিয়ে ফাঁস হওয়া পাসওয়ার্ডের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৬ বিলিয়নে।
এই ডেটা এতটাই সহজে কেনাবেচা হচ্ছে যে, অল্প প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও সামান্য অর্থ থাকলেই যে কেউ এগুলো সংগ্রহ করতে পারছে। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়ছেন সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে বড় করপোরেশন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানও।
ইতিমধ্যে গুগল ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ করেছে, তারা যেন ঐতিহ্যগত পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে ‘পাসকি’ ব্যবহার শুরু করেন। এফবিআইও সতর্কবার্তা জারি করে বলেছে এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে আসা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে, বিশেষ করে যদি সেখানে লগইন তথ্য চাওয়া হয়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সতর্ক হওয়ার সময়। নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা—
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত আপনি সতর্ক হবেন, আপনার ঝুঁকি তত কমবে।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু গোপন নথি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি হতে পারে। এই সন্দেহজনক ঘটনা তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন ছিয়া-লুং একটি তদন্ত টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে এই তথ্য ফাঁসের উৎস, চ্যানেল এবং পরিধি স্পষ্ট করা যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেএকটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হলে আরেকটি খুলছেন হানিন আল-বাতাশ। গত ছয় মাসে তিনি ৮০টিরও বেশি ব্লুস্কাই অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলের অবরোধে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি গাজাবাসীরা এখন দুধ ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। জীবন রক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে মানুষের কাছে সহায়তা চেয়ে ব্লুস্কাই
১৩ ঘণ্টা আগেনীতিবিরোধী কনটেন্ট শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনো মানুষের দক্ষতা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে জটিল বা প্রসঙ্গভিত্তিক কনটেন্ট বিশ্লেষণে মানব কনটেন্ট মডারেটররা এআইয়ের চেয়ে স্পষ্টভাবে এগিয়ে। তবে এই নির্ভুল যাচাইয়ের পেছনে রয়েছে একটি বড়...
১৭ ঘণ্টা আগেদাবা খেলায় ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট গ্রোককে পরাজিত করল স্যাম অল্টম্যানের ওপেনএআই। দাবা খেলায় কোন এআই সেরা তা নির্ধারণ করতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগে