পল্লব শাহরিয়ার

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে। সিভি লেখা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউর প্রস্তুতি—সবকিছুতেই এআইপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
সিভি তৈরিতে এআইয়ের ভূমিকা
ভালো সিভি লেখার জন্য এআই এখন সহজ সমাধান। তবে এটি ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে প্রথমে জানতে হবে, এতে সঠিকভাবে তথ্য ইনপুট দেওয়া এবং এআই থেকে পাওয়া সাজেশনগুলো কাজে লাগানোর নিয়ম।
প্রথম ধাপে রেজি, কিকরেজিউম, নভোরেজিউম বা চ্যাটজিপিটির মতো একটি এআই সিভি টুল বেছে নিন। সেখানে আপনার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর, লিংকডইন প্রোফাইল লিংক ইত্যাদি মৌলিক তথ্যগুলো দিন। এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য, প্রতিষ্ঠানের নাম, ডিগ্রি, বিভাগ, পাস করার সাল এবং যদি থাকে বিশেষ সাফল্য, তা উল্লেখ করুন।
দ্বিতীয় ধাপে আপনার কর্ম-অভিজ্ঞতা লিখুন। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের সময়কাল, পদবি এবং আপনার দায়িত্ব বা সাফল্যগুলো বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখুন। এখানে এআইকে সহায়তা করতে সঠিক তথ্য দিন, যাতে টুল এগুলোকে শক্তিশালী ভাষায় সাজাতে পারে। যেমন ‘হ্যান্ডেল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনস’ লেখার বদলে এআই সাজেশন দিতে পারে ‘প্ল্যান্ড অ্যান্ড এক্সিকিউটেড টার্গেটেড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন দ্যাট বুস্টেড সেলস বাই ২৫ শতাংশ।’
তৃতীয় ধাপে দক্ষতা বা স্কিলস অংশে আপনার টেকনিক্যাল ও সফট স্কিলস লিখুন। এআই সাধারণত চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড প্রস্তাব করবে।
এরপর প্রজেক্ট কিংবা সাফল্যের তালিকা দিন, যদি থাকে। একাডেমিক প্রজেক্ট, ইন্টার্নশিপ বা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর নাম, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং কী শিখেছেন, তা লিখুন।
সব তথ্য দেওয়ার পর এআই সিভি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন পরামর্শ দেবে। কোন অংশে ডেটা যোগ করা দরকার, কোথায় ভাষা আরও প্রফেশনাল করা যেতে পারে অথবা কোথায়
কি-ওয়ার্ড কম আছে। এই ফিডব্যাক দেখে সিভি আবার আপডেট করুন।
সিভি সাজানোর সময় খেয়াল রাখবেন, লে-আউট যেন পরিষ্কার ও সহজপাঠ্য হয়। আর এক পৃষ্ঠার সিভি রাখাই ভালো, তবে অভিজ্ঞতা বেশি হলে দুই পৃষ্ঠা হতে পারে। সবশেষে এআই দিয়ে প্রুফ রিড করিয়ে নিন। গ্রামারলি বা কুইলবটের মতো টুল ব্যাকরণগত ভুল ঠিক করে টোন পেশাদার করে তোলে।
![OEZAUA1-[Converted]](https://images.ajkerpatrika.com/images/OEZAUA1-Converted.width-800.jpg)
সিকাভার লেটার লেখায় এআই
কাভার লেটার চাকরির আবেদনে সিভির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি নিয়োগদাতার কাছে আপনাকে তুলে ধরে। সঠিকভাবে লেখা কাভার লেটার আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে। এই কাজ এখন অনেক সহজ হয়েছে এআই টুলের মাধ্যমে।
প্রথমে চাকরির বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে সেটি চ্যাটজিপিটি, কপি.এআই, জ্যাসপার বা কিকরেজিউমের মতো এআই টুলে দিন। এ টুলগুলো বিজ্ঞাপনের বিবরণ বিশ্লেষণ করে বুঝে নেয় নিয়োগদাতা কোন ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা খুঁজছে।
এরপর আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন নাম, পজিশনের নাম, আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কেন আপনি এই পজিশনে উপযুক্ত বলে মনে করেন, তা-ও দিয়ে দিন।
কাভার লেটার তৈরির পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি যেন আপনার সিভির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এ জন্য সব তথ্য যাচাই করুন। প্রয়োজন হলে নিজের মতো করে কিছু বাক্য পরিবর্তন করুন, যাতে এটি আরও স্বাভাবিক দেখায়।
ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে এআই
ইন্টারভিউর প্রস্তুতির জন্য এখন এআই টুল ব্যবহার করে বাস্তবমুখী অনুশীলন, ফিডব্যাক ও উন্নতির সুযোগ পাওয়া যায়।
ইন্টারভিউর ধরন বুঝে এআই আপনাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। যেমন গুগল ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ বা প্রাম্পের মতো টুলে আপনার পছন্দের জব রোল সিলেক্ট করলে সেগুলো প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে শুরু করবে। আপনি উত্তর দিলে এআই আপনার উত্তর রেকর্ড করে কোথায় উন্নতি দরকার, তা জানিয়ে দেবে।
এর আরেকটি সুবিধা হলো, এআই আপনার সিভি স্ক্যান করে সম্ভাব্য প্রশ্ন প্রস্তাব করে। যেমন যদি আপনার সিভিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা টেকনিক্যাল স্কিল লেখা থাকে, এআই বলে দেয় সেই অংশ নিয়ে নিয়োগদাতা কী প্রশ্ন করতে পারে এবং কীভাবে সেগুলোর উত্তর দেওয়া উচিত।
এআই দিয়ে মক ইন্টারভিউ শেষ করার পর প্র্যাকটিস রেকর্ডগুলো দেখে নিজের উন্নতির জায়গা খুঁজে বের করুন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
চাকরির প্রস্তুতিতে এআইয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অসাধারণ। কারণ, প্রতিদিন এই প্রযুক্তি আরও উন্নত ও কার্যকর হয়ে উঠছে। বর্তমানে যেভাবে এআই সিভি তৈরি, কাভার লেটার লেখা বা ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে, ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা আরও নির্ভুল, দ্রুত ও ব্যক্তিগত হয়ে উঠবে।
আগামী কয়েক বছরে চাকরির প্রস্তুতিতে রিয়েল টাইম ভার্চুয়াল গাইড জনপ্রিয় হবে। কল্পনা করুন, আপনি কথা বলছেন আর একটি এআই সহকারী সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভাষা, টোন, এমনকি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিচ্ছে যে কীভাবে আপনার কথা আরও আত্মবিশ্বাসী শোনাবে, কিংবা কোথায় ভুল হচ্ছে। এই প্রযুক্তি বিশেষ করে মক ইন্টারভিউ ও প্রেজেন্টেশনের জন্য বিপ্লব ঘটাবে।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে। সিভি লেখা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউর প্রস্তুতি—সবকিছুতেই এআইপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
সিভি তৈরিতে এআইয়ের ভূমিকা
ভালো সিভি লেখার জন্য এআই এখন সহজ সমাধান। তবে এটি ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে প্রথমে জানতে হবে, এতে সঠিকভাবে তথ্য ইনপুট দেওয়া এবং এআই থেকে পাওয়া সাজেশনগুলো কাজে লাগানোর নিয়ম।
প্রথম ধাপে রেজি, কিকরেজিউম, নভোরেজিউম বা চ্যাটজিপিটির মতো একটি এআই সিভি টুল বেছে নিন। সেখানে আপনার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর, লিংকডইন প্রোফাইল লিংক ইত্যাদি মৌলিক তথ্যগুলো দিন। এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য, প্রতিষ্ঠানের নাম, ডিগ্রি, বিভাগ, পাস করার সাল এবং যদি থাকে বিশেষ সাফল্য, তা উল্লেখ করুন।
দ্বিতীয় ধাপে আপনার কর্ম-অভিজ্ঞতা লিখুন। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের সময়কাল, পদবি এবং আপনার দায়িত্ব বা সাফল্যগুলো বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখুন। এখানে এআইকে সহায়তা করতে সঠিক তথ্য দিন, যাতে টুল এগুলোকে শক্তিশালী ভাষায় সাজাতে পারে। যেমন ‘হ্যান্ডেল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনস’ লেখার বদলে এআই সাজেশন দিতে পারে ‘প্ল্যান্ড অ্যান্ড এক্সিকিউটেড টার্গেটেড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন দ্যাট বুস্টেড সেলস বাই ২৫ শতাংশ।’
তৃতীয় ধাপে দক্ষতা বা স্কিলস অংশে আপনার টেকনিক্যাল ও সফট স্কিলস লিখুন। এআই সাধারণত চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড প্রস্তাব করবে।
এরপর প্রজেক্ট কিংবা সাফল্যের তালিকা দিন, যদি থাকে। একাডেমিক প্রজেক্ট, ইন্টার্নশিপ বা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর নাম, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং কী শিখেছেন, তা লিখুন।
সব তথ্য দেওয়ার পর এআই সিভি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন পরামর্শ দেবে। কোন অংশে ডেটা যোগ করা দরকার, কোথায় ভাষা আরও প্রফেশনাল করা যেতে পারে অথবা কোথায়
কি-ওয়ার্ড কম আছে। এই ফিডব্যাক দেখে সিভি আবার আপডেট করুন।
সিভি সাজানোর সময় খেয়াল রাখবেন, লে-আউট যেন পরিষ্কার ও সহজপাঠ্য হয়। আর এক পৃষ্ঠার সিভি রাখাই ভালো, তবে অভিজ্ঞতা বেশি হলে দুই পৃষ্ঠা হতে পারে। সবশেষে এআই দিয়ে প্রুফ রিড করিয়ে নিন। গ্রামারলি বা কুইলবটের মতো টুল ব্যাকরণগত ভুল ঠিক করে টোন পেশাদার করে তোলে।
![OEZAUA1-[Converted]](https://images.ajkerpatrika.com/images/OEZAUA1-Converted.width-800.jpg)
সিকাভার লেটার লেখায় এআই
কাভার লেটার চাকরির আবেদনে সিভির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি নিয়োগদাতার কাছে আপনাকে তুলে ধরে। সঠিকভাবে লেখা কাভার লেটার আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে। এই কাজ এখন অনেক সহজ হয়েছে এআই টুলের মাধ্যমে।
প্রথমে চাকরির বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে সেটি চ্যাটজিপিটি, কপি.এআই, জ্যাসপার বা কিকরেজিউমের মতো এআই টুলে দিন। এ টুলগুলো বিজ্ঞাপনের বিবরণ বিশ্লেষণ করে বুঝে নেয় নিয়োগদাতা কোন ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা খুঁজছে।
এরপর আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন নাম, পজিশনের নাম, আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কেন আপনি এই পজিশনে উপযুক্ত বলে মনে করেন, তা-ও দিয়ে দিন।
কাভার লেটার তৈরির পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি যেন আপনার সিভির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এ জন্য সব তথ্য যাচাই করুন। প্রয়োজন হলে নিজের মতো করে কিছু বাক্য পরিবর্তন করুন, যাতে এটি আরও স্বাভাবিক দেখায়।
ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে এআই
ইন্টারভিউর প্রস্তুতির জন্য এখন এআই টুল ব্যবহার করে বাস্তবমুখী অনুশীলন, ফিডব্যাক ও উন্নতির সুযোগ পাওয়া যায়।
ইন্টারভিউর ধরন বুঝে এআই আপনাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। যেমন গুগল ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ বা প্রাম্পের মতো টুলে আপনার পছন্দের জব রোল সিলেক্ট করলে সেগুলো প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে শুরু করবে। আপনি উত্তর দিলে এআই আপনার উত্তর রেকর্ড করে কোথায় উন্নতি দরকার, তা জানিয়ে দেবে।
এর আরেকটি সুবিধা হলো, এআই আপনার সিভি স্ক্যান করে সম্ভাব্য প্রশ্ন প্রস্তাব করে। যেমন যদি আপনার সিভিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা টেকনিক্যাল স্কিল লেখা থাকে, এআই বলে দেয় সেই অংশ নিয়ে নিয়োগদাতা কী প্রশ্ন করতে পারে এবং কীভাবে সেগুলোর উত্তর দেওয়া উচিত।
এআই দিয়ে মক ইন্টারভিউ শেষ করার পর প্র্যাকটিস রেকর্ডগুলো দেখে নিজের উন্নতির জায়গা খুঁজে বের করুন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
চাকরির প্রস্তুতিতে এআইয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অসাধারণ। কারণ, প্রতিদিন এই প্রযুক্তি আরও উন্নত ও কার্যকর হয়ে উঠছে। বর্তমানে যেভাবে এআই সিভি তৈরি, কাভার লেটার লেখা বা ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে, ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা আরও নির্ভুল, দ্রুত ও ব্যক্তিগত হয়ে উঠবে।
আগামী কয়েক বছরে চাকরির প্রস্তুতিতে রিয়েল টাইম ভার্চুয়াল গাইড জনপ্রিয় হবে। কল্পনা করুন, আপনি কথা বলছেন আর একটি এআই সহকারী সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভাষা, টোন, এমনকি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিচ্ছে যে কীভাবে আপনার কথা আরও আত্মবিশ্বাসী শোনাবে, কিংবা কোথায় ভুল হচ্ছে। এই প্রযুক্তি বিশেষ করে মক ইন্টারভিউ ও প্রেজেন্টেশনের জন্য বিপ্লব ঘটাবে।
পল্লব শাহরিয়ার

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে। সিভি লেখা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউর প্রস্তুতি—সবকিছুতেই এআইপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
সিভি তৈরিতে এআইয়ের ভূমিকা
ভালো সিভি লেখার জন্য এআই এখন সহজ সমাধান। তবে এটি ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে প্রথমে জানতে হবে, এতে সঠিকভাবে তথ্য ইনপুট দেওয়া এবং এআই থেকে পাওয়া সাজেশনগুলো কাজে লাগানোর নিয়ম।
প্রথম ধাপে রেজি, কিকরেজিউম, নভোরেজিউম বা চ্যাটজিপিটির মতো একটি এআই সিভি টুল বেছে নিন। সেখানে আপনার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর, লিংকডইন প্রোফাইল লিংক ইত্যাদি মৌলিক তথ্যগুলো দিন। এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য, প্রতিষ্ঠানের নাম, ডিগ্রি, বিভাগ, পাস করার সাল এবং যদি থাকে বিশেষ সাফল্য, তা উল্লেখ করুন।
দ্বিতীয় ধাপে আপনার কর্ম-অভিজ্ঞতা লিখুন। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের সময়কাল, পদবি এবং আপনার দায়িত্ব বা সাফল্যগুলো বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখুন। এখানে এআইকে সহায়তা করতে সঠিক তথ্য দিন, যাতে টুল এগুলোকে শক্তিশালী ভাষায় সাজাতে পারে। যেমন ‘হ্যান্ডেল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনস’ লেখার বদলে এআই সাজেশন দিতে পারে ‘প্ল্যান্ড অ্যান্ড এক্সিকিউটেড টার্গেটেড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন দ্যাট বুস্টেড সেলস বাই ২৫ শতাংশ।’
তৃতীয় ধাপে দক্ষতা বা স্কিলস অংশে আপনার টেকনিক্যাল ও সফট স্কিলস লিখুন। এআই সাধারণত চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড প্রস্তাব করবে।
এরপর প্রজেক্ট কিংবা সাফল্যের তালিকা দিন, যদি থাকে। একাডেমিক প্রজেক্ট, ইন্টার্নশিপ বা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর নাম, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং কী শিখেছেন, তা লিখুন।
সব তথ্য দেওয়ার পর এআই সিভি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন পরামর্শ দেবে। কোন অংশে ডেটা যোগ করা দরকার, কোথায় ভাষা আরও প্রফেশনাল করা যেতে পারে অথবা কোথায়
কি-ওয়ার্ড কম আছে। এই ফিডব্যাক দেখে সিভি আবার আপডেট করুন।
সিভি সাজানোর সময় খেয়াল রাখবেন, লে-আউট যেন পরিষ্কার ও সহজপাঠ্য হয়। আর এক পৃষ্ঠার সিভি রাখাই ভালো, তবে অভিজ্ঞতা বেশি হলে দুই পৃষ্ঠা হতে পারে। সবশেষে এআই দিয়ে প্রুফ রিড করিয়ে নিন। গ্রামারলি বা কুইলবটের মতো টুল ব্যাকরণগত ভুল ঠিক করে টোন পেশাদার করে তোলে।
![OEZAUA1-[Converted]](https://images.ajkerpatrika.com/images/OEZAUA1-Converted.width-800.jpg)
সিকাভার লেটার লেখায় এআই
কাভার লেটার চাকরির আবেদনে সিভির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি নিয়োগদাতার কাছে আপনাকে তুলে ধরে। সঠিকভাবে লেখা কাভার লেটার আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে। এই কাজ এখন অনেক সহজ হয়েছে এআই টুলের মাধ্যমে।
প্রথমে চাকরির বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে সেটি চ্যাটজিপিটি, কপি.এআই, জ্যাসপার বা কিকরেজিউমের মতো এআই টুলে দিন। এ টুলগুলো বিজ্ঞাপনের বিবরণ বিশ্লেষণ করে বুঝে নেয় নিয়োগদাতা কোন ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা খুঁজছে।
এরপর আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন নাম, পজিশনের নাম, আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কেন আপনি এই পজিশনে উপযুক্ত বলে মনে করেন, তা-ও দিয়ে দিন।
কাভার লেটার তৈরির পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি যেন আপনার সিভির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এ জন্য সব তথ্য যাচাই করুন। প্রয়োজন হলে নিজের মতো করে কিছু বাক্য পরিবর্তন করুন, যাতে এটি আরও স্বাভাবিক দেখায়।
ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে এআই
ইন্টারভিউর প্রস্তুতির জন্য এখন এআই টুল ব্যবহার করে বাস্তবমুখী অনুশীলন, ফিডব্যাক ও উন্নতির সুযোগ পাওয়া যায়।
ইন্টারভিউর ধরন বুঝে এআই আপনাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। যেমন গুগল ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ বা প্রাম্পের মতো টুলে আপনার পছন্দের জব রোল সিলেক্ট করলে সেগুলো প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে শুরু করবে। আপনি উত্তর দিলে এআই আপনার উত্তর রেকর্ড করে কোথায় উন্নতি দরকার, তা জানিয়ে দেবে।
এর আরেকটি সুবিধা হলো, এআই আপনার সিভি স্ক্যান করে সম্ভাব্য প্রশ্ন প্রস্তাব করে। যেমন যদি আপনার সিভিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা টেকনিক্যাল স্কিল লেখা থাকে, এআই বলে দেয় সেই অংশ নিয়ে নিয়োগদাতা কী প্রশ্ন করতে পারে এবং কীভাবে সেগুলোর উত্তর দেওয়া উচিত।
এআই দিয়ে মক ইন্টারভিউ শেষ করার পর প্র্যাকটিস রেকর্ডগুলো দেখে নিজের উন্নতির জায়গা খুঁজে বের করুন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
চাকরির প্রস্তুতিতে এআইয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অসাধারণ। কারণ, প্রতিদিন এই প্রযুক্তি আরও উন্নত ও কার্যকর হয়ে উঠছে। বর্তমানে যেভাবে এআই সিভি তৈরি, কাভার লেটার লেখা বা ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে, ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা আরও নির্ভুল, দ্রুত ও ব্যক্তিগত হয়ে উঠবে।
আগামী কয়েক বছরে চাকরির প্রস্তুতিতে রিয়েল টাইম ভার্চুয়াল গাইড জনপ্রিয় হবে। কল্পনা করুন, আপনি কথা বলছেন আর একটি এআই সহকারী সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভাষা, টোন, এমনকি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিচ্ছে যে কীভাবে আপনার কথা আরও আত্মবিশ্বাসী শোনাবে, কিংবা কোথায় ভুল হচ্ছে। এই প্রযুক্তি বিশেষ করে মক ইন্টারভিউ ও প্রেজেন্টেশনের জন্য বিপ্লব ঘটাবে।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে। সিভি লেখা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউর প্রস্তুতি—সবকিছুতেই এআইপ্রযুক্তি বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
সিভি তৈরিতে এআইয়ের ভূমিকা
ভালো সিভি লেখার জন্য এআই এখন সহজ সমাধান। তবে এটি ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে প্রথমে জানতে হবে, এতে সঠিকভাবে তথ্য ইনপুট দেওয়া এবং এআই থেকে পাওয়া সাজেশনগুলো কাজে লাগানোর নিয়ম।
প্রথম ধাপে রেজি, কিকরেজিউম, নভোরেজিউম বা চ্যাটজিপিটির মতো একটি এআই সিভি টুল বেছে নিন। সেখানে আপনার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, ই-মেইল, ফোন নম্বর, লিংকডইন প্রোফাইল লিংক ইত্যাদি মৌলিক তথ্যগুলো দিন। এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য, প্রতিষ্ঠানের নাম, ডিগ্রি, বিভাগ, পাস করার সাল এবং যদি থাকে বিশেষ সাফল্য, তা উল্লেখ করুন।
দ্বিতীয় ধাপে আপনার কর্ম-অভিজ্ঞতা লিখুন। কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের সময়কাল, পদবি এবং আপনার দায়িত্ব বা সাফল্যগুলো বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখুন। এখানে এআইকে সহায়তা করতে সঠিক তথ্য দিন, যাতে টুল এগুলোকে শক্তিশালী ভাষায় সাজাতে পারে। যেমন ‘হ্যান্ডেল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনস’ লেখার বদলে এআই সাজেশন দিতে পারে ‘প্ল্যান্ড অ্যান্ড এক্সিকিউটেড টার্গেটেড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন দ্যাট বুস্টেড সেলস বাই ২৫ শতাংশ।’
তৃতীয় ধাপে দক্ষতা বা স্কিলস অংশে আপনার টেকনিক্যাল ও সফট স্কিলস লিখুন। এআই সাধারণত চাকরির বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড প্রস্তাব করবে।
এরপর প্রজেক্ট কিংবা সাফল্যের তালিকা দিন, যদি থাকে। একাডেমিক প্রজেক্ট, ইন্টার্নশিপ বা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর নাম, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং কী শিখেছেন, তা লিখুন।
সব তথ্য দেওয়ার পর এআই সিভি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন পরামর্শ দেবে। কোন অংশে ডেটা যোগ করা দরকার, কোথায় ভাষা আরও প্রফেশনাল করা যেতে পারে অথবা কোথায়
কি-ওয়ার্ড কম আছে। এই ফিডব্যাক দেখে সিভি আবার আপডেট করুন।
সিভি সাজানোর সময় খেয়াল রাখবেন, লে-আউট যেন পরিষ্কার ও সহজপাঠ্য হয়। আর এক পৃষ্ঠার সিভি রাখাই ভালো, তবে অভিজ্ঞতা বেশি হলে দুই পৃষ্ঠা হতে পারে। সবশেষে এআই দিয়ে প্রুফ রিড করিয়ে নিন। গ্রামারলি বা কুইলবটের মতো টুল ব্যাকরণগত ভুল ঠিক করে টোন পেশাদার করে তোলে।
![OEZAUA1-[Converted]](https://images.ajkerpatrika.com/images/OEZAUA1-Converted.width-800.jpg)
সিকাভার লেটার লেখায় এআই
কাভার লেটার চাকরির আবেদনে সিভির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি নিয়োগদাতার কাছে আপনাকে তুলে ধরে। সঠিকভাবে লেখা কাভার লেটার আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে। এই কাজ এখন অনেক সহজ হয়েছে এআই টুলের মাধ্যমে।
প্রথমে চাকরির বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে সেটি চ্যাটজিপিটি, কপি.এআই, জ্যাসপার বা কিকরেজিউমের মতো এআই টুলে দিন। এ টুলগুলো বিজ্ঞাপনের বিবরণ বিশ্লেষণ করে বুঝে নেয় নিয়োগদাতা কোন ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা খুঁজছে।
এরপর আপনার সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন নাম, পজিশনের নাম, আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং কেন আপনি এই পজিশনে উপযুক্ত বলে মনে করেন, তা-ও দিয়ে দিন।
কাভার লেটার তৈরির পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি যেন আপনার সিভির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এ জন্য সব তথ্য যাচাই করুন। প্রয়োজন হলে নিজের মতো করে কিছু বাক্য পরিবর্তন করুন, যাতে এটি আরও স্বাভাবিক দেখায়।
ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে এআই
ইন্টারভিউর প্রস্তুতির জন্য এখন এআই টুল ব্যবহার করে বাস্তবমুখী অনুশীলন, ফিডব্যাক ও উন্নতির সুযোগ পাওয়া যায়।
ইন্টারভিউর ধরন বুঝে এআই আপনাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। যেমন গুগল ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ বা প্রাম্পের মতো টুলে আপনার পছন্দের জব রোল সিলেক্ট করলে সেগুলো প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে শুরু করবে। আপনি উত্তর দিলে এআই আপনার উত্তর রেকর্ড করে কোথায় উন্নতি দরকার, তা জানিয়ে দেবে।
এর আরেকটি সুবিধা হলো, এআই আপনার সিভি স্ক্যান করে সম্ভাব্য প্রশ্ন প্রস্তাব করে। যেমন যদি আপনার সিভিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা টেকনিক্যাল স্কিল লেখা থাকে, এআই বলে দেয় সেই অংশ নিয়ে নিয়োগদাতা কী প্রশ্ন করতে পারে এবং কীভাবে সেগুলোর উত্তর দেওয়া উচিত।
এআই দিয়ে মক ইন্টারভিউ শেষ করার পর প্র্যাকটিস রেকর্ডগুলো দেখে নিজের উন্নতির জায়গা খুঁজে বের করুন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
চাকরির প্রস্তুতিতে এআইয়ের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অসাধারণ। কারণ, প্রতিদিন এই প্রযুক্তি আরও উন্নত ও কার্যকর হয়ে উঠছে। বর্তমানে যেভাবে এআই সিভি তৈরি, কাভার লেটার লেখা বা ইন্টারভিউ প্রস্তুতিতে সাহায্য করছে, ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা আরও নির্ভুল, দ্রুত ও ব্যক্তিগত হয়ে উঠবে।
আগামী কয়েক বছরে চাকরির প্রস্তুতিতে রিয়েল টাইম ভার্চুয়াল গাইড জনপ্রিয় হবে। কল্পনা করুন, আপনি কথা বলছেন আর একটি এআই সহকারী সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভাষা, টোন, এমনকি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশ্লেষণ করে পরামর্শ দিচ্ছে যে কীভাবে আপনার কথা আরও আত্মবিশ্বাসী শোনাবে, কিংবা কোথায় ভুল হচ্ছে। এই প্রযুক্তি বিশেষ করে মক ইন্টারভিউ ও প্রেজেন্টেশনের জন্য বিপ্লব ঘটাবে।

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এ নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং। এই অত্যাধুনিক রেটিং ফোনটি পানির নিচে টানা ৬০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।
পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (mAh) টাইটান ব্যাটারি। এতে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ করার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ (Hz) অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিসপ্লেতে পরিণত করেছে। ফলে উজ্জ্বল আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত হবে।
পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে এআই এডিট জিনি এবং এআই আউটডোর মোডের সুবিধা থাকায় ছবি এডিটিং হবে আরও সহজ।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো ‘প্যারট পার্পল’ এবং ‘পিকক গ্রিন’—এই দুটি অনন্য রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে এসেছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ২০ হাজার ৯৯৯ টাকা; ৮ জিবি + ১২৮ জিবি, ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি, ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ক্রেতারা ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রিয়েলমি ব্র্যান্ড স্টোর ও অফিশিয়াল রিসেলার আউটলেট থেকে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো প্রি-বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রি-বুকিংকারীরা এক্সক্লুসিভ রিয়েলমি ব্যাগের সঙ্গে বাংলালিংকের বিশেষ অফারসহ আকর্ষণীয় উপহার পাবেন। এই উপহারগুলো ফার্স্ট-সেল চলাকালে ফোন সংগ্রহকারী ক্রেতাদের দেওয়া হবে এবং এটি সীমিত সময় ও শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য।

রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এ নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং। এই অত্যাধুনিক রেটিং ফোনটি পানির নিচে টানা ৬০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে সক্ষম।
পাশাপাশি ফোনটিতে রয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার (mAh) টাইটান ব্যাটারি। এতে ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং সুবিধাও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এটি দিয়ে অন্য ডিভাইসও চার্জ করার সুযোগ পাবেন।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ (Hz) অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এর ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস এটিকে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিসপ্লেতে পরিণত করেছে। ফলে উজ্জ্বল আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল নিশ্চিত হবে।
পারফরম্যান্সের জন্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। এতে এআই এডিট জিনি এবং এআই আউটডোর মোডের সুবিধা থাকায় ছবি এডিটিং হবে আরও সহজ।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো ‘প্যারট পার্পল’ এবং ‘পিকক গ্রিন’—এই দুটি অনন্য রঙের ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি তিনটি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে এসেছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি, ২০ হাজার ৯৯৯ টাকা; ৮ জিবি + ১২৮ জিবি, ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮ জিবি + ২৫৬ জিবি, ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ক্রেতারা ৫ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব রিয়েলমি ব্র্যান্ড স্টোর ও অফিশিয়াল রিসেলার আউটলেট থেকে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো প্রি-বুক করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রি-বুকিংকারীরা এক্সক্লুসিভ রিয়েলমি ব্যাগের সঙ্গে বাংলালিংকের বিশেষ অফারসহ আকর্ষণীয় উপহার পাবেন। এই উপহারগুলো ফার্স্ট-সেল চলাকালে ফোন সংগ্রহকারী ক্রেতাদের দেওয়া হবে এবং এটি সীমিত সময় ও শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে। এত দিন শিক্ষা ও জননীতির পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে মনোযোগ দিলেও, সিজিআই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত জীববিজ্ঞানে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ দম্পতি জানান, তাঁরা এখন তাদের জনহিতকর কাজ মূলত বায়োহাব ল্যাবগুলোর ওপর কেন্দ্রীভূত করবেন। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে আসছেন তাঁরা।
একই দিনে বায়োহাব ঘোষণা করেছে, তারা মানুষের রোগ বুঝতে এবং তার মোকাবিলা করার জন্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে দ্রুততর করতে ইভোলুশনারি স্কেল (EvolutionaryScale) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘যখন আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল এই শতাব্দীতে সমস্ত রোগ নিরাময় বা প্রতিরোধ করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করা। এআই-এর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন বিশ্বাস করি, এটি আরও দ্রুত সম্ভব হতে পারে। আমরা মনে করি বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করাই আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ক্ষেত্র। তাই পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য আমরা এআই-চালিত জীববিজ্ঞানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’
উল্লেখ্য, জাকারবার্গ ও চ্যান দম্পতি তাদের সম্পদের প্রায় অর্ধেক দান করার অঙ্গীকার করেছেন। এর পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
যদিও সিজিআই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষা, জননীতি এবং রোগ নিরাময়কে তাদের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে বর্তমানে মেটার মতোই সিজিআই তাদের পুরোনো লক্ষ্য থেকে সরে এসে এআই-এর দিকে ঝুঁকছে।
বলতে গেলে এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই ২০২৩ সালে শিক্ষা বিভাগে নিয়োজিত কয়েক ডজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় এবং শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত অনুদান পোর্টফোলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালে প্রিসিলা চ্যান কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ই-মেলে নিশ্চিত করেন, ‘যদিও সিজিআই শিক্ষামূলক কাজ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তবুও আমরা বুঝতে পারছি যে বিজ্ঞানই আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এবং বাজি, যা ভবিষ্যতেও তৈরি হবে।’
বায়োহাব তাদের সর্বশেষ উদ্যোগের অধীনে চারটি বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন ও কাজে লাগাতে এআই ব্যবহার।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বায়োহাব ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ হাজার জিপিইউ-তে উন্নীত করবে।
বায়োহাব আশা করছে, এই নতুন সিস্টেমে অগ্রগতি অর্জিত হলে, কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক দশকের আবিষ্কার সম্ভব হতে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপগুলো সম্মিলিতভাবে ‘অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান’-এর দ্বার উন্মোচন করবে।

মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে। এত দিন শিক্ষা ও জননীতির পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে মনোযোগ দিলেও, সিজিআই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত জীববিজ্ঞানে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ দম্পতি জানান, তাঁরা এখন তাদের জনহিতকর কাজ মূলত বায়োহাব ল্যাবগুলোর ওপর কেন্দ্রীভূত করবেন। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে আসছেন তাঁরা।
একই দিনে বায়োহাব ঘোষণা করেছে, তারা মানুষের রোগ বুঝতে এবং তার মোকাবিলা করার জন্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে দ্রুততর করতে ইভোলুশনারি স্কেল (EvolutionaryScale) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘যখন আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল এই শতাব্দীতে সমস্ত রোগ নিরাময় বা প্রতিরোধ করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করা। এআই-এর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন বিশ্বাস করি, এটি আরও দ্রুত সম্ভব হতে পারে। আমরা মনে করি বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করাই আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ক্ষেত্র। তাই পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য আমরা এআই-চালিত জীববিজ্ঞানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’
উল্লেখ্য, জাকারবার্গ ও চ্যান দম্পতি তাদের সম্পদের প্রায় অর্ধেক দান করার অঙ্গীকার করেছেন। এর পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
যদিও সিজিআই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষা, জননীতি এবং রোগ নিরাময়কে তাদের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে বর্তমানে মেটার মতোই সিজিআই তাদের পুরোনো লক্ষ্য থেকে সরে এসে এআই-এর দিকে ঝুঁকছে।
বলতে গেলে এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই ২০২৩ সালে শিক্ষা বিভাগে নিয়োজিত কয়েক ডজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় এবং শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত অনুদান পোর্টফোলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালে প্রিসিলা চ্যান কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ই-মেলে নিশ্চিত করেন, ‘যদিও সিজিআই শিক্ষামূলক কাজ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তবুও আমরা বুঝতে পারছি যে বিজ্ঞানই আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এবং বাজি, যা ভবিষ্যতেও তৈরি হবে।’
বায়োহাব তাদের সর্বশেষ উদ্যোগের অধীনে চারটি বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন ও কাজে লাগাতে এআই ব্যবহার।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বায়োহাব ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ হাজার জিপিইউ-তে উন্নীত করবে।
বায়োহাব আশা করছে, এই নতুন সিস্টেমে অগ্রগতি অর্জিত হলে, কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক দশকের আবিষ্কার সম্ভব হতে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপগুলো সম্মিলিতভাবে ‘অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান’-এর দ্বার উন্মোচন করবে।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।
এই প্রস্তাব পাসের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগির নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।
এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআইতে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।
আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। কারণ, এতে প্রস্তাব পাসের দিনের শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।
এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।
এই প্রস্তাব পাসের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগির নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।
এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআইতে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।
আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। কারণ, এতে প্রস্তাব পাসের দিনের শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।
ভিওএলটিই কী?
VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।
ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি
কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।
* দ্রুত কল সংযোগ
ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।
* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না
প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।
* ব্যাটারি ব্যয় কম
নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।
* অতিরিক্ত চার্জ নেই
ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।
কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?
ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম
পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।
🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন
মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।
Android:
Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।
iPhone:
Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON
🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং
SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)
🔷 সফটওয়্যার আপডেট
হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।
🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে
আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।
কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?
বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।
ভিওএলটিই কী?
VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।
অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।
ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি
কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।
* দ্রুত কল সংযোগ
ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।
* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না
প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।
* ব্যাটারি ব্যয় কম
নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।
* অতিরিক্ত চার্জ নেই
ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।
কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?
ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম
পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।
🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন
মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।
Android:
Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।
iPhone:
Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON
🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং
SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)
🔷 সফটওয়্যার আপডেট
হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।
🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে
আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।
কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?
বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন। ডিজিটাল যুগে শুধু দক্ষতাই নয়; সঠিকভাবে দক্ষতাগুলো উপস্থাপন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এ জায়গাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বিশাল সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে এনেছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। ‘ক্যাটাগরির প্রথম অফিশিয়াল ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টফোন’ সি৭৫-এর সাফল্যের পর এই নতুন ডিভাইসটিকে সেগমেন্টের সবচেয়ে বেশি ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লেযুক্ত ফোন হিসেবে বাজারে আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন-ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে