Ajker Patrika

দাতব্যের টাকা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঢালছেন জাকারবার্গ-চ্যান দম্পতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্ক জাকারবার্গ ও প্রিসিলা চ্যান। ছবি: সংগৃহীত
মার্ক জাকারবার্গ ও প্রিসিলা চ্যান। ছবি: সংগৃহীত

মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যানের প্রতিষ্ঠিত জনহিতকর সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজিআই) এখন লক্ষ্য পরিবর্তন করছে। এত দিন শিক্ষা ও জননীতির পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে মনোযোগ দিলেও, সিজিআই এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত জীববিজ্ঞানে তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার একটি ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ দম্পতি জানান, তাঁরা এখন তাদের জনহিতকর কাজ মূলত বায়োহাব ল্যাবগুলোর ওপর কেন্দ্রীভূত করবেন। ২০১৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে আসছেন তাঁরা।

একই দিনে বায়োহাব ঘোষণা করেছে, তারা মানুষের রোগ বুঝতে এবং তার মোকাবিলা করার জন্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে দ্রুততর করতে ইভোলুশনারি স্কেল (EvolutionaryScale) এর সঙ্গে অংশীদারত্ব করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘যখন আমরা শুরু করেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল এই শতাব্দীতে সমস্ত রোগ নিরাময় বা প্রতিরোধ করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করা। এআই-এর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন বিশ্বাস করি, এটি আরও দ্রুত সম্ভব হতে পারে। আমরা মনে করি বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করাই আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার ক্ষেত্র। তাই পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য আমরা এআই-চালিত জীববিজ্ঞানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’

উল্লেখ্য, জাকারবার্গ ও চ্যান দম্পতি তাদের সম্পদের প্রায় অর্ধেক দান করার অঙ্গীকার করেছেন। এর পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

যদিও সিজিআই ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষা, জননীতি এবং রোগ নিরাময়কে তাদের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে বর্তমানে মেটার মতোই সিজিআই তাদের পুরোনো লক্ষ্য থেকে সরে এসে এআই-এর দিকে ঝুঁকছে।

বলতে গেলে এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবেই ২০২৩ সালে শিক্ষা বিভাগে নিয়োজিত কয়েক ডজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় এবং শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত অনুদান পোর্টফোলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালে প্রিসিলা চ্যান কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ই-মেলে নিশ্চিত করেন, ‘যদিও সিজিআই শিক্ষামূলক কাজ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে, তবুও আমরা বুঝতে পারছি যে বিজ্ঞানই আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এবং বাজি, যা ভবিষ্যতেও তৈরি হবে।’

বায়োহাব তাদের সর্বশেষ উদ্যোগের অধীনে চারটি বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন ও কাজে লাগাতে এআই ব্যবহার।

এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বায়োহাব ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ হাজার জিপিইউ-তে উন্নীত করবে।

বায়োহাব আশা করছে, এই নতুন সিস্টেমে অগ্রগতি অর্জিত হলে, কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক দশকের আবিষ্কার সম্ভব হতে পারে। তাদের বিশ্বাস, এই পদক্ষেপগুলো সম্মিলিতভাবে ‘অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান’-এর দ্বার উন্মোচন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

এলাকার খবর
Loading...