ফিচার ডেস্ক
আজকের বিশ্বে প্রযুক্তি কেবল বিলাসিতা নয়; বরং নিত্যদিনের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা অদ্ভুত ও চমকপ্রদ। এই উদ্ভাবনগুলো মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও নিরাপদ করে তুলছে। এমনই কিছু ব্যতিক্রমী প্রযুক্তির খোঁজ রইল এখানে।
স্মার্ট স্ট্রিট লাইট
স্মার্ট স্ট্রিট লাইট এখন শহরের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবেও কাজ করছে। সেন্সর লাগানো এসব লাইট চলমান গাড়ি, পথচারী কিংবা বাইসাইকেল শনাক্ত করতে পারে এবং সে অনুযায়ী আলো জ্বলে বা নিভে যায়। কিছু লাইট আবার বাতাসের গুণমান, শব্দদূষণ
ও তাপমাত্রাও মাপতে পারে। এই প্রযুক্তির সুবিধা বিদ্যুৎ সাশ্রয়, জননিরাপত্তা বৃদ্ধি, পরিবেশের তথ্য সংগ্রহ। দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের বেশ কিছু শহরে স্মার্ট স্ট্রিট লাইট প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি
একসময় ভাবা যেত, বাড়ি বানাতে মাসের পর মাস লাগবেই। কিন্তু সেই ধারণা বদলে দিয়েছে প্রযুক্তি। থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি দিয়ে এখন পুরো বাড়ি বানানো যাচ্ছে মাত্র কয়েক দিনেই। বিশেষ ধরনের কংক্রিট দিয়ে বাড়ির কাঠামো ধাপে ধাপে তোলা হয়। এই ধরনের বাড়ি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে।
স্মার্ট টয়লেট
চীনের কিছু শহরে এমন টয়লেট বসানো হয়েছে, যা ব্যবহারকারীর মূত্র থেকে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা যায়। ডায়াবেটিস, প্রস্রাবে সংক্রমণ
বা পানিশূন্যতার লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে এই টয়লেট। এটি হ্যান্ড ফ্রি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার হয় এবং পানিও সাশ্রয় করে। চীন ছাড়াও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
স্মার্ট হিটিং ও কুলিং সিস্টেম
শীতপ্রধান দেশের জন্য ঘর গরম রাখা যেমন জরুরি, তেমনি গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব বাড়িতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্মার্ট হিটিং ও কুলিং সিস্টেম—বিশেষভাবে স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট।
এই প্রযুক্তি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের উপস্থিতি, বাইরের আবহাওয়া ও সময়ের ভিত্তিতে। গবেষণায় দেখা গেছে, এমন প্রযুক্তি ব্যবহারে গড়পড়তা বিদ্যুৎ খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও কানাডার মতো শীতল আবহাওয়ার দেশগুলোতে এই স্মার্ট ব্যবস্থা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সোলার রোড ওয়ে
রাস্তাই এখন বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। এই রাস্তা বানানো হয় বিশেষ ধরনের সোলার প্যানেল দিয়ে, যা গাড়ির ওজন সহজে সহ্য করতে পারে। রোদের আলো থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ তৈরি হয়, যা ব্যবহৃত হয় রাস্তায় আলো জ্বালাতে, ট্রাফিক সিগন্যালে, এমনকি গাড়ি চার্জ দিতেও। এখনো অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও চীনের কিছু এলাকায় এই সোলার রোড সফলভাবে চালু হয়েছে।
রেইনফরেস্ট মনিটরিং ড্রোন
বিশাল রেইনফরেস্টে কোথায় আগুন লেগেছে, কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে—সব সময় সেগুলো চোখে দেখা বা স্যাটেলাইট দিয়ে জানা সম্ভব হয় না। তাই এখন কাজে লাগানো হচ্ছে মনিটরিং ড্রোন। এগুলো আকাশ থেকে পুরো বন দ্রুত স্ক্যান করার মাধ্যমে অবৈধ কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। এই ড্রোনগুলো শুধু ছবি তোলে না, বরং সঠিক সময়ের তথ্য পাঠাতে পারে স্যাটেলাইটের চেয়ে বেশি দ্রুতগতিতে। এই প্রযুক্তি এখন ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও কঙ্গোর মতো রেইনফরেস্টে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি আমাদের বিভিন্ন কাজ খুব সহজ করে দিচ্ছে। সেটি এখন নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। তবে এসব অভিনব উদ্ভাবন বদলে দিচ্ছে পুরো সমাজ।
সূত্র: টাইম, দ্য গার্ডিয়ান ও কুরিয়ার মেইল
আজকের বিশ্বে প্রযুক্তি কেবল বিলাসিতা নয়; বরং নিত্যদিনের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা অদ্ভুত ও চমকপ্রদ। এই উদ্ভাবনগুলো মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও নিরাপদ করে তুলছে। এমনই কিছু ব্যতিক্রমী প্রযুক্তির খোঁজ রইল এখানে।
স্মার্ট স্ট্রিট লাইট
স্মার্ট স্ট্রিট লাইট এখন শহরের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবেও কাজ করছে। সেন্সর লাগানো এসব লাইট চলমান গাড়ি, পথচারী কিংবা বাইসাইকেল শনাক্ত করতে পারে এবং সে অনুযায়ী আলো জ্বলে বা নিভে যায়। কিছু লাইট আবার বাতাসের গুণমান, শব্দদূষণ
ও তাপমাত্রাও মাপতে পারে। এই প্রযুক্তির সুবিধা বিদ্যুৎ সাশ্রয়, জননিরাপত্তা বৃদ্ধি, পরিবেশের তথ্য সংগ্রহ। দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের বেশ কিছু শহরে স্মার্ট স্ট্রিট লাইট প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
থ্রিডি প্রিন্টেড বাড়ি
একসময় ভাবা যেত, বাড়ি বানাতে মাসের পর মাস লাগবেই। কিন্তু সেই ধারণা বদলে দিয়েছে প্রযুক্তি। থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি দিয়ে এখন পুরো বাড়ি বানানো যাচ্ছে মাত্র কয়েক দিনেই। বিশেষ ধরনের কংক্রিট দিয়ে বাড়ির কাঠামো ধাপে ধাপে তোলা হয়। এই ধরনের বাড়ি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে।
স্মার্ট টয়লেট
চীনের কিছু শহরে এমন টয়লেট বসানো হয়েছে, যা ব্যবহারকারীর মূত্র থেকে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা যায়। ডায়াবেটিস, প্রস্রাবে সংক্রমণ
বা পানিশূন্যতার লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে এই টয়লেট। এটি হ্যান্ড ফ্রি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার হয় এবং পানিও সাশ্রয় করে। চীন ছাড়াও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
স্মার্ট হিটিং ও কুলিং সিস্টেম
শীতপ্রধান দেশের জন্য ঘর গরম রাখা যেমন জরুরি, তেমনি গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এসব বাড়িতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্মার্ট হিটিং ও কুলিং সিস্টেম—বিশেষভাবে স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট।
এই প্রযুক্তি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের উপস্থিতি, বাইরের আবহাওয়া ও সময়ের ভিত্তিতে। গবেষণায় দেখা গেছে, এমন প্রযুক্তি ব্যবহারে গড়পড়তা বিদ্যুৎ খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও কানাডার মতো শীতল আবহাওয়ার দেশগুলোতে এই স্মার্ট ব্যবস্থা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সোলার রোড ওয়ে
রাস্তাই এখন বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। এই রাস্তা বানানো হয় বিশেষ ধরনের সোলার প্যানেল দিয়ে, যা গাড়ির ওজন সহজে সহ্য করতে পারে। রোদের আলো থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ তৈরি হয়, যা ব্যবহৃত হয় রাস্তায় আলো জ্বালাতে, ট্রাফিক সিগন্যালে, এমনকি গাড়ি চার্জ দিতেও। এখনো অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও চীনের কিছু এলাকায় এই সোলার রোড সফলভাবে চালু হয়েছে।
রেইনফরেস্ট মনিটরিং ড্রোন
বিশাল রেইনফরেস্টে কোথায় আগুন লেগেছে, কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে—সব সময় সেগুলো চোখে দেখা বা স্যাটেলাইট দিয়ে জানা সম্ভব হয় না। তাই এখন কাজে লাগানো হচ্ছে মনিটরিং ড্রোন। এগুলো আকাশ থেকে পুরো বন দ্রুত স্ক্যান করার মাধ্যমে অবৈধ কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। এই ড্রোনগুলো শুধু ছবি তোলে না, বরং সঠিক সময়ের তথ্য পাঠাতে পারে স্যাটেলাইটের চেয়ে বেশি দ্রুতগতিতে। এই প্রযুক্তি এখন ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও কঙ্গোর মতো রেইনফরেস্টে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি আমাদের বিভিন্ন কাজ খুব সহজ করে দিচ্ছে। সেটি এখন নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। তবে এসব অভিনব উদ্ভাবন বদলে দিচ্ছে পুরো সমাজ।
সূত্র: টাইম, দ্য গার্ডিয়ান ও কুরিয়ার মেইল
চীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৭ ঘণ্টা আগে