ভারতের প্রযুক্তি খাতে আগামী দুই থেকে তিন বছরে ১০ লাখেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই চাহিদা বাড়বে। তবে দেশটির সরকার প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি না করলে এই চাহিদা পূরণ হবে না বলে মনে করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো।
বেঙ্গালুরুভিত্তিক কোম্পানি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সংগীতা গুপ্তা বলেন, এআই, বড় বড় ডেটা বিশ্লেষণ ও সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিদ্যমান কর্মশক্তির অর্ধেকেরও বেশি মানুষের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। আর নতুন কলেজ গ্র্যাজুয়েটরা উন্নত প্রযুক্তির চাকরির মাত্র এক-চতুর্থাংশ পূরণ করবে।
গত সোমবার এক সাক্ষাৎকারে গুপ্তা বলেন, ‘নিয়োগের জন্য কর্মীদের যোগ্যতা থাকা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কাজ করতে হবে। কর্মীদের শুধু এককালীন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করলে প্রযুক্তি খাতের উন্নতি হবে না। দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের সঙ্গে খাপ খেয়ে চলতে হবে।’
ভারতের ২৫০ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার কোটি ডলারের প্রযুক্তি খাতটি দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাতে ৫৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন মূল্যের দেশজ পণ্যের প্রায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রযুক্তিসেবা থেকে আসে।
কর্মীদের দক্ষতা ও চাকরিতে তাদের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে অমিলের কারণে পদ পূরণে হিমশিম খাচ্ছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেডের (টিসিএস) মতো আইটি ব্যবসাগুলো। এ জন্য আন্তর্জাতিক বিজনেস মেশিন করপোরেশন ও অ্যাকচেঞ্চার পিএলসির মতো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ভারতের আইটি কোম্পানিগুলো।
গত মাসে টিসিএস বলেছে, দক্ষ কর্মীর অভাবে ৮০ হাজার পদ পূরণ করতে পারেনি কোম্পানিটি। এই বছরের মার্চে শেষ হওয়া কোম্পানিটির অর্থবছরে এআই-বিষয়ক প্রশিক্ষিত দ্বিগুণ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।
ভারতীয় বৃহত্তম প্রকৌশল ও নির্মাণ কোম্পানি হলো লারসেন ও টুব্রো লিমিটেড। গত জুন মাসে কোম্পানিটি জানায়, আইটি ও আইটি-বিষয়ক সেবা খাতে ২০ হাজার ইঞ্জিনিয়ারের ঘাটতি রয়েছে।
সংগীতা গুপ্তা আরও বলেন, ভারতের দক্ষ কর্মীর অভাবের মূলে নিহিত রয়েছে নিম্ন শ্রেণি থেকে উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা। কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট ব্যবহারিক বিষয়ে দক্ষ করে তোলে না, যা চাকরির বাজারের জন্য অপরিহার্য।
ভারতীয় বেসরকারি ব্যবসায়ী সমিতি ন্যাসকম বলেছে, ডিজিটাল প্রতিভার চাহিদা বর্তমানের ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৮ সালে প্রায় ২৯ শতাংশ হবে।
অর্থনীতিবিদ ও ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, দেশটির দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা অর্থনীতির বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করবে, যেখানে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বয়স ৩০ বছরের নিচে।
এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বলেন, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া নাগরিকদের চেয়ে উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতীদের বেকার থাকার সম্ভাবনা বেশি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভারতের প্রযুক্তি খাতে আগামী দুই থেকে তিন বছরে ১০ লাখেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই চাহিদা বাড়বে। তবে দেশটির সরকার প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি না করলে এই চাহিদা পূরণ হবে না বলে মনে করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো।
বেঙ্গালুরুভিত্তিক কোম্পানি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সংগীতা গুপ্তা বলেন, এআই, বড় বড় ডেটা বিশ্লেষণ ও সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিদ্যমান কর্মশক্তির অর্ধেকেরও বেশি মানুষের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। আর নতুন কলেজ গ্র্যাজুয়েটরা উন্নত প্রযুক্তির চাকরির মাত্র এক-চতুর্থাংশ পূরণ করবে।
গত সোমবার এক সাক্ষাৎকারে গুপ্তা বলেন, ‘নিয়োগের জন্য কর্মীদের যোগ্যতা থাকা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কাজ করতে হবে। কর্মীদের শুধু এককালীন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করলে প্রযুক্তি খাতের উন্নতি হবে না। দ্রুত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপের সঙ্গে খাপ খেয়ে চলতে হবে।’
ভারতের ২৫০ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার কোটি ডলারের প্রযুক্তি খাতটি দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাতে ৫৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন মূল্যের দেশজ পণ্যের প্রায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রযুক্তিসেবা থেকে আসে।
কর্মীদের দক্ষতা ও চাকরিতে তাদের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে অমিলের কারণে পদ পূরণে হিমশিম খাচ্ছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেডের (টিসিএস) মতো আইটি ব্যবসাগুলো। এ জন্য আন্তর্জাতিক বিজনেস মেশিন করপোরেশন ও অ্যাকচেঞ্চার পিএলসির মতো বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে ভারতের আইটি কোম্পানিগুলো।
গত মাসে টিসিএস বলেছে, দক্ষ কর্মীর অভাবে ৮০ হাজার পদ পূরণ করতে পারেনি কোম্পানিটি। এই বছরের মার্চে শেষ হওয়া কোম্পানিটির অর্থবছরে এআই-বিষয়ক প্রশিক্ষিত দ্বিগুণ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।
ভারতীয় বৃহত্তম প্রকৌশল ও নির্মাণ কোম্পানি হলো লারসেন ও টুব্রো লিমিটেড। গত জুন মাসে কোম্পানিটি জানায়, আইটি ও আইটি-বিষয়ক সেবা খাতে ২০ হাজার ইঞ্জিনিয়ারের ঘাটতি রয়েছে।
সংগীতা গুপ্তা আরও বলেন, ভারতের দক্ষ কর্মীর অভাবের মূলে নিহিত রয়েছে নিম্ন শ্রেণি থেকে উচ্চবিদ্যালয় পর্যন্ত দেশের দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা। কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট ব্যবহারিক বিষয়ে দক্ষ করে তোলে না, যা চাকরির বাজারের জন্য অপরিহার্য।
ভারতীয় বেসরকারি ব্যবসায়ী সমিতি ন্যাসকম বলেছে, ডিজিটাল প্রতিভার চাহিদা বর্তমানের ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৮ সালে প্রায় ২৯ শতাংশ হবে।
অর্থনীতিবিদ ও ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, দেশটির দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা অর্থনীতির বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করবে, যেখানে ১৪০ কোটি জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বয়স ৩০ বছরের নিচে।
এক প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বলেন, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া নাগরিকদের চেয়ে উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতীদের বেকার থাকার সম্ভাবনা বেশি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
চীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৭ ঘণ্টা আগে