Ajker Patrika

লেবাননে পেজার–ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু হতাহত, আপনার ফোন কি নিরাপদ

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২: ২৪
লেবাননে পেজার–ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে বহু হতাহত, আপনার ফোন কি নিরাপদ

লেবাননে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ সারা দুনিয়াতেই ভীতি ছড়িয়েছে। লেবাননজুড়ে একযোগে হাজারখানেক পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ জনের প্রাণহানি এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। অনেকে বলছেন, ডিভাইসগুলো হ্যাক করা হয়েছে। ফলে এই ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এটি কি তাহলে নতুন সাইবার যুদ্ধের আলামত— এমন প্রশ্নও উঠছে।

একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, একজন পুরুষ একটি মুদি দোকানে কেনাকাটা করছেন, তখন তাঁর কোমরে থাকা পেজার হঠাৎ বিস্ফোরিত হয় এবং তিনি মাটিতে ছিটকে পড়েন। চারপাশের লোকজন আতঙ্কে এদিক–সেদিক ছুটতে থাকে। 

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পেজার বা ওয়াকিটকির ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়ে এই বিস্ফোরক ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এটি স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে কিনা সেটি নিয়ে উদ্বেগ জোরালো হচ্ছে।

লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণগুলো নিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বহুল ব্যবহৃত লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ এই ব্যাটারি স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, পেজার হলো একটি ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যেটি স্থানীয় যোগাযোগে ব্যবহার করা হয়। এই ডিভাইস পকেটে রাখা যায়। আর কম দূরত্বে যোগাযোগের জন্য ওয়াকিটকির ব্যবহার সম্পর্কে প্রায় সবারই জানা থাকার কথা।

হ্যাকারেরা স্মার্টফোন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারবে কিনা
স্মার্টফোনের বিস্তৃত ব্যবহার এবং লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারির ওপর নির্ভরতা বিবেচনা করলে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে একই ধরনের আক্রমণের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও স্মার্টফোনে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মূলত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে স্মার্টফোনের তুলনায় পেজারকে বেশি সুরক্ষিত মনে করেছিল হিজবুল্লাহ। পেজারের বিশেষ হার্ডওয়্যারের কারণে এগুলো ট্র্যাক করা কঠিন এবং স্মার্টফোনের তুলনায় ডিজিটাল হ্যাকিংয়ের সুযোগ কম। তবে পেজার ও স্মার্টফোনে একই মৌলিক প্রযুক্তি—লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। 

লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারি বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয় করে এবং দ্রুত রিচার্জ করার ক্ষমতার জন্য স্মার্টফোনে ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহৃত হয়। তবে এর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। অতিরিক্ত তাপ, ওভারচার্জিং বা বাহ্যিক আঘাত ব্যাটারিগুলোকে অতিরিক্ত গরম করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে বিস্ফোরিত হতে পারে। উৎপাদন এবং নকশার ত্রুটির কারণে এই ঝুঁকি বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে স্যামসাং স্মার্টফোনের একটি মডেলের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা দেখা গেছে।

সাধারণত স্মার্টফোন বিস্ফোরিত হয় না। তবে দীর্ঘ সময় ব্যবহার, বাহ্যিক আঘাত ও ত্রুটিপূর্ণ হার্ডওয়্যারের কারণে স্মার্টফোন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। যদিও এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। 

হিজবুল্লাহর পেজার বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো আরও জটিল বিষয়। সম্ভবত উৎপাদনের সময়ই সেগুলোতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল এবং আগে থেকেই বিস্ফোরক উপাদান যুক্ত করা ছিল।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান গোল্ড অ্যাপোলো থেকে অর্ডার করা পেজারের একটি ব্যাচে বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছিল ইসরায়েল। যদিও গোল্ড অ্যাপোলো এসব প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দূর থেকে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য একটি সুইচ এতে যুক্ত করা হয়েছিল। স্মার্টফোনগুলোতে একই কৌশল ব্যবহার করতে হলে উৎপাদনের সময় এগুলোতে পরিবর্তন বা বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য সমন্বিত রেডিও সিগন্যাল বা একটি ইলেকট্রনিক পালসের মতো দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রয়োজন। 

তাত্ত্বিকভাবে এই ধারণা স্মার্টফোনগুলোতে প্রয়োগ করা যেতে পারে। স্মার্টফোনগুলোর জটিল সফটওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক সংযোগের কারণে এগুলো দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও সুযোগ পাওয়া যায়। বিশেষ করে যদি ডিভাইসের ফার্মওয়্যারে কোনো ত্রুটি থাকে। তবে এত বড় পরিসরে হামলা চালানো বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ স্মার্টফোনের ব্র্যান্ড, মডেল এবং সফটওয়্যার সিস্টেমগুলো অনেক ভিন্ন। আধুনিক স্মার্টফোনগুলোর বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থা একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্তর যোগ করে, যা এই ধরনের হামলা চালানো কঠিন করে তোলে।

স্মার্টফোন নিজে থেকেই বিস্ফোরিত হয় না। যদি হ্যাকারেরা ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ প্রবাহে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়, তবুও একসঙ্গে অনেক ফোন বিস্ফোরিত হবে না; একটি বা দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া। এর কারণ হলো—ফোনগুলোর মধ্যে এমন একটি সার্কিট রয়েছে যা তাপের অতিরিক্ত সরবরাহ হলে স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হয়। উদাহরণস্বরূপ: গরম আবহাওয়ায় বেশি তাপে আইফোন গরম হতে শুরু করলে এর চার্জিং ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। 

এ ছাড়া বর্তমানের অনেক স্মার্টফোনে উন্নত কুলিং চেম্বার ব্যবহার করা হয়, যা ডিভাইসে তৈরি হওয়া তাপকে দূর করতে সাহায্য করে। আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে প্রায়শই বাষ্প চেম্বার এবং গ্রাফাইট কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এসব প্রযুক্তি তাপকে সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এতে তরল বাষ্পীভূত এবং পুনরায় ঘনীভূত হয়ে স্মার্টফোনের তাপ কমায়। গ্রাফাইট স্তরগুলো স্মার্টফোনের প্রসেসরের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো থেকে তাপ দূর করতে সাহায্য করে। 

স্মার্টফোন যদি অত্যধিক তাপের সম্মুখীন হয়, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফোনটি বিস্ফোরিত হওয়ার পরিবর্তে কিছুটা গলতে পারে, যা ব্যাটারির ফুলে ওঠা বা ফুটো হওয়ার কারণ হয়। খুব কম ক্ষেত্রেই ফোন বিস্ফোরিত হয়। এমনকি যখন কারও ফোন বিস্ফোরণের খবর গণমাধ্যমে দেখা যায় সেখানে আসলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সামান্য আগুন ধরতে পারে, কিন্তু বিস্ফোরিত হয় না। 

একজন প্রাক্তন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, বিস্ফোরক ডিভাইসগুলোতে পাঁচটি প্রধান উপাদান থাকে—একটি কনটেইনার, ব্যাটারি, ট্রিগারিং ডিভাইস, ডেটোনেটর এবং বিস্ফোরক চার্জ। আর একটি পেজারে এর মধ্যে তিনটি উপাদানই উপস্থিত। বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরির জন্য শুধু ডেটোনেটর এবং চার্জ যুক্ত করতে হবে। 

অর্থাৎ স্মার্টফোনগুলো বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে নেই, যতক্ষণ না সেগুলোর হার্ডওয়্যার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হয় বা বিস্ফোরক উপাদান যুক্ত করা হয়। 

পেজার কী 
পেজারের অপর একটি নাম হলো—বিপার। এটি বেশ ছোট, সহজে বহনযোগ্য টেলিযোগাযোগ যন্ত্র, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিগন্যালের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তা, সংখ্যাসূচক বা আলফানিউমেরিক বার্তা আদান–প্রদানে ব্যবহৃত হয়। সেলফোন জনপ্রিয় হওয়ার আগে নব্বই দশকে পেজার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। সে সময় যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ছিল এটি। বিশেষ করে চিকিৎসক, সাংবাদিক, প্রযুক্তিবিদ এবং সিনেমা পরিচালকদের মতো পেশাদারদের কাছে এটি ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। এটির জন্য আলাদা কোনো নেটওয়ার্ক অবকাঠামোর প্রয়োজন হয় না। 

পেজার দিয়ে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়। তবে এর জন্য ব্যবহারকারীকে অবশ্য কিছুটা দক্ষ হতে হয়। এই যন্ত্রে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে একটি বার্তা পাঠানো হয়। পরে অপর প্রান্তে থাকা ব্যবহারকারী ডিভাইসটি থেকে আসা একটি স্বতন্ত্র বিপের মাধ্যমে বার্তা গ্রহণ করেন। কিন্তু বার্তায় কী বলা হয়েছে তা জানার জন্য ব্যবহারকারীকে অবশ্যই নিকটস্থ ল্যান্ডফোন সংযোগের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। 

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য ইকোনমিক টাইমস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সবচেয়ে বেশি বেতন–ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইলন মাস্ক। ছবি: প্যাট্রিক জর্জ
ইলন মাস্ক। ছবি: প্যাট্রিক জর্জ

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় করপোরেট বেতন–ভাতা প্যাকেজের অনুমোদন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা তাঁর জন্য প্রস্তাবিত বেতন–ভাতা প্যাকেজে ভোট দিয়ে সমর্থন জানান। এতে ৭৫ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডার অনুমোদন দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, টেক্সাসের অস্টিনে টেসলার কারখানায় বার্ষিক সাধারণ সভায় মঞ্চে ওঠেন মাস্ক। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিল নাচতে থাকা রোবটের দল। মাস্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। প্যাকেজ অনুযায়ী, আগামী এক দশকে তিনি সর্বোচ্চ ১ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের টেসলার শেয়ার পেতে পারেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার।

এই ভোট টেসলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্কের লক্ষ্য হলো অটোমেটেড বা স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রোবোট্যাক্সি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং মানবাকৃতির রোবট বিক্রি করা। তবে তাঁর ডানপন্থী রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে এ বছর টেসলার ব্র্যান্ড ইমেজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিচালনা পর্ষদ আগেই সতর্ক করেছিল—এই প্যাকেজ না পেলে মাস্ক কোম্পানি ছেড়ে দিতে পারেন। কিছু বিনিয়োগকারী একে অতি ব্যয়বহুল ও অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, মাস্ককে ধরে রাখতে এবং কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে উৎসাহ দিতে এটি জরুরি।

এই প্রস্তাব পাশের পর মাস্ক বলেন, ‘আমরা টেসলার ভবিষ্যতের নতুন অধ্যায়ে নয়, বরং এক নতুন অধ্যায়ের সূচনায় প্রবেশ করছি।’ তিনি মঞ্চে আরও কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এপ্রিল থেকেই দুই সিটের, স্টিয়ারিংহীন রোবোট্যাক্সি ‘সাইবারক্যাব’-এর উৎপাদন শুরু হবে। তিনি আরও জানান, শিগগিরই নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার ‘রোডস্টার’ উন্মোচন করা হবে।

এ ছাড়া টেসলাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরির জন্য একটি বিশাল কারখানা গড়তে হবে বলে জানান মাস্ক। এ ক্ষেত্রে ইন্টেলের সঙ্গে অংশীদারত্বের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শেয়ারহোল্ডাররা মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপ এক্সএআই–তে (xAI) টেসলার বিনিয়োগের পক্ষেও ভোট দিয়েছেন, যদিও অনেকেই বিরত থেকেছেন।

আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।

প্রতিটি ধাপ পূরণে মাস্ক পাবেন কোম্পানির ১ শতাংশ শেয়ার। ফলে সব লক্ষ্য পূরণ না হলেও তিনি কয়েক দশক ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার পেতে পারেন। যদি সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, মাস্ক ১২ শতাংশ শেয়ার পাবেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই শেয়ারগুলোর নিট মূল্য দাঁড়াবে ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার, কারণ এতে প্রস্তাব পাসের দিনকার শেয়ারের দাম ধরা হয়নি। মাস্ক চাইলে নগদ অর্থে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন, অথবা কম শেয়ার নিয়ে সেই পরিমাণ সমন্বয় করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোবাইল ফোনে ভিওএলটিই বা ভোল্টি প্রযুক্তি কী, এতে কী সুবিধা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপারেটরগুলো ভিওএলটিই বা ভোল্টি সেবা চালু করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য এটি নতুন একটি অভিজ্ঞতা—ভয়েস কল এখন সরাসরি ৪জি নেটওয়ার্ক দিয়ে করা যায়। ফলে ফোন কলের শব্দ শোনা যায় আরও স্পষ্ট, সংযোগ হয় আরও দ্রুত এবং একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় হাই-স্পিড ইন্টারনেট।

ভিওএলটিই কী?

VoLTE-এর পূর্ণরূপ Voice over LTE। সহজ ভাষায়—৪জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস কল করার প্রযুক্তি। সাধারণভাবে ৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কল এলে ফোনটি ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্কে ফিরে যায়, এতে কল সেটআপ সময় বেড়ে যায় এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ভিওএলটিই প্রযুক্তি ফোনকে একই সঙ্গে ৪জি নেটওয়ার্কে ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়।

অপারেটরদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কণ্ঠস্বরের মান অনেক উন্নত হয়, এইচডি ভয়েস শোনা যায়, কল ধরতে সময় কম লাগে এবং ইন্টারনেট গতি স্থির থাকে।

ভিওএলটিইর গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা

* এইচডি ভয়েস কোয়ালিটি

কলের সময় অপর প্রান্তের কণ্ঠস্বর হবে আরও পরিষ্কার ও ঝকঝকে—যেন একদম পাশেই কথা বলছেন।

* দ্রুত কল সংযোগ

ভিওএলটিই নেটওয়ার্কে কল সেটআপ সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, ফলে ফোন রিং বাজতে আর দেরি হয় না।

* ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ হয় না

প্রচলিত নেটওয়ার্কে কল এলে ইন্টারনেট গতিতে পতন ঘটে। ভিওএলটিইতে কল চলাকালীনও ৪জি ইন্টারনেট একই গতিতে ব্যবহার করা যায়—ভিডিও স্ট্রিমিং, ব্রাউজিং বা অ্যাপ ব্যবহারে কোনো বাধা পড়ে না।

* ব্যাটারি ব্যয় কম

নেটওয়ার্ক বারবার ৪জি থেকে ৩জি/২জি-তে স্যুইচ করতে হয় না, ফলে ব্যাটারির চাপ কমে।

* অতিরিক্ত চার্জ নেই

ভিওএলটিই ব্যবহার করলে কোনো অতিরিক্ত ডেটা চার্জ কাটা হয় না, কল চার্জ ঠিক আগের মতোই থাকবে।

কীভাবে ভিওএলটিই চালু করবেন?

ভিওএলটিই সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।

🔷 ৪জি/ইউএসআইএম (USIM) সিম

পুরোনো ২জি/৩জি সিমে ভিওএলটিই কাজ নাও করতে পারে। প্রয়োজন হলে অপারেটরের গ্রাহকসেবায় গিয়ে সিম আপগ্রেড করতে হবে।

🔷 ২. ভিওএলটিই সমর্থিত স্মার্টফোন

মোবাইল সেটিংসে গিয়ে নিশ্চিত করুন ভিওএলটিই অপশন আছে কি না।

Android:

Settings → Mobile Network / SIM & Network → VoLTE / 4G Calling অপশন চালু করুন।

iPhone:

Settings → Mobile Data → Mobile Data Options → Voice & Data → 4G, VoLTE ON

🔷 নেটওয়ার্ক মোডের সঠিক সেটিং

SIM slot with data → Preferred network type = 4G/3G/2G (Auto)

🔷 সফটওয়্যার আপডেট

হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকের দেওয়া সর্বশেষ সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা থাকতে হবে।

🔷 ভিওএলটিই কাভারেজে থাকতে হবে

আপনার অবস্থানে অপারেটরের ৪জি VoLTE কাভারেজ থাকতে হবে।

কোন অপারেটরের ভিওএলটিই আছে?

বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও টেলিটকের বেশিরভাগ এলাকায় ভিওএলটিই সেবা চালু হয়েছে। তবে মডেল ও এলাকার ভিত্তিতে সাপোর্ট ভিন্ন হতে পারে। ব্যবহারকারী চাইলে অপারেটরের অ্যাপ বা কল সেন্টারের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।

ভিওএলটিই বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। শুধু দ্রুত ইন্টারনেট নয়, এখন একই সঙ্গে উচ্চমানের ভয়েস কলও সম্ভব। স্মার্টফোনে অপশনটি সক্রিয় করলেই ব্যবহার করা যাবে। যে কেউ চাইলে অতিরিক্ত কোনো খরচ ছাড়াই এই আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ভাইব কোডিং’: কলিন্স ডিকশনারির বর্ষসেরা খেতাব পাওয়া শব্দগুচ্ছের অর্থ কী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ২৩
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

প্রোগ্রামিং শেখা ছাড়াই এখন যে কেউ নিজস্ব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন—এমনই এক নতুন ধারণা হলো ‘ভাইব কোডিং’। কলিন্স অভিধান (Collins Dictionary) ২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা হিসেবে এই শব্দগুচ্ছকে বেছে নিয়েছে।

তবে মজার বিষয় হলো, ভাইব কোডিং আসলে দুটি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি। এর অর্থ হলো—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং কোড না লিখেই কেবল কথার মাধ্যমে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা।

শব্দগুচ্ছটি প্রথম ব্যবহার করেন ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেই কারপাথি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ধারণাটি তুলে ধরেন, যাতে বোঝানো হয়—কীভাবে এআই প্রোগ্রামারদের কোড লেখার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ‘ভাইব’ বা অনুভূতির ভিত্তিতে প্রোগ্রাম তৈরির সুযোগ করে দেয়।

কলিন্সের মতে, ‘ভাইব কোডিং’ শব্দগুচ্ছটি ২০২৫ সালের প্রযুক্তি ও ভাষার বিকাশকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেক্স বিকরোফট বলেন, এই শব্দগুচ্ছ দেখায় যে—ভাষা ও প্রযুক্তি কীভাবে একসঙ্গে বিবর্তিত হচ্ছে।

এআই-নির্ভর এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীকে কেবল নির্দেশ দিতে হয়, যেমন—‘আমার জন্য এমন একটি অ্যাপ বানাও, যা আমার সাপ্তাহিক খাবারের সূচি তৈরি করবে।’ এরপর এআই নিজেই সেই অনুযায়ী কোড তৈরি করে অ্যাপ বানায়।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এটি এখনো নিখুঁত নয়—এআইয়ের তৈরি কোড সব সময় কার্যকর হবে বা ত্রুটিমুক্ত থাকবে—এমন নিশ্চয়তা নেই।

‘ভাইব কোডিং’ ছাড়া কলিন্স আরও ৯টি শব্দকে ২০২৫ সালের শর্টলিস্টে রেখেছিল, যেগুলো বছরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতা প্রতিফলিত করে। সেগুলো হলো—

Clanker (ক্ল্যাঙ্কার): ‘স্টার ওয়ার্স’ চলচ্চিত্র ও গেমে ব্যবহৃত রোবট বোঝাতে ব্যবহৃত একটি শব্দ। এটি ২০২৫ সালে টিকটকে ভাইরাল হয়, তখন ব্যবহারকারীরা এআই-চালিত যন্ত্রের ত্রুটিতে বিরক্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন।

Aura farming (অরা ফার্মিং): এমন আচরণ করা, যা শুধু ক্যামেরায় ‘কুল’ দেখাবে বলে মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করেন।

Broligarchy: ‘Bro’ ও ‘oligarchy’ মিলে তৈরি শব্দ, যা বিশ্বের বড় প্রযুক্তি কোম্পানির মালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতির পর শব্দটি ব্যাপক আলোচনায় আসে।

Biohacking (বায়োহ্যাকিং): শরীরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য ও আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা।

Coolcation (কুলকেশন): ঠান্ডা আবহাওয়ার দেশে ছুটি কাটানো।

Glaze: কাউকে অতিরিক্ত বা অযথা প্রশংসা করা।

Henry: ‘High Earner, Not Rich Yet’—অর্থাৎ, আয় বেশি হলেও এখনো ধনী নন, এমন ব্যক্তি।

Micro-retirement: চাকরির দুই পর্বের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নেওয়া ছোট বিরতি।

Taskmasking (টাস্কমাস্কিং): কর্মক্ষেত্রে কাজের ভান করা বা ব্যস্ত থাকার ছদ্মবেশ তৈরি করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি অপরাধের ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিল ইউটিউব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ থাকা ৭ শতাধিক ভিডিও মুছে দিয়েছে। এমনটাই জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট-এর প্রতিবেদন থেকে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

দ্য ইন্টারসেপ্ট বলেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) যেসব ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা এসব ভিডিও প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে—এ অজুহাতে ইউটিউব ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিয়েছে। তদন্তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তিনটি ফিলিস্তিনি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কারণ, এসব সংগঠন ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলায় আইসিসির সঙ্গে কাজ করছে।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সংগঠনগুলো হলো—আল-হক্ক, আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নৃশংসতার বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষিত নথি হারিয়ে গেছে। সেই ভিডিওগুলোতে ছিল ঘরবাড়ি ধ্বংস, সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নির্যাতনের সাক্ষ্য।

মুছে দেওয়া ভিডিওগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিস্তিনি–আমেরিকান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার তদন্তমূলক ফুটেজ এবং ‘দ্য বিচ’ নামের প্রামাণ্যচিত্র, যেখানে দেখানো হয়েছিল সমুদ্রের ধারে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুদের মৃত্যু।

ইউটিউব স্বীকার করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে তারা ‘বাণিজ্য ও রপ্তানি আইন’ মেনে ভিডিওগুলো সরিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ইউটিউবের এই পদক্ষেপ কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রচেষ্টাকেই সহায়তা করছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েলি অপরাধের প্রমাণ গোপন রাখা।

ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ-এর পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এই সংগঠনগুলোর তথ্য শেয়ার করা কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হতে পারে।’ আরেক মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস ইউটিউবের সিদ্ধান্তকে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে। আর আল-হক্ব জানিয়েছে, এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এক ‘ভয়ংকর পশ্চাৎপদতা।’

প্যালেস্টাইনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইউটিউবের পদক্ষেপ অপরাধীদের জবাবদিহি থেকে রক্ষা করছে। তারা গুগলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকারদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনেছে। আল-মিজান জানিয়েছে, তাদের চ্যানেল কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই মুছে দেওয়া হয়েছে। তিন সংগঠনই সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও একই ধরনের সেন্সরশিপ আসতে পারে, যাতে আরও অনেক যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ হারিয়ে যেতে পারে।

দ্য ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে, ইউটিউবের এই আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট। প্রো-ইসরায়েল ভিডিওগুলো বেশির ভাগই অক্ষত থাকলেও ফিলিস্তিনি বর্ণনা বা তথ্য নিয়মিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউটিউব সহজেই ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েল—দু’পক্ষের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।

এই দমন অভিযান শুরু হয় এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইসরায়েলি নেতাদের রক্ষা করতে তৎপর। কারণ, আইসিসি গাজার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির বিচারক ও আদালতের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এদিকে, গত ২৮ অক্টোবর উইকিপিডিয়ায় ‘গাজা গণহত্যা’ শিরোনামের পেজটি সম্পাদনা থেকে লক করে দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস হস্তক্ষেপ করেন। ওয়েলস ওই পেজটিকে ‘বিশেষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে দাবি করেন এবং বলেন, এটি ‘তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন’ করা দরকার, যাতে ‘নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রতিফলিত হয়।

তাঁর এই মন্তব্যের পর সম্পাদকেরা তাঁকে তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওয়েলস রাজনৈতিক চাপে নতি স্বীকার করেছেন এবং জাতিসংঘ ও একাডেমিক গবেষণায় যে প্রমাণে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা খর্ব করার চেষ্টা করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত