
একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার ও নিরাপত্তার আপডেট দেয় অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় ও প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই ব্যাটারির হেলথ পরীক্ষা করে দেখতে চান অনেকেই।
আইফোনে ব্যাটারির হেলথ খুব সহজেই দেখা যায়। ব্যাটারি হেলথ, চার্জ সাইকেল দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন কখন আইফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন করা উচিত।
আইফোন দুই বা তার অধিক ব্যবহার করলে ব্যাটারির হেলথ কমে যাওয়াই স্বাভাবিক। কেমিক্যাল এজিং বা রাসায়নিক বার্ধক্য এবং ব্যাটারিটি কতগুলো চার্জ সাইকেলের মধ্য দিয়ে গেছে এর ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারি হেলথ কমে যায়।
আইফোনের ব্যাটারি হেলথ দেখবেন যেভাবে
১. আইফোনের সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
২. নিচের দিকে স্ক্রল করে ব্যাটারি অপশন খুঁজে বের করুন ও এতে ট্যাপ করুন।
৩. এখন ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশন নির্বাচন করুন।
৪. ফোনের বর্তমান ব্যাটারি ক্যাপাসিটি পেজের একদম ওপরে দেখা যাবে।
আইফোনের ব্যাটারি বদলাবেন যখন
ফোনের কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাটারি ক্ষমতা ৮০ শতাংশে নিচে নেমে গেলে ব্যাটারি পরিবর্তন করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ব্যাটারি ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়ে আইফোনে সতর্কতা দেখানো হলে ও চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে গেলেও ব্যাটারি পরিবর্তনে কথা বিবেচনা করা উচিত।
ব্যাটারির হেলথের অবনতি হলে, অপ্রত্যাশিত ফোন বন্ধ হলে অথবা সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স বজায় রাখতে না পারলে ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশনে একটি সতর্কবার্তা দেখানো হবে।
অ্যাপল দাবি করে, আইফোনের ব্যাটারি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, এটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কাজ করলে, ৫০০ চার্জ সাইকেল বা ৫০০ বার সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়ার পর মূল ক্ষমতার ৮০ শতাংশ ধরে রাখবে। আর আইফোন ১৫ ডিভাইসের ক্ষেত্রে ১ হাজার চার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ হওয়া পরও ব্যাটারি ক্ষমতা ৮০ শতাংশ থাকবে।
ব্যাটারি হেলথ ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ‘পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট’ নামের ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করতে পারে আইফোন। ফিচারটি অপ্রত্যাশিত ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে।
আইফোনে ব্যাটারি হেলথের অবনতির সতর্কবার্তা দেখালে অ্যাপল স্টোর, অ্যাপল সেন্টার বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে পুরোনো ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে।
চার্জ সাইকেল কি
ব্যাটারি ক্ষমতা ১০০ শতাংশ পুরোপুরি একবার শেষ করলে তাকে একটি চার্জ সাইকেল বলে। তবে একবার চার্জ দিলেই একটি চার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ হয় না। ধরুন, আপনি একবার চার্জ দিয়ে ব্যাটারি ৭৫ শতাংশ ব্যাটারির শক্তি শেষ করলেন এবং এরপর আবার রাতে ফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ দিলেন। এখন পরের দিন ২৫ শতাংশ ব্যাটারি শক্তি শেষ করলে সব মিলিয়ে একটি চার্জ সাইকেল শেষ হবে। একদিন বা একাধিক দিনে একটি চার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: নাইনটুফাইভ ম্যাক

একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার ও নিরাপত্তার আপডেট দেয় অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় ও প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই ব্যাটারির হেলথ পরীক্ষা করে দেখতে চান অনেকেই।
আইফোনে ব্যাটারির হেলথ খুব সহজেই দেখা যায়। ব্যাটারি হেলথ, চার্জ সাইকেল দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন কখন আইফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন করা উচিত।
আইফোন দুই বা তার অধিক ব্যবহার করলে ব্যাটারির হেলথ কমে যাওয়াই স্বাভাবিক। কেমিক্যাল এজিং বা রাসায়নিক বার্ধক্য এবং ব্যাটারিটি কতগুলো চার্জ সাইকেলের মধ্য দিয়ে গেছে এর ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারি হেলথ কমে যায়।
আইফোনের ব্যাটারি হেলথ দেখবেন যেভাবে
১. আইফোনের সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
২. নিচের দিকে স্ক্রল করে ব্যাটারি অপশন খুঁজে বের করুন ও এতে ট্যাপ করুন।
৩. এখন ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশন নির্বাচন করুন।
৪. ফোনের বর্তমান ব্যাটারি ক্যাপাসিটি পেজের একদম ওপরে দেখা যাবে।
আইফোনের ব্যাটারি বদলাবেন যখন
ফোনের কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাটারি ক্ষমতা ৮০ শতাংশে নিচে নেমে গেলে ব্যাটারি পরিবর্তন করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ব্যাটারি ক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়ে আইফোনে সতর্কতা দেখানো হলে ও চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে গেলেও ব্যাটারি পরিবর্তনে কথা বিবেচনা করা উচিত।
ব্যাটারির হেলথের অবনতি হলে, অপ্রত্যাশিত ফোন বন্ধ হলে অথবা সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স বজায় রাখতে না পারলে ‘ব্যাটারি হেলথ অ্যান্ড চার্জিং’ অপশনে একটি সতর্কবার্তা দেখানো হবে।
অ্যাপল দাবি করে, আইফোনের ব্যাটারি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, এটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কাজ করলে, ৫০০ চার্জ সাইকেল বা ৫০০ বার সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়ার পর মূল ক্ষমতার ৮০ শতাংশ ধরে রাখবে। আর আইফোন ১৫ ডিভাইসের ক্ষেত্রে ১ হাজার চার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ হওয়া পরও ব্যাটারি ক্ষমতা ৮০ শতাংশ থাকবে।
ব্যাটারি হেলথ ৮০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ‘পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট’ নামের ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োগ করতে পারে আইফোন। ফিচারটি অপ্রত্যাশিত ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে।
আইফোনে ব্যাটারি হেলথের অবনতির সতর্কবার্তা দেখালে অ্যাপল স্টোর, অ্যাপল সেন্টার বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে পুরোনো ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে।
চার্জ সাইকেল কি
ব্যাটারি ক্ষমতা ১০০ শতাংশ পুরোপুরি একবার শেষ করলে তাকে একটি চার্জ সাইকেল বলে। তবে একবার চার্জ দিলেই একটি চার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ হয় না। ধরুন, আপনি একবার চার্জ দিয়ে ব্যাটারি ৭৫ শতাংশ ব্যাটারির শক্তি শেষ করলেন এবং এরপর আবার রাতে ফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ দিলেন। এখন পরের দিন ২৫ শতাংশ ব্যাটারি শক্তি শেষ করলে সব মিলিয়ে একটি চার্জ সাইকেল শেষ হবে। একদিন বা একাধিক দিনে একটি চার্জ সাইকেল সম্পূর্ণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: নাইনটুফাইভ ম্যাক

শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
৩ ঘণ্টা আগে
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৈনিক ৩০ মিনিটের বেশি সময় করলে শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে পারে।
৮ হাজারের বেশি শিশুর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। তাঁরা এ গবেষণায় স্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস এবং অ্যাটেনশন-ডেফিসিট/হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি)–সম্পর্কিত উপসর্গের সম্ভাব্য সংযোগ খতিয়ে দেখেছেন।
গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ৮ হাজার ৩২৪ শিশুকে চার বছর ধরে অনুসরণ করেন। এ সময় শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, টিভি বা ভিডিও দেখা এবং ভিডিও গেম খেলার গড় সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। দেখা যায়, একটি শিশু যেখানে ৯ বছর বয়সে দৈনিক প্রায় ৩০ মিনিট স্ক্রিনে চোখ রাখত, সে ১৩ বছর বয়সে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত স্ক্রিনে সময় ব্যয় করছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যে শিশুরা ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) বা মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করেছে, তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে অমনোযোগিতার উপসর্গ তৈরি হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৩ বছর নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও ৯ বছর বয়সে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দৈনিক গড় সময় ছিল প্রায় ৩০ মিনিট, যা ১৩ বছর বয়সে গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই ঘণ্টায়।
পিয়ার-রিভিউড জার্নাল পেডিয়াট্রিক্স ওপেন সায়েন্স–এ প্রকাশিত এই গবেষণায় টিভি দেখা বা ভিডিও গেম খেলার ক্ষেত্রে এমন ফলাফল উল্লেখ করা হয়নি।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নিউরোসায়েন্স বিভাগের কগনিটিভ নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক টরকেল ক্লিংবার্গ বলেন, ‘আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে নির্দিষ্টভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ও নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ক্রমাগত মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। এমনকি কোনো বার্তা এসেছে কি না, এই চিন্তাও মনোযোগ সরিয়ে দেয়। এটি মনোসংযোগ ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
পরিবারের আর্থসামাজিক পটভূমি বা এডিএইচডির প্রতি জিনগত প্রবণতা কোনোটিই এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি বলে জানান গবেষকেরা।
এ ছাড়া, যেসব শিশুর আগে থেকেই অমনোযোগিতার উপসর্গ ছিল, তারা বেশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে সম্পর্কটি ব্যবহার থেকে উপসর্গের দিকে যায়, উপসর্গ থেকে ব্যবহারের দিকে নয়।
গবেষণায় হাইপার অ্যাকটিভ বা আবেগপ্রবণ আচরণ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর প্রভাব সামান্য হলেও জনসংখ্যার বিস্তৃত পরিসরে এর প্রভাব লক্ষণীয় হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকেরা।

শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৈনিক ৩০ মিনিটের বেশি সময় করলে শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে পারে।
৮ হাজারের বেশি শিশুর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এক গবেষণায় এ তথ্য জানিয়েছে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। তাঁরা এ গবেষণায় স্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস এবং অ্যাটেনশন-ডেফিসিট/হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি)–সম্পর্কিত উপসর্গের সম্ভাব্য সংযোগ খতিয়ে দেখেছেন।
গবেষকেরা যুক্তরাষ্ট্রের ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ৮ হাজার ৩২৪ শিশুকে চার বছর ধরে অনুসরণ করেন। এ সময় শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, টিভি বা ভিডিও দেখা এবং ভিডিও গেম খেলার গড় সময় বিবেচনায় নেওয়া হয়। দেখা যায়, একটি শিশু যেখানে ৯ বছর বয়সে দৈনিক প্রায় ৩০ মিনিট স্ক্রিনে চোখ রাখত, সে ১৩ বছর বয়সে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত স্ক্রিনে সময় ব্যয় করছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যে শিশুরা ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) বা মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করেছে, তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে অমনোযোগিতার উপসর্গ তৈরি হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৩ বছর নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও ৯ বছর বয়সে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের দৈনিক গড় সময় ছিল প্রায় ৩০ মিনিট, যা ১৩ বছর বয়সে গিয়ে দাঁড়ায় আড়াই ঘণ্টায়।
পিয়ার-রিভিউড জার্নাল পেডিয়াট্রিক্স ওপেন সায়েন্স–এ প্রকাশিত এই গবেষণায় টিভি দেখা বা ভিডিও গেম খেলার ক্ষেত্রে এমন ফলাফল উল্লেখ করা হয়নি।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নিউরোসায়েন্স বিভাগের কগনিটিভ নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক টরকেল ক্লিংবার্গ বলেন, ‘আমাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে নির্দিষ্টভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ও নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ক্রমাগত মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। এমনকি কোনো বার্তা এসেছে কি না, এই চিন্তাও মনোযোগ সরিয়ে দেয়। এটি মনোসংযোগ ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
পরিবারের আর্থসামাজিক পটভূমি বা এডিএইচডির প্রতি জিনগত প্রবণতা কোনোটিই এই সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি বলে জানান গবেষকেরা।
এ ছাড়া, যেসব শিশুর আগে থেকেই অমনোযোগিতার উপসর্গ ছিল, তারা বেশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে সম্পর্কটি ব্যবহার থেকে উপসর্গের দিকে যায়, উপসর্গ থেকে ব্যবহারের দিকে নয়।
গবেষণায় হাইপার অ্যাকটিভ বা আবেগপ্রবণ আচরণ বৃদ্ধির কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর প্রভাব সামান্য হলেও জনসংখ্যার বিস্তৃত পরিসরে এর প্রভাব লক্ষণীয় হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকেরা।

একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার ও নিরাপত্তার আপডেট দেয় অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় ও প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই ব
০৯ আগস্ট ২০২৪
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো। এই অনুমোদনের ফলে এনভিডিয়া শত শত কোটি ডলারের ব্যবসা করার সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসন এনভিডিয়ার সবচেয়ে উন্নত চিপ চীনে বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
সোমবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি চীনের প্রেসিডেন্ট সি-কে জানিয়েছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এনভিডিয়াকে তার এইচ টু জিরো জিরো (H200) চিপ চীন এবং অন্যান্য দেশে অনুমোদিত গ্রাহকদের কাছে এই শর্তে পাঠানোর অনুমতি দেবে যে, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। প্রেসিডেন্ট সি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন!’
ট্রাম্প জানান, বাণিজ্য বিভাগ বর্তমানে এই চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ তৈরি করছে এবং অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি) এবং ইন্টেল-এর মতো অন্যান্য চিপ কোম্পানিগুলোর কাছেও তিনি একই প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এই চুক্তির সবচেয়ে অস্বাভাবিক দিক হলো, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী মার্কিন সরকার চিপ বিক্রি থেকে হওয়া আয়ের ২৫ শতাংশ ভাগ পাবে, যা এনভিডিয়ার সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনার মাধ্যমে সম্মত হওয়া ১৫ শতাংশের চেয়ে ঢের বেশি। অতীতেও ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লেনদেন থেকে ফেডারেল সরকারের আর্থিক অংশ নেওয়ার অনুরূপ অভিনব পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প।
এনভিডিয়ার H200 চিপগুলো এই কোম্পানির দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ শক্তিশালী চিপ এবং এটি H20 মডেলের চেয়ে অনেক উন্নত। উল্লেখ্য, H20 চিপটি চীনা বাজারের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন মডেল হিসেবে তৈরি করা হলেও গত এপ্রিলে সেটির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। ম্যাসাচুসেটস-এর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং নিউজার্সির অ্যান্ডি কিম বাণিজ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, চীনে এই চিপ বিক্রির ফলে সেই দেশের নজরদারি, সেন্সরশিপ এবং সামরিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে শক্তি জোগানোর ঝুঁকি রয়েছে।
সিনেটর ওয়ারেন সামাজিক মাধ্যমে এনভিডিয়ার সিইও হুয়াংকে কংগ্রেসের সামনে শপথের অধীনে সাক্ষ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন এবং একাধিকবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা বাজারে এনভিডিয়ার হিস্যা ৯৫ শতাংশ থেকে ০ শতাংশ-এ নেমে আসে। তিনি এই নিষেধাজ্ঞাকে বরাবরই ‘কৌশলগত ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এনভিডিয়া। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাণিজ্য বিভাগ কর্তৃক যাচাইকৃত অনুমোদিত বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে H200 চিপ সরবরাহ করার এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার জন্য একটি সুচিন্তিত ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ হয়েছে।’ এনভিডিয়া এবং ট্রাম্প উভয়েই দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান ও উৎপাদনকে সমর্থন করবে।
ট্রাম্প পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের কঠোর রপ্তানি নীতির নিন্দা করে বলেন, ‘সেই যুগ শেষ!’ তাঁর প্রশাসন সবসময় ‘আমেরিকাকে সর্বাগ্রে’ রাখবে।
এদিকে, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো এই ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে একজন টেলিকম শিল্প বিশ্লেষক মা জিহুয়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বছরের নিষেধাজ্ঞা চীনের দেশীয় চিপ শিল্পের উন্নতি ও সম্প্রসারণে একটি বিরল সুযোগ করে দিয়েছে।

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো। এই অনুমোদনের ফলে এনভিডিয়া শত শত কোটি ডলারের ব্যবসা করার সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসন এনভিডিয়ার সবচেয়ে উন্নত চিপ চীনে বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
সোমবার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি চীনের প্রেসিডেন্ট সি-কে জানিয়েছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এনভিডিয়াকে তার এইচ টু জিরো জিরো (H200) চিপ চীন এবং অন্যান্য দেশে অনুমোদিত গ্রাহকদের কাছে এই শর্তে পাঠানোর অনুমতি দেবে যে, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। প্রেসিডেন্ট সি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন!’
ট্রাম্প জানান, বাণিজ্য বিভাগ বর্তমানে এই চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ তৈরি করছে এবং অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি) এবং ইন্টেল-এর মতো অন্যান্য চিপ কোম্পানিগুলোর কাছেও তিনি একই প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
এই চুক্তির সবচেয়ে অস্বাভাবিক দিক হলো, ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী মার্কিন সরকার চিপ বিক্রি থেকে হওয়া আয়ের ২৫ শতাংশ ভাগ পাবে, যা এনভিডিয়ার সঙ্গে পূর্ববর্তী আলোচনার মাধ্যমে সম্মত হওয়া ১৫ শতাংশের চেয়ে ঢের বেশি। অতীতেও ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লেনদেন থেকে ফেডারেল সরকারের আর্থিক অংশ নেওয়ার অনুরূপ অভিনব পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প।
এনভিডিয়ার H200 চিপগুলো এই কোম্পানির দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ শক্তিশালী চিপ এবং এটি H20 মডেলের চেয়ে অনেক উন্নত। উল্লেখ্য, H20 চিপটি চীনা বাজারের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন মডেল হিসেবে তৈরি করা হলেও গত এপ্রিলে সেটির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। ম্যাসাচুসেটস-এর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং নিউজার্সির অ্যান্ডি কিম বাণিজ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তাঁদের উদ্বেগের কথা বলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা, চীনে এই চিপ বিক্রির ফলে সেই দেশের নজরদারি, সেন্সরশিপ এবং সামরিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে শক্তি জোগানোর ঝুঁকি রয়েছে।
সিনেটর ওয়ারেন সামাজিক মাধ্যমে এনভিডিয়ার সিইও হুয়াংকে কংগ্রেসের সামনে শপথের অধীনে সাক্ষ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন এবং একাধিকবার ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনা বাজারে এনভিডিয়ার হিস্যা ৯৫ শতাংশ থেকে ০ শতাংশ-এ নেমে আসে। তিনি এই নিষেধাজ্ঞাকে বরাবরই ‘কৌশলগত ভুল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এনভিডিয়া। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাণিজ্য বিভাগ কর্তৃক যাচাইকৃত অনুমোদিত বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে H200 চিপ সরবরাহ করার এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার জন্য একটি সুচিন্তিত ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ হয়েছে।’ এনভিডিয়া এবং ট্রাম্প উভয়েই দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান ও উৎপাদনকে সমর্থন করবে।
ট্রাম্প পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের কঠোর রপ্তানি নীতির নিন্দা করে বলেন, ‘সেই যুগ শেষ!’ তাঁর প্রশাসন সবসময় ‘আমেরিকাকে সর্বাগ্রে’ রাখবে।
এদিকে, চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো এই ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে একজন টেলিকম শিল্প বিশ্লেষক মা জিহুয়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বছরের নিষেধাজ্ঞা চীনের দেশীয় চিপ শিল্পের উন্নতি ও সম্প্রসারণে একটি বিরল সুযোগ করে দিয়েছে।

একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার ও নিরাপত্তার আপডেট দেয় অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় ও প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই ব
০৯ আগস্ট ২০২৪
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
৩ ঘণ্টা আগে
ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়। কিন্তু এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্থাটি দ্রুত সংশোধন করে জানিয়েছে, প্রদর্শিত সংখ্যাগুলো ভারতে স্টারলিংক পরিষেবার প্রকৃত মূল্য নয়।
দিনের শুরুতে স্টারলিংকের ভারতীয় ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের জন্য মাসিক পরিষেবা মূল্য ৮ হাজার ৬০০ রুপি এবং হার্ডওয়্যার কিটের দাম ৩৪ হাজার রুপি দেখানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে সেবা চালু করেছে। প্যাকেজ দুটি হলো, স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এর মধ্যে স্টারলিংক রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের মাসিক খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকা এবং রেসিডেনসিয়াল লাইট প্যাকেজের মাসিক খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে উভয় প্যাকেজের জন্যই গ্রাহকদের ৪৭ হাজার টাকা এককালীন যন্ত্রপাতির খরচ বহন করতে হবে। এই প্যাকেজগুলোতে কোনো প্রকার স্পিড অথবা ডেটা ব্যবহারের সীমা থাকছে না। গ্রাহকেরা ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন।
ভারতে ওই ঘটনার বিষয়ে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র ডিরেক্টর-স্টারলিংক বিজনেস অপারেশনস, লরেন ড্রেয়ার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে বলেন, ‘স্টারলিংকের ভারতীয় ওয়েবসাইট এখনো চালু হয়নি, গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য এখনো ঘোষণা করা হয়নি এবং আমরা ভারত থেকে কোনো অর্ডার নিচ্ছি না।’
তিনি আরও স্পষ্ট করে জানান, একটি কনফিগারেশন ত্রুটির কারণে পরীক্ষামূলক ডামি ডেটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়েছিল, কিন্তু এই সংখ্যাগুলো ভারতে স্টারলিংক পরিষেবার প্রকৃত খরচ প্রতিফলিত করে না। ত্রুটিটি দ্রুত ঠিক করা হয়েছে।
ড্রেয়ার আশা প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা দ্রুতগতিতে ভারতের মানুষের কাছে স্টারলিংকের উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে আগ্রহী। তাঁরা বর্তমানে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে মনোযোগ দিচ্ছেন, যাতে পরিষেবা (এবং ওয়েবসাইট) চালু করা যায়।
ভারতে পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি হিসেবে কোম্পানিটি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদগুলোর মধ্যে রয়েছে পেমেন্টস ম্যানেজার, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার, সিনিয়র ট্রেজারি অ্যানালিস্ট এবং ট্যাক্স ম্যানেজার।
স্টারলিংক বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর প্লাগ অ্যান্ড প্লে ইনস্টলেশন, ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশের বেশি আপটাইম, চরম বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কার্যকর থাকা এবং ডেটা ক্যাপ না থাকার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর জোর দিচ্ছে।
এর আগে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার স্টারলিংক স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি লেটার অব ইন্টেন্ট স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল মহারাষ্ট্রের গডচিরোলি, নন্দুরবার, ধারশিব এবং ওয়াশিমের মতো প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে সরকারি প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ বাসিন্দা এবং গুরুত্বপূর্ণ জন পরিকাঠামোতে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্থাপন করা।
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আশীষ শেলারের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এই অংশীদারত্বকে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করে স্টারলিংককে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়। কিন্তু এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংস্থাটি দ্রুত সংশোধন করে জানিয়েছে, প্রদর্শিত সংখ্যাগুলো ভারতে স্টারলিংক পরিষেবার প্রকৃত মূল্য নয়।
দিনের শুরুতে স্টারলিংকের ভারতীয় ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের জন্য মাসিক পরিষেবা মূল্য ৮ হাজার ৬০০ রুপি এবং হার্ডওয়্যার কিটের দাম ৩৪ হাজার রুপি দেখানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে সেবা চালু করেছে। প্যাকেজ দুটি হলো, স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এর মধ্যে স্টারলিংক রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের মাসিক খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকা এবং রেসিডেনসিয়াল লাইট প্যাকেজের মাসিক খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে উভয় প্যাকেজের জন্যই গ্রাহকদের ৪৭ হাজার টাকা এককালীন যন্ত্রপাতির খরচ বহন করতে হবে। এই প্যাকেজগুলোতে কোনো প্রকার স্পিড অথবা ডেটা ব্যবহারের সীমা থাকছে না। গ্রাহকেরা ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন।
ভারতে ওই ঘটনার বিষয়ে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সিনিয়র ডিরেক্টর-স্টারলিংক বিজনেস অপারেশনস, লরেন ড্রেয়ার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে বলেন, ‘স্টারলিংকের ভারতীয় ওয়েবসাইট এখনো চালু হয়নি, গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য এখনো ঘোষণা করা হয়নি এবং আমরা ভারত থেকে কোনো অর্ডার নিচ্ছি না।’
তিনি আরও স্পষ্ট করে জানান, একটি কনফিগারেশন ত্রুটির কারণে পরীক্ষামূলক ডামি ডেটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দৃশ্যমান হয়েছিল, কিন্তু এই সংখ্যাগুলো ভারতে স্টারলিংক পরিষেবার প্রকৃত খরচ প্রতিফলিত করে না। ত্রুটিটি দ্রুত ঠিক করা হয়েছে।
ড্রেয়ার আশা প্রকাশ করে বলেন, তাঁরা দ্রুতগতিতে ভারতের মানুষের কাছে স্টারলিংকের উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে আগ্রহী। তাঁরা বর্তমানে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে মনোযোগ দিচ্ছেন, যাতে পরিষেবা (এবং ওয়েবসাইট) চালু করা যায়।
ভারতে পরিষেবা শুরু করার প্রস্তুতি হিসেবে কোম্পানিটি সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই পদগুলোর মধ্যে রয়েছে পেমেন্টস ম্যানেজার, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজার, সিনিয়র ট্রেজারি অ্যানালিস্ট এবং ট্যাক্স ম্যানেজার।
স্টারলিংক বিশেষত প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর প্লাগ অ্যান্ড প্লে ইনস্টলেশন, ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশের বেশি আপটাইম, চরম বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কার্যকর থাকা এবং ডেটা ক্যাপ না থাকার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর জোর দিচ্ছে।
এর আগে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার স্টারলিংক স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি লেটার অব ইন্টেন্ট স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল মহারাষ্ট্রের গডচিরোলি, নন্দুরবার, ধারশিব এবং ওয়াশিমের মতো প্রত্যন্ত ও অনুন্নত অঞ্চলে সরকারি প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ বাসিন্দা এবং গুরুত্বপূর্ণ জন পরিকাঠামোতে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্থাপন করা।
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আশীষ শেলারের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এই অংশীদারত্বকে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উল্লেখ করে স্টারলিংককে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার ও নিরাপত্তার আপডেট দেয় অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় ও প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই ব
০৯ আগস্ট ২০২৪
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
৩ ঘণ্টা আগে
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ।
৮ ঘণ্টা আগেমো. আশিকুর রহমান

শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ। এ বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বিজ্ঞানপ্রিয়, অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা, হালকেনস্টাইন, শিখো এবং সায়েন্স বি। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়াতে ক্রমবর্ধমান অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে স্টার্টআপগুলো।
প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান, উদ্ভাবনী এবং উচ্চ সম্ভাবনাময় শিক্ষা-প্রযুক্তি উদ্যোগগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এই তালিকা প্রকাশ করে হোলন আইকিউ। তালিকায় সাধারণত সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা দেওয়া হয়, যাদের উদ্ভাবন সরাসরি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং ডিজিটাল রূপান্তরে বাস্তব প্রভাব ফেলছে।
হোলন আইকিউ জানায়, ২০২৫ সালের তালিকা তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান ও প্রভাবশালী শিক্ষা উদ্যোগগুলো শনাক্ত করা। এ জন্য তথ্যভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, হোলন আইকিউ ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গুণগত বিশ্লেষণ এবং আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নে ১০ বছরের বেশি পুরোনো উদ্যোগ এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন স্টার্টআপ বিবেচনা করা হয়নি।
বিজ্ঞানপ্রিয়
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা শাওন মাহমুদ ও সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার হিমেল প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’। এটি বর্তমানে ইন্টারনেটের অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম। এটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, শিশু-কিশোরদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল জাগানো এবং অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর চিন্তাধারা গড়ে তোলা। একটি ছোট ফেসবুক পেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বিজ্ঞানপ্রিয় আজ পৌঁছে গেছে ১৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে, যা বাংলাদেশে সপ্তম শ্রেণি থেকে স্নাতকের প্রথম বর্ষ পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্ল্যাটফর্মটি এ পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি গবেষণাধর্মী ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ৩৫০টির বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে এবং তাদের ফেসবুক গ্রুপে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে আড়াই লাখের বেশি আলোচনার আয়োজন হয়েছে।
প্রজেক্ট প্রাচি, ‘নেবুলা’ বিজ্ঞান ই-ম্যাগাজিন এবং হাতেকলমে শেখার নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানপ্রিয় দেশে গবেষণামুখী সংস্কৃতি গড়ে তোলা, এসটিইএম শিক্ষাকে জনপ্রিয় করা এবং বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সহজ এবং উপভোগ্য করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা
২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাসিবুল হোসেন রিফাত এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মো. ফাহিম আহমেদ শুরু করেন ‘অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা’র যাত্রা। এটি বাংলাদেশের প্রথম এবং বৃহত্তম মহাকাশবিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম। বাংলা ভাষায় অনলাইন-অফলাইন কোর্স, কর্মশালা, ওয়েবিনার এবং মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা স্পেস সায়েন্সকে আরও সহজ, আকর্ষণীয় এবং সবার জন্য সহজলভ্য করে তুলেছে। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্পেস সায়েন্স কারিকুলাম তৈরি এবং অল বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রয়েড সার্চ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান।

যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীরা নিজ হাতে আকাশে গ্রহাণু শনাক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে। ধারাবাহিক উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা প্রমাণ করছে, মহাকাশবিজ্ঞান শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বাংলাদেশের প্রত্যেক কৌতূহলী শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত এবং সম্ভাবনাময় এক দিক।

হালকেনস্টাইন
হালকেনস্টাইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আনাস ফেরদৌস এবং এস কে শামিউর রহমান। দুজনেই বুয়েটের শিক্ষার্থী। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে ২০১৯ সালে গড়ে ওঠে হালকেনস্টাইন, যা আজ দেশের অন্যতম শীর্ষ মাধ্যমিক স্তরের অ্যাডটেক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এর সেবার আওতায় ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলে সীমিত শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু হয় এই উদ্যোগ। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ইউটিউবে ফ্রি কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করে হালকেনস্টাইন।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ‘ইনফিনিটি স্কুলের’ মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বিত এবং সাশ্রয়ী শিক্ষা মডেল গড়ে তুলেছে। এনসিটিবি পাঠ্যবইয়ের সংক্ষিপ্ত ও পরিবেশবান্ধব মাস্টারবুক, অফলাইন অ্যাপ, এআইভিত্তিক টিউটর, অ্যানিমেটেড ভিডিও ক্লাস, মক টেস্ট—সব মিলিয়ে এটি একটি হাইব্রিড শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার বাইরেও মানসিক স্বাস্থ্য, পাবলিক স্পিকিং ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে জোর দিচ্ছে হালকেনস্টাইন।

শিখো
২০১৯ সালের ১ এপ্রিল শাহির চৌধুরী ও জিশান জাকারিয়া প্রতিষ্ঠা করেন ‘শিখো’। এটি বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। বাংলা ভাষায় লাইভ ক্লাস, অ্যানিমেটেড ভিডিও, সমৃদ্ধ প্রশ্নব্যাংক এবং এআইনির্ভর পারফরম্যান্স অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে শিখো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাযাত্রা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি শিখো এআই ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘এডুট্যাব’ ডিভাইসের মাধ্যমে দেশে হাইব্রিড লার্নিংয়ের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বহুব্রীহি অধিগ্রহণ এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিখো দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ আরও বিস্তৃত করছে। এখন পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পেয়ে শিখো বাংলাদেশের সর্বাধিক বিনিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সায়েন্স বি
২০১৮ সালে মবিন সিকদার, সাদিয়া বিনতে চৌধুরী ও অন্বয় দেবনাথ প্রতিষ্ঠা করেন ‘সায়েন্স বি’। এটি এখন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত কিংবা এসটিইএমভিত্তিক অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম। আজ প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিতভিত্তিক কনটেন্টের বড় ভান্ডার হিসেবে সায়েন্স বি নিয়মিত আয়োজন করছে অনলাইন কোর্স, কুইজ প্রতিযোগিতা, ই-বুক, বিজ্ঞান সংবাদ আপডেট এবং প্রশ্নোত্তর ফোরাম। পাশাপাশি আয়োজন করছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মশালা এবং জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টক শো ‘দ্য বি শো’, যা অফলাইন কার্যক্রমকে করেছে আরও শক্তিশালী।
২০২৩ সালে প্রথমবার হোলন আইকিউর দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেক তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল সায়েন্স বি। চলতি বছর দ্বিতীয়বার একই মর্যাদা অর্জন করার মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্মটি তার ধারাবাহিক প্রভাব ও উন্নয়ন আরও একবার প্রমাণ করেছে।

শিক্ষা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বৈশ্বিক প্রভাববিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হোলন আইকিউ। তাদের প্রকাশিত এ বছরের দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেকের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের পাঁচটি স্টার্টআপ। এ বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে বিজ্ঞানপ্রিয়, অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা, হালকেনস্টাইন, শিখো এবং সায়েন্স বি। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাড়াতে ক্রমবর্ধমান অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে স্টার্টআপগুলো।
প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান, উদ্ভাবনী এবং উচ্চ সম্ভাবনাময় শিক্ষা-প্রযুক্তি উদ্যোগগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এই তালিকা প্রকাশ করে হোলন আইকিউ। তালিকায় সাধারণত সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা দেওয়া হয়, যাদের উদ্ভাবন সরাসরি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং ডিজিটাল রূপান্তরে বাস্তব প্রভাব ফেলছে।
হোলন আইকিউ জানায়, ২০২৫ সালের তালিকা তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান ও প্রভাবশালী শিক্ষা উদ্যোগগুলো শনাক্ত করা। এ জন্য তথ্যভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা, হোলন আইকিউ ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গুণগত বিশ্লেষণ এবং আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নে ১০ বছরের বেশি পুরোনো উদ্যোগ এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন স্টার্টআপ বিবেচনা করা হয়নি।
বিজ্ঞানপ্রিয়
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা শাওন মাহমুদ ও সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার হিমেল প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’। এটি বর্তমানে ইন্টারনেটের অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম। এটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল, শিশু-কিশোরদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল জাগানো এবং অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর চিন্তাধারা গড়ে তোলা। একটি ছোট ফেসবুক পেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বিজ্ঞানপ্রিয় আজ পৌঁছে গেছে ১৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে, যা বাংলাদেশে সপ্তম শ্রেণি থেকে স্নাতকের প্রথম বর্ষ পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্ল্যাটফর্মটি এ পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি গবেষণাধর্মী ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ৩৫০টির বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে এবং তাদের ফেসবুক গ্রুপে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে আড়াই লাখের বেশি আলোচনার আয়োজন হয়েছে।
প্রজেক্ট প্রাচি, ‘নেবুলা’ বিজ্ঞান ই-ম্যাগাজিন এবং হাতেকলমে শেখার নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানপ্রিয় দেশে গবেষণামুখী সংস্কৃতি গড়ে তোলা, এসটিইএম শিক্ষাকে জনপ্রিয় করা এবং বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা সহজ এবং উপভোগ্য করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা
২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হাসিবুল হোসেন রিফাত এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মো. ফাহিম আহমেদ শুরু করেন ‘অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা’র যাত্রা। এটি বাংলাদেশের প্রথম এবং বৃহত্তম মহাকাশবিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম। বাংলা ভাষায় অনলাইন-অফলাইন কোর্স, কর্মশালা, ওয়েবিনার এবং মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা স্পেস সায়েন্সকে আরও সহজ, আকর্ষণীয় এবং সবার জন্য সহজলভ্য করে তুলেছে। বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্পেস সায়েন্স কারিকুলাম তৈরি এবং অল বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রয়েড সার্চ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান।

যেখানে স্কুলশিক্ষার্থীরা নিজ হাতে আকাশে গ্রহাণু শনাক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে। ধারাবাহিক উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোনমি পাঠশালা প্রমাণ করছে, মহাকাশবিজ্ঞান শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বাংলাদেশের প্রত্যেক কৌতূহলী শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত এবং সম্ভাবনাময় এক দিক।

হালকেনস্টাইন
হালকেনস্টাইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আনাস ফেরদৌস এবং এস কে শামিউর রহমান। দুজনেই বুয়েটের শিক্ষার্থী। তাঁদের যৌথ উদ্যোগে ২০১৯ সালে গড়ে ওঠে হালকেনস্টাইন, যা আজ দেশের অন্যতম শীর্ষ মাধ্যমিক স্তরের অ্যাডটেক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এর সেবার আওতায় ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। দিনাজপুরের গ্রামাঞ্চলে সীমিত শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু হয় এই উদ্যোগ। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ইউটিউবে ফ্রি কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করে হালকেনস্টাইন।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ‘ইনফিনিটি স্কুলের’ মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সমন্বিত এবং সাশ্রয়ী শিক্ষা মডেল গড়ে তুলেছে। এনসিটিবি পাঠ্যবইয়ের সংক্ষিপ্ত ও পরিবেশবান্ধব মাস্টারবুক, অফলাইন অ্যাপ, এআইভিত্তিক টিউটর, অ্যানিমেটেড ভিডিও ক্লাস, মক টেস্ট—সব মিলিয়ে এটি একটি হাইব্রিড শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার বাইরেও মানসিক স্বাস্থ্য, পাবলিক স্পিকিং ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে জোর দিচ্ছে হালকেনস্টাইন।

শিখো
২০১৯ সালের ১ এপ্রিল শাহির চৌধুরী ও জিশান জাকারিয়া প্রতিষ্ঠা করেন ‘শিখো’। এটি বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৩০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। বাংলা ভাষায় লাইভ ক্লাস, অ্যানিমেটেড ভিডিও, সমৃদ্ধ প্রশ্নব্যাংক এবং এআইনির্ভর পারফরম্যান্স অ্যানালিটিকসের মাধ্যমে শিখো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাযাত্রা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি শিখো এআই ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘এডুট্যাব’ ডিভাইসের মাধ্যমে দেশে হাইব্রিড লার্নিংয়ের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বহুব্রীহি অধিগ্রহণ এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিখো দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ আরও বিস্তৃত করছে। এখন পর্যন্ত ৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পেয়ে শিখো বাংলাদেশের সর্বাধিক বিনিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সায়েন্স বি
২০১৮ সালে মবিন সিকদার, সাদিয়া বিনতে চৌধুরী ও অন্বয় দেবনাথ প্রতিষ্ঠা করেন ‘সায়েন্স বি’। এটি এখন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিত কিংবা এসটিইএমভিত্তিক অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্ম। আজ প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিতভিত্তিক কনটেন্টের বড় ভান্ডার হিসেবে সায়েন্স বি নিয়মিত আয়োজন করছে অনলাইন কোর্স, কুইজ প্রতিযোগিতা, ই-বুক, বিজ্ঞান সংবাদ আপডেট এবং প্রশ্নোত্তর ফোরাম। পাশাপাশি আয়োজন করছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মশালা এবং জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টক শো ‘দ্য বি শো’, যা অফলাইন কার্যক্রমকে করেছে আরও শক্তিশালী।
২০২৩ সালে প্রথমবার হোলন আইকিউর দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ১০০ অ্যাডটেক তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল সায়েন্স বি। চলতি বছর দ্বিতীয়বার একই মর্যাদা অর্জন করার মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্মটি তার ধারাবাহিক প্রভাব ও উন্নয়ন আরও একবার প্রমাণ করেছে।

একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার ও নিরাপত্তার আপডেট দেয় অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় ও প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফোনের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই ব
০৯ আগস্ট ২০২৪
শিশু-কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে বাড়ছে সচেতনতা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যে আইন তৈরি করেছে যে ১৬ বছরের কম বয়সী কারও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এরপর আরও অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এদিকে এক গবেষণায় উঠে এসেছে...
৩ ঘণ্টা আগে
বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে এনভিডিয়াকে তাদের শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ চীনে বিক্রি করার অনুমতি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং এর সিইও জেনসেন হুয়াং-এর দীর্ঘদিনের হোয়াইট হাউস লবিং সফল হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংকের ভারতে পরিষেবা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সংস্থার স্থানীয় ওয়েবসাইটে কিছু ডেটা দৃশ্যমান হওয়ায় ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য পরিষেবা মূল্য প্রকাশিত হয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে