মো. আশিকুর রহমান
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এআই চলচ্চিত্র। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বিজ্ঞানভিত্তিক এডুটেক প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞানপ্রিয় নিয়ে এসেছে এআই নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র কিংবা শর্টফিল্ম ‘টাইম ট্রাভেল’।
৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের এই শর্টফিল্ম দেখার পর বোঝার কোনো উপায় নেই, এটি শতভাগ এআই নির্মিত।
‘টাইম ট্রাভেল’ শর্টফিল্মে মোট ৭৫টি স্বতন্ত্র দৃশ্য রয়েছে। প্রতিটি দৃশ্য বিভিন্ন এআই জেনারেটিভ টুল দিয়ে তৈরি। যেমন ভিইও থ্রি, ফ্লো, রানওয়ে এআই ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। চরিত্র, চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বর, সাউন্ড ইফেক্ট, এমনকি সম্পাদনার পুরো কাজটিও করা হয়েছে এআই দিয়ে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে কিছু নিখুঁত দিকনির্দেশনা, অর্থাৎ ‘প্রম্পট’।
শর্টফিল্মটিতে পারমাণবিক যুদ্ধ-পরবর্তী এক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে মানব সভ্যতা। পুরো গ্রহে কেবল একজন যুবক বেঁচে আছে। অধ্যাপক বাবার বুদ্ধিমত্তাতেই বেঁচে গিয়েছিল সে। কিন্তু সেই জীবন ছিল ক্ষণিকের জন্য। পারমাণবিক রেডিয়েশনে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল যুবকটিও। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ সবকিছু যেন বদলে দেয়। কে এল! সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য রহস্যই থেকে যায়। গল্পের শেষ অংশটি ফ্রেডরিক ব্রাউনের বিখ্যাত দুই বাক্যের ক্ষুদ্রতম গল্প ‘টাইম মেশিন’ থেকে অনুপ্রাণিত।
বিজ্ঞানপ্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা ও শর্টফিল্মের প্রযোজক শাওন মাহমুদ বলেন, ‘শর্টফিল্মটি ফেসবুকে আপলোড করার পর অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করেনি, এটি এআই তৈরি করেছে। এটাই এআই প্রযুক্তির সফলতা। গুগল ডিপমাইন্ডের ‘ভিইও থ্রি’ ফিচারটি চালু হয়েছে দুই মাসও হয়নি। আমরা ভাবিনি এত দ্রুত এত নির্ভুল ফল পাওয়া যাবে। এআই টুল ব্যবহার করে যাঁরা ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করছেন, আমরা সবাইকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমি বলব, এআই ব্যবহারে আমাদের আরও সৃজনশীল পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, গুগল ভিইও থ্রি চালু হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই বিজ্ঞানপ্রিয় প্রথম এআই নির্মিত বাংলা কনটেন্ট প্রকাশ শুরু করে। তারিখটি ছিল এ বছরের ৪ জুন। এর মধ্য দিয়ে দেশে এআই কনটেন্ট নির্মাণে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
বিজ্ঞানপ্রিয় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক এডুটেক প্ল্যাটফর্ম। ২০১৮ সালে শাওন মাহমুদ এটি প্রতিষ্ঠা করেন; একই সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক নেটওয়ার্ক। বিশ্বজুড়ে ১৫ লাখ বিজ্ঞানপ্রেমী বিজ্ঞানপ্রিয়র বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত রয়েছেন। বিজ্ঞানপ্রিয় এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের গবেষণার ওপর প্রায় ২৫ হাজার কনটেন্টসহ ৩৫০টির বেশি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে।
ডিজিটাল বিজ্ঞানশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য গত বছর আন্তর্জাতিক প্রিন্সেস ডায়ানা সম্মাননা পান শাওন মাহমুদ। ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানার স্মরণে ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। তা ছাড়া বিজ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়েটিভ স্টুডিওর জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট থেকে ‘ব্রাইটস্কিল ইমার্জিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’সহ একটি জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছেন শাওন মাহমুদ।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এআই চলচ্চিত্র। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বিজ্ঞানভিত্তিক এডুটেক প্ল্যাটফর্ম বিজ্ঞানপ্রিয় নিয়ে এসেছে এআই নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র কিংবা শর্টফিল্ম ‘টাইম ট্রাভেল’।
৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের এই শর্টফিল্ম দেখার পর বোঝার কোনো উপায় নেই, এটি শতভাগ এআই নির্মিত।
‘টাইম ট্রাভেল’ শর্টফিল্মে মোট ৭৫টি স্বতন্ত্র দৃশ্য রয়েছে। প্রতিটি দৃশ্য বিভিন্ন এআই জেনারেটিভ টুল দিয়ে তৈরি। যেমন ভিইও থ্রি, ফ্লো, রানওয়ে এআই ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। চরিত্র, চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে কণ্ঠস্বর, সাউন্ড ইফেক্ট, এমনকি সম্পাদনার পুরো কাজটিও করা হয়েছে এআই দিয়ে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে কিছু নিখুঁত দিকনির্দেশনা, অর্থাৎ ‘প্রম্পট’।
শর্টফিল্মটিতে পারমাণবিক যুদ্ধ-পরবর্তী এক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে মানব সভ্যতা। পুরো গ্রহে কেবল একজন যুবক বেঁচে আছে। অধ্যাপক বাবার বুদ্ধিমত্তাতেই বেঁচে গিয়েছিল সে। কিন্তু সেই জীবন ছিল ক্ষণিকের জন্য। পারমাণবিক রেডিয়েশনে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল যুবকটিও। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ সবকিছু যেন বদলে দেয়। কে এল! সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য রহস্যই থেকে যায়। গল্পের শেষ অংশটি ফ্রেডরিক ব্রাউনের বিখ্যাত দুই বাক্যের ক্ষুদ্রতম গল্প ‘টাইম মেশিন’ থেকে অনুপ্রাণিত।
বিজ্ঞানপ্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা ও শর্টফিল্মের প্রযোজক শাওন মাহমুদ বলেন, ‘শর্টফিল্মটি ফেসবুকে আপলোড করার পর অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করেনি, এটি এআই তৈরি করেছে। এটাই এআই প্রযুক্তির সফলতা। গুগল ডিপমাইন্ডের ‘ভিইও থ্রি’ ফিচারটি চালু হয়েছে দুই মাসও হয়নি। আমরা ভাবিনি এত দ্রুত এত নির্ভুল ফল পাওয়া যাবে। এআই টুল ব্যবহার করে যাঁরা ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করছেন, আমরা সবাইকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমি বলব, এআই ব্যবহারে আমাদের আরও সৃজনশীল পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, গুগল ভিইও থ্রি চালু হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই বিজ্ঞানপ্রিয় প্রথম এআই নির্মিত বাংলা কনটেন্ট প্রকাশ শুরু করে। তারিখটি ছিল এ বছরের ৪ জুন। এর মধ্য দিয়ে দেশে এআই কনটেন্ট নির্মাণে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
বিজ্ঞানপ্রিয় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক এডুটেক প্ল্যাটফর্ম। ২০১৮ সালে শাওন মাহমুদ এটি প্রতিষ্ঠা করেন; একই সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক নেটওয়ার্ক। বিশ্বজুড়ে ১৫ লাখ বিজ্ঞানপ্রেমী বিজ্ঞানপ্রিয়র বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত রয়েছেন। বিজ্ঞানপ্রিয় এ পর্যন্ত দেশ-বিদেশের গবেষণার ওপর প্রায় ২৫ হাজার কনটেন্টসহ ৩৫০টির বেশি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে।
ডিজিটাল বিজ্ঞানশিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য গত বছর আন্তর্জাতিক প্রিন্সেস ডায়ানা সম্মাননা পান শাওন মাহমুদ। ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানার স্মরণে ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। তা ছাড়া বিজ্ঞানভিত্তিক ক্রিয়েটিভ স্টুডিওর জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট থেকে ‘ব্রাইটস্কিল ইমার্জিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’সহ একটি জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছেন শাওন মাহমুদ।
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি, মোবাইল স্ট্রিট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিকো ইমেজিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর চীনের বেইজিংয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্বের ঘোষণা দেওয়া হবে।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘ভিশনএক্সন: এআই-পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসইডিইউ)।
১৬ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন—হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক) কোনো ব্যবহারকারীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
১ দিন আগেতথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
৪ দিন আগে