আজকের পত্রিকা ডেস্ক
হোটেল রুমে গোপনে ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ঘটনা দিনে দিনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে এখন এসব কাজ আরও সহজ হয়ে পড়েছে। কোথাও বেড়াতে যাওয়া, অফিস ট্যুরে থাকা কিংবা সাময়িকভাবে ভাড়া নেওয়া কোনো রুম—কোথাও যেন আর নিরাপদ বোধ করা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের এই প্রবণতা অনেককেই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তবে ভালো খবর হলো—এই গোপন নজরদারি ঠেকাতে খুব জটিল কোনো প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু সচেতনতা আর সামান্য কৌশল জানলেই আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোন বা সঙ্গে থাকা সাধারণ জিনিস দিয়েই অনেক কিছু করা সম্ভব।
হোটেল রুমে বা ভাড়া নেওয়া যেকোনো জায়গায় গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করার ৭টি কার্যকর উপায়—
১. চারপাশ খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন
প্রথমেই রুমে ঢুকে ভালোভাবে চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিন। ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র, দেয়ালঘড়ি, বৈদ্যুতিক সকেট, দেয়ালের ছবি বা ঘর সাজানোর জিনিস, সফট টয় (পুতুল) বা আয়নার মতো জিনিসের দিকে ভালোভাবে তাকান। কোনো কিছু যদি অস্বাভাবিক অবস্থানে থাকে বা ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্রের তুলনায় নতুন মনে হয়—তাহলে সেটা খুঁটিয়ে দেখা জরুরি।
২. অন্ধকারে টর্চলাইট ব্যবহার করুন
ঘরের সব আলো নিভিয়ে একটি টর্চ বা ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করুন। গোপন ক্যামেরার লেন্স সাধারণত আলো প্রতিফলন করে, তাই কোথাও ছোট্ট ঝিলিক বা আলোর প্রতিফলন দেখা গেলে সেটি ক্যামেরা হতে পারে। আয়না, বাতির হোল্ডার, দেয়ালের কোনা বা ঘড়ির ভেতরে ভালোভাবে আলো ফেলে খুঁজে দেখুন।
৩. ফোন ক্যামেরায় ইনফ্রারেড আলো খুঁজুন
অনেক গোপন ক্যামেরাই নাইট ভিশনের জন্য ইনফ্রারেড (আইআর) আলো ব্যবহার করে। অন্ধকার রুমে আপনার ফোনের ক্যামেরা চালু করে সন্দেহজনক স্থানের দিকে তাক করুন। যদি স্ক্রিনে ছোট ছোট জ্বলজ্বলে বিন্দুর মতো কিছু দেখা যায়, তাহলে সেখানে ইনফ্রারেড সোর্স থাকতে পারে, যা গোপন ক্যামেরার ইঙ্গিত দেয়।
৪. ওয়াইফাই বা নেটওয়ার্কে অচেনা ডিভাইস খুঁজুন
বেশির ভাগ গোপন ক্যামেরায় ওয়্যারলেস থাকে এবং আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকতে পারে। ফোনের ওয়াইফাই সেটিংসে গিয়ে দেখে নিন কোন কোন ডিভাইস সংযুক্ত আছে। কোনো অচেনা বা অদ্ভুত নামের ডিভাইস থাকলে সতর্ক হোন। চাইলে ‘ফিং’ (Fing) বা ‘নেটওয়ার্ক অ্যানালাইজার’-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই নেটওয়ার্ক স্ক্যান করতে পারেন।
৫. আরএফ সিগন্যাল ডিটেক্টর ব্যবহার করুন
কম দামে পাওয়া যায় এমন একটি রেডিও তরঙ্গ শনাক্তের যন্ত্র বা আরএফ সিগন্যাল ডিটেক্টর আপনার কাজে আসতে পারে। এই ডিভাইস দিয়ে রুম স্ক্যান করলে কোনো ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন থেকে রেডিও তরঙ্গ নির্গত হলে সেটি শনাক্ত করতে পারবে। ডিভাইসটি ক্যামেরার কাছাকাছি এলেই শব্দ বা আলো দিয়ে সংকেত দেবে।
৬. আয়নায় নখের ডগা দিয়ে পরীক্ষা করুন
গোপন ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার জন্য দ্বিমুখী আয়নাও ব্যবহৃত হয়। চেক করার জন্য আপনার আঙুলের ডগা আয়নার ওপর স্পর্শ করুন। যদি আঙুল আর তার প্রতিবিম্বের মাঝে সামান্য ফাঁক থাকে, তাহলে সেটা সাধারণ আয়না। তবে যদি কোনো ফাঁক না থাকে, অর্থাৎ সরাসরি সংযুক্ত দেখা যায়, তাহলে সেটা হতে পারে দ্বিমুখী আয়না, যার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যামেরা।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
হোটেল রুমে গোপনে ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারির ঘটনা দিনে দিনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে এখন এসব কাজ আরও সহজ হয়ে পড়েছে। কোথাও বেড়াতে যাওয়া, অফিস ট্যুরে থাকা কিংবা সাময়িকভাবে ভাড়া নেওয়া কোনো রুম—কোথাও যেন আর নিরাপদ বোধ করা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের এই প্রবণতা অনেককেই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তবে ভালো খবর হলো—এই গোপন নজরদারি ঠেকাতে খুব জটিল কোনো প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। শুধু কিছু সচেতনতা আর সামান্য কৌশল জানলেই আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোন বা সঙ্গে থাকা সাধারণ জিনিস দিয়েই অনেক কিছু করা সম্ভব।
হোটেল রুমে বা ভাড়া নেওয়া যেকোনো জায়গায় গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করার ৭টি কার্যকর উপায়—
১. চারপাশ খুব ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন
প্রথমেই রুমে ঢুকে ভালোভাবে চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিন। ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র, দেয়ালঘড়ি, বৈদ্যুতিক সকেট, দেয়ালের ছবি বা ঘর সাজানোর জিনিস, সফট টয় (পুতুল) বা আয়নার মতো জিনিসের দিকে ভালোভাবে তাকান। কোনো কিছু যদি অস্বাভাবিক অবস্থানে থাকে বা ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্রের তুলনায় নতুন মনে হয়—তাহলে সেটা খুঁটিয়ে দেখা জরুরি।
২. অন্ধকারে টর্চলাইট ব্যবহার করুন
ঘরের সব আলো নিভিয়ে একটি টর্চ বা ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করুন। গোপন ক্যামেরার লেন্স সাধারণত আলো প্রতিফলন করে, তাই কোথাও ছোট্ট ঝিলিক বা আলোর প্রতিফলন দেখা গেলে সেটি ক্যামেরা হতে পারে। আয়না, বাতির হোল্ডার, দেয়ালের কোনা বা ঘড়ির ভেতরে ভালোভাবে আলো ফেলে খুঁজে দেখুন।
৩. ফোন ক্যামেরায় ইনফ্রারেড আলো খুঁজুন
অনেক গোপন ক্যামেরাই নাইট ভিশনের জন্য ইনফ্রারেড (আইআর) আলো ব্যবহার করে। অন্ধকার রুমে আপনার ফোনের ক্যামেরা চালু করে সন্দেহজনক স্থানের দিকে তাক করুন। যদি স্ক্রিনে ছোট ছোট জ্বলজ্বলে বিন্দুর মতো কিছু দেখা যায়, তাহলে সেখানে ইনফ্রারেড সোর্স থাকতে পারে, যা গোপন ক্যামেরার ইঙ্গিত দেয়।
৪. ওয়াইফাই বা নেটওয়ার্কে অচেনা ডিভাইস খুঁজুন
বেশির ভাগ গোপন ক্যামেরায় ওয়্যারলেস থাকে এবং আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকতে পারে। ফোনের ওয়াইফাই সেটিংসে গিয়ে দেখে নিন কোন কোন ডিভাইস সংযুক্ত আছে। কোনো অচেনা বা অদ্ভুত নামের ডিভাইস থাকলে সতর্ক হোন। চাইলে ‘ফিং’ (Fing) বা ‘নেটওয়ার্ক অ্যানালাইজার’-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই নেটওয়ার্ক স্ক্যান করতে পারেন।
৫. আরএফ সিগন্যাল ডিটেক্টর ব্যবহার করুন
কম দামে পাওয়া যায় এমন একটি রেডিও তরঙ্গ শনাক্তের যন্ত্র বা আরএফ সিগন্যাল ডিটেক্টর আপনার কাজে আসতে পারে। এই ডিভাইস দিয়ে রুম স্ক্যান করলে কোনো ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন থেকে রেডিও তরঙ্গ নির্গত হলে সেটি শনাক্ত করতে পারবে। ডিভাইসটি ক্যামেরার কাছাকাছি এলেই শব্দ বা আলো দিয়ে সংকেত দেবে।
৬. আয়নায় নখের ডগা দিয়ে পরীক্ষা করুন
গোপন ক্যামেরা লুকিয়ে রাখার জন্য দ্বিমুখী আয়নাও ব্যবহৃত হয়। চেক করার জন্য আপনার আঙুলের ডগা আয়নার ওপর স্পর্শ করুন। যদি আঙুল আর তার প্রতিবিম্বের মাঝে সামান্য ফাঁক থাকে, তাহলে সেটা সাধারণ আয়না। তবে যদি কোনো ফাঁক না থাকে, অর্থাৎ সরাসরি সংযুক্ত দেখা যায়, তাহলে সেটা হতে পারে দ্বিমুখী আয়না, যার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যামেরা।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মার্কিন ম্যাগাজিন ‘ফরচুন’ ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল ২৫ বছর আগে। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘তিনি কি হতে যাচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি?’ একই সময়ে বিজনেস উইক ঘোষণা দিয়েছিল, ‘ল্যারি এলিসন আবারও কুল’—সিলিকন ভ্যালির ‘ব্যাড বয়’ বুঝি নিজের প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে আগামী প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হবে কী হবে তা জানিয়েছেন গুগলের শীর্ষ বিজ্ঞানী এবং ২০২৪ সালের নোবেলজয়ী ডেমিস হাসাবিস। তাঁর মতে, এই দক্ষতা হলো—শিক্ষণ পদ্ধতি রপ্ত করা।
৩ ঘণ্টা আগেচ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে একরাতও ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ওপেনএআই প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন উপস্থাপক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অল্টম্যান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এই প্রযুক্তির ক্ষুদ্র পরিবর্তনগুলোও বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবনে
৬ ঘণ্টা আগেচ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তিদের সহায়তা করতে না পারার বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। তাঁর ভাষায়, প্রতি সপ্তাহে হাজারখানেক মানুষ আত্মহত্যার আগে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেন—তাদের কাউকে যদি থামানো যেত, সেটাই এখন তাঁর বড় আফসোস।
৮ ঘণ্টা আগে