আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইনটেলসহ অন্যদের তৈরি সিলিকন প্রসেসরগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ দ্রুত কাজ করতে পারবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
গবেষকেরা জানান, এ ধরনের চিপগুলো ১০ শতাংশ কম শক্তি খরচ করবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নেচার জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিকিইউ) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক হাইলিন পেং বলেন, যদি বিদ্যমান উপকরণের ভিত্তিতে চিপ উদ্ভাবনকে ‘সোজা পথ’ বলা হয়, তবে ২ডি উপাদানভিত্তিক ট্রানজিস্টরের উন্নয়নটি ‘রাস্তা বদল’ করার মতো।
নতুন ধরনের সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর
গবেষকেরা যেটি তৈরি করেছেন, তা হলো গেট-অল-অ্যারাউন্ড ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টর (জিএএএফইটি)। পূর্ববর্তী ট্রানজিস্টর ডিজাইন যেমন: ফিন ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টরের (ফিনএফইটি) তুলনায় জিএএএফইটি ট্রানজিস্টর তিনটির বদলে চারদিকের গেট দিয়ে সোর্সগুলোকে মোড়ানো হয়।
ট্রানজিস্টর একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস, যা প্রতিটি কম্পিউটার চিপে থাকে। প্রতিটি ট্রানজিস্টরের সোর্স, গেট ও ড্রেন থাকে, যা ট্রানজিস্টরটিকে সুইচ হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
গেট হলো সেই উপাদান, যা সোর্স ও ড্রেনের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সুইচ ও অ্যামপ্লিফায়ারের ভূমিকা পালন করতে পারে। সোর্সের চারপাশে গেটটি পুরোপুরি মোড়ানো থাকলে পারফরম্যান্স ও কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
যদিও জিএএএফইটি আর্কিটেকচার নতুন নয়। তবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিল। কারণ তারা নতুন ধরনের সেমিকন্ডাক্টর হিসেবে বিসমাথ অক্সিসেলেনাইড ব্যবহার করেছেন। তারা এটিকে ‘আণবিকভাবে পাতলা’ ২ডি ট্রানজিস্টর তৈরি করতে ব্যবহার করেছেন।
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সুবিধা
২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টরটি সিলিকনের তুলনায় কম ভঙ্গুর এবং আরও নমনীয়। গবেষকেরা জানান, বিসমাথ উপাদানটি উচ্চ গতির বিদ্যুৎ চলাচলের জন্য উপযুক্ত এবং এর উচ্চ ডাইইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট (বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতা) ট্রানজিস্টরের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।
সিলিকনের তুলনায় বিসমাথে ইলেকট্রন খুব কম রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হয় এবং এটি তাদের চলাচলকে ত্বরান্বিত করে।
উন্নত ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকেরা ২ডি ট্রানজিস্টরটি তৈরি করে, যার পুরু ছিল মাত্র কয়েকটি আণবিক স্তর। এই অতিক্ষুদ্র কাঠামোটি ট্রানজিস্টরের আকার হ্রাস করে এবং ইলেকট্রনের বিচ্ছুরণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে দ্রুত সুইচিং স্পিড এবং কম শক্তি খরচ হয়।
যদি এই ট্রানজিস্টর এমন কোনো চিপে ব্যবহৃত হয়, যা ইনটেল এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি সিলিকন চিপগুলোর তুলনায় দ্রুত কাজ করে, তাহলে এটি চীনকে বর্তমান চিপ প্রসেসিং সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে গিয়ে একটি ভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে।
চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
যদিও বিসমাথ ট্রানজিস্টর চিপ তৈরিতে বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তবে এটি তৈরিতে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। বর্তমানে ২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টর তৈরি করতে অত্যন্ত বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি এবং কৌশল প্রয়োজন। এর ফলে প্রতিযোগিতামূলক খরচে এসব ডিভাইসের ব্যাপক উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য কাজ করছেন গবেষকেরা। তবে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হতে কয়েক বছর সময় নেবে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলোর বর্তমান সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তির সঙ্গে একীভূতকরণ। বর্তমান যুগের বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক ডিভাইস সিলিকন উপাদানের ওপর নির্মিত এবং বিসমাথের মতো নতুন কোনো উপাদানে স্থানান্তর করতে গেলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। তবে সিলিকন উপাদানগুলোর সঙ্গে বিসমাথ ট্রানজিস্টর ব্যবহারের জন্য হাইব্রিড পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে।
এসব চ্যালেঞ্জের পরেও বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সম্ভাবনা অগ্রাহ্য করার মতো নয়। বিসমাথ উপাদানটির বৈশিষ্ট্য আরও উন্নত করার এবং ট্রানজিস্টরের কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অন্য ২ডি উপাদানগুলোও পরীক্ষা করছেন, যা বিসমাথের সঙ্গে মিশ্রিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত ডিভাইস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রভাব
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের উন্নয়ন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি সফলভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, সিলিকনভিত্তিক বর্তমান বাজারকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেসব কোম্পানি বিসমাথ প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করবে, তারা একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন করবে।
চীনের জন্য বিসমাথ ট্রানজিস্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এটি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে চীনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দেশটিকে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং প্রযুক্তিশিল্পে একটি শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে চীন। বিসমাথ ট্রানজিস্টর প্রকল্পের সাফল্য এই প্রচেষ্টার কার্যকারিতার একটি প্রমাণ এবং এটি আগামী বছরগুলোতে আরও বৈপ্লবিক আবিষ্কারগুলোর জন্য পথ প্রশস্ত করতে পারে।
চীন যদি এই নতুন প্রযুক্তিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তবে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারে দেশটির একটি শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রকে এই শিল্পে বড় টেক্কা দিতে পারবে চীন।
ইলেকট্রনিকসের বাইরে: কোয়ান্টাম কম্পিউটিংসহ আরও অনেক কিছু বিসমাথ ট্রানজিস্টরের প্রভাব শুধু ঐতিহ্যবাহী ইলেকট্রনিকসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে একটি হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো কোয়ান্টাম মেকানিকস নীতির ওপর ভিত্তি করে জটিল গণনা সম্পন্ন করে এবং এর জন্য অত্যন্ত দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট উপাদানগুলোর প্রয়োজন হয়। বিসমাথের উচ্চ ইলেকট্রন গতিশীলতা এবং অনন্য বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য এটিকে কোয়ান্টাম ট্রানজিস্টরের জন্য একটি আদর্শ প্রার্থী করে তোলে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোর বাস্তবায়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে।
এ ছাড়া, বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলো পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু বিশ্ব ৬জি নেটওয়ার্ক এবং তার পরবর্তী প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি এবং কম শক্তি খরচযুক্ত ট্রানজিস্টরের চাহিদা বাড়বে। বিসমাথের টেরা-হার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করার ক্ষমতা এই উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত করবে।
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম ও লাইভ সায়েন্স
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইনটেলসহ অন্যদের তৈরি সিলিকন প্রসেসরগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ দ্রুত কাজ করতে পারবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
গবেষকেরা জানান, এ ধরনের চিপগুলো ১০ শতাংশ কম শক্তি খরচ করবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নেচার জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিকিইউ) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক হাইলিন পেং বলেন, যদি বিদ্যমান উপকরণের ভিত্তিতে চিপ উদ্ভাবনকে ‘সোজা পথ’ বলা হয়, তবে ২ডি উপাদানভিত্তিক ট্রানজিস্টরের উন্নয়নটি ‘রাস্তা বদল’ করার মতো।
নতুন ধরনের সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর
গবেষকেরা যেটি তৈরি করেছেন, তা হলো গেট-অল-অ্যারাউন্ড ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টর (জিএএএফইটি)। পূর্ববর্তী ট্রানজিস্টর ডিজাইন যেমন: ফিন ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টরের (ফিনএফইটি) তুলনায় জিএএএফইটি ট্রানজিস্টর তিনটির বদলে চারদিকের গেট দিয়ে সোর্সগুলোকে মোড়ানো হয়।
ট্রানজিস্টর একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস, যা প্রতিটি কম্পিউটার চিপে থাকে। প্রতিটি ট্রানজিস্টরের সোর্স, গেট ও ড্রেন থাকে, যা ট্রানজিস্টরটিকে সুইচ হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
গেট হলো সেই উপাদান, যা সোর্স ও ড্রেনের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সুইচ ও অ্যামপ্লিফায়ারের ভূমিকা পালন করতে পারে। সোর্সের চারপাশে গেটটি পুরোপুরি মোড়ানো থাকলে পারফরম্যান্স ও কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
যদিও জিএএএফইটি আর্কিটেকচার নতুন নয়। তবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিল। কারণ তারা নতুন ধরনের সেমিকন্ডাক্টর হিসেবে বিসমাথ অক্সিসেলেনাইড ব্যবহার করেছেন। তারা এটিকে ‘আণবিকভাবে পাতলা’ ২ডি ট্রানজিস্টর তৈরি করতে ব্যবহার করেছেন।
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সুবিধা
২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টরটি সিলিকনের তুলনায় কম ভঙ্গুর এবং আরও নমনীয়। গবেষকেরা জানান, বিসমাথ উপাদানটি উচ্চ গতির বিদ্যুৎ চলাচলের জন্য উপযুক্ত এবং এর উচ্চ ডাইইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট (বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতা) ট্রানজিস্টরের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।
সিলিকনের তুলনায় বিসমাথে ইলেকট্রন খুব কম রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হয় এবং এটি তাদের চলাচলকে ত্বরান্বিত করে।
উন্নত ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকেরা ২ডি ট্রানজিস্টরটি তৈরি করে, যার পুরু ছিল মাত্র কয়েকটি আণবিক স্তর। এই অতিক্ষুদ্র কাঠামোটি ট্রানজিস্টরের আকার হ্রাস করে এবং ইলেকট্রনের বিচ্ছুরণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে দ্রুত সুইচিং স্পিড এবং কম শক্তি খরচ হয়।
যদি এই ট্রানজিস্টর এমন কোনো চিপে ব্যবহৃত হয়, যা ইনটেল এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি সিলিকন চিপগুলোর তুলনায় দ্রুত কাজ করে, তাহলে এটি চীনকে বর্তমান চিপ প্রসেসিং সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে গিয়ে একটি ভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে।
চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
যদিও বিসমাথ ট্রানজিস্টর চিপ তৈরিতে বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তবে এটি তৈরিতে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। বর্তমানে ২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টর তৈরি করতে অত্যন্ত বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি এবং কৌশল প্রয়োজন। এর ফলে প্রতিযোগিতামূলক খরচে এসব ডিভাইসের ব্যাপক উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য কাজ করছেন গবেষকেরা। তবে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হতে কয়েক বছর সময় নেবে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলোর বর্তমান সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তির সঙ্গে একীভূতকরণ। বর্তমান যুগের বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক ডিভাইস সিলিকন উপাদানের ওপর নির্মিত এবং বিসমাথের মতো নতুন কোনো উপাদানে স্থানান্তর করতে গেলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। তবে সিলিকন উপাদানগুলোর সঙ্গে বিসমাথ ট্রানজিস্টর ব্যবহারের জন্য হাইব্রিড পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে।
এসব চ্যালেঞ্জের পরেও বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সম্ভাবনা অগ্রাহ্য করার মতো নয়। বিসমাথ উপাদানটির বৈশিষ্ট্য আরও উন্নত করার এবং ট্রানজিস্টরের কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অন্য ২ডি উপাদানগুলোও পরীক্ষা করছেন, যা বিসমাথের সঙ্গে মিশ্রিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত ডিভাইস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রভাব
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের উন্নয়ন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি সফলভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, সিলিকনভিত্তিক বর্তমান বাজারকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেসব কোম্পানি বিসমাথ প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করবে, তারা একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন করবে।
চীনের জন্য বিসমাথ ট্রানজিস্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এটি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে চীনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দেশটিকে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং প্রযুক্তিশিল্পে একটি শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে চীন। বিসমাথ ট্রানজিস্টর প্রকল্পের সাফল্য এই প্রচেষ্টার কার্যকারিতার একটি প্রমাণ এবং এটি আগামী বছরগুলোতে আরও বৈপ্লবিক আবিষ্কারগুলোর জন্য পথ প্রশস্ত করতে পারে।
চীন যদি এই নতুন প্রযুক্তিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তবে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারে দেশটির একটি শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রকে এই শিল্পে বড় টেক্কা দিতে পারবে চীন।
ইলেকট্রনিকসের বাইরে: কোয়ান্টাম কম্পিউটিংসহ আরও অনেক কিছু বিসমাথ ট্রানজিস্টরের প্রভাব শুধু ঐতিহ্যবাহী ইলেকট্রনিকসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে একটি হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো কোয়ান্টাম মেকানিকস নীতির ওপর ভিত্তি করে জটিল গণনা সম্পন্ন করে এবং এর জন্য অত্যন্ত দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট উপাদানগুলোর প্রয়োজন হয়। বিসমাথের উচ্চ ইলেকট্রন গতিশীলতা এবং অনন্য বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য এটিকে কোয়ান্টাম ট্রানজিস্টরের জন্য একটি আদর্শ প্রার্থী করে তোলে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোর বাস্তবায়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে।
এ ছাড়া, বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলো পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু বিশ্ব ৬জি নেটওয়ার্ক এবং তার পরবর্তী প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি এবং কম শক্তি খরচযুক্ত ট্রানজিস্টরের চাহিদা বাড়বে। বিসমাথের টেরা-হার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করার ক্ষমতা এই উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত করবে।
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম ও লাইভ সায়েন্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইনটেলসহ অন্যদের তৈরি সিলিকন প্রসেসরগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ দ্রুত কাজ করতে পারবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
গবেষকেরা জানান, এ ধরনের চিপগুলো ১০ শতাংশ কম শক্তি খরচ করবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নেচার জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিকিইউ) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক হাইলিন পেং বলেন, যদি বিদ্যমান উপকরণের ভিত্তিতে চিপ উদ্ভাবনকে ‘সোজা পথ’ বলা হয়, তবে ২ডি উপাদানভিত্তিক ট্রানজিস্টরের উন্নয়নটি ‘রাস্তা বদল’ করার মতো।
নতুন ধরনের সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর
গবেষকেরা যেটি তৈরি করেছেন, তা হলো গেট-অল-অ্যারাউন্ড ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টর (জিএএএফইটি)। পূর্ববর্তী ট্রানজিস্টর ডিজাইন যেমন: ফিন ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টরের (ফিনএফইটি) তুলনায় জিএএএফইটি ট্রানজিস্টর তিনটির বদলে চারদিকের গেট দিয়ে সোর্সগুলোকে মোড়ানো হয়।
ট্রানজিস্টর একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস, যা প্রতিটি কম্পিউটার চিপে থাকে। প্রতিটি ট্রানজিস্টরের সোর্স, গেট ও ড্রেন থাকে, যা ট্রানজিস্টরটিকে সুইচ হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
গেট হলো সেই উপাদান, যা সোর্স ও ড্রেনের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সুইচ ও অ্যামপ্লিফায়ারের ভূমিকা পালন করতে পারে। সোর্সের চারপাশে গেটটি পুরোপুরি মোড়ানো থাকলে পারফরম্যান্স ও কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
যদিও জিএএএফইটি আর্কিটেকচার নতুন নয়। তবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিল। কারণ তারা নতুন ধরনের সেমিকন্ডাক্টর হিসেবে বিসমাথ অক্সিসেলেনাইড ব্যবহার করেছেন। তারা এটিকে ‘আণবিকভাবে পাতলা’ ২ডি ট্রানজিস্টর তৈরি করতে ব্যবহার করেছেন।
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সুবিধা
২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টরটি সিলিকনের তুলনায় কম ভঙ্গুর এবং আরও নমনীয়। গবেষকেরা জানান, বিসমাথ উপাদানটি উচ্চ গতির বিদ্যুৎ চলাচলের জন্য উপযুক্ত এবং এর উচ্চ ডাইইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট (বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতা) ট্রানজিস্টরের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।
সিলিকনের তুলনায় বিসমাথে ইলেকট্রন খুব কম রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হয় এবং এটি তাদের চলাচলকে ত্বরান্বিত করে।
উন্নত ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকেরা ২ডি ট্রানজিস্টরটি তৈরি করে, যার পুরু ছিল মাত্র কয়েকটি আণবিক স্তর। এই অতিক্ষুদ্র কাঠামোটি ট্রানজিস্টরের আকার হ্রাস করে এবং ইলেকট্রনের বিচ্ছুরণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে দ্রুত সুইচিং স্পিড এবং কম শক্তি খরচ হয়।
যদি এই ট্রানজিস্টর এমন কোনো চিপে ব্যবহৃত হয়, যা ইনটেল এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি সিলিকন চিপগুলোর তুলনায় দ্রুত কাজ করে, তাহলে এটি চীনকে বর্তমান চিপ প্রসেসিং সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে গিয়ে একটি ভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে।
চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
যদিও বিসমাথ ট্রানজিস্টর চিপ তৈরিতে বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তবে এটি তৈরিতে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। বর্তমানে ২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টর তৈরি করতে অত্যন্ত বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি এবং কৌশল প্রয়োজন। এর ফলে প্রতিযোগিতামূলক খরচে এসব ডিভাইসের ব্যাপক উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য কাজ করছেন গবেষকেরা। তবে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হতে কয়েক বছর সময় নেবে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলোর বর্তমান সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তির সঙ্গে একীভূতকরণ। বর্তমান যুগের বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক ডিভাইস সিলিকন উপাদানের ওপর নির্মিত এবং বিসমাথের মতো নতুন কোনো উপাদানে স্থানান্তর করতে গেলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। তবে সিলিকন উপাদানগুলোর সঙ্গে বিসমাথ ট্রানজিস্টর ব্যবহারের জন্য হাইব্রিড পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে।
এসব চ্যালেঞ্জের পরেও বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সম্ভাবনা অগ্রাহ্য করার মতো নয়। বিসমাথ উপাদানটির বৈশিষ্ট্য আরও উন্নত করার এবং ট্রানজিস্টরের কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অন্য ২ডি উপাদানগুলোও পরীক্ষা করছেন, যা বিসমাথের সঙ্গে মিশ্রিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত ডিভাইস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রভাব
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের উন্নয়ন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি সফলভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, সিলিকনভিত্তিক বর্তমান বাজারকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেসব কোম্পানি বিসমাথ প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করবে, তারা একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন করবে।
চীনের জন্য বিসমাথ ট্রানজিস্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এটি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে চীনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দেশটিকে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং প্রযুক্তিশিল্পে একটি শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে চীন। বিসমাথ ট্রানজিস্টর প্রকল্পের সাফল্য এই প্রচেষ্টার কার্যকারিতার একটি প্রমাণ এবং এটি আগামী বছরগুলোতে আরও বৈপ্লবিক আবিষ্কারগুলোর জন্য পথ প্রশস্ত করতে পারে।
চীন যদি এই নতুন প্রযুক্তিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তবে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারে দেশটির একটি শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রকে এই শিল্পে বড় টেক্কা দিতে পারবে চীন।
ইলেকট্রনিকসের বাইরে: কোয়ান্টাম কম্পিউটিংসহ আরও অনেক কিছু বিসমাথ ট্রানজিস্টরের প্রভাব শুধু ঐতিহ্যবাহী ইলেকট্রনিকসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে একটি হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো কোয়ান্টাম মেকানিকস নীতির ওপর ভিত্তি করে জটিল গণনা সম্পন্ন করে এবং এর জন্য অত্যন্ত দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট উপাদানগুলোর প্রয়োজন হয়। বিসমাথের উচ্চ ইলেকট্রন গতিশীলতা এবং অনন্য বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য এটিকে কোয়ান্টাম ট্রানজিস্টরের জন্য একটি আদর্শ প্রার্থী করে তোলে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোর বাস্তবায়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে।
এ ছাড়া, বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলো পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু বিশ্ব ৬জি নেটওয়ার্ক এবং তার পরবর্তী প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি এবং কম শক্তি খরচযুক্ত ট্রানজিস্টরের চাহিদা বাড়বে। বিসমাথের টেরা-হার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করার ক্ষমতা এই উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত করবে।
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম ও লাইভ সায়েন্স
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইনটেলসহ অন্যদের তৈরি সিলিকন প্রসেসরগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ দ্রুত কাজ করতে পারবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
গবেষকেরা জানান, এ ধরনের চিপগুলো ১০ শতাংশ কম শক্তি খরচ করবে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নেচার জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিকিইউ) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক হাইলিন পেং বলেন, যদি বিদ্যমান উপকরণের ভিত্তিতে চিপ উদ্ভাবনকে ‘সোজা পথ’ বলা হয়, তবে ২ডি উপাদানভিত্তিক ট্রানজিস্টরের উন্নয়নটি ‘রাস্তা বদল’ করার মতো।
নতুন ধরনের সিলিকন-মুক্ত ট্রানজিস্টর
গবেষকেরা যেটি তৈরি করেছেন, তা হলো গেট-অল-অ্যারাউন্ড ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টর (জিএএএফইটি)। পূর্ববর্তী ট্রানজিস্টর ডিজাইন যেমন: ফিন ফিল্ড-এফেক্ট ট্রানজিস্টরের (ফিনএফইটি) তুলনায় জিএএএফইটি ট্রানজিস্টর তিনটির বদলে চারদিকের গেট দিয়ে সোর্সগুলোকে মোড়ানো হয়।
ট্রানজিস্টর একটি সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস, যা প্রতিটি কম্পিউটার চিপে থাকে। প্রতিটি ট্রানজিস্টরের সোর্স, গেট ও ড্রেন থাকে, যা ট্রানজিস্টরটিকে সুইচ হিসেবে কাজ করতে সাহায্য করে।
গেট হলো সেই উপাদান, যা সোর্স ও ড্রেনের মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সুইচ ও অ্যামপ্লিফায়ারের ভূমিকা পালন করতে পারে। সোর্সের চারপাশে গেটটি পুরোপুরি মোড়ানো থাকলে পারফরম্যান্স ও কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।
যদিও জিএএএফইটি আর্কিটেকচার নতুন নয়। তবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দলের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিল। কারণ তারা নতুন ধরনের সেমিকন্ডাক্টর হিসেবে বিসমাথ অক্সিসেলেনাইড ব্যবহার করেছেন। তারা এটিকে ‘আণবিকভাবে পাতলা’ ২ডি ট্রানজিস্টর তৈরি করতে ব্যবহার করেছেন।
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সুবিধা
২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টরটি সিলিকনের তুলনায় কম ভঙ্গুর এবং আরও নমনীয়। গবেষকেরা জানান, বিসমাথ উপাদানটি উচ্চ গতির বিদ্যুৎ চলাচলের জন্য উপযুক্ত এবং এর উচ্চ ডাইইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট (বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতা) ট্রানজিস্টরের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।
সিলিকনের তুলনায় বিসমাথে ইলেকট্রন খুব কম রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হয় এবং এটি তাদের চলাচলকে ত্বরান্বিত করে।
উন্নত ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষকেরা ২ডি ট্রানজিস্টরটি তৈরি করে, যার পুরু ছিল মাত্র কয়েকটি আণবিক স্তর। এই অতিক্ষুদ্র কাঠামোটি ট্রানজিস্টরের আকার হ্রাস করে এবং ইলেকট্রনের বিচ্ছুরণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে দ্রুত সুইচিং স্পিড এবং কম শক্তি খরচ হয়।
যদি এই ট্রানজিস্টর এমন কোনো চিপে ব্যবহৃত হয়, যা ইনটেল এবং অন্যান্য মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি সিলিকন চিপগুলোর তুলনায় দ্রুত কাজ করে, তাহলে এটি চীনকে বর্তমান চিপ প্রসেসিং সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে গিয়ে একটি ভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ দিতে পারে।
চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
যদিও বিসমাথ ট্রানজিস্টর চিপ তৈরিতে বড় সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। তবে এটি তৈরিতে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। বর্তমানে ২ডি বিসমাথ ট্রানজিস্টর তৈরি করতে অত্যন্ত বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি এবং কৌশল প্রয়োজন। এর ফলে প্রতিযোগিতামূলক খরচে এসব ডিভাইসের ব্যাপক উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ে। তাই উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য কাজ করছেন গবেষকেরা। তবে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হতে কয়েক বছর সময় নেবে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলোর বর্তমান সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তির সঙ্গে একীভূতকরণ। বর্তমান যুগের বেশির ভাগ বৈদ্যুতিক ডিভাইস সিলিকন উপাদানের ওপর নির্মিত এবং বিসমাথের মতো নতুন কোনো উপাদানে স্থানান্তর করতে গেলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। তবে সিলিকন উপাদানগুলোর সঙ্গে বিসমাথ ট্রানজিস্টর ব্যবহারের জন্য হাইব্রিড পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে।
এসব চ্যালেঞ্জের পরেও বিসমাথ ট্রানজিস্টরের সম্ভাবনা অগ্রাহ্য করার মতো নয়। বিসমাথ উপাদানটির বৈশিষ্ট্য আরও উন্নত করার এবং ট্রানজিস্টরের কার্যকারিতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা অন্য ২ডি উপাদানগুলোও পরীক্ষা করছেন, যা বিসমাথের সঙ্গে মিশ্রিত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত ডিভাইস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রভাব
বিসমাথ ট্রানজিস্টরের উন্নয়ন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি সফলভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, সিলিকনভিত্তিক বর্তমান বাজারকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেসব কোম্পানি বিসমাথ প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করবে, তারা একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন করবে।
চীনের জন্য বিসমাথ ট্রানজিস্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এটি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে চীনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা দেশটিকে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
বিদেশি প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং প্রযুক্তিশিল্পে একটি শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে চীন। বিসমাথ ট্রানজিস্টর প্রকল্পের সাফল্য এই প্রচেষ্টার কার্যকারিতার একটি প্রমাণ এবং এটি আগামী বছরগুলোতে আরও বৈপ্লবিক আবিষ্কারগুলোর জন্য পথ প্রশস্ত করতে পারে।
চীন যদি এই নতুন প্রযুক্তিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তবে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারে দেশটির একটি শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রকে এই শিল্পে বড় টেক্কা দিতে পারবে চীন।
ইলেকট্রনিকসের বাইরে: কোয়ান্টাম কম্পিউটিংসহ আরও অনেক কিছু বিসমাথ ট্রানজিস্টরের প্রভাব শুধু ঐতিহ্যবাহী ইলেকট্রনিকসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে একটি হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো কোয়ান্টাম মেকানিকস নীতির ওপর ভিত্তি করে জটিল গণনা সম্পন্ন করে এবং এর জন্য অত্যন্ত দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট উপাদানগুলোর প্রয়োজন হয়। বিসমাথের উচ্চ ইলেকট্রন গতিশীলতা এবং অনন্য বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য এটিকে কোয়ান্টাম ট্রানজিস্টরের জন্য একটি আদর্শ প্রার্থী করে তোলে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলোর বাস্তবায়নকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করতে পারে।
এ ছাড়া, বিসমাথ ট্রানজিস্টরগুলো পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু বিশ্ব ৬জি নেটওয়ার্ক এবং তার পরবর্তী প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি এবং কম শক্তি খরচযুক্ত ট্রানজিস্টরের চাহিদা বাড়বে। বিসমাথের টেরা-হার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করার ক্ষমতা এই উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত করবে।
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম ও লাইভ সায়েন্স
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে...
২৬ মার্চ ২০২৫ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, উপকূলীয় শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল ১ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস নির্মাণ করবে। সেখানে এআই অবকাঠামো, বৃহৎ পরিসরের জ্বালানি উৎস এবং উন্নত ফাইবার-অপটিক নেটওয়ার্ক একত্রে থাকবে। আজ মঙ্গলবার এই প্রকল্পে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা।
বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এখন তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এআই পরিষেবার বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা নতুন নতুন ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্ধ্রপ্রদেশে গুগলের ১০ বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নির্মাণে কর-সংক্রান্ত সব বাধা দূর করতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও যোগাযোগমন্ত্রী নারা লোকেশ।
অন্ধ্রপ্রদেশের আইটি মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘যে সময়ে ডেটা নতুন তেলের মতো মূল্যবান, এ ধরনের উদ্যোগ রাজ্যের জন্য কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে।’
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লোকেশ বলেন, ‘ডেটা সেন্টার তৈরিতে কোনো প্রকার “রেট্রোস্পেকটিভ ট্যাক্সেশন” বা অতীতের ভিত্তিতে কর আরোপের ঝুঁকি যাতে না থাকে, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। যেহেতু এই কেন্দ্রগুলোতে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হবে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা কর-সংক্রান্ত স্পষ্টতা পেয়েছি।’
মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রথমবার গুগল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের নিয়ে বিশাখাপত্তনমে প্রস্তাবিত সাইটটি পরিদর্শনে যান। লোকেশের ভাষায়, ‘এটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ।’
মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রস্তাবিত ‘রাইডেন ইনফোটেক’ (গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ হবে ৮৭ হাজার ৫২০ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রায় এক-দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ২০২৮–২০৩২ মেয়াদে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিএডিপি) প্রতিবছর ১০ হাজার ৫১৮ কোটি রুপি যোগ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী নারা লোকেশ বলেন, ‘অন্ধ্রপ্রদেশে এখন আমাদের আছে দ্বৈত ইঞ্জিনের “বুলেট ট্রেন”। যা দিয়ে আমরা শুধু সর্বোত্তম প্রণোদনাই দিতে পারছি না, বরং নীতিগত দিক থেকেও সহায়তা দিচ্ছি। কেন্দ্রের যা যা দরকার, সেগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।’
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে...
২৬ মার্চ ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ না করলে ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশে ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ জানান, অনলাইন জুয়া, এর প্রচার-প্রচারণা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন, ২০২৫-এ নিষিদ্ধ।
ফয়েজ আহমদ উল্লেখ করেন, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশের ক্রিকইনফোর বিজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখেছে, সেখানে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন শতভাগ অনুপস্থিত। শুধু বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন ভঙ্গ করছে ক্রিকইনফো।
বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ওপর ক্রিকইনফো আইন পাসের আগে বা পরে কোনো অর্থই বাংলাদেশ সরকারকে আয়কর কিংবা ভ্যাট হিসেবে দেয়নি।
অবৈধ জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ক্রিকইনফোকে ই-মেইল পাঠিয়েছে এবং পরে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, যদি ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধ না করে। তবে বাংলাদেশে ক্রিকইনফো ব্লক করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত হবে কি না, এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জনমত সংগ্রহ করবে।
আরও খবর পড়ুন:
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে...
২৬ মার্চ ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেনিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
২ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মুক্ত জীবনের ডাক
ফিচার ডেস্ক
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
নিউইয়র্কের টম্পকিনস স্কয়ার পার্কে সম্প্রতি এক ভিন্নধর্মী আয়োজন হয়ে গেল। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল ‘ডিলিট ডে’। তরুণ প্রজন্ম; বিশেষ করে জেন-জিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব থেকে মুক্তি নেওয়া।
তবে আয়োজনটি অনলাইনে প্রচার করা হয়নি। অংশগ্রহণকারীরা বন্ধু কিংবা পরিচিতদের মুখে মুখে খবর পৌঁছে দিয়েছেন। পার্কের প্রবেশপথ সাজানো হয়েছিল চক দিয়ে লেখা বার্তায়। সেখানে লেখা ‘ডিলিট ইউর অ্যাপস অন দ্য গ্রাস’। কেউ নিজের মোবাইল ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক অথবা স্ন্যাপচ্যাট মুছে ফেলেছেন, কেউ আবার অন্যদের উৎসাহ দিয়েছেন একই কাজ করতে।
প্রায় ৮০ জন তরুণ অংশ নেন এই আয়োজনে। আয়োজকেরা বলছেন, এটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমবিরোধী প্রতিবাদ নয়। এর মধ্য দিয়ে মানুষকে ডিজিটাল-নির্ভরতা থেকে সাময়িক বিরতি নিতে উৎসাহ দেওয়াই উদ্দেশ্য।
এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী তরুণ নিক প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা স্ক্রিনে আসক্ত হয়ে পড়েছি। এখন এই অবস্থা থেকে সরে এসে সবাই মিলে ভিন্নভাবে সময় কাটাতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে, বাস্তব জীবনে ফেরার চেষ্টা
‘ডিলিট ডে’-তে অংশ নেন বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা মুখে মুখে প্রচার চালিয়েছেন, পোস্টার এবং লিফলেট বিলি করেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় টেবিল বসিয়ে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের একজন গ্যাব্রিয়েলা নগুয়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া, মানুষ যেন এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নেয়। কারণ, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছি। নিজেরাই দেখেছি, এখানে কীভাবে মনোযোগ ও সময় নষ্ট হয়।’
‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’বইয়ের প্রভাব
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে ‘টাইম টু রিফিউজ’ নামের একটি বৈশ্বিক প্রচারণা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন মনোবিজ্ঞানী ও লেখক জোনাথান হেইডট। তাঁর বই ‘দ্য অ্যানক্সিয়াস জেনারেশন’-এ বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। বইটি প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
‘ডিলিট ডে’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি ও পোস্ট নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করতে করতে তরুণেরা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে গেলেই ভাবতে হয়, এটা ইনস্টাগ্রামে কেমন দেখাবে। এমন মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে আমাদের এই আয়োজন।
বিকল্প যোগাযোগ
অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপ মুছে ফেলার পর মোবাইল ফোন ব্যাগে রেখে একসঙ্গে সময় কাটান। কেউ নতুন বন্ধু বানান, কেউবা গল্প করেন। টেক প্রতিষ্ঠান লাইট সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ‘লাইট ফোন’ উপহার দেয়। সে মোবাইল ফোন দিয়ে শুধু কল করা এবং মেসেজ দেওয়া যায়। তাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
‘ডিলিট ডে’-তে অংশগ্রহণকারী জুডি লিউ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়ার পর আমি ভাষা শেখা এবং নতুন শখে সময় দিচ্ছি।’ আরেকজন অংশগ্রহণকারী কণিকা মেহরা বলেন, ‘বাস্তব জীবনের আনন্দ যখন কেউ পায়, তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না।’
সারা বিশ্বে নিয়মিত ‘ডিলিট ডে’ আয়োজন করার ইচ্ছা আছে আয়োজকদের। এরই মধ্যে ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ায় পরবর্তী ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
প্রসেসরের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি এবং শক্তি খরচ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে চীনের তৈরি সিলিকন মুক্ত ট্রানজিস্টর। নতুন এই ট্রানজিস্টর তৈরি করতে সিলিকনের বদলে বিসমাথ ব্যবহার করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন ট্রানজিস্টরটি এমন চিপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, যা বর্তমানে...
২৬ মার্চ ২০২৫এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বিশাল এক ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হাব গড়ে তুলতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুগলের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। রয়টার্সের এক প্রতিব
২ দিন আগেজনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো ডটকম এককভাবে বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন
২ দিন আগে