ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে মোহাম্মদ নাঈম ১৬ ম্যাচে ৭১.৬৯ গড়ে ১ সেঞ্চুরি আর ১০ ফিফটিতে করেছেন সর্বোচ্চ ৯৩২ রান। আগেও আবাহনীর হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন নাঈম; কিন্তু এবারের মৌসুমটাই তাঁর কাছে আলাদা। সেসব নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা ।
লাইছ ত্বোহা
প্রশ্ন: কাছেই চলে গিয়েছিলেন, অল্পের জন্য ১ হাজার রান হয়নি। আফসোস হচ্ছে?
মোহাম্মদ নাঈম: খেলেছি দলের প্রয়োজনে, দলের যেটা দরকার ছিল, সেটার জন্য খেলেছি, ওটার জন্যই চেষ্টা করেছি। এটা নিয়ে আক্ষেপ নেই। যেটা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ, খুশি।
প্রশ্ন: আবাহনীর হয়ে আগেও একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, ডিপিএলে ভালো রান করেছেন। সব মিলিয়ে এটাই কি আপনার সেরা প্রিমিয়ার লিগ?
নাঈম: অবশ্যই এবার। যেহেতু আমার আলাদা অর্জন রয়েছে। সব মিলিয়ে খুব খুশি। দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, দুটিই আমার কাছে সেরা।
প্রশ্ন: ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১টি সেঞ্চুরি ও ১০টি ফিফটি—নিজের মধ্যে কী পরিবর্তন এনেছেন, যেটির ফল হিসেবে এতটা ধারাবাহিক?
নাঈম: দেখবেন, ঘরোয়া লিগে আমার সাফল্য বেশি। প্রিমিয়ার লিগের প্রসেসটা আমার জানা। তারপরও কিছু বিষয় আছে, মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে কিছু কাজ করেছি। আমার আলাদা প্রশিক্ষক আছেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। আমার যে প্রসেস, সেসব শতভাগ মানা এবং নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত রাখা যায়, চেষ্টা করেছি। বিসিএল ওয়ানডের কথা কারও মনে নেই। ওখানে ৪টি ৫০ ওভারের ম্যাচে ৩টি ফিফটি করেছিলাম। ওখানেও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: ডিপিএলে আবাহনী অন্য ক্লাবের চেয়ে এতটা সফল কেন, নিয়মিত এ ক্লাবে খেলে আপনার কী মনে হয়েছে?
নাঈম: আমার কাছে মনে হয়েছে, ওরা অনেক বেশি পেশাদার। আমার জানামতে, আবাহনী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হেলমেট দিয়েছে, ব্যাট দিয়েছে, জুতা দিয়েছে; ঠিক বিপিএল যেভাবে হয়। এরা যে একটা পরিবেশ তৈরি করেছে, অনেক বেশি পেশাদার। এদের তাই সাফল্যের হার বেশি। প্রিমিয়ার লিগে এগুলো (খেলার সামগ্রী) কিন্তু কেউ দেয় না, বিপিএলে বড় বড় দল ছাড়া। ডিপিএলে এগুলো চিন্তাই করা যায় না। তারা সব করছে দলের জন্য, খেলোয়াড়েরা যেন মানসিকভাবে অনেক খুশি থাকে। এসব কারণে মনে হয়ে আবাহনীর সাফল্য বেশি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া লিগে ভালো করছেন, সামনে আফগানিস্তান সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপও আছে এ বছর। যদি জাতীয় দলে সুযোগ পান, দর্শকেরা নতুন কী দেখতে পাবে নাঈম থেকে?
নাঈম: অবশ্যই, দুই বছর আগে আমি যে নাঈম শেখ ছিলাম, সেখান থেকে এখন অনেক পরিপূর্ণ। এখন অনেক বুঝি খেলাটা, পরিস্থিতি বুঝি, নিজেও পরিণত হয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, আমি এখন যথেষ্ট পরিণত। যত সমস্যা ছিল, ওগুলো নিয়ে কাজ করেছি, উন্নতি করেছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর দক্ষতা আলহামদুলিল্লাহ, ভালো। পরিবর্তন তো একটা থাকবে, পরিপূর্ণতাও থাকবে ইনশা আল্লাহ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের টপ অর্ডারে এখন অনেক প্রতিযোগিতা, সেখানে নিজেকে দেখতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
নাঈম: প্রতিযোগিতা না হলে, যদি কোনো কিছু সহজে পেয়ে যান, তাহলে এটার মূল্য বুঝবেন না। একটা জিনিস যখন কষ্ট করে অর্জন করবেন, তখন এটার মজাটাই আলাদা। আমার কাছে এটা ভালো স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাই মনে হয়। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো, খেলোয়াড়দের জন্য খুবই ভালো।
প্রশ্ন: ঘরোয়া লিগে নিয়মিত ভালো করে আবার জাতীয় দলে ফিরছেন, কিন্তু এখানে এসে কোথায় যেন থেমে যাচ্ছেন। সমস্যা ও দুর্বলতার জায়গাটা কোথায় মনে হয়?
নাঈম: অন-অফে যেকোনো খেলোয়াড়েরই পারফর্ম করা অনেক কঠিন। আপনি কাল ম্যাচ খেলবেন কি না, জানেন না। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, অবশ্যই একটা মানসিক চাপের ওপর দিয়ে গেছে, অনেক চাপ নিয়েছি। চাপে থাকলে কখনো আপনি সেরাটা দিতে পারবেন না। আমার শেষ যে ম্যাচগুলো ছিল, অনেক চাপ অনুভব হয়েছিল। যেটা মনে হয়েছে, আমার যেভাবে অভিষেক হয়েছে, শেষ পাঁচ-সাতটা ম্যাচ আমি সেভাবে খেলতে পারিনি। সাফল্য পাইনি। কিছু সিরিজ ছিল, যেগুলোতে প্রসেসের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। যার জন্য সাফল্যের ভাগ খুবই কম। এগুলোই পরিবর্তন করেছি।
প্রশ্ন: বারবার দল থেকে বাদ পড়লে মানসিকভাবে শক্ত থাকাও তো কঠিন। কীভাবে নিজেকে এ সময় উজ্জীবিত করেন?
নাঈম: এ সময় মানসিকতা যদি ওই রকম না হয়, অনেক পিছিয়ে থাকবেন। যেটা একজন খেলোয়াড়ের বোঝা উচিত, কোনো কিছু সব সময় সমান যায় না। এটা যদি বুঝতে পারেন, তাহলে ওই চাপটা আর থাকে না। যারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত থাকে, তারা যে করেই হোক, আবার ফিরে আসবে। আমি মনোবিদের প্রশিক্ষণ নিয়েছি, ওখান থেকে কিছু শিখতে পেরেছি। আগে শক্ত থাকার অভ্যাস ছিল না। অবশ্যই একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে এগুলো থাকা উচিত, যেকোনো পরিস্থিতিতে আমি লড়াই করব, দেশের হয়ে ভালো কিছু করব।
প্রশ্ন: কাছেই চলে গিয়েছিলেন, অল্পের জন্য ১ হাজার রান হয়নি। আফসোস হচ্ছে?
মোহাম্মদ নাঈম: খেলেছি দলের প্রয়োজনে, দলের যেটা দরকার ছিল, সেটার জন্য খেলেছি, ওটার জন্যই চেষ্টা করেছি। এটা নিয়ে আক্ষেপ নেই। যেটা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ, খুশি।
প্রশ্ন: আবাহনীর হয়ে আগেও একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, ডিপিএলে ভালো রান করেছেন। সব মিলিয়ে এটাই কি আপনার সেরা প্রিমিয়ার লিগ?
নাঈম: অবশ্যই এবার। যেহেতু আমার আলাদা অর্জন রয়েছে। সব মিলিয়ে খুব খুশি। দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, দুটিই আমার কাছে সেরা।
প্রশ্ন: ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১টি সেঞ্চুরি ও ১০টি ফিফটি—নিজের মধ্যে কী পরিবর্তন এনেছেন, যেটির ফল হিসেবে এতটা ধারাবাহিক?
নাঈম: দেখবেন, ঘরোয়া লিগে আমার সাফল্য বেশি। প্রিমিয়ার লিগের প্রসেসটা আমার জানা। তারপরও কিছু বিষয় আছে, মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে কিছু কাজ করেছি। আমার আলাদা প্রশিক্ষক আছেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। আমার যে প্রসেস, সেসব শতভাগ মানা এবং নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত রাখা যায়, চেষ্টা করেছি। বিসিএল ওয়ানডের কথা কারও মনে নেই। ওখানে ৪টি ৫০ ওভারের ম্যাচে ৩টি ফিফটি করেছিলাম। ওখানেও ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলাম।
প্রশ্ন: ডিপিএলে আবাহনী অন্য ক্লাবের চেয়ে এতটা সফল কেন, নিয়মিত এ ক্লাবে খেলে আপনার কী মনে হয়েছে?
নাঈম: আমার কাছে মনে হয়েছে, ওরা অনেক বেশি পেশাদার। আমার জানামতে, আবাহনী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হেলমেট দিয়েছে, ব্যাট দিয়েছে, জুতা দিয়েছে; ঠিক বিপিএল যেভাবে হয়। এরা যে একটা পরিবেশ তৈরি করেছে, অনেক বেশি পেশাদার। এদের তাই সাফল্যের হার বেশি। প্রিমিয়ার লিগে এগুলো (খেলার সামগ্রী) কিন্তু কেউ দেয় না, বিপিএলে বড় বড় দল ছাড়া। ডিপিএলে এগুলো চিন্তাই করা যায় না। তারা সব করছে দলের জন্য, খেলোয়াড়েরা যেন মানসিকভাবে অনেক খুশি থাকে। এসব কারণে মনে হয়ে আবাহনীর সাফল্য বেশি।
প্রশ্ন: ঘরোয়া লিগে ভালো করছেন, সামনে আফগানিস্তান সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপও আছে এ বছর। যদি জাতীয় দলে সুযোগ পান, দর্শকেরা নতুন কী দেখতে পাবে নাঈম থেকে?
নাঈম: অবশ্যই, দুই বছর আগে আমি যে নাঈম শেখ ছিলাম, সেখান থেকে এখন অনেক পরিপূর্ণ। এখন অনেক বুঝি খেলাটা, পরিস্থিতি বুঝি, নিজেও পরিণত হয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, আমি এখন যথেষ্ট পরিণত। যত সমস্যা ছিল, ওগুলো নিয়ে কাজ করেছি, উন্নতি করেছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর দক্ষতা আলহামদুলিল্লাহ, ভালো। পরিবর্তন তো একটা থাকবে, পরিপূর্ণতাও থাকবে ইনশা আল্লাহ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের টপ অর্ডারে এখন অনেক প্রতিযোগিতা, সেখানে নিজেকে দেখতে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
নাঈম: প্রতিযোগিতা না হলে, যদি কোনো কিছু সহজে পেয়ে যান, তাহলে এটার মূল্য বুঝবেন না। একটা জিনিস যখন কষ্ট করে অর্জন করবেন, তখন এটার মজাটাই আলাদা। আমার কাছে এটা ভালো স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাই মনে হয়। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো, খেলোয়াড়দের জন্য খুবই ভালো।
প্রশ্ন: ঘরোয়া লিগে নিয়মিত ভালো করে আবার জাতীয় দলে ফিরছেন, কিন্তু এখানে এসে কোথায় যেন থেমে যাচ্ছেন। সমস্যা ও দুর্বলতার জায়গাটা কোথায় মনে হয়?
নাঈম: অন-অফে যেকোনো খেলোয়াড়েরই পারফর্ম করা অনেক কঠিন। আপনি কাল ম্যাচ খেলবেন কি না, জানেন না। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, অবশ্যই একটা মানসিক চাপের ওপর দিয়ে গেছে, অনেক চাপ নিয়েছি। চাপে থাকলে কখনো আপনি সেরাটা দিতে পারবেন না। আমার শেষ যে ম্যাচগুলো ছিল, অনেক চাপ অনুভব হয়েছিল। যেটা মনে হয়েছে, আমার যেভাবে অভিষেক হয়েছে, শেষ পাঁচ-সাতটা ম্যাচ আমি সেভাবে খেলতে পারিনি। সাফল্য পাইনি। কিছু সিরিজ ছিল, যেগুলোতে প্রসেসের বাইরে চলে গিয়েছিলাম। যার জন্য সাফল্যের ভাগ খুবই কম। এগুলোই পরিবর্তন করেছি।
প্রশ্ন: বারবার দল থেকে বাদ পড়লে মানসিকভাবে শক্ত থাকাও তো কঠিন। কীভাবে নিজেকে এ সময় উজ্জীবিত করেন?
নাঈম: এ সময় মানসিকতা যদি ওই রকম না হয়, অনেক পিছিয়ে থাকবেন। যেটা একজন খেলোয়াড়ের বোঝা উচিত, কোনো কিছু সব সময় সমান যায় না। এটা যদি বুঝতে পারেন, তাহলে ওই চাপটা আর থাকে না। যারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত থাকে, তারা যে করেই হোক, আবার ফিরে আসবে। আমি মনোবিদের প্রশিক্ষণ নিয়েছি, ওখান থেকে কিছু শিখতে পেরেছি। আগে শক্ত থাকার অভ্যাস ছিল না। অবশ্যই একজন খেলোয়াড়ের মধ্যে এগুলো থাকা উচিত, যেকোনো পরিস্থিতিতে আমি লড়াই করব, দেশের হয়ে ভালো কিছু করব।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
২ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৪ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৪ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৫ ঘণ্টা আগে