২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। জাতীয় দলের ব্যর্থতার মধ্যেও রিচার্ড এনগারাভা নিজেকে চেনাচ্ছেন আলাদা করে। ২০২৩ আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে জায়গা পাওয়া এনগারাভা এবারের বিপিএলে খেলছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে আজকের পত্রিকাকে তিনি বললেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট, চলমান বিপিএল অভিজ্ঞতা নিয়ে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
প্রশ্ন: টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স, দলের সমস্যা কোথায় দেখছেন?
রিচার্ড এনাগারাভা: সত্যিকার অর্থে বিপিএলে দারুণ সময় কাটছে। ড্রেসিংরুম দারুণ উপভোগ করছি। যেখানে কিছু বিদেশি ও চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা আছে। বিশেষ করে মাশরাফি এবং বেন কাটিংয়ের মতো ক্রিকেটার আছে। হ্যারি টেক্টর, নাজুমল হোসেন শান্তদের মতো ভালো ক্রিকেটাররা আছে। দুর্ভাগ্য আমরা হেরেছি। আমি মনে করি এটা সমস্যা নয়। কারণ, এটাই ক্রিকেট। এমনি দলের আবহ খুব ভালো। সবাই ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে আছে।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ে ভালো না করলেও গত বছর আপনি দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৪৬টি) ও আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশেও জায়গা করেছেন। নিজের প্রাপ্তি নিয়ে কতটা তৃপ্ত আর দলের অবস্থা নিয়ে কতটা আক্ষেপ আপনার?
এনগারাভা: সত্যিই আমি গর্বিত আইসিসির টি-টোয়েন্টির সেরা একাদশে থাকতে পেরে। এই অর্জনে আমার দেশও গর্বিত হয়েছে, আমিও খুশি। এই স্বীকৃতির জন্য ধন্যবাদ আইসিসিকে। কিন্তু দলের অর্জন ভালো ছিল না ততটা, এটা নিয়ে সত্যি হতাশ।
প্রশ্ন: ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৪টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাছাইপর্ব উতরে যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমন সময় আসবে কখনো ভেবেছিলেন?
এনগারাভা: সত্যি এমন সময় আসবে ভাবিনি। তবে এটা পয়েন্ট টেবিলের ওপর নির্ভর করে। আমরা চাইলেও অংশ নিতে পারব না এবার। ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আমরা কিছু পরিকল্পনা করেছি ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না দেখতে হয়। বাংলাদেশ কিন্তু পরিকল্পনা করে এগিয়ে গেছে। আমাদের দেশেও এখন ক্রিকেট সংস্কৃতি নতুন করে তৈরি হচ্ছে মানুষের মধ্যে। ভবিষ্যতে একটা পরিবর্তন দেখা যাবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করে, তখন সোনালি সময় ছিল জিম্বাবুয়ের। এখন ঠিক উল্টো ছবি। আপনার চোখে দুই দেশের ক্রিকেটের মধ্যে এত পার্থক্য তৈরি হলো কীভাবে?
এনগারাভা: বাংলাদেশে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে। এখানে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট গত দুই দশকে অনেক এগিয়েছে। এক্সাইটিং সব তরুণ ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। অবশ্যই তারা এখন বিশ্ব ক্রিকেটের সবার সমীহ আদায় করে নেওয়ার মতো দলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে তারুণ্যনির্ভর দল। এখন যারা আছে, বেশ ভালো করছে।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি অতীত ফেরানো সম্ভব বলে মনে করেন?
এনগারাভা: এটা খুবই সম্ভব। এখন অনেক নতুন ক্রিকেটার আসছে। রাজা (সিকান্দার রাজা) দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। শন উইলিয়ামসন, ক্রেগ আরভিন আছে, তারা খুবই অভিজ্ঞ এবং সুসময় ফেরাতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে অবশ্যই আমরা জয়ের পথে ফিরব এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রশ্ন: আপনার দৃষ্টিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রধান সমস্যা কোথায়?
এনগারাভা: অর্থ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো খেলা জেতা এবং ক্রিকেটে উন্নতি করা। কিন্তু সব সময় বলেছি, টাকা কখনোই যথেষ্ট নয়। জয় আপনাকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুই অর্থের ব্যাপার নয়, আমি এতটুকুই বলতে পারি। আবার অর্থ ছাড়াও হয় না।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের দর্শকেরা এ দুর্দশা কীভাবে নেন?
এনগারাভা: যদি ভক্তদের কথা বলি, অবশ্যই তারা হতাশ। আর খেলোয়াড় হিসেবে আমাদেরও অনেক আক্ষেপ আছে, এতটুকই বলছি। কারণ, আমরা বিশ্বকাপ বাছাই উতরাতে পারিনি। সামনে হতাশা দূর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা।
প্রশ্ন: অন্য দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার প্রস্তাব পেলে গ্রহণ করবেন?
এনগারাভা: অন্য দেশে সুযোগ পেলে প্রস্তাব গ্রহণ করব। তবে সেটা আমার দেশের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই, দেশকে ভালোবাসি।
প্রশ্ন: এ রকম কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন?
এনগারাভা: না, এখনো এমন প্রস্তাব পাইনি।
প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটে আসার জার্নিটা সংক্ষেপে শুনতে চাই।
এনগারাভা: ভাইদের দেখে ক্রিকেটে আসা। আমার রান করতে, উইকেট নিতে ভালো লাগে, খেলাটা উপভোগ করি। ভাইদের থেকে প্রভাবিত হয়ে আসে। অন্য কিছু তখন ভাবিনি।
প্রশ্ন: টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স, দলের সমস্যা কোথায় দেখছেন?
রিচার্ড এনাগারাভা: সত্যিকার অর্থে বিপিএলে দারুণ সময় কাটছে। ড্রেসিংরুম দারুণ উপভোগ করছি। যেখানে কিছু বিদেশি ও চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটাররা আছে। বিশেষ করে মাশরাফি এবং বেন কাটিংয়ের মতো ক্রিকেটার আছে। হ্যারি টেক্টর, নাজুমল হোসেন শান্তদের মতো ভালো ক্রিকেটাররা আছে। দুর্ভাগ্য আমরা হেরেছি। আমি মনে করি এটা সমস্যা নয়। কারণ, এটাই ক্রিকেট। এমনি দলের আবহ খুব ভালো। সবাই ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে আছে।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ে ভালো না করলেও গত বছর আপনি দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (৪৬টি) ও আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশেও জায়গা করেছেন। নিজের প্রাপ্তি নিয়ে কতটা তৃপ্ত আর দলের অবস্থা নিয়ে কতটা আক্ষেপ আপনার?
এনগারাভা: সত্যিই আমি গর্বিত আইসিসির টি-টোয়েন্টির সেরা একাদশে থাকতে পেরে। এই অর্জনে আমার দেশও গর্বিত হয়েছে, আমিও খুশি। এই স্বীকৃতির জন্য ধন্যবাদ আইসিসিকে। কিন্তু দলের অর্জন ভালো ছিল না ততটা, এটা নিয়ে সত্যি হতাশ।
প্রশ্ন: ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৪টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাছাইপর্ব উতরে যেতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমন সময় আসবে কখনো ভেবেছিলেন?
এনগারাভা: সত্যি এমন সময় আসবে ভাবিনি। তবে এটা পয়েন্ট টেবিলের ওপর নির্ভর করে। আমরা চাইলেও অংশ নিতে পারব না এবার। ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আমরা কিছু পরিকল্পনা করেছি ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না দেখতে হয়। বাংলাদেশ কিন্তু পরিকল্পনা করে এগিয়ে গেছে। আমাদের দেশেও এখন ক্রিকেট সংস্কৃতি নতুন করে তৈরি হচ্ছে মানুষের মধ্যে। ভবিষ্যতে একটা পরিবর্তন দেখা যাবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করে, তখন সোনালি সময় ছিল জিম্বাবুয়ের। এখন ঠিক উল্টো ছবি। আপনার চোখে দুই দেশের ক্রিকেটের মধ্যে এত পার্থক্য তৈরি হলো কীভাবে?
এনগারাভা: বাংলাদেশে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে। এখানে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট গত দুই দশকে অনেক এগিয়েছে। এক্সাইটিং সব তরুণ ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। অবশ্যই তারা এখন বিশ্ব ক্রিকেটের সবার সমীহ আদায় করে নেওয়ার মতো দলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে তারুণ্যনির্ভর দল। এখন যারা আছে, বেশ ভালো করছে।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি অতীত ফেরানো সম্ভব বলে মনে করেন?
এনগারাভা: এটা খুবই সম্ভব। এখন অনেক নতুন ক্রিকেটার আসছে। রাজা (সিকান্দার রাজা) দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। শন উইলিয়ামসন, ক্রেগ আরভিন আছে, তারা খুবই অভিজ্ঞ এবং সুসময় ফেরাতে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে অবশ্যই আমরা জয়ের পথে ফিরব এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রশ্ন: আপনার দৃষ্টিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রধান সমস্যা কোথায়?
এনগারাভা: অর্থ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো খেলা জেতা এবং ক্রিকেটে উন্নতি করা। কিন্তু সব সময় বলেছি, টাকা কখনোই যথেষ্ট নয়। জয় আপনাকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুই অর্থের ব্যাপার নয়, আমি এতটুকুই বলতে পারি। আবার অর্থ ছাড়াও হয় না।
প্রশ্ন: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের দর্শকেরা এ দুর্দশা কীভাবে নেন?
এনগারাভা: যদি ভক্তদের কথা বলি, অবশ্যই তারা হতাশ। আর খেলোয়াড় হিসেবে আমাদেরও অনেক আক্ষেপ আছে, এতটুকই বলছি। কারণ, আমরা বিশ্বকাপ বাছাই উতরাতে পারিনি। সামনে হতাশা দূর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা।
প্রশ্ন: অন্য দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার প্রস্তাব পেলে গ্রহণ করবেন?
এনগারাভা: অন্য দেশে সুযোগ পেলে প্রস্তাব গ্রহণ করব। তবে সেটা আমার দেশের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই, দেশকে ভালোবাসি।
প্রশ্ন: এ রকম কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন?
এনগারাভা: না, এখনো এমন প্রস্তাব পাইনি।
প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটে আসার জার্নিটা সংক্ষেপে শুনতে চাই।
এনগারাভা: ভাইদের দেখে ক্রিকেটে আসা। আমার রান করতে, উইকেট নিতে ভালো লাগে, খেলাটা উপভোগ করি। ভাইদের থেকে প্রভাবিত হয়ে আসে। অন্য কিছু তখন ভাবিনি।
৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
১ ঘণ্টা আগেঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অঘোষিত ফাইনালে আবাহনীর কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হলো মোহামেডান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে তারা। আবাহনীর হ্যাটট্রিক শিরোপার বিপরীতে ১৫ বছর ধরে শিরোপাহীন থাকল মোহামেডান। ম্যাচ শেষে ঘটে গেল আরেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হারের পর মেজাজ
২ ঘণ্টা আগে১৩ বছরের এক ছেলে করন। গরিব অনাথ আশ্রমে থাকা এই বালকের একটি স্বপ্ন হচ্ছে বড় ক্রিকেটার হওয়া। দৈবভাবে কপিল দেবের একটি ব্যাট হাতে পায় করন। সেই ব্যাটেই ঝড় তোলে সে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ৩ ইনিংসে ভারতের হয়ে করনের ব্যাটে আসে ৩৩৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭০ রানও করেন করন। এটা ছিল বলিউডের ‘চেইন কুলি কি মেইন কুলি’
২ ঘণ্টা আগে