নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হংকং কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউডের চার শব্দের উত্তর। তাতে সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেল। হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড় তাঁর দলে থাকলে বরং বেঞ্চ গরম করতে হতো। কথাটা খানিকটা ঔদ্ধত্যের সুরে বললেন ওয়েস্টউড। মাঠের আগে কথার লড়াইয়ে যেন পরিষ্কার করে নিতে চাইলেন ব্যবধানটা।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের লড়াইয়ে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। মূল পর্বে খেলার দৌড়ে টিকে থাকার জন্য দুই দলের কাছে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বাংলাদেশের জন্য তা বাঁচা-মরার মতো। দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
চারবারের সাক্ষাতে হংকংয়ের বিপক্ষে কখনো জয়ের স্বাদ পায়নি। সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৩ সালে ২-২ গোলে ড্র করা। বাকি তিন ম্যাচে হারতেই হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৬ সালে এই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দুই লেগের খেলায় প্রথমটিতে ঘরের মাঠে ১-০ ও দ্বিতীয়টিতে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৯ বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মাঠে নামবেন হামজা-শমিতরা।
হামজা চৌধুরীর আগমনে বদলাতে শুরু করছে বাংলাদেশ ফুটবলের ক্যানভাস। শমিত শোমও বাড়তি মাত্রা যোগ করেছেন দলে। সেই প্রথম হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য আজ এই দুই প্রবাসী মিডফিল্ডারের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন সমর্থকেরা। গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘তারা আমাদের দলকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে। শুধু গুণগত মান না, অভিজ্ঞতাও এনেছে। দিন শেষে পুরো দল মিলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’
শুরু থেকেই গ্রুপের সব দলের মতো হংকংকেও সমপর্যায়ের দল হিসেবে মনে করছেন কাবরেরা। সেই ভাবনা বদলায়নি এবারও, ‘গ্রুপের সব দলই সমান শক্তিশালী। চারটি দলের খেলার ধরন বা পরিচয় ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু শক্তির দিক থেকে তারা প্রায় সমান। হংকং ও সিঙ্গাপুর একই মানের দল। আপনি ফলাফল দেখলে বুঝবেন। বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় বড় বিষয় নয়। কারণ, দিন শেষে আমরা একটি দলের বিপক্ষে খেলছি। সেটা হংকং জাতীয় দল, এটাই মূল কথা। আমরা তাদের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
বাছাইপর্বে হংকংয়ের শুরুটা হয়েছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ড্র দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ঘরের মাটিতে ১-০ গোলে হারায় তারা। তা-ও শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। লক্ষ্য টানা দ্বিতীয়বার মূল পর্বে নাম লেখানো। দলের মধ্যে ৫ ব্রাজিলিয়ানসহ রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়। যদিও বংশোদ্ভূত বলায় খানিকটা বিরক্ত হলেন হংকং কোচ, ‘আমি এই দলে একটা নির্দিষ্ট খেলার ধরন, গেম প্ল্যান এবং দর্শন নিয়ে এসেছি। আমরা তা অনুসরণ করি। খেলোয়াড়েরা আমাদের কাঠামোতে মানিয়ে নিক, কঠোর পরিশ্রম করুক, ইচ্ছাশক্তি দেখাক, একত্রে কাজ করুক, প্রতিপক্ষের জন্য খেলা কঠিন করে তুলুক। এই ভাবধারা মেনে চলা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কে কোথা থেকে এসেছে, সেটা না।’
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে (১৮৪) ৩৮ ধাপ এগিয়ে আছে হংকং (১৪৬)। যদিও সেটা নিয়ে কোনো দাম্ভিকতা নেই ওয়েস্টউডের, ‘আমি র্যাঙ্কিংকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। বাংলাদেশ এখন উন্নতির পথে আছে। আমরা লিখটেনস্টেইনের কাছে হেরেছিলাম, তারা তখন র্যাঙ্কিংয়ে ২০৩ নম্বরে ছিল। কিন্তু ওরা ইউরোপে খেলে, তাই র্যাঙ্কিং সবকিছু না। ফুটবলে যেকোনো কিছু হতে পারে। দর্শক, পরিবেশ, মাঠ, ভ্রমণ, খাবার, আবহাওয়া—সবই প্রভাব ফেলে। তারা এমন কোনো প্রতিপক্ষ নয়, যাদের সঙ্গে বিশাল পার্থক্য আছে।’
গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের হতাশা এখনো পোড়ায় বাংলাদেশকে। তা ভুলে আজ সমর্থকেরা গ্যালারিতে আসবেন নতুন আশা নিয়ে। হামজা-শমিতরা পারবেন তো প্রত্যাশা মেটাতে?
হংকং কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউডের চার শব্দের উত্তর। তাতে সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেল। হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড় তাঁর দলে থাকলে বরং বেঞ্চ গরম করতে হতো। কথাটা খানিকটা ঔদ্ধত্যের সুরে বললেন ওয়েস্টউড। মাঠের আগে কথার লড়াইয়ে যেন পরিষ্কার করে নিতে চাইলেন ব্যবধানটা।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের লড়াইয়ে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং। জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। মূল পর্বে খেলার দৌড়ে টিকে থাকার জন্য দুই দলের কাছে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বাংলাদেশের জন্য তা বাঁচা-মরার মতো। দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
চারবারের সাক্ষাতে হংকংয়ের বিপক্ষে কখনো জয়ের স্বাদ পায়নি। সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৩ সালে ২-২ গোলে ড্র করা। বাকি তিন ম্যাচে হারতেই হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৬ সালে এই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দুই লেগের খেলায় প্রথমটিতে ঘরের মাঠে ১-০ ও দ্বিতীয়টিতে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৯ বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মাঠে নামবেন হামজা-শমিতরা।
হামজা চৌধুরীর আগমনে বদলাতে শুরু করছে বাংলাদেশ ফুটবলের ক্যানভাস। শমিত শোমও বাড়তি মাত্রা যোগ করেছেন দলে। সেই প্রথম হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য আজ এই দুই প্রবাসী মিডফিল্ডারের দিকেই তাকিয়ে থাকবেন সমর্থকেরা। গতকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, ‘তারা আমাদের দলকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করেছে। শুধু গুণগত মান না, অভিজ্ঞতাও এনেছে। দিন শেষে পুরো দল মিলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’
শুরু থেকেই গ্রুপের সব দলের মতো হংকংকেও সমপর্যায়ের দল হিসেবে মনে করছেন কাবরেরা। সেই ভাবনা বদলায়নি এবারও, ‘গ্রুপের সব দলই সমান শক্তিশালী। চারটি দলের খেলার ধরন বা পরিচয় ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু শক্তির দিক থেকে তারা প্রায় সমান। হংকং ও সিঙ্গাপুর একই মানের দল। আপনি ফলাফল দেখলে বুঝবেন। বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় বড় বিষয় নয়। কারণ, দিন শেষে আমরা একটি দলের বিপক্ষে খেলছি। সেটা হংকং জাতীয় দল, এটাই মূল কথা। আমরা তাদের বিপক্ষে প্রস্তুতি নিয়েছি।’
বাছাইপর্বে হংকংয়ের শুরুটা হয়েছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ড্র দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ঘরের মাটিতে ১-০ গোলে হারায় তারা। তা-ও শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। লক্ষ্য টানা দ্বিতীয়বার মূল পর্বে নাম লেখানো। দলের মধ্যে ৫ ব্রাজিলিয়ানসহ রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়। যদিও বংশোদ্ভূত বলায় খানিকটা বিরক্ত হলেন হংকং কোচ, ‘আমি এই দলে একটা নির্দিষ্ট খেলার ধরন, গেম প্ল্যান এবং দর্শন নিয়ে এসেছি। আমরা তা অনুসরণ করি। খেলোয়াড়েরা আমাদের কাঠামোতে মানিয়ে নিক, কঠোর পরিশ্রম করুক, ইচ্ছাশক্তি দেখাক, একত্রে কাজ করুক, প্রতিপক্ষের জন্য খেলা কঠিন করে তুলুক। এই ভাবধারা মেনে চলা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কে কোথা থেকে এসেছে, সেটা না।’
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে (১৮৪) ৩৮ ধাপ এগিয়ে আছে হংকং (১৪৬)। যদিও সেটা নিয়ে কোনো দাম্ভিকতা নেই ওয়েস্টউডের, ‘আমি র্যাঙ্কিংকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। বাংলাদেশ এখন উন্নতির পথে আছে। আমরা লিখটেনস্টেইনের কাছে হেরেছিলাম, তারা তখন র্যাঙ্কিংয়ে ২০৩ নম্বরে ছিল। কিন্তু ওরা ইউরোপে খেলে, তাই র্যাঙ্কিং সবকিছু না। ফুটবলে যেকোনো কিছু হতে পারে। দর্শক, পরিবেশ, মাঠ, ভ্রমণ, খাবার, আবহাওয়া—সবই প্রভাব ফেলে। তারা এমন কোনো প্রতিপক্ষ নয়, যাদের সঙ্গে বিশাল পার্থক্য আছে।’
গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের হতাশা এখনো পোড়ায় বাংলাদেশকে। তা ভুলে আজ সমর্থকেরা গ্যালারিতে আসবেন নতুন আশা নিয়ে। হামজা-শমিতরা পারবেন তো প্রত্যাশা মেটাতে?
ইউরোপের নামিদামি কোনো ক্লাবের ডাগআউটে কখনো বসতে পারেননি মিগুয়লে অ্যাঞ্জেল রুশো। এরপরও কিংবদন্তি কোচ হিসেবেই মানা হতো তাঁকে। জীবনের শেষ বেলাতেও কোচিংই ছিল সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলারের ধ্যান–জ্ঞান।
৩৫ মিনিট আগেঘরের মাঠে ২০২৩ সালে সান হুয়ানে শেষ ষোলোয় নাইজেরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল। এবার সেই প্রতিশোধটা নিল আকাশি-নীলরা। চিলির সান্তিয়াগোয় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় আজ নাইজেরিয়াকে বিধ্বস্ত করে শেষ আটের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।
১ ঘণ্টা আগেলিগ পর্ব শেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) আজ থেকে শুরু হয়েছে প্লে অফের খেলা। সেরা চারের প্রথম ম্যাচেই দারুণ লড়াই দেখল ভক্তরা। এলিমিনেটরে নাটকীয়তার পর ঢাকাকে ১ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। দলটির জয়ের নায়ক আকবর আলী। অধিনায়কের ব্যাটেই ফাইনালের দৌঁড়ে টিকে রইল রংপুর।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ-হংকং ম্যাচ শুরু হতে আর বেশি সময় বাকি নেই। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠে গড়াবে এই ম্যাচ। হামজা চৌধুরী-শমিত শোমের মতো তারকা ফুটবলারদের কারণে দেশের ফুটবল নিয়ে কী পরিমাণ উন্মাদনা বেড়েছে, সেটা আর নতুন করে বলার নেই।
২ ঘণ্টা আগে