Ajker Patrika

অচেনা ফুটসালে বাংলাদেশের পা

আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৫০
কদিন আগে ফুটসাল খেলোয়াড়দের ট্রায়াল নিয়েছে বাফুফে। ছবি: বাফুফে
কদিন আগে ফুটসাল খেলোয়াড়দের ট্রায়াল নিয়েছে বাফুফে। ছবি: বাফুফে

ফুটবলের কাছাকাছি হলেও ফুটসাল খেলার নিয়ম ও ধরন ভিন্ন । বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে ফুটসালের চর্চা থাকলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা বাফুফে শুরু করল মাত্রই । এ উপলক্ষে গতকাল বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনও করে তারা। খেলাটির আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন আনোয়ার সোহাগ

সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসেছিলেন প্রশ্নের উত্তর দিতে। বাংলাদেশ ফুটসাল কোচ সাঈদ খোদারাহমি উল্টো নিজেই প্রশ্ন শুরু করলেন। বাংলাদেশ কতগুলো ফুটসাল স্টেডিয়াম আছে, কয়জন খেলোয়াড় আছেন, কয়জন কোচ-রেফারি আছে?

কোনো প্রশ্নেরই উত্তর ছিল না। তখন খোদারাহমি বলে ওঠেন, বাংলাদেশে ফুটসালের জন্ম হচ্ছে আজ (গতকাল)। কথাটা একেবারে যে ভুল বলেছেন, তা অবশ্য নয়। তাঁর কাঁধে চড়ে ফুটসালের যুগে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ফুটসালকে সাধারণত ফুটবলের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ বলা হয়। যদিও নিয়মসহ খেলার ধরনে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। ফুটবলের মতো ফুটসালও ফিফার অধীনে একটা খেলা। আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাটির সঙ্গে নিজেদের পরিচয় হয়নি বাংলাদেশের। এএফসির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে।

দেশে ফুটসালকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো অবকাঠামোই গড়ে ওঠেনি। নেই কোনো স্টেডিয়াম, কোর্ট বা কোনো কিছু। বাফুফেতে ফুটসালের কমিটি আগেও ছিল, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো কাজ করতে পারেনি। সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠছে এবার। শূন্য থেকে শুরু করে ফুটসালেও ছাপ রাখতে চায় বাফুফে। ৩ মাসের চুক্তিতে ইরানি কোচকে আনা সে কারণেই।

ফুটসাল কমিটির চেয়ারম্যান ইমরানুর রহমান গতকাল বলেন, ‘প্রথমত, আমাদের যে অবকাঠামো নেই, এটা সত্যি। তবে আমাদের স্বপ্ন আছে সেখানে পৌঁছানোর। আজ মাত্র একটি বেবি স্টেপ শুরু হচ্ছে। তাঁর (খোদারাহমি) মধ্যে ফুটসাল নিয়ে আবেগ ও নিবেদন আছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তিনিই সঠিক ব্যক্তি। আমরা চেষ্টা করব ভালো কিছু করার।’

সঠিক অবকাঠামো ছাড়া যে উন্নতি সম্ভব নয়, তা ভালো করেই জানেন খোদারাহমি, ‘স্টেডিয়াম ছাড়া অনুশীলনই করা যায় না। কিন্তু এটা খুব কঠিন, আবার সহজও। যদি আপনি বারবার বলেন, অত্যন্ত কঠিন, অসম্ভব, তখন সেটা হবে না। কিন্তু যদি সরকার সাহায্য করে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সাহায্য করে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও হাইস্কুলে সহায়তা করে, তাহলে সম্ভব।’

এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে ট্রায়াল থেকে ৬৩০ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৫২ খেলোয়াড় বাছাই করেছে বাফুফে। আর একজন রয়েছেন প্রবাসী। সেই সংখ্যাটা টুর্নামেন্ট শুরুর ১০ দিন আগে ১৪তে নামিয়ে আনবেন খোদারাহমি। তবে তিনি রয়েছেন তারকার খোঁজে। বললেন, ‘হতে পারে, বাংলাদেশের কোথাও তারকা খেলোয়াড় আছে। সেই খেলোয়াড়কে খুঁজতে হবে। কারণ, ভালো ফলের জন্য তারকা খেলোয়াড় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানের খেলোয়াড় দিয়ে হয় না। কিন্তু প্রতিভাবান খেলোয়াড় কীভাবে খুঁজে বের করবেন? আপনাকে একটি শক্তিশালী লিগ গড়ে তুলতে হবে।’

ছেলেদের পাশাপাশি নারী ফুটসাল শুরু করতে চান তাবিথ আউয়াল। বাফুফে সভাপতি বললেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। ফুটসালে লিগ হবে, এখন ছেলেদের নিয়ে নেমেছি, আমরা মেয়েদেরও অন্তর্ভুক্ত করব। পরে যখন নারী টুর্নামেন্টে আমরা সুযোগ পাব, সেটাকে কেন্দ্র করে আমরা নারী ফুটসালের দিকে ঝুঁকব। আমাদের লক্ষ্য একদমই পরিষ্কার এবং খুবই লম্বা।’

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শক্তিশালী গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ। ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া পরিচিত মুখ হলেও বাংলাদেশ র‍্যাঙ্কিংয়ে নামই তুলতে পারেনি। খোদারাহমির প্রতিশ্রুতি, ‘আমি আমার শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সবাই যেন ফুটসাল নিয়ে ভাবতে শুরু করে। সবাই আগ্রহী হয়।’

উদাহরণ টেনে খোদারাহমি ইরানের নিজ শহরের কথা বলেছেন বারবার। যেখানে রয়েছে হাজারের বেশি স্টেডিয়াম। ইরানের মতো না হোক, তবে তাঁর হাত ধরে ফুটসালে একটা ধাপে যেতে চায় বাংলাদেশ।

দল ও খেলোয়াড় সংখ্যা

প্রতি দলে সর্বোচ্চ ১৪ জন খেলোয়াড় রাখা যাবে। মাঠে খেলতে পারবেন ৫ জন (গোলকিপারসহ)। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলোয়াড় বদল করা যাবে। নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই।

খেলার সময়

দুই অর্ধে ২০ মিনিট করে মোট ৪০ মিনিট খেলা হবে। মাঝখানে ১০ মিনিটের বিরতি। প্রতি অর্ধে প্রতি দল একবার করে টাইমআউট (১ মিনিট) নিতে পারে। ম্যাচ ড্র হলে দুই অর্ধে ৫ মিনিট করে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। তখনো ফল নির্ধারিত না হলে শুটআউটে নির্ধারিত হবে।

মাঠের পরিধি

ফুটসাল সাধারণত ইনডোর কোর্ট ও কাঠের মেঝেতে খেলা হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য মাঠের দৈর্ঘ্য ৩৮-৪২ মিটার ও প্রস্থ ২০-২৫ মিটার থাকতে হয়। গোলপোস্টের উচ্চতা থাকবে ২ মিটার, প্রস্থ ৩ মিটার।

ফাউল ও পেনাল্টি

প্রতি অর্ধে একটি দল সর্বোচ্চ ৫টি ফাউল করতে পারবে। ষষ্ঠ ফাউলের সময় প্রতিপক্ষ দল গোলপোস্টের ১০ মিটার দূর থেকে ফ্রি-কিক নিতে পারবে। ফ্রি-কিকের সময় অন্য দলের ফুটবলারদের ৫ মিটার দূরে থাকতে হবে। গোললাইন থেকে ৬ মিটার দূরত্বে পেনাল্টি কিক নেওয়া যাবে।

কার্ড

ফুটবলের মতো ফুটসালেও রয়েছে হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড। কোনো দলের খেলোয়াড় লাল কার্ড পেলে মাঠ থেকে চলে যেতে হবে। অন্তত ২ মিনিট পর্যন্ত সেই দলকে ৪ জন নিয়ে খেলতে হবে। তবে এর মধ্যে প্রতিপক্ষ দল গোল করলে আবার ৫ জন নিয়ে খেলতে পারবে তারা।

গোলকিপারের নিয়ম

কোনো গোলকিপার ৪ সেকেন্ডের বেশি বল হাতে রাখতে পারবেন না।

রেফারি

ফুটসালে সাইডলাইনে টাইমকিপারের পাশে থেকে খেলা পরিচালনা করেন রেফারি। তাঁর বিপরীত পাশে অবস্থান করেন সহকারী রেফারি। তৃতীয় রেফারি বেঞ্চের খেলোয়াড়দের আচরণ দেখভাল করেন। ম্যাচের সময়, ফাউলের গণনার জন্য একজন টাইমকিপার থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হকি বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে আজ। ছবি: ফেসবুক
হকি বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচন করা হয়েছে আজ। ছবি: ফেসবুক

আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে হবে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ। ২৪ দলের বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে ‘এফ’ গ্রুপে। সেখানে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্স। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এই দলের পৃষ্ঠপোষক ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফ্যালকন হলে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় যুব হকি দলের জার্সি উন্মোচিত হয়েছে। জার্সি উন্মোচন করেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।

প্রস্তুতি-লক্ষ্যসহ বাস্তবতা নিয়ে হকি ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, ‘এটি একটি অনন্য ক্ষণ এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমাদের দল ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দেশের পতাকা আরও উঁচুতে তুলে ধরবে।। শৃঙ্খলা সাফল্যের চাবিকাঠি এবং একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল সর্বদা জয়লাভ করে। মাঠের খেলায় ১১ বনাম ১১ লড়াই হয়, প্রতিপক্ষ কোণ দেশ বা দল বড় নয়, বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে এবং ভালো নৈপুণ্য প্রদর্শন করবে এটিই আমার প্রত্যাশা।’

ডাচ কোচের অধীনে বাংলাদেশ ইউরোপীয় খেলার ধরন বুঝতে পারছে। অধিনায়ক মেহরাব হাসান সামিন বলেন, ‘আমরা এখন ইউরোপীয় ধারাটা বুঝতে পেরেছি, আইকম্যানের মতো বড় কোচের অধীনে দলের খেলার ধারায়ও পরিবর্তন হয়েছে।’

হেড কোচ আইকম্যান বলেন, ‘খেলোয়াড়দের গতি ও বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেছি। আধুনিক হকিতে গতি ও দলগত সমন্বয়ের ওপরই সাফল্য নির্ভর করে। আমরা সেটিরই প্রতিফলন রাখতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব:) রিয়াজুল হাসান জানান, ১৮ নভেম্বর দল ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করবে এবং বিশ্বকাপ শুরুর আগে চিলি ও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ে থাকছে বাংলাদেশও

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজে আম্পায়ারিং করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ছবি: ফাইল ছবি
পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজে আম্পায়ারিং করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ছবি: ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্ট, ৩ টি-টোয়েন্টি ও ৩ ওয়ানডে কেবল শেষ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ঘরের টেস্ট সিরিজ ড্রয়ের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে পাকিস্তান। কিন্তু সালমান আলী আঘা-বাবর আজমদের যে দম ফেলার সুযোগ নেই। রাওয়ালপিন্ডিতে পরশু শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে না থেকেও থাকছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ম্যাচ কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছে। প্রথম ওয়ানডেতে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে আছেন ইংল্যান্ডের আলেকজান্ডার হোয়ার্ফ ও পাকিস্তানের আসিফ ইয়াকুব।তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন আরেক পাকিস্তানি আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৈকত মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে এই দায়িত্বে থাকবেন আরেক পাকিস্তানি আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে কাজ করবেন হোয়ার্ফ ও আসিফ। তৃতীয় ওয়ানডেতে ফের বদলে যাচ্ছে সৈকতের দায়িত্ব। সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশি এই আম্পায়ার থাকছেন তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে। ফয়সাল আফ্রিদি থাকবেন চতুর্থ আম্পায়ার। মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকছেন হোয়ার্ফ ও রশিদ রিয়াজ। তিন ওয়ানডেতেই আলী নাকভি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন।

হোয়ার্ফের সঙ্গে আইসিসির এলিট প্যানেলে আছেন সৈকতও। আইসিসি ইভেন্টসহ বিদেশে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও সৈকতকে আম্পায়ারিং করতে দেখা যায়। আর পাকিস্তানি দুই আম্পায়ারের মধ্যে রশিদ রিয়াজ আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ার। আসিফ ইয়াকুব আইসিসির ইমার্জিং প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছেন। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজের তিনটি ওয়ানডেরই ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি। ১৩ ও ১৫ নভেম্বর হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যোগ দেবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে বিসিবি সহসভাপতি ফারুক, হার্টে পরানো হয়েছে রিং

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ২৩
হাসপাতালে বিসিবি সহসভাপতি ফারুক, হার্টে পরানো হয়েছে রিং

টেস্টের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে চলছে দুই দিনব্যাপী ক্রিকেট কনফারেন্স। আজ প্রথম দিনে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সহসভাপতি মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনসহ বিসিবির পরিচালক রুবাবা দৌলা, আসিফ আকবররা ছিলেন। কিন্তু আরেক সহসভাপতি ফারুক আহমেদ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফারুককে ঢাকার একটি হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম। তাতে ফারুকের হার্টে রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাবীদ। সম্ভবত বিকেলের দিকে ফারুক গেছেন বলে জানা গেছে। হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় অ্যানজিওগ্রাম করে এরপর রিং পরানো (স্টেন্ট) হয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ফারুককে।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ফারুক। ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। বিসিবি প্রধান নির্বাচক ও বিসিবি সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন ফারুক। ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করলে তখন বিসিবি সভাপতি হয়েছিলেন ফারুক। ৯ মাস বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ফারুক। পদত্যাগ না করলেও এ বছরের ২৯ মে অপসারিত হয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পরিচালক হিসেবে।

ফারুকের জায়গায় ৩১ মে বুলবুল বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনের পর ফের সভাপতি হয়েছেন বুলবুল। তাঁর সঙ্গে সহসভাপতি হয়েছেন মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও ফারুক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটবল যদি মারপিট করে, আমিও মারপিট করব: আসিফ আকবর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৮
বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল ফেডারেশনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল ফেডারেশনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ। ছবি: সংগৃহীত

ফুটবলাররা মাঠের ক্রিকেটের উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। তাঁর মতে, ফুটবলের কারণে ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না।

দেশের ৬৪টি জেলা ও আটটি বিভাগের ক্রিকেট কোচ, কাউন্সিলর, নারী উদ্যোক্তা প্রতিনিধি ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সের আয়োজন করেছে বিসিবি। আজ প্রথম দিন সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন আসিফ। ক্রিকেটকে এগিয়ে রাখার প্রয়োজনে মারধর করতেও রাজি আছেন তিনি।

কুমিল্লায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে জেলা ক্রিকেট লিগ শুরু হবে ১২ নভেম্বর। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে ২৪ নভেম্বর সেখানেই হবে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ। তাই কুমিল্লায় ম্যাটের উইকেটে খেলা হবে বলে দাবি আসিফ আকবরের।

ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

আসিফ আরও বলেন, ‘আমি সরাসরি বলতে চাই। কারণ, ক্রিকেট একটা ডিসিপ্লিন খেলা, একটা আভিজাত্যের খেলা। এখানে অনেক নিয়মকানুন আছে, রেকর্ডের খেলা। আর ফুটবল হচ্ছে, যদি একজনের গায়ে আরেকজন লাগে, সে মিথ্যা কথা বলবে যে, ‘‘আমার থ্রো’’। তাই না? শুরুটাই খারাপ। কার কর্নার, কার ফাউল, কে এসে বসে, সবাই দাবি করে। কিন্তু ক্রিকেটটা এমন না।’

ফুটবল যেমন, আসিফ তেমনই ব্যবহার করতে চান, ‘আমি আবার অত ভদ্র না। যেহেতু আমি অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার... যদি ফুটবল মারপিট করে, আমিও মারপিট করব, নো প্রোবলেম। যে যেমন, তার সঙ্গে তেমন করতে হবে। আমরা তো চাঁদা চাচ্ছি না, কিডনি চাচ্ছি না, হার্ট-চোখ চাচ্ছি না, আমরা চাচ্ছি খেলার অধিকার।’

বাফুফের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সমঝোতায় আসতে অনুরোধ করেন আসিফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোর্ড সভাপতিকে অনুরোধ করব, আমাদের সিনিয়র যারা আছেন বোর্ড মেম্বারস, তাঁদের অনুরোধ করব যে আপনারা জরুরি ভিত্তিতে বাফুফের সঙ্গে বসেন। আমরা তো মারামারি করতে যাব না। আমরা এনএসসির কাছে বার্ষিক সূচি চাই। কখন কোন খেলা হবে। যদি তা না করতে পারি, যতই চেষ্টা করি কোনো লাভ হবে না। মাঠেরও টেম্পারমেন্ট থাকে। ফুটবলারদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতায় আসতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত