Ajker Patrika

সৌদি আরবে গোল করা অনেক কঠিন, দাবি রোনালদোর

ক্রীড়া ডেস্ক    
আল নাসরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি
আল নাসরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: এএফপি

বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়তো এখানে আর কেউ নেই। ৪০ বছর বয়সে একের পর এক গোল ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। কিন্তু তারকা ফুটবলারদের যে জ্বালা-যন্ত্রণার অন্ত নেই। একটু বাজে খেললেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় কড়া সমালোচনা।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান রোনালদো। আল নাসরের জার্সিতে আড়াই বছরে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১১৬ ম্যাচ খেলেছেন। গোলের পর গোল করে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। তবে যখন গোলখরায় থাকেন, তখন নেটিজেনরা ধুয়ে দেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ডকে। পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানিয়েছেন, সৌদি প্রো লিগকে অনেকে ঠিকভাবে মূল্যায়ন করেন না। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘মানুষ যা খুশি তা-ই বলতে পারেন। আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সংখ্যাগুলো তো মিথ্যা না। সৌদি লিগ নিয়ে নানা কথা বলেন। অথচ যারা কখনো এখানে আসেননি, কখনো খেলেননি, তারা কী করে বুঝবেন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলার কষ্ট। আমার মতে পর্তুগিজ লিগের চেয়ে সৌদি লিগ অনেক অনেক ভালো।’

আল নাসরের হয়ে আড়াই বছরের ক্যারিয়ারে কেবল ২০২৩ সালে আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ জিতেছেন রোনালদো। আর সৌদি প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাছাকাছি হয়েও শিরোপা জিততে পারেনি রোনালদোর দল। বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বে সৌদি ক্লাবটির বাদ পড়ার ঘটনা তো রয়েছেই। সৌদির ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলতে যে কত কষ্ট হয়, সেটা সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সৌদি লিগ বাদে ইউরোপের কোনো লিগে খেললেও নিজের সেরাটা দিতে পারতেন বলে দাবি তাঁর। রোনালদো বলেন, ‘বাজে একটি মৌসুমেও আল নাসর যখন কোনো ট্রফি জেতেনি, সে সময় আমার ২৫ গোল ছিল। প্রিমিয়ার লিগে খেললেও একই ভাবে গোল করতাম। ভালো দলে খেললে ৪০ বছর বয়সেও একই পারফর্ম করতাম।’

সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন দিয়োগো জোতা ও তাঁর ভাই আন্দ্রে। ২৮ বছর বয়সী জোতার মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে শোকপ্রকাশ করেছিলেন। তবে তাঁর শেষকৃত্যে যাওয়া হয়নি রোনালদোর। কেন তখন যাননি, সেই ব্যাখ্যায় পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ অনেক সমালোচনা করে আমার। বিবেকের কাছে আপনি যখন ঠিক , তখন কারও কথা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আর কখনোই আমি কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনেন, তারা ব্যাপারটা জানেন। যেখানেই যাই, সেখানেই ভিড় হয়। হইচই শুরু হয়ে যায়। সার্কাসের মতো অবস্থা।’

স্পোর্টিং সিপি, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস, আল নাসরসহ ক্লাব ক্যারিয়ারে ১০৬৪ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। ৮০৩ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ২৫৮ গোলে। ২০২২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তৎকালীন কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ইউনাইটেড ছেড়ে আল নাসরে পাড়ি জমান রোনালদো। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সেটা ছিল ম্যান ইউতে দ্বিতীয় দফা। এর আগে ইংলিশ ক্লাবটিতে প্রথম দফা ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিফটি উদ্‌যাপন করতে গিয়ে রান আউট জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন চারি। ছবি: সংগৃহীত
৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন চারি। ছবি: সংগৃহীত

ফিফটি করে অন্যান্য ব্যাটারদের মতোই উদ্‌যাপন করতে গিয়েছিলেন ব্রায়ান চারি। কিন্তু সেই উদ্‌যাপনই বিপদ হলো তাঁর জন্য। নিজের ভুলে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়েনর পথ ধরতে হয়েছে এই ব্যাটারকে।

ঘটনাটি ঘটেছে জিম্বাবুয়ের লোগান কাপে। বুলাওয়েতে মেগা মার্কেট মাউন্টেনিয়ার্সের বিপক্ষে ম্যাচে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাস্কার্সের চারিকে। প্রথম ইনিংসের ডেফিনেট মাওয়াদজির করা ৫২ তম ওভারের ঘটনা। ৪৯ রানে ব্যাট করছিলেন চারি। শেষ বলে প্যাডেল সুইপ খেলে দুই রান নেন তিনি।

স্ট্রাইক প্রান্তে এসে ব্যাট মাটিতে রাখেন চারি। এরপর ব্যাট উপরে তুলে উদ্যাপন শুরু করেন। নন-স্ট্রাইকার তাফারা মুপারিওয়ার সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন চারি। তখনো বলটি সম্পন্ন হয়নি। চারি ক্রিজ ছেড়ে যেতেই টিমিসেন মারুমার থ্রো পেয়ে স্টাম্পিং করেন উইকেটরক্ষক জয়লর্ড গাম্বি।

পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন চারি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। ৫১ রান করার পথে ছয়টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন চারি। সাজঘরে ফেরার সময় স্বাভাবিকভাবেই হতাশার ছাপ ছিল তাঁর চোখে মুখে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটা চারির ২৮ তম ফিফটি।

জিম্বাবুয়ের হয়ে তিন সংস্করণেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে চারির। ২০১৪ সালের নভেম্বরে খুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। ২০২০ সালের নভেম্বরে দেশের জার্সিতে সবশেষ ম্যাচটি খেলেন এই ক্রিকেটার। ৭ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডের পাশাপাশি তিনটি টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। টেস্টে করেছেন ২৫৪ রান। এছাড়া ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে চারির সংগ্রহ যথাক্রমে ১৮৬ ও ২১ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০০-এর আগে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকেই শুধু বাঁচল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৫
বোলিংটা ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এবারও হারল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো
বোলিংটা ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এবারও হারল বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো

বগুড়ায় ২৮ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পর জিততেই যেন ভুলে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জেতা যেন দূরে থাক, আফগানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারছে না আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সবশেষ দুই ওয়ানডেতে আফগান যুবাদের কাছে বাজেভাবে হারলেন তামিমরা।

ডাকওয়ার্থ লুইস এন্ড স্টার্ন মেথডে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ রানে জয়ের পর বাংলাদেশের যুবারা সিরিজে আর জয়ই পায়নি। সেই বগুড়ায় এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। ভেন্যু বদলে এরপর সিরিজের তিন ওয়ানডে চলে যায় রাজশাহীতে। কিন্তু নতুন ভেন্যুতে এসে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশ। পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানরা জিতেছে ১০২ রানে। সেই রাজশাহীতে আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪৭ রানে হেরে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে তামিমের বাংলাদেশ। ১০০ রানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার মতো যে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়তে গিয়েছিল বাংলাদেশ, সেই অবস্থা থেকেই শুধু উদ্ধার হয়েছে স্বাগতিকেরা।

২৫৯ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকেন আফগানিস্তানের আগুনে বোলিংয়ে। ৭.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। কত দ্রুত ম্যাচ জিততে পারে, আফগানরা ছিল সেই অপেক্ষাতেই। কিন্তু সফরকারীদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান দেবাশীষ সরকার দেবা ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। সপ্তম উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়েন দেবাশীষ-আব্দুল্লাহ। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে দেবাশীষকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নুরিস্তানি ওমরজাই। আট নম্বরে নেমে ৬১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রান করেন দেবাশীষ।

দেবাশীষ আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩২.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ১০৭ বলে ১১১ রানের সমীকরণ মেলানোর সম্ভাবনা তখনো টিকে ছিল স্বাগতিকদের সামনে। উইকেটে একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন আব্দুল্লাহ। তবে ৬.২২ রানরেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি সেভাবে খেলতে পারেননি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আব্দুল্লাহ স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েছেন নাজিফুল্লাহ আমিরিকে তুলে মারতে গিয়ে। ১৬০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় আব্দুল্লাহ করেন ৯৫ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ আটকে যায় ৯ উইকেটে ২১১ রানে। আফগানিস্তানের আব্দুল আজিজ খান ৬.২ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মাহবুব খান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১১২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ১১৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১০ চার ও ৪ ছক্কা। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২৫৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। যেখানে ২৭ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমন ৯.৩ ওভারে ৫১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। পরশু রাজশাহীতে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক ওভারে ছয় ছক্কা মারলেন পাকিস্তানি বোলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
পঞ্চ ওভারে ওই কীর্তি গড়েন আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত
পঞ্চ ওভারে ওই কীর্তি গড়েন আফ্রিদি। ছবি: সংগৃহীত

আব্বাস আফ্রিদি একজন বোলার। তাঁর আসল কাজটা বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কাবু করা। কিন্তু হংকং সিক্সেসে আজ রীতিমতো ব্যাটার হয়ে উঠেছিলেন এই পেসার। কুয়েতের বিপক্ষে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকান তিনি।

কুয়েতের করা ১২৩ রানের জবাবে শেষ দুই ওভারে ৬৭ রানের সমীকরণ দাঁড়ায় পাকিস্তানের সামনে। কঠিন মনে হলেও আফ্রিদির ছক্কা বৃষ্টিতে এই সমীকরণ মিলিয়েছে দলটি। ইয়াসিন প্যাটলের করা পঞ্চম ওভারে ঝড় তোলেন আফ্রিদি। টানা ছয়বার বলকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। ষষ্ঠ ডেলিভারিটা নো করেন ইয়াসিন। তাঁর শেষ বলে লেগ বাই থেকে আসে এক রান। সব মিলিয়ে সে ওভারে ৩৮ রান দেন ইয়াসিন।

এর আগে এবং পরে আরও একটি করে ছক্কা মারেন আফ্রিদি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ১২ বলে খেলেন ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৮ ছয়ের পাশাপাশি একটি চার মারেন আফ্রিদি। বাকি কাজটুকু সারেন শাহিদ আজিজ। ৫ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এছাড়া দলটির হয়ে খাজা নাফে ২৫ ও মোহাম্মদ শেহজাদ করেন ১৪ রান। কুয়েতের হয়ে ২ ওভারে ৫৫ রান দেন ইয়াসিন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার কীর্তি আছে ছয়জনের। তাঁরা হলেন হার্শেল গিবস, যুবরাজ সিং, কাইরন পোলার্ড, জাসকারান মালহোত্রা ও মানান বশির। এর আগে ১০ জন ব্যাটার স্বীকৃত ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা মেরেছেন। এই তালিকার সবশেষ সংযোজন আফ্রিদি।

গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্ট অভিষেক হয় আফ্রিদির। সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২৪ টি–টোয়েন্টির ২৩ ইনিংস বল করে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট। ১৫ ইনিংস ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ১৩৫ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উগান্ডার লিগে ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন নিউইয়র্ক মেয়র

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ০০
নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি একসময় ক্রিকেটও খেলতেন। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি একসময় ক্রিকেটও খেলতেন। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানিকে নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। এবার তাঁর সম্পর্কে জানা গেল চমকপ্রদ এক তথ্য। নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত এই মেয়র এক সময় নাকি ক্রিকেট খেলতেন! শুধু তাই নয়, ছক্কা মারতেও ওস্তাদ ছিলেন মামদানি।

মামদানির ক্রিকেট সংশ্লিষ্টতার খবর গত রাতে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ক্রিকেট উগান্ডা গত রাতে নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করার পরই নেটিজেনদের মধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। ছবিতে সাত তরুণ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে ক্রিকেট উগান্ডা লিখেছে, ‘আপনি ঠিকই দেখেছেন। নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) এক সময় আমাদের ক্যাসল ডেভেলপমেন্ট ক্রিকেট দলে খেলতেন। স্থানীয় লিগে একের পর এক ছক্কা মেরেছেন।’ ক্রিকেট খেলতেন কি না সেটা নিয়ে যখন নানা আলোচনা, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্পোর্টিং নিউজ’ও তাঁর ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘ক্রিকেট উগান্ডা’র সুরে সুর মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের সুরে বলছে, ‘উগান্ডায় বেড়ে ওঠার সময়ে স্থানীয় ডেভেলপমেন্ট ক্রিকেট লিগে ক্যাসল ডেভেলপমেন্ট দলের হয়ে খেলেছেন মামদানি।’

মামদানির ক্রিকেট সংশ্লিষ্টটা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যমেও। পরশু এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘নিউইয়র্কে ব্রোনক্স হাই স্কুল অব সায়েন্সে পড়ার সময় তাঁর স্কুলের প্রথম ক্রিকেট দলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মামদানির সেই দল যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক স্কুল অ্যাথলেটিক লিগে (পিএসএএল) প্রথম মৌসুমে অংশ নিয়েছিল। ঐক্য কাকে বলে, ক্রিকেট থেকেই সেটা তিনি শিখেছেন।’

ফুটবলেরও দারুণ ভক্ত মামদানি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আর্সেনাল তাঁর প্রিয় দল। ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য ফিফার ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ বা পরিবর্তনশীল মূল্যনীতি বাতিল করতে পিটিশনও দায়ের করেছিলেন মামদানি। তাঁর মা-বাবা ভারতীয়। মা মীরা নায়ার ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা। বাবা মাহমুদ মামদানি নৃবিজ্ঞানী। ১৯৮৯ সালে উগান্ডায় মাহমুদ মামদানি ও মীরা নায়ারের প্রথম দেখা হয়েছিল। ১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর মাহমুদ-মীরার ঘরে জন্ম হয়েছিল উগান্ডার কাম্পালায়। জোহরান মামদানির সাত বছর বয়সেই তাদের পরিবার স্থায়ীভাবে নিউইয়র্কে চলে যায় বলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য স্পোর্টিং নিউজ’ জানিয়েছে।

যে উগান্ডার স্থানীয় লিগে জোহরান মামদানি খেলতেন, সেই উগান্ডা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেবল টি-টোয়েন্টিই খেলে। ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১১৮ ম্যাচ খেলেছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। গত বছর তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। এই বিশ্বকাপ দিয়েই প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিয়েছে উগান্ডা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

সুদান যুদ্ধে আমিরাতের বিপরীতে মিসর-তুরস্কের বিরল ঐক্য, ঢুকছে অস্ত্র ও ড্রোনচালক

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত