নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্যালারিতে ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক। জাতীয় দলের ম্যাচে সবশেষ এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে তা মনে করাটাই মুশকিল ছিল। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা এসেছিল, সেটা পূরণ হয়নি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলে।
এই হারের পেছনে দায় কার? ম্যাচ শেষে এমনই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কাছে। তেমন কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এমনকি কারও ঘাড়ে দোষও চাপিয়ে দেননি। তবে সমালোচকেরা সবচেয়ে বড় দায়টা দিচ্ছে তাঁর ওপরই।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এমনকি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ড্র হওয়ার পরও মনে হয়েছিল সিঙ্গাপুর বেশ শক্তিশালী দল। কিন্তু ৬ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ফুটবলে বদলে গেছে অনেক কিছুই।
দলে যোগ হয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফুটবলার হামজা চৌধুরী। কানাডার জার্সিতে খেলা শমিত শোমও বদলেছেন। দুজনে মিলে বাংলাদেশের মিডফিল্ডকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কাবরেরা তো বলেই ফেলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা মিডফিল্ড লাইনআপ তাঁর অধীনে আছে। কিন্তু এই মিডফিল্ড লাইনআপকে ঠিকমতো ব্যবহার করার সামর্থ্য কি আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়।
স্প্যানিশ এই কোচ এর আগে কখনোই জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেননি। সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে ৩২টি ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন তিনি। তাঁর দল নির্বাচন বরাবরই প্রশ্নের খোড়াক জোগায়, একই সঙ্গে ম্যাচের কৌশলও। সিঙ্গাপুর ম্যাচ যা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর সবাই ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু ভাই হারানোর শোকে পড়েন মিতুল মারমা। সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় থেকেই সিঙ্গাপুর ম্যাচ খেলতে নামেন তিনি। জাতীয় দলের প্রতি তাঁর কর্তব্যের কারণেই নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করেন তিনি। কারণ কাবরেরার কাছে বিকল্প বলে তেমন কিছু ছিল না। বাকি যে দুজন গোলরক্ষক ছিলেন, এর মধ্যে সুজন হোসেনের এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি। ভুটান ম্যাচে বাজিয়ে দেখার সুযোগ ছিল, সেটাও করেননি কাবরেরা। আরেক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকেও বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন।
ডিফেন্ডার হিসেবে সাদ উদ্দিন বরাবরই কাবরেরার প্রিয়। কিন্তু সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় গোলটি হওয়ার আগে সাদের দাঁড়িয়ে থাকা বেশ অবাকই করে। কাজেম শাহ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। কাবরেরা সেদিন তাঁকে খেলিয়েছেন রাইট উইঙ্গার হিসেবে। অথচ সেই পজিশনে খেলে লিগে ১১ গোল করেছেন রাকিব। স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বেশ কয়েকবার বোতলবন্দী থাকতে হয়েছে তাঁকে। অথচ স্ট্রাইকার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া সুমন রেজা-আল আমিনরা ছিলেন একাদশের বাইরে।
কাবরেরার এমন ভুল ভাবাচ্ছে বাফুফেকেও। জাতীয় দল কমিটির কারও কারও মধ্যে কোচ বদলের ভাবনাও এসেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। আজ বাফুফের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। সেখানে নিশ্চয়ই উঠে আসবে কোচ প্রসঙ্গ।
জাতীয় দলের আবার মাঠে নামার কথা রয়েছে সেপ্টেম্বরে। তবে এর আগে বিরতিতেই থাকতে হচ্ছে ফুটবলারদের। কারণ ঘরোয়া ফুটবল শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর। তাই খেলার ভেতরে না থেকে প্রস্তুতি কতটা সফল হবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
গ্যালারিতে ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক। জাতীয় দলের ম্যাচে সবশেষ এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে তা মনে করাটাই মুশকিল ছিল। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা এসেছিল, সেটা পূরণ হয়নি। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলে।
এই হারের পেছনে দায় কার? ম্যাচ শেষে এমনই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কাছে। তেমন কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এমনকি কারও ঘাড়ে দোষও চাপিয়ে দেননি। তবে সমালোচকেরা সবচেয়ে বড় দায়টা দিচ্ছে তাঁর ওপরই।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এমনকি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ড্র হওয়ার পরও মনে হয়েছিল সিঙ্গাপুর বেশ শক্তিশালী দল। কিন্তু ৬ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ ফুটবলে বদলে গেছে অনেক কিছুই।
দলে যোগ হয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফুটবলার হামজা চৌধুরী। কানাডার জার্সিতে খেলা শমিত শোমও বদলেছেন। দুজনে মিলে বাংলাদেশের মিডফিল্ডকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কাবরেরা তো বলেই ফেলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা মিডফিল্ড লাইনআপ তাঁর অধীনে আছে। কিন্তু এই মিডফিল্ড লাইনআপকে ঠিকমতো ব্যবহার করার সামর্থ্য কি আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন করাই যায়।
স্প্যানিশ এই কোচ এর আগে কখনোই জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেননি। সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের হয়ে ৩২টি ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন তিনি। তাঁর দল নির্বাচন বরাবরই প্রশ্নের খোড়াক জোগায়, একই সঙ্গে ম্যাচের কৌশলও। সিঙ্গাপুর ম্যাচ যা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের পর সবাই ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। কিন্তু ভাই হারানোর শোকে পড়েন মিতুল মারমা। সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় থেকেই সিঙ্গাপুর ম্যাচ খেলতে নামেন তিনি। জাতীয় দলের প্রতি তাঁর কর্তব্যের কারণেই নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করেন তিনি। কারণ কাবরেরার কাছে বিকল্প বলে তেমন কিছু ছিল না। বাকি যে দুজন গোলরক্ষক ছিলেন, এর মধ্যে সুজন হোসেনের এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি। ভুটান ম্যাচে বাজিয়ে দেখার সুযোগ ছিল, সেটাও করেননি কাবরেরা। আরেক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকেও বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন।
ডিফেন্ডার হিসেবে সাদ উদ্দিন বরাবরই কাবরেরার প্রিয়। কিন্তু সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় গোলটি হওয়ার আগে সাদের দাঁড়িয়ে থাকা বেশ অবাকই করে। কাজেম শাহ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। কাবরেরা সেদিন তাঁকে খেলিয়েছেন রাইট উইঙ্গার হিসেবে। অথচ সেই পজিশনে খেলে লিগে ১১ গোল করেছেন রাকিব। স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বেশ কয়েকবার বোতলবন্দী থাকতে হয়েছে তাঁকে। অথচ স্ট্রাইকার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেওয়া সুমন রেজা-আল আমিনরা ছিলেন একাদশের বাইরে।
কাবরেরার এমন ভুল ভাবাচ্ছে বাফুফেকেও। জাতীয় দল কমিটির কারও কারও মধ্যে কোচ বদলের ভাবনাও এসেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। আজ বাফুফের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। সেখানে নিশ্চয়ই উঠে আসবে কোচ প্রসঙ্গ।
জাতীয় দলের আবার মাঠে নামার কথা রয়েছে সেপ্টেম্বরে। তবে এর আগে বিরতিতেই থাকতে হচ্ছে ফুটবলারদের। কারণ ঘরোয়া ফুটবল শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর। তাই খেলার ভেতরে না থেকে প্রস্তুতি কতটা সফল হবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৭ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৯ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে