Ajker Patrika

ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৬

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৩
পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ান রিশাদ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ান রিশাদ। ছবি: এসিসি

আগের দিন বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ভারত। তাই আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সুপার ফোরের লড়াইটি হয়ে দাঁড়ায় এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে সে দলই নাম লেখাবে ফাইনাল।

এমন নয় যে ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্বোধ্য ছিল দুবাইয়ের উইকেট। বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই ভালো লেংথে বোলিং করে চেপে ধরেন পাকিস্তানকে। সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও পাকিস্তান ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি। ফাইনাল ওঠার জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩৬।

ভারতের মতো এই ম্যাচেও একাদশে থাকেননি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী।

একাদশে আনা হয় ৩ পরিবর্তন। নাসুম আহমেদ, সাইফউদ্দিন ও তানজিদ হাসন তামিমের বদলে দলে ঢোকেন নুরুল হাসান সোহান, তাসকিন আহমেদ ও শেখ মেহেদী। নতুন বলে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসের শুরুটা করেন তাসকিন। প্রথম ওভারে তাঁর আউটসুইং ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন সাহিবজাদা ফারহান (৪)। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাহিবজাদা পরিণত হলেন তাসকিনের ১০০তম শিকারে।

পরের ওভারে আঘাত হানেন শেখ মেহেদী। তাঁকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে থাকা রিশাদের কাছে ধরা পড়েন সায়েব আইয়ুব। এশিয়া কাপে এনিয়ে চতুর্থবার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি।

দুই ক্যাচ নিয়ে রিশাদ ভেবেছিলেন তাঁরও উইকেট নেওয়া দরকার। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই তাঁকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক জাকের আলী। এর আগে ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি পাকিস্তান। তাদের এই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন রিশাদ। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন ফখর জামানকে। লং অফে থাকা তানজিম হাসান সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফখর আউট হন ২০ বলে ২ চারে ১৩ রান নিয়ে।

পরের ওভারে হুসাইন তালাতকেও (৩) থিতু হতে দেননি রিশাদ হোসেন। ব্যাকওয়ার্ড দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সাইফ হাসান। ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে তখন দিশেহারা পাকিস্তান। প্রথম ৯ ওভারের একটিতেও ৬ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা।

মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে মিলে জুটি গড়ার পরিকল্পনা করছিলেন অধিনায়ক সালমান আলী আগা। কিন্তু সেই জুটিও টেকেনি ১৫ বলের বেশি। দুর্দান্ত এক কাটারে সালমানকে ধরাশায়ী করেন মোস্তাফিজুর রহমান। যদিও আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। কিন্তু রিভিউতে নিশ্চিত হয়েছে বল সালমানের ব্যাট ছুঁয়েই আশ্রয় নিয়েছে উইকেটরক্ষক জাকেরের গ্লাভসে।

রানের গতি বাড়াতে প্রমোশন পেয়ে ৭ নম্বরে নামেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মূল পরিচয় বোলার হলেও এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের যেকোনো ব্যাটারের চেয়ে ধারাবাহিকভাবে ঝড় দেখা গেছে তাঁর ব্যাটে। ব্যাটিংয়ে এসে তানজিম আহমেদ ও তাসকিনের বলে দুটি বড় ছক্কা হাঁকিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ১৩ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতেই সীমাবদ্ধ রাখেন তাসকিন। তাঁর ছোড়া ফুলটস হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন শাহিন। দৌড়ে এসে সেই ক্যাচ নেন জাকের।

একপ্রান্তে রেখে খেলা হারিস শেষ দিকে গিয়ে চেষ্টা করেন গিয়ার বদলানোর। কোনোমতো লড়াকু পুঁজির জন্য তাঁর ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল পাকিস্তান। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই নিজের বলে ক্যাচ নিয়ে তাঁকে থামান মেহেদী। ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ রানে সাজঘরে ফেরেন হারিস।

১৫ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করা মোহাম্মদ নওয়াজ পরিণত হন তাসকিনের তৃতীয় শিকারে। ৪ ওভারে তাসকিনের সমান ২৮ রান খরচ করেন ২ উইকেট শেখ মেহেদীও। মিতব্যয়ী বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়া রিশাদ ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৮ রান। শুরুতে দারুণ বোলিংয়ের পরও শেষ ১০ ওভারে ৮৯ রান খরচ করাটা দৃষ্টিকটুই বাংলাদেশের জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত