Ajker Patrika

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জার্সিগুলো যেমন

আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২২, ১২: ৩০
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জার্সিগুলো যেমন

‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা জার্সি’—পরশু রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিসিবি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি প্রকাশ্যে আনার পর এ মন্তব্য করেছেন হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী। দেশের তিন ঐতিহ্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, সুন্দরবন আর জামদানির মেলবন্ধনে তৈরি সাকিব-সোহান-মোস্তাফিজদের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জার্সি সবার মনে ধরেছে। নতুন নকশার এই জার্সি মনে করিয়ে দিয়েছে অতীতকেও। ২০০৭ সালের উদ্বোধনী আসর থেকে এখন পর্যন্ত সব কটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। কেমন ছিল অতীতের সেই জার্সিগুলো, তা নিয়েই এ আয়োজন। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ 
ওমান-আরব আমিরাত

হোম জার্সিতে সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে কাঁধের অংশে ব্যবহার করা হয়েছিল লাল রং। এর সঙ্গে ২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে ব্যবহৃত জার্সির মিল পাওয়া গেছে। জার্সিতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তৈরি সুতা ব্যবহার করা হয়েছিল। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬ 
ভারত

এই আসরেই প্রথমবার হোম ও অ্যাওয়ে জার্সি পরে নেমেছিল বাংলাদেশ। হোম কিটে ট্রাউজার-জার্সি পুরোটাই ছিল সবুজ। শুধু হাতের অংশটি ছিল লাল। নতুনত্ব এনেছিল স্ট্রাইপ। তবে অ্যাওয়ে জার্সির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের জার্সির মিল থাকায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ 
বাংলাদেশ

প্রথমবার দেশে বসেছিল টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। সেবার জার্সির নকশা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী সেজান লিঙ্কন। জার্সিতে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজের সঙ্গে হলুদ রংকেও প্রাধান্য দিয়েছিলেন তিনি। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১২ 
শ্রীলঙ্কা

রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই জার্সিকে ভিন্নধর্মী বলা যায়। এটিতে ছিল হালকা সবুজের আধিক্য। কোমর আর বুকের বোতামের অংশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল গাঢ় লালে। কনুইয়ের অংশে ছিল চিকন লাল বর্ডার। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১০ 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এক বছরের ব্যবধানে আরেকটি বিশ্বকাপ হওয়ায় বাংলাদেশের জার্সিতে খুব বেশি পরিবর্তন আনা হয়নি। ২০০৯ আসরের সঙ্গে এই জার্সির নকশা অনেকাংশেই মিলে যায়। শুধু হলুদ স্ট্রাইপের জায়গায় চিকন লাল বর্ডার ব্যবহার করা হয়েছিল। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৯ 
ইংল্যান্ড

আসর চলাকালীন ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা ছিল। এ ধরনের তাপমাত্রার বিষয়টি মাথায় রেখে জার্সি বানানো হয়েছিল। এতে সবুজের প্রাধান্য ছিল। শুধু কোমর ও ঘাড়ের অংশে লাল-সবুজ-হলুদ রঙের স্ট্রাইপ ছিল। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৭ 
দক্ষিণ আফ্রিকা

উদ্বোধনী আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার এইট পর্বে উঠেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই তাদের সেরা সাফল্য। সে কারণে জার্সিটাও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। জার্সিতে ছিল হালকা সবুজের প্রাধান্য। হাতের অংশ ছিল লাল। আর বুকের বোতামের অংশে হালকা হলুদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইপিএলের নিলাম আবুধাবিতে

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০২৬ আইপিএলের নিলাম হবে আবুধাবিতে। ছবি: ক্রিকইনফো
২০২৬ আইপিএলের নিলাম হবে আবুধাবিতে। ছবি: ক্রিকইনফো

২০২৬ আইপিএলের নিলাম যে ভারতের বাইরে হতে যাচ্ছে, সেটা আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে হচ্ছে ১৯তম আইপিএলের নিলাম।

ভেন্যুর পাশাপাশি ঠিক হয়েছে ২০২৬ আইপিএলের নিলামের দিনক্ষণও। ক্রিকইনফোর আজকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯তম আইপিএলের নিলাম হবে ১৬ ডিসেম্বর। ২০২৬ সালের ১৫ মার্চ শুরু হতে পারে নতুন আসরের আইপিএল। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল হতে পারে ৩১ মে। এ নিয়ে টানা তিনবার দেশের বাইরে আইপিএলের নিলাম হচ্ছে এবং তিনবারই মধ্যপ্রাচ্যে। ২০২৪ আইপিএলের জন্য নিলাম হয়েছিল দুবাইয়ে। আর গত বছরের নভেম্বরে জেদ্দায় দুই দিনব্যাপী হয়েছিল ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলাম।

অন্যান্য মিনি নিলামের মতো ২০২৬ আইপিএলের নিলাম হবে এক দিনেই। কোন ক্রিকেটারদের ছাড়বে আর কাদের ধরে রাখবে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে সেটার একটা তালিকা তৈরি করতে হবে ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যে। সেখান থেকে ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে পাঠাতে হবে। সেই তালিকা আরও ছোট করে নিলামের জন্য আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে হবে। এদিকে ২০২৫ আইপিএলের পর ‘ট্রেডিং উইন্ডো’ নামে একটা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শার্দুল ঠাকুর ও শারফেন রাদারফোর্ডকে নিয়েছে ট্রেডিং পদ্ধতির নামে। শার্দুল ঠাকুরকে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কাছ থেকে মুম্বাইয়ের খরচ হয়েছে ২ কোটি রুপি। আর গুজরাট টাইটান্সের কাছ থেকে রাদারফোর্ডকে ২ কোটি ৬০ লাখ রুপি খরচ করেছে মুম্বাই।

সাধারণত তিন বছর পর পর আইপিএলের মেগা নিলাম হয়ে থাকে। ২০২৫-এর আগে সবশেষ ২০২২ আইপিএল সামনে রেখে মেগা নিলাম হয়েছিল। এবার ভারতীয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সাধারণ নিলামই হবে। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার পাওয়া গিয়েছিল সবশেষ নিলামেই। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ২৭ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছিল ঋষভ পন্তকে। তাঁকে অধিনায়কও করেছিল লক্ষ্ণৌ। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স তিনি করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপি দাম উঠেছিল শ্রেয়াস আইয়ার। তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কিনে অধিনায়ক করেছিল পাঞ্জাব কিংস। শ্রেয়াস ২০২৫ আইপিএলে ছিলেন ‘ক্যাপ্টেইন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। তবে ফাইনালে পাঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জেতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। কোহলিরও তাতে ফুরোল ১৮ বছরের অপেক্ষা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হামজা-শমিতকে নিয়েও নেপালকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হামজার জোড়া গোলে সমতায় ফেরার পরও শেষ পর্যন্ত নেপালের বিপক্ষে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হামজার জোড়া গোলে সমতায় ফেরার পরও শেষ পর্যন্ত নেপালের বিপক্ষে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রথমার্ধে বিবর্ণ বাংলাদেশ বদলে যেতে শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধে। নেপথ্যে আর কেউ নন হামজা চৌধুরী। জোড়া গোল করে ৫ বছর পর নেপালকে হারানোর সুবাস এনে দেন ইংল্যান্ড প্রবাসী এই মিডফিল্ডার। কিন্তু হংকং ম্যাচের মতো ঘরের মাঠে শেষের ভূত চেপে ধরল আবারও। হামজা-শমিতকে নিয়েও তাই নেপালকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ প্রীতি ম্যাচটি ড্র হলো ২-২ গোলে।

গত অক্টোবরে সর্বশেষ হংকং ম্যাচের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শমিত শোম, শাকিল আহাদ তপু ও চোটে থাকা শেখ মোরসালিনকে বসিয়ে রাখেন তিনি। শুরুর একাদশে রাখেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সোহেল রানা জুনিয়র।

জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ মিনিটে ফাহিমের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি সোহেল রানা জুনিয়র। ২৫ মিনিটে রাকিব-ফাহিমের তালমেল ঠিক না হওয়ায় খোলেনি গোলের দুয়ার।২৯ মিনিটে সুমিত শ্রেষ্ঠার কাটব্যাক থেকে নেপালকে এগিয়ে দেন রোহিত চাঁদ। বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা ঝাঁপিয়ে পড়েও মাটি কামড়ানো সেই শট আটকাতে পারেননি। ঠিক পরের মিনিটেই আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিব হোসেনের পাস থেকে ফাহিমের নেওয়া শট সহজেই আটকে দেন নেপাল অধিনায়ক কিরণ লিম্বু।

রাকিবের সহজাত পজিশন রাইট উইং হলেও আজ কাবরেরা তাঁকে খেলান বাঁ প্রান্তে। ঠিক কী কারণে সেই উত্তর হয়তো তিনিই দিতে পারবেন। ৪৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে রাকিবের ক্রসে ফাহিমের হেড লোপ্পা বলের মতো তালুবন্দী করেন কিরণ লিম্বু।

বিরতির পর শুরুতেই সোহেল জুনিয়রের জায়গায় মাঠে নামন কানাডা প্রবাসী শমিত শোম।৪৬ মিনিটে দর্শনীয় এক গোলে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে দেন হামজা। ফাহিমের পাঠানো ক্রস নেপালের এক ডিফেন্ডার হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। বল চলে যায় জামালের কাছে। তাঁর বাড়ানো ভলিতে বক্সের ভেতরে দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে কোনাকুনিভাবে বল জালে পাঠান হামজা।

তিন মিনিট পর আবারও চলে আসে গোলের সুযোগ। সুমন শ্রেষ্ঠার করা চার্জে বক্সের ভেতর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাকিব। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাশি বাঁজান লঙ্কান রেফারি কসুন লাকমাল। যদিও পরে রিপ্লেতে দেখা যায় রাকিবকে সেভাবে কোনো স্পর্শই করেননি। এমন উপহার হামজাই বা কাজে লাগাতে ভুল করেন কীভাবে । ৪৯ মিনিটে স্পট কিক থেকে পানেনকা শটে কিরণকে বোকা বানান তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তাঁর চতুর্থ গোল।

এগিয়ে যাওয়ার পর নেপালকে আর সেভাবে চড়াও হওয়ার সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। ৬২ মিনিটে কিছুট কাঁপন অবশ্য ধরিয়ে দেন দীনেশ হেঞ্জন। তাঁর শট বারে লেগে ফিরে আসে বাংলাদেশের অর্ধে।

৭০ মিনিটে একযোগে তিন পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। জায়ান আহমেদ, ফাহিম ও সোহেলের জায়গায় নামেন শাকিল আহাদ তপু, শাহরিয়ার ইমন ও মোহাম্মদ হৃদয়। ইমন বল নিয়ে ছোটার কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ৮০ মিনিটে আসে আরেকটি মুহূর্ত । অভিষেক হয় আরেক প্রবাসী কিউবা মিচেলের। হামজাকে উঠিয়ে মাঠে নামানো হয় তাঁকে। হামজা অবশ্য চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর চেয়ে বেশি ব্যথায় ভুগছিলেন জায়ান।

নেপালকে হারিয়ে হামজা–জায়ানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকার কথা ছিল বাংলাদেশি সমর্থকদের। কিন্তু আবারও যে শেষ মুহূর্তের হতাশায় পুড়তে হবে তা কে জানত। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দীনেশের কর্নার থেকে দারুণ এক ফ্লিকে নেপালকে সমতা ফেরান অনন্ত তামাং। তা নাগালের মধ্যে পেয়েও ঠেকাতে পারেননি বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ভারত ম্যাচের আগে তাই শেষ মুহূর্তের জুজু কাটানোর চিন্তা থেকেই গেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লঙ্কা ম্যাচে আইসিসির শাস্তি পেল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর আইসিসির শাস্তি পেল পাকিস্তান। ছবি: ক্রিকইনফো
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর আইসিসির শাস্তি পেল পাকিস্তান। ছবি: ক্রিকইনফো

রাওয়ালপিন্ডিতে পরশু শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান প্রথম ওয়ানডের রোমাঞ্চ ছিল শেষ ওভার পর্যন্ত। রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচে পাকিস্তান জেতে ৬ রানে। রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচের দুই দিনের মাথায় পাকিস্তানকে শাস্তি দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।

স্লো ওভার রেটের কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইসিসি। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ওয়ানডেতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পাকিস্তান চার ওভার কম করেছিল বলে সেই ম্যাচের ম্যাচ রেফারি আলী নাকভি এমন শাস্তি দিয়েছেন। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক এক ওভার কম করার জন্য স্লো ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির পাঁচ শতাংশ করে কাটা যাবে। দুই মাঠের আম্পায়ার অ্যালেক্স হোয়ার্ফ ও আসিফ ইয়াকুব, তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, চতুর্থ আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ অভিযোগ করার পর শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বোমা হামলার আতঙ্কে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে পাকিস্তান ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন ৮ লঙ্কান ক্রিকেটার ও কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ। এ ব্যাপারে তাঁদের হুশিয়ারি করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। অনুমতি ছাড়া পাকিস্তান থেকে ফিরলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি গত রাতে এক বিবৃতিতে দিয়েছে এসএলসি। আগের সূচি অনুযায়ী আজ হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে। তৃতীয় ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল শনিবার। কিন্তু পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ১৪ ও ১৬ নভেম্বর হবে শেষ দুই ওয়ানডে।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডের তারিখ বদলালেও সময় ও ভেন্যু বদলায়নি। শেষ দুই ওয়ানডে হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হবে। সিরিজ জিততে হলে চারিথ আসালাঙ্কার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কাকে এখন দুটি ম্যাচই জিততে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘অসম্ভবকে সম্ভব’ করার স্বপ্ন আইরিশ ক্রিকেটারের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে যেকোনো কিছু হতে পারে বলে মনে করেন ম্যাথু হামফ্রিস। ছবি: ক্রিকইনফো
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে যেকোনো কিছু হতে পারে বলে মনে করেন ম্যাথু হামফ্রিস। ছবি: ক্রিকইনফো

সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে আয়ারল্যান্ডের হার এখন সময়ের ব্যাপার। তিন দিন শেষে খেলা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে বাংলাদেশের ইনিংসে জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিন্তু তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মজার এক কথা বলছেন ম্যাথু হামফ্রিস। তাঁর মতে সিলেট টেস্টে অবিশ্বাস্য কিছু হলেও হতে পারে।

৩০১ রানে পিছিয়ে থেকে সিলেট টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমেছে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে আইরিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানে ৫ উইকেটে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ৪ রানে অপরাজিত আছেন। তাঁর সঙ্গী ম্যাথু হামফ্রিস ৭ বল খেলে এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনো ২১৫ রান দরকার সফরকারীদের।

আজ তৃতীয় দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে আসেন হামফ্রিস। মজা করে আইরিশ এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘আমি, অ্যান্ডি দুজনই যদি ২০০ করতে পারি, তাহলে আগামীকালের দিনটা আমাদের ভালোভাবে শেষ হবে।’ হাতে এখনো যেহেতু দুই দিন বাকি, সেক্ষেত্রে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারে বলে মনে করেন হামফ্রিস। ২৩ বছর বয়সী এই আইরিশ ক্রিকেটার বলেন, ‘অন্য যেকোনো ম্যাচের মতো আমরা ব্যাটিং করতে চাই। ম্যাচের এখনো দুই দিন বাকি আছে। ক্রিকেট অদ্ভুত এক খেলা। কাল টিকতে পারলে তাহলে কী হতে পারে, সেটা তো বলা যায় না।’

৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ৮৮.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪৬ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। দুই সেট ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় (১৭১) ও মুমিনুল হককে (৮২) দ্রুত ফেরায় আইরিশরা। চার নম্বরে নেমে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এরপর ১১৪ বলে ১০০ রান করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির দিনে আরও এক কীর্তি গড়েন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে টেস্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ চারটি করে সেঞ্চুরির কীর্তি এখন শান্ত ও মুশফিকের।

‘সকালে দ্রুত ২ উইকেট নিয়ে আমরা চাপ তৈরি করতে পেরেছিলাম। কিন্তু সে (শান্ত) বেশ কিছু ভালো শট খেলে বড় রান করে ও আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। দারুণ খেলেছে সে।একজন টপ ক্লাস ক্রিকেটার।’

হ্যারি টেক্টরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলেরও প্রশংসা করেছেন হামফ্রিস। তাইজুলের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অর্ধেকের মতো উইকেট বাংলাদেশের জার্সিতে। ৫৬ টেস্টে নিয়েছেন ২৪০ উইকেট। ১৭ বার নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন দুইবার। টেস্টে বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ২৪৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী সাকিব আল হাসান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত