ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে আটবারের চেষ্টায় সেমিফাইনালের ফাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা কাটাল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৩২ বছরের অপেক্ষা শেষে এবার তারা উঠল বিশ্বকাপের ফাইনালে। তবে আইসিসির টুর্নামেন্ট সেরা একাদশে জায়গা হয়নি কোনো প্রোটিয়া ক্রিকেটারের। সেমিফাইনালে বাদ পড়া আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন একাদশে।
সেমিফাইনালে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেলেও এবারের বিশ্বকাপটা আফগানিস্তানের কাছে রূপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম সেমিতে উঠেছে। ফাইনাল শেষে গত রাতে টুর্নামেন্ট সেরা একাদশ আইসিসি ঘোষণা করলে দেখা যায়, সেখানে আছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান, উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ফজলহক ফারুকি এই তিন আফগান জায়গা করে নিয়েছেন। ৩ ফিফটিতে ৩৫.১২ গড় ও ১২৪.৩৩ স্ট্রাইকরেটে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৮১ রান করেছেন গুরবাজ। তিনি আইসিসি একাদশেরও উইকেটরক্ষক। ফারুকি ও রশিদ বিশ্বকাপে নিয়েছেন ১৭ ও ১৪ উইকেট। এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ফারুকি গড়েছেন এবার। আফগানদের এবার রূপকথার গল্পের অধিনায়ক ছিলেন রশিদ।
বার্বাডোজে পরশু রাতে ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ১১ বছরের আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাখরা কাটিয়েছে ভারত। আইসিসির বিশ্বকাপ সেরা একাদশে আছেন দলটির ৬ ক্রিকেটার। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত ২৫৭ রান করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ৩ ফিফটির পাশাপাশি তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৫৬.৭। আইসিসি একাদশের অধিনায়কও তিনি। বাকি পাঁচ ভারতীয় হলেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরা, অক্ষর প্যাটেল ও আর্শদীপ সিং। বুমরা এবারের বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। ফারুকির সমান ১৭ উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ। টুর্নামেন্টজুড়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন পান্ডিয়া। ফাইনালে তাঁর ডেথ ওভারের জাদুকরী বোলিংই যে জিতিয়েছে ভারতকে। সূর্যকুমারের কথাও ভুললে হবে না। ডেভিড মিলারের নিশ্চিত ছক্কা হওয়া বলকে যেভাবে অবিশ্বাস্য ক্যাচে পরিণত করেছেন, তা ভারতীয় ভক্ত-সমর্থকেরা মনে রাখবেন অনেক দিন।
ফাইনালে ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন বিরাট কোহলি। তবে আইসিসির টুর্নামেন্ট সেরা একাদশে তাঁর জায়গা হয়নি।
প্রথম ৭ ম্যাচে ছিলেন বেশ বিবর্ণ। অল্পের জন্য শিরোপা ফসকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ সেরা একাদশে না থাকলেও দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন অ্যানরিখ নরকীয়া। ৫.৭৪ ইকোনমিতে নেন ১৫ উইকেট। যা এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট।
আইসিসির ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক) (ভারত) ২৫৭ রান; গড়: ৩৬.৭১; ৩ ফিফটি; স্ট্রাইকরেট: ১৫৬.৭
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক) (আফগানিস্তান) ২৮১ রান; ৩ ফিফটি; ব্যাটিং গড়: ৩৫.১২; স্ট্রাইকরেট: ১২৪.৩৩
নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২২৮ রান; ১ ফিফটি; গড়: ৩৮; স্ট্রাইকরেট: ১৪৬.১৫
সূর্যকুমার যাদব (ভারত) ১৯৯ রান; ২ ফিফটি; গড় ২৮.৪২; স্ট্রাইকরেট ১৩৫.৩৭;
মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া) ১৬৯ রান; গড় ৪২.২৫; স্ট্রাইকরেট ১৬৪.০৭; ২ ফিফটি; ১০ উইকেট; ইকোনমি: ৮.৮৮
হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত) ১৪৪ রান; ১ ফিফটি; গড়: ৪৮; ১১ উইকেট; ইকোনমি: ৭.৬৪
অক্ষর প্যাটেল (ভারত) ৯২ রান; গড় ২৩; স্ট্রাইকরেট ১৩৯.৩৯; ৯ উইকেট; ইকোনমি: ৭.৮৬
রশিদ খান (আফগানিস্তান) ১৪ উইকেট; ইকোনমি: ৬.১৭
জসপ্রীত বুমরা (ভারত) ১৫ উইকেট; ইকোনমি: ৪.১৭
আর্শদীপ সিং (ভারত) ১৭ উইকেট; ইকোনমি: ৭.১৬
ফজলহক ফারুকি (আফগানিস্তান) ১৭ উইকেট; ইকোনমি ৬.৩১; ইনিংসে ৫ উইকেট ১ টি
দ্বাদশ ক্রিকেটার অ্যানরিখ নরকীয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা) ১৫ উইকেট; ইকোনমি ৫.৭৪
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে আটবারের চেষ্টায় সেমিফাইনালের ফাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা কাটাল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৩২ বছরের অপেক্ষা শেষে এবার তারা উঠল বিশ্বকাপের ফাইনালে। তবে আইসিসির টুর্নামেন্ট সেরা একাদশে জায়গা হয়নি কোনো প্রোটিয়া ক্রিকেটারের। সেমিফাইনালে বাদ পড়া আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন একাদশে।
সেমিফাইনালে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেলেও এবারের বিশ্বকাপটা আফগানিস্তানের কাছে রূপকথার চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম সেমিতে উঠেছে। ফাইনাল শেষে গত রাতে টুর্নামেন্ট সেরা একাদশ আইসিসি ঘোষণা করলে দেখা যায়, সেখানে আছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান, উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ফজলহক ফারুকি এই তিন আফগান জায়গা করে নিয়েছেন। ৩ ফিফটিতে ৩৫.১২ গড় ও ১২৪.৩৩ স্ট্রাইকরেটে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৮১ রান করেছেন গুরবাজ। তিনি আইসিসি একাদশেরও উইকেটরক্ষক। ফারুকি ও রশিদ বিশ্বকাপে নিয়েছেন ১৭ ও ১৪ উইকেট। এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ফারুকি গড়েছেন এবার। আফগানদের এবার রূপকথার গল্পের অধিনায়ক ছিলেন রশিদ।
বার্বাডোজে পরশু রাতে ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ১১ বছরের আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাখরা কাটিয়েছে ভারত। আইসিসির বিশ্বকাপ সেরা একাদশে আছেন দলটির ৬ ক্রিকেটার। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত ২৫৭ রান করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ৩ ফিফটির পাশাপাশি তাঁর স্ট্রাইকরেট ১৫৬.৭। আইসিসি একাদশের অধিনায়কও তিনি। বাকি পাঁচ ভারতীয় হলেন সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরা, অক্ষর প্যাটেল ও আর্শদীপ সিং। বুমরা এবারের বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। ফারুকির সমান ১৭ উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ। টুর্নামেন্টজুড়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন পান্ডিয়া। ফাইনালে তাঁর ডেথ ওভারের জাদুকরী বোলিংই যে জিতিয়েছে ভারতকে। সূর্যকুমারের কথাও ভুললে হবে না। ডেভিড মিলারের নিশ্চিত ছক্কা হওয়া বলকে যেভাবে অবিশ্বাস্য ক্যাচে পরিণত করেছেন, তা ভারতীয় ভক্ত-সমর্থকেরা মনে রাখবেন অনেক দিন।
ফাইনালে ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন বিরাট কোহলি। তবে আইসিসির টুর্নামেন্ট সেরা একাদশে তাঁর জায়গা হয়নি।
প্রথম ৭ ম্যাচে ছিলেন বেশ বিবর্ণ। অল্পের জন্য শিরোপা ফসকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ সেরা একাদশে না থাকলেও দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন অ্যানরিখ নরকীয়া। ৫.৭৪ ইকোনমিতে নেন ১৫ উইকেট। যা এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট।
আইসিসির ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক) (ভারত) ২৫৭ রান; গড়: ৩৬.৭১; ৩ ফিফটি; স্ট্রাইকরেট: ১৫৬.৭
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক) (আফগানিস্তান) ২৮১ রান; ৩ ফিফটি; ব্যাটিং গড়: ৩৫.১২; স্ট্রাইকরেট: ১২৪.৩৩
নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২২৮ রান; ১ ফিফটি; গড়: ৩৮; স্ট্রাইকরেট: ১৪৬.১৫
সূর্যকুমার যাদব (ভারত) ১৯৯ রান; ২ ফিফটি; গড় ২৮.৪২; স্ট্রাইকরেট ১৩৫.৩৭;
মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া) ১৬৯ রান; গড় ৪২.২৫; স্ট্রাইকরেট ১৬৪.০৭; ২ ফিফটি; ১০ উইকেট; ইকোনমি: ৮.৮৮
হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত) ১৪৪ রান; ১ ফিফটি; গড়: ৪৮; ১১ উইকেট; ইকোনমি: ৭.৬৪
অক্ষর প্যাটেল (ভারত) ৯২ রান; গড় ২৩; স্ট্রাইকরেট ১৩৯.৩৯; ৯ উইকেট; ইকোনমি: ৭.৮৬
রশিদ খান (আফগানিস্তান) ১৪ উইকেট; ইকোনমি: ৬.১৭
জসপ্রীত বুমরা (ভারত) ১৫ উইকেট; ইকোনমি: ৪.১৭
আর্শদীপ সিং (ভারত) ১৭ উইকেট; ইকোনমি: ৭.১৬
ফজলহক ফারুকি (আফগানিস্তান) ১৭ উইকেট; ইকোনমি ৬.৩১; ইনিংসে ৫ উইকেট ১ টি
দ্বাদশ ক্রিকেটার অ্যানরিখ নরকীয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা) ১৫ উইকেট; ইকোনমি ৫.৭৪
অস্ট্রেলিয়া দল ঘোষণার কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ আফ্রিকার দলও এসে গেল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অজিদের রুখতে কঠিন দল দিয়েছে প্রোটিয়ারাও। একসঙ্গে তারকা পেসারদের চোটের কারণে ভুগছিল দলটি। তবে এবার তাঁদের পাচ্ছে দলটি। আগামী ১১ জুন লর্ডসে শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
২৫ মিনিট আগেকদিন পর পরই পাকিস্তান দলের কোচ নিয়োগ। এবার সাদা বলের জন্য নতুন কোচ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাবর-রিজওয়ানদের নতুন প্রধান কোচ মাইক হেসন। বর্তমানে পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই কিউই কোচ। আগামী ২৬ মে থেকে পাকিস্তান দলের
১ ঘণ্টা আগেবিপদের সময়ই জ্বলে ওঠেন মেহেদী হাসান মিরাজ। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন বলে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের ‘ক্রাইসিসম্যান’। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের লক্ষ্য এখন আরও ওপরে যাওয়া।
১ ঘণ্টা আগেমাঝপথে বন্ধ, আবার একই দিনেই শুরু হচ্ছে আইপিএল ও পিএসএল। গতকাল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ঘোষণা দিয়েছিল পুনরায় শুরুর কথা। আজ ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামী ১৭ মে থেকে আবার মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্ট দুটি।
২ ঘণ্টা আগে