আফগানিস্তানের কাছে হারের পর খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। আর একবার পা হড়কালেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা! অথচ বড় প্রত্যাশা নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বরে অবস্থান তাদের। শাহিন আফ্রিদি-হারিস রউফদের সমন্বয়ে গড়া দলের পেস আক্রমণ যেমন ভীতিজাগানিয়া, তেমনি বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপও যথেষ্ট শক্তিশালী। টানা জয়ে টুর্নামেন্টও শুরু করেছিল তারা। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। কিন্তু কেন?
কারণ অনেকগুলো। টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগে চোটে পড়েছিলেন নাসিম শাহ। তাঁর না থাকাটা একটা চাপ হয়ে গেছে দলের অন্য পেসারদের ওপর। মূল স্ট্রাইক বোলার শাহিন পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও বোলিংয়ের শুরুতেই তাঁর কাছে যে প্রত্যাশা, সেটি তিনি পূরণে ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে ৩৬ রানে ২ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিলেও তা দলের কোনো কাজে আসেনি।
শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২টি উইকেট নিলেও দুই ম্যাচে তিনি অকৃপণ হাতে দিয়েছেন ১০৩ রান। রউফের অবস্থা আরও খারাপ। পাঁচ ম্যাচে ৮ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ২৮৬! শুধু কি পেসাররা? ভারতের স্লো উইকেটে অন্যান্য দেশের স্পিনাররা যেখানে উজ্জ্বল, সেখানে শাদাব খান, উসামা মির, মোহাম্মদ নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ মিলে পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। খরচ করেছেন ৫০২ রান।
সেরা ছন্দে নেই পাকিস্তানের ব্যাটাররাও। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার বাবর এক ম্যাচেও রানের তিন অঙ্ক ছুতে পারেননি। দুই ফিফটিতে ৩১.৪০ গড়ে ১৫৭ রান করলেও পাঁচ ম্যাচে তাঁর গড় স্ট্রাইকরেট ৮০-এর কম—৭৯.৬৯। ব্যাটিংয়ের চেয়েও তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে। নেতৃত্বে সৃজনশীল কিছু দেখাতে তো পারেনইনি, উল্টো দল নির্বাচনে পছন্দের খেলোয়াড়দের রাখায় সমালোচিত তিনি। এই সমালোচনার মুখে পরশু হারের পরও অবলীলায় বলে গেলেন, ‘নেতৃত্ব আমার কাছে চাপ নয়। সেটা ব্যাটিংয়েও প্রভাব ফেলছে না।’
পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসনে ঘন ঘন বদলের নেতিবাচক একটা প্রভাব দলটির পারফরম্যান্সে। গত এক বছরে তিনবার পিসিবির চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে। কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের চাকরি না ছাড়া অবস্থাতেই পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন মিকি আর্থারকে। বিশ্বকাপে সশরীর হাজির থাকলেও টুর্নামেন্টের আগে যুক্তরাজ্যে থেকেই দলকে নির্দেশনা দিতেন বলে পাকিস্তানি মিডিয়ায় ‘জুম কোচ’-এর পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তিন ফরম্যাটেই শাহিন ও নাসিমকে খেলানোয় বিশ্বকাপের আগেই তাঁদের নিঃশেষিত করে ফেলার অভিযোগ পিসিবির কর্মকর্তাদের বিপক্ষে।
বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেটারদের দায় তো নিতেই হবে। দায় কর্মকর্তাদেরও নিতে হবে বলে মনে করেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম, ‘আপনি একজন কোচ খুঁজে পাননি। বিদেশিদের পছন্দ বলে একজন অনলাইন কোচ নিয়োগ করেছেন। নিজেদের সিস্টেমেও ঘন ঘন পরিবর্তন এনেছেন। সবকিছুর ফলই আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে।’
আফগানিস্তানের কাছে হারের পর খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। আর একবার পা হড়কালেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা! অথচ বড় প্রত্যাশা নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বরে অবস্থান তাদের। শাহিন আফ্রিদি-হারিস রউফদের সমন্বয়ে গড়া দলের পেস আক্রমণ যেমন ভীতিজাগানিয়া, তেমনি বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপও যথেষ্ট শক্তিশালী। টানা জয়ে টুর্নামেন্টও শুরু করেছিল তারা। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। কিন্তু কেন?
কারণ অনেকগুলো। টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগে চোটে পড়েছিলেন নাসিম শাহ। তাঁর না থাকাটা একটা চাপ হয়ে গেছে দলের অন্য পেসারদের ওপর। মূল স্ট্রাইক বোলার শাহিন পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেও বোলিংয়ের শুরুতেই তাঁর কাছে যে প্রত্যাশা, সেটি তিনি পূরণে ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে ৩৬ রানে ২ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিলেও তা দলের কোনো কাজে আসেনি।
শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২টি উইকেট নিলেও দুই ম্যাচে তিনি অকৃপণ হাতে দিয়েছেন ১০৩ রান। রউফের অবস্থা আরও খারাপ। পাঁচ ম্যাচে ৮ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ২৮৬! শুধু কি পেসাররা? ভারতের স্লো উইকেটে অন্যান্য দেশের স্পিনাররা যেখানে উজ্জ্বল, সেখানে শাদাব খান, উসামা মির, মোহাম্মদ নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ মিলে পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। খরচ করেছেন ৫০২ রান।
সেরা ছন্দে নেই পাকিস্তানের ব্যাটাররাও। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার বাবর এক ম্যাচেও রানের তিন অঙ্ক ছুতে পারেননি। দুই ফিফটিতে ৩১.৪০ গড়ে ১৫৭ রান করলেও পাঁচ ম্যাচে তাঁর গড় স্ট্রাইকরেট ৮০-এর কম—৭৯.৬৯। ব্যাটিংয়ের চেয়েও তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে। নেতৃত্বে সৃজনশীল কিছু দেখাতে তো পারেনইনি, উল্টো দল নির্বাচনে পছন্দের খেলোয়াড়দের রাখায় সমালোচিত তিনি। এই সমালোচনার মুখে পরশু হারের পরও অবলীলায় বলে গেলেন, ‘নেতৃত্ব আমার কাছে চাপ নয়। সেটা ব্যাটিংয়েও প্রভাব ফেলছে না।’
পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসনে ঘন ঘন বদলের নেতিবাচক একটা প্রভাব দলটির পারফরম্যান্সে। গত এক বছরে তিনবার পিসিবির চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়েছে। কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের চাকরি না ছাড়া অবস্থাতেই পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন মিকি আর্থারকে। বিশ্বকাপে সশরীর হাজির থাকলেও টুর্নামেন্টের আগে যুক্তরাজ্যে থেকেই দলকে নির্দেশনা দিতেন বলে পাকিস্তানি মিডিয়ায় ‘জুম কোচ’-এর পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তিন ফরম্যাটেই শাহিন ও নাসিমকে খেলানোয় বিশ্বকাপের আগেই তাঁদের নিঃশেষিত করে ফেলার অভিযোগ পিসিবির কর্মকর্তাদের বিপক্ষে।
বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেটারদের দায় তো নিতেই হবে। দায় কর্মকর্তাদেরও নিতে হবে বলে মনে করেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম, ‘আপনি একজন কোচ খুঁজে পাননি। বিদেশিদের পছন্দ বলে একজন অনলাইন কোচ নিয়োগ করেছেন। নিজেদের সিস্টেমেও ঘন ঘন পরিবর্তন এনেছেন। সবকিছুর ফলই আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে।’
৫০ ওভারের ম্যাচে মেয়েদের জাতীয় দল ৩৮ ওভারেই অলআউট। এক শর নিচে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছেন মেয়েরা। হেরেছেন অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোর দলের কাছে।
৭ মিনিট আগেকেশব মহারাজের ঘূর্ণিতে গতকাল নাকাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯৮ রানে হেরেছে অজিরা। ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছ থেকে সুখবর পেলেন মহারাজ। ২১ মাস পর ফিরে পেলেন হারানো সিংহাসন।
৩৪ মিনিট আগেচোটের কারণে খেলোয়াড়দের সিরিজ মিস করার ঘটনা খুবই পরিচিত। বিশেষ করে, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, সৌম্য সরকাররা প্রায়ই চোটে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ থেকে ছিটকে যান। এমনকি তাসকিনকে বিসিবি খেলাচ্ছে বিশ্রামনীতি মেনে। এবার বোর্ড ক্রিকেটারদের চিকিৎসার বিষয়ে নিচ্ছে নতুন উদ্যোগ।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ মৌসুম দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। তবে মেজর কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। এবার নতুন মৌসুমের শুরুটা করলেন গোল দিয়ে। তাতে ইতিহাসের পাতায় নাম উঠে গেল ফরাসি এই ফরোয়ার্ডের।
৩ ঘণ্টা আগে