ক্রীড়া ডেস্ক
সবশেষ চার সিরিজের মধ্যে তিনবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। তিনটিই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে এবার পাকিস্তান করল নতুন ইতিহাস। ২২ বছরের চেষ্টায় সফল হয়েছে এশিয়ার দলটি।
২০০২ সাল থেকে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বারের মধ্যে পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ৩ বার, যার মধ্যে এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান। জোহানেসবার্গে গতকাল সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল পাকিস্তানের জন্য প্রোটিয়াদের প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের হাতছানি। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) মেথডে ৩৬ রানে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতেই বেকায়দায় পড়ে পাকিস্তান। ১ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ৩.১ ওভারে ১ উইকেটে যখন ১০ রান, জোহানেসবার্গের আকাশ কালো করে নেমে আসে বৃষ্টি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর যখন আবার খেলা শুরু হয়, তখন ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৪৭ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকে পাকিস্তান। শেষ ৫ ওভারে রিজওয়ানের দল ৪ উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৫৬ রান। সফরকারীরা ইনিংস শেষ করে ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৮ রানে।
বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩০৮ রানের লক্ষ্যই নির্ধারিত হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে ২০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৩ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাসহ টনি ডি জর্জি, এইডেন মার্করাম, রাসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার চলে গেছেন ড্রেসিংরুমে। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ওভার-প্রতি তখন দরকার হয় ৭.০৭। এমন পরিস্থিতিতে হেনরিখ ক্লাসেনের পাল্টা আক্রমণে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তান। ৪৩ বলে করেন ৮০ রান। ১২ চার ও ২ ছক্কা মারেন ক্লাসেন। ষষ্ঠ উইকেটে মার্কো ইয়ানসেনের সঙ্গে ক্লাসেনের জুটিটা ছিল ৪৭ বলে ৭১ রানের।
ক্লাসেন ফিরতেই দক্ষিণ আফ্রিকার আশা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত করবিন বস্কের ব্যাটিংটা শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। আট নম্বরে নেমে ৪৪ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রোটিয়ারা ৪২ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়। তাতে ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার প্রোটিয়াদের ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়ে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক রিজওয়ান বলেন, ‘জাতির জন্য অবশ্যই গর্বের বিষয়। দল হিসেবে আমরা কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী এবং সেটা সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। দলের দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন এটা দলীয় প্রচেষ্টার ফল। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা সহজ ব্যাপার নয়। তবে আমরা এক হয়ে খেলেছি এবং একে অপরের ওপর ভরসা করেছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার ধবলধোলাইয়ের নায়ক সাইম আইয়ুব ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ দুটি পুরস্কার পেয়েছেন। ৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে করেন ২৩৫ রান। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৭৮.৩৩ ও ৯৬.৩১। পাশাপাশি পেয়েছেন ২ উইকেট, যার মধ্যে গতকাল জোহানেসবার্গে তৃতীয় ওয়ানডেতে করেন ১০১ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট ও ২ ক্যাচ ধরেছেন। পাকিস্তানের তরুণ এই ক্রিকেটার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা জেতার কারণে এটা অনেক বিশেষ। পুরো দলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। পুরো দলেরই পুরস্কার এটা। তারা পুরস্কার পেতে সাহায্য করেছে।’ রিজওয়ানও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আইয়ুবকে।
সবশেষ চার সিরিজের মধ্যে তিনবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। তিনটিই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে এবার পাকিস্তান করল নতুন ইতিহাস। ২২ বছরের চেষ্টায় সফল হয়েছে এশিয়ার দলটি।
২০০২ সাল থেকে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বারের মধ্যে পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ৩ বার, যার মধ্যে এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান। জোহানেসবার্গে গতকাল সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল পাকিস্তানের জন্য প্রোটিয়াদের প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের হাতছানি। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) মেথডে ৩৬ রানে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতেই বেকায়দায় পড়ে পাকিস্তান। ১ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ৩.১ ওভারে ১ উইকেটে যখন ১০ রান, জোহানেসবার্গের আকাশ কালো করে নেমে আসে বৃষ্টি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর যখন আবার খেলা শুরু হয়, তখন ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৪৭ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকে পাকিস্তান। শেষ ৫ ওভারে রিজওয়ানের দল ৪ উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৫৬ রান। সফরকারীরা ইনিংস শেষ করে ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৮ রানে।
বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩০৮ রানের লক্ষ্যই নির্ধারিত হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে ২০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৩ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাসহ টনি ডি জর্জি, এইডেন মার্করাম, রাসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার চলে গেছেন ড্রেসিংরুমে। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ওভার-প্রতি তখন দরকার হয় ৭.০৭। এমন পরিস্থিতিতে হেনরিখ ক্লাসেনের পাল্টা আক্রমণে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তান। ৪৩ বলে করেন ৮০ রান। ১২ চার ও ২ ছক্কা মারেন ক্লাসেন। ষষ্ঠ উইকেটে মার্কো ইয়ানসেনের সঙ্গে ক্লাসেনের জুটিটা ছিল ৪৭ বলে ৭১ রানের।
ক্লাসেন ফিরতেই দক্ষিণ আফ্রিকার আশা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত করবিন বস্কের ব্যাটিংটা শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। আট নম্বরে নেমে ৪৪ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রোটিয়ারা ৪২ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়। তাতে ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার প্রোটিয়াদের ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়ে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক রিজওয়ান বলেন, ‘জাতির জন্য অবশ্যই গর্বের বিষয়। দল হিসেবে আমরা কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী এবং সেটা সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। দলের দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন এটা দলীয় প্রচেষ্টার ফল। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা সহজ ব্যাপার নয়। তবে আমরা এক হয়ে খেলেছি এবং একে অপরের ওপর ভরসা করেছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার ধবলধোলাইয়ের নায়ক সাইম আইয়ুব ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ দুটি পুরস্কার পেয়েছেন। ৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে করেন ২৩৫ রান। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৭৮.৩৩ ও ৯৬.৩১। পাশাপাশি পেয়েছেন ২ উইকেট, যার মধ্যে গতকাল জোহানেসবার্গে তৃতীয় ওয়ানডেতে করেন ১০১ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট ও ২ ক্যাচ ধরেছেন। পাকিস্তানের তরুণ এই ক্রিকেটার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা জেতার কারণে এটা অনেক বিশেষ। পুরো দলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। পুরো দলেরই পুরস্কার এটা। তারা পুরস্কার পেতে সাহায্য করেছে।’ রিজওয়ানও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আইয়ুবকে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
১০ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
১১ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
১২ ঘণ্টা আগে