Ajker Patrika

২২ বছর ধরে এমন কিছু করার অপেক্ষায় ছিল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬: ৫৮
ম্যান অব দ্য ম্যাচ, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন সাইম আইয়ুব। তিন ওয়ানডেতে ২ সেঞ্চুরি করেছেন। ছবি: ক্রিকইনফো
ম্যান অব দ্য ম্যাচ, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন সাইম আইয়ুব। তিন ওয়ানডেতে ২ সেঞ্চুরি করেছেন। ছবি: ক্রিকইনফো

সবশেষ চার সিরিজের মধ্যে তিনবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। তিনটিই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে। মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে এবার পাকিস্তান করল নতুন ইতিহাস। ২২ বছরের চেষ্টায় সফল হয়েছে এশিয়ার দলটি।

২০০২ সাল থেকে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বারের মধ্যে পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ৩ বার, যার মধ্যে এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান। জোহানেসবার্গে গতকাল সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল পাকিস্তানের জন্য প্রোটিয়াদের প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের হাতছানি। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন (ডিএলএস) মেথডে ৩৬ রানে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতেই বেকায়দায় পড়ে পাকিস্তান। ১ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ৩.১ ওভারে ১ উইকেটে যখন ১০ রান, জোহানেসবার্গের আকাশ কালো করে নেমে আসে বৃষ্টি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর যখন আবার খেলা শুরু হয়, তখন ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ৪৭ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকে পাকিস্তান। শেষ ৫ ওভারে রিজওয়ানের দল ৪ উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৫৬ রান। সফরকারীরা ইনিংস শেষ করে ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৮ রানে।

বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৩০৮ রানের লক্ষ্যই নির্ধারিত হয়েছে। রান তাড়া করতে নেমে ২০.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৩ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাসহ টনি ডি জর্জি, এইডেন মার্করাম, রাসি ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার চলে গেছেন ড্রেসিংরুমে। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ওভার-প্রতি তখন দরকার হয় ৭.০৭। এমন পরিস্থিতিতে হেনরিখ ক্লাসেনের পাল্টা আক্রমণে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তান। ৪৩ বলে করেন ৮০ রান। ১২ চার ও ২ ছক্কা মারেন ক্লাসেন। ষষ্ঠ উইকেটে মার্কো ইয়ানসেনের সঙ্গে ক্লাসেনের জুটিটা ছিল ৪৭ বলে ৭১ রানের।

ক্লাসেন ফিরতেই দক্ষিণ আফ্রিকার আশা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত করবিন বস্কের ব্যাটিংটা শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। আট নম্বরে নেমে ৪৪ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রোটিয়ারা ৪২ ওভারে ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়। তাতে ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার প্রোটিয়াদের ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়ে পাকিস্তান। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তান অধিনায়ক রিজওয়ান বলেন, ‘জাতির জন্য অবশ্যই গর্বের বিষয়। দল হিসেবে আমরা কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী এবং সেটা সৃষ্টিকর্তার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। দলের দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন এটা দলীয় প্রচেষ্টার ফল। দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা সহজ ব্যাপার নয়। তবে আমরা এক হয়ে খেলেছি এবং একে অপরের ওপর ভরসা করেছি।’

দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার ধবলধোলাইয়ের নায়ক সাইম আইয়ুব ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ দুটি পুরস্কার পেয়েছেন। ৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিতে করেন ২৩৫ রান। গড় ও স্ট্রাইকরেট ৭৮.৩৩ ও ৯৬.৩১। পাশাপাশি পেয়েছেন ২ উইকেট, যার মধ্যে গতকাল জোহানেসবার্গে তৃতীয় ওয়ানডেতে করেন ১০১ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট ও ২ ক্যাচ ধরেছেন। পাকিস্তানের তরুণ এই ক্রিকেটার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা জেতার কারণে এটা অনেক বিশেষ। পুরো দলকে কৃতিত্ব দিতে হবে। পুরো দলেরই পুরস্কার এটা। তারা পুরস্কার পেতে সাহায্য করেছে।’ রিজওয়ানও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আইয়ুবকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেষ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ফাইনাল হারল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশের। ছবি: সংগৃহীত
শিরোপা জেতা হলো না বাংলাদেশের। ছবি: সংগৃহীত

আবু হায়দার রনির দারুণ বোলিংয়ে জয়ের ভালো সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু শেষ ওভারে হতাশ করলেন আকবর আলী। অধিনায়কের খরুচে বোলিংয়ে হংকং সিক্সেসের প্লেট ফাইনালে আয়োজকদের কাছে এক উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। রানার্সআপ হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল আকবরের দল।

সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২৮ রানের পুঁজি নিয়ে ২৫ রানের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও দলটির সংগ্রহ ছিল বেশ বড়। মংকংয়ের মিশন রোড মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৬ ওভারে ১২০ রান তোলে বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে এক উইকেট হাতে রেখে হংকংয়ের দরকার ছিল ৩০ রান। ইজাজ খানের ব্যাটিং তাণ্ডবে এই কঠিন সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। শেষ ওভারে হাতে বল তুলে নেন আকবর। তাঁর প্রথম বলেই ছয় মারেন ইজাজ। দ্বিতীয় ডেলিভারি ওয়াইড দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন ইজাজ। তৃতীয় বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। চতুর্থ বলে ছয় মেরে দলকে জয়ের পথে রাখেন এই টপঅর্ডার।

আকবরের করা পঞ্চম ডেলিভারি ওয়াইড হয়। পরের দুই বলে টানা ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন ইজাজ। সব মিলিয়ে আকবরের সে ওভারে ৫ ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান তুলেন তিনি। তাতেই প্লেট শিরোপার স্বপ্ন শেষ হয় বাংলাদেশের। ২১ বলে ৪ চার ও ১১ ছক্কায় ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইজাজ। ১০ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নিজাকত খান। ২২ রানে ৪ উইকেট নেন রনি।

এর আগে বাংলাদেশের হয়ে আকবরের অবদান ৫১ রান। ১৩ বলে ১ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। ৮ বলে ২৮ রান এনে দেন রনি। ৭ বলে ২৭ রান করেন জিসান। হংকংয়ের হয়ে নাসরুল্লাহ রানা ১৯ রানে ২ উইকেট নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় দলে ডাক পেলেন কিউবা মিচেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন এই তরুণ ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন এই তরুণ ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন কিউবা মিচেল। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার আমের খান।

ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে গত ৩০ অক্টোবর শুরু হয় জাতীয় দলের ক্যাম্প। চোটে পড়েছেন রহমত মিয়া ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তাদের পরিবর্তে প্রাথমিক দলে ডাকা হয়েছে কিউবা ও মুরশেদ আলীকে। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুশীলন করবেন তাঁরা।

গত জুনে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পান কিউবা। কিন্তু সিঙ্গাপুর ও হংকং ম্যাচে জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পাননি কিউবা। ভারতের বিপক্ষে প্রাথমিক দলে শুরুতে তাঁকে না রাখায় সমালোচনার মুখে পড়তে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। তখন নিজের জায়গায় অটল ছিলেন তিনি। কিন্তু ইব্রাহিমের চোট খুলে দিল কিউবার কপাল। ইংল্যান্ড প্রবাসী এই মিডফিল্ডারের সামনে এখন চূড়ান্ত দলে সুযোগ করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ।

চলতি মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেন কিউবা। যদিও নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। অল্প সময়ে ঠিকই চিনিয়েছেন নিজের জাত।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে পাকিস্তানকে ভারতীয় অধিনায়কের ‘খোঁচা’

ক্রীড়া ডেস্ক    
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ছবি: এক্স
২–১ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। ছবি: এক্স

এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। সেই বিবাদ শেষ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সচিব দেবজিত সাইকিয়া। এরপরও পাকিস্তানকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ভারতের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় সফরকারী দল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সূর্যকুমার বলেন, ‘অবশেষে আমরা ট্রফি হাতে নিতে পেরেছি। এটা দারুণ ব্যাপার। সিরিজ জয়ের পর আমাদের ট্রফি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রফি ছুঁয়ে দেখার অনুভূতি দারুণ। কিছুদিন আগে ভারত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। সেই ট্রফিটাও ভারতে আছে। ট্রফি জেতার পর সেটা হাতে নিতে পারার অনুভূতি বরাবরই অন্যরকম।’

সূর্যকুমার যে এশিয়া কাপ প্রসঙ্গ টেনে এসব কথা বলেছেন তা কারও বোঝার বাকি নেই। সবশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। কিন্তু এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। এই বিষয়ে এসিসি প্রধানও বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। সাফ জানিয়ে দেন, ভারতীয় দল ট্রফি নিতে চাইলে তাঁর হাত থেকেই নিতে হবে।

এশিয়া কাপের পর এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ট্রফি ইস্যুতে যেন কোনোভাবেই সমাধান আসছিল না। অবশেষে গতকাল আশার কথা শোনান সাইকিয়া। বিসিসিআই সচিব জানান, বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই নাকভির সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবে বিসিসিআই।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাইকিয়া বলেন, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান নাকভি ও বিসিসিআই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে চলা দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলবে। আমি আইসিসির সভায় উপস্থিত ছিলাম। সে সভায় নাকভিও ছিলেন। দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আইসিসি আমার ও পিসিবি প্রধানের মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ লিভারপুলের আতিথেয়তা নেবে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এক্স
আজ লিভারপুলের আতিথেয়তা নেবে ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: এক্স

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাদে আজ লিভারপুলকে আতিথেয়তা দেবে ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচটি যদি জিততে পারে আর্নে স্লটের দল, তাহলে তারা একটা রেকর্ডই গড়বে। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিকে সবচেয়ে বেশি বার হারানোর রেকর্ড। ১০ বার করে সিটিকে হারানোর রেকর্ড এখন লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে টটেনহাম হটস্পারেরও। আজ জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারবে অ্যানফিল্ডের দলটি।

লিভারপুল পারবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দারুণ এক মাইলফলকে পা রাখবেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। কোচ হিসেবে এটি হবে তাঁর ১০০০ তম ম্যাচ।

১৮ বছর আগে বার্সেলোনা ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন তাঁর ভাবনায়ও ছিল না একদিন হাজার ম্যাচের মাইলফলকে পা রাখতে পারবেন। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের আগে সিটির স্প্যানিশ কোচের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কোচ হিসেবে এক হাজার ম্যাচ—আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। বার্সেলোনা ‘বি’ দল দিয়ে যখন শুরু করেছিলাম, তখন কখনো ভাবিনি এমন মাইলফলকে পৌঁছাতে পারব। তখন শুধুই চাওয়া ছিল ভালো ফুটবল খেলানো আর ঠিক পথে এগোনো।’

কোচিং ক্যারিয়ারের ৯৯৯ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪৯টি ম্যাচে তিনি থেকেছেন সিটির ডাগআউটে। সব মিলিয়ে কোচ হিসেবে তিনি জিতেছেন ৭১৫টি জয়। সাফল্য ৭১.৫৭ শতাংশ। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি বড় ট্রফি জিতেছেন। প্রতি ২৫ ম্যাচে একটি করে শিরোপা!

............. .

১০০০ ছোঁয়ার ম্যাচ গার্দিওলার

কোচ গার্দিওলা

ম্যাচ: ৯৯৯

জয়: ৭১৫

ড্র: ১৫৬

হার: ১২৮

............

কোন দলের হয়ে কত ম্যাচ

ম্যানসিটি: ৫৪৯

বার্সেলোনা: ২৪৭

বায়ার্ন: ১৬১

বার্সা ‘বি’: ৪২

.............................

গার্দিওলার অধীনে সবচেয়ে বেশি গোল পাওয়া ফুটবলার

লিওনেল মেসি: ২১১

আর্লিং হালান্ড: ১৪২

সার্জিও আগুয়েরো: ১২৪

রহিম স্টার্লিং: ১২০

ফিল ফোডেন: ১০৪

...............................

২০

গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটি সবচেয়ে বেশি ২০ বার হারিয়েছে আর্সেনালকে। এ সময়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৩৩ বার।

১০

সবচেয়ে বেশি ১০ বার করে টটেনহাম ও লিভারপুলের কাছে হেরেছে গার্দিওলার ম্যানসিটি। তাঁর অধীনে এই দুই দলের হয়ে ২০টি করে ম্যাচ খেলেছে সিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত