Ajker Patrika

বিরল রেকর্ডে নাম লেখালেন পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ২১
ওয়ানডে অভিষেকে ৫৪ বলে ৬৩ রান করে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ছবি: ক্রিকইনফো
ওয়ানডে অভিষেকে ৫৪ বলে ৬৩ রান করে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ছবি: ক্রিকইনফো

ইয়র্কারটা যেভাবে করতে চেয়েছিলেন, সেভাবে করতে পারেননি শামার জোসেফ। হাসান নাওয়াজ সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেন। বল সীমানা পেরোতেই নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে শেষে নাওয়াজ জানিয়েছেন, জয়ের ব্যাপারে তিনি অনেক আত্মবিশ্বাস ছিলেন।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নজরকাড়া নাওয়াজ পাকিস্তানের জার্সিতে ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ত্রিনিদাদে গত রাতে তাঁর ক্রিকেটের আরেক সংস্করণ ওয়ানডেতে হয়েছে অভিষেক। ওয়ানডে অভিষেকেই করেছেন বাজিমাত। ৭ বল হাতে রেখে পাকিস্তানের ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাওয়াজ। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডে অভিষেকে ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে নাওয়াজ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন। নাওয়াজ ছাড়া এই তালিকায় আছেন আবদুল কাদির, শাহিদ আনোয়ার, জাকির খান, ইমাম-উল-হক, মানজুর এলাহি, নাসির জামশেদ, সেলিম এলাহি, শাদাব কবির, আনোয়ার আলী ও শাহিদ নাজির।

ত্রিনিদাদে গত রাতে ৫৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম পিএসএলে সেভাবে খেলা শেষ করেছি, সেভাবেই আমি পারব।’

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নজরকাড়া নাওয়াজ পাকিস্তানের জার্সিতে ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ত্রিনিদাদে গত রাতে তাঁর ক্রিকেটের আরেক সংস্করণ ওয়ানডেতে হয়েছে অভিষেক। ওয়ানডে অভিষেকেই করেছেন বাজিমাত। ৭ বল হাতে রেখে পাকিস্তানের ৫ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাওয়াজ। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডে অভিষেকে ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে নাওয়াজ ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন। নাওয়াজ ছাড়া এই তালিকায় আছেন আবদুল কাদির, শাহিদ আনোয়ার, জাকির খান, ইমাম-উল-হক, মানজুর এলাহি, নাসির জামশেদ, সেলিম এলাহি, শাদাব কবির, আনোয়ার আলী ও শাহিদ নাজির।

ত্রিনিদাদে গত রাতে ৫৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন না্ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম পিএসএলে সেভাবে খেলা শেষ করেছি, সেভাবেই আমি পারব।’

২৮১ রানের লক্ষ্যে নামা পাকিস্তানের স্কোর একটা পর্যায়ে ছিল ৩৭.২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন হুসেইন তালাত। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে তখন পাকিস্তানকে করতে ৭৬ বলে ১০১ রান। ক্রিকেটের ধরন যতই বদলে যাক না কেন, মিডল অর্ডার ব্যাটারদের জন্য ৭.৯৭ রানরেটে খেলে ম্যাচ জেতা অনেক কঠিন। এমনকি নাওয়াজও তাঁর ৬৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ২ ও ৪৯ রানে দুইবার জীবন পেয়েছেন। যেখানে ৪৭তম ওভারের শেষ বলে নাওয়াজ তুলে মারতে যান জেইডেন সিলসকে। কিন্তু শর্ট থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা গুড়াকেশ মোতি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন।

মোতি ক্যাচটা ধরতে পারলে ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৩ রানে পরিণত হতে পারত পাকিস্তান। ম্যাচের মোড় তখন হয়তো ঘুরে যেতে পারত। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। ষষ্ঠ উইকেটে তালাত ও নাওয়াজ ৭০ বলে ১০৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছেন, সেই ব্যাপারে নাওয়াজ বলেন, ‘একটা ভালো জুটি গড়াই ছিল আমাদের পরিকল্পনা। শুরুতে স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে। তবে শিশির পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিং সহজ হয়ে গেল। বাউন্ডারি মারার আত্মবিশ্বাস ছিল আমার। হুসেইনের সঙ্গে মিলে স্পিনারদের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল। আমি পেসারদের ওপর চড়াও হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। এটা ঠিকভাবে কাজ করেছে।’

নাওয়াজের পাশাপাশি আজ ফিফটি করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। চার মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ৬৯ বলে করেছেন ৫৩ রান। চারটি চার মেরেছেন। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ১৬তম ফিফটি। বাবর আজম করেছেন ৪৭ রান। রিজওয়ানের মতো বাবরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন চার মাস পর। সাত নম্বরে নামা তালাত ৩৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

টস জিতে গত রাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক রিজওয়ান। ৪৯ ওভারে ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় আগে ব্যাটিং পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক শাই হোপের ফিফটির (৫৫) পাশাপাশি আরও দুটি ফিফটি রয়েছে উইন্ডিজ ইনিংসে। এভিন লুইস ও রস্টন চেজ করেন ৬০ ও ৫৩ রান। পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৮ ওভারে খরচ করেন ৫১ রান। ৩ উইকেট পেয়েছেন নাসিম শাহ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাইম আইয়ুব, সুফিয়ান মুকিম ও সালমান আলী আঘা।

নাওয়াজের আগে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডে অভিষেকে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন ইমাম। আবুধাবিতে ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি (১০০) করেছিলেন ইমাম। এবারের পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে হবে ত্রিনিদাদে। ১০ ও ১২ আগস্ট হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফেল করায় বকা খেয়ে বাড়ি ছাড়ে বাংলাদেশি কিশোরী, ভারতে ৩ মাসে ২০০ লোকের ধর্ষণ

খালার সঙ্গে শত্রুতা মুহাম্মদ ইউনূসের, আমি ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’: টিউলিপ সিদ্দিক

এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, চিরকুটে লেখা—‘প্রস্তুত হ রাজাকার’

৪০ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার, অর্থ ফেরতের নির্দেশ

গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভ দেখালেন মৎস্যচাষি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত