২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশাখাপত্তনমে ভারতের বিপক্ষে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেন জস ইংলিশ। সেটা ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। প্রায় তিন মাস পর এবার ওয়ানডে সংস্করণেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন জস ইংলিশ। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়েছেন ইংলিশ। ৮ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
ইংলিশের ব্যাটিংয়ের আগে নজর কাড়েন জ্যাভিয়ের বার্টলেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার চেপে ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৯ ওভার বোলিং করে ১৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সঙ্গে ১ ওভার মেডেন দিয়েছেন। জাস্টিন গ্রিভস, অ্যালিক আথানেজ, শাই হোপ, গুড়াকেশ মোতি-এই ৪ ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন বার্টলেট।
এই নিয়ে ওয়ানডেতে টানা দশ ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটের এই সংস্করণে সর্বশেষ তারা ম্যাচ হেরেছিল গত বছরের ১২ অক্টোবরে। লক্ষ্ণৌতে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর টানা ৯ ম্যাচ জিতে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ উচিয়ে ধরে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ জয়ের আড়াই মাস পর অজিরা আজ ওয়ানডে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেয় হেসেখেলে।
২৩৩ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম বলেই চার মারে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু ফোর্ডকে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মারেন ট্রাভিস হেড। এই ৪ রানেই ভেঙে যায় অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম বলে ফোর্ডকে কাট করতে যান হেড। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক হোপ।
৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ক্যামেরন গ্রিন। গ্রিন ব্যাটিং করবেন কি, তিনি যেন চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন ওপেনিংয়ে নামা ইংলিশের তান্ডব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ২৮ বলে ফিফটি করেন ইংলিশ। ইংলিশ যখন ফিফটি পেয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৬২ রান। ফিফটি করতে মেরেছেন ৮ চার ও ১ ছক্কা। যার মধ্যে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসা ওশান থমাসের ওভার থেকে একাই ১৭ রান করেন ইংলিশ। সেই ওভারের প্রথম দুই বলে দুই চার ও তৃতীয় বলে এসেছে ছক্কা। প্রথম ১০ ওভার অস্ট্রেলিয়া শেষ করে ১ উইকেটে ৭৯ রানে। ৭৯ রানের মধ্যে ৬৫ রানই ইংলিশের।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ ও গ্রিন। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে ইংলিশকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গুড়াকেশ মোতি। ৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ রান করেন ইংলিশ। তাতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ১১.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান। এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। স্মিথ, গ্রিন—অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটারই এগিয়েছেন সাবলীলভাবে। তৃতীয় উইকেটে ১৬২ বলে ১৪৯ রানের জুটি গড়ে ৬৯ বল আগেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের জয় এনে দেন স্মিথ ও গ্রিন। ৭৯ বলে ৮ চারে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ৩৩তম ফিফটি। অন্যদিকে গ্রিন পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ১০৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৭৭ রান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫৯ রানেই ক্যারিবীয়রা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। যেখানে গ্রিভস, আথানেজ, পোপ—এই প্রথম তিন উইকেট নেন বার্টলেট। বিপদে পড়া উইন্ডিজের হাল ধরেন কিসি কার্টি ও রস্টন চেজ। পঞ্চম উইকেটে ১২৭ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। উইন্ডিজের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ জুটি। ৬২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৪ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেছেন কার্টি। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বার্টলেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শন অ্যাবট ও গ্রিন। অ্যাডাম জাম্পা নেন ১ উইকেট। বাকি ১ উইকেট রান আউট।
২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশাখাপত্তনমে ভারতের বিপক্ষে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেন জস ইংলিশ। সেটা ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। প্রায় তিন মাস পর এবার ওয়ানডে সংস্করণেও ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন জস ইংলিশ। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আজ প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়েছেন ইংলিশ। ৮ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
ইংলিশের ব্যাটিংয়ের আগে নজর কাড়েন জ্যাভিয়ের বার্টলেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার চেপে ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৯ ওভার বোলিং করে ১৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সঙ্গে ১ ওভার মেডেন দিয়েছেন। জাস্টিন গ্রিভস, অ্যালিক আথানেজ, শাই হোপ, গুড়াকেশ মোতি-এই ৪ ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন বার্টলেট।
এই নিয়ে ওয়ানডেতে টানা দশ ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটের এই সংস্করণে সর্বশেষ তারা ম্যাচ হেরেছিল গত বছরের ১২ অক্টোবরে। লক্ষ্ণৌতে বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর টানা ৯ ম্যাচ জিতে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ উচিয়ে ধরে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ জয়ের আড়াই মাস পর অজিরা আজ ওয়ানডে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেয় হেসেখেলে।
২৩৩ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম বলেই চার মারে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু ফোর্ডকে স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মারেন ট্রাভিস হেড। এই ৪ রানেই ভেঙে যায় অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম বলে ফোর্ডকে কাট করতে যান হেড। এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক হোপ।
৪ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ক্যামেরন গ্রিন। গ্রিন ব্যাটিং করবেন কি, তিনি যেন চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন ওপেনিংয়ে নামা ইংলিশের তান্ডব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ২৮ বলে ফিফটি করেন ইংলিশ। ইংলিশ যখন ফিফটি পেয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৬২ রান। ফিফটি করতে মেরেছেন ৮ চার ও ১ ছক্কা। যার মধ্যে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসা ওশান থমাসের ওভার থেকে একাই ১৭ রান করেন ইংলিশ। সেই ওভারের প্রথম দুই বলে দুই চার ও তৃতীয় বলে এসেছে ছক্কা। প্রথম ১০ ওভার অস্ট্রেলিয়া শেষ করে ১ উইকেটে ৭৯ রানে। ৭৯ রানের মধ্যে ৬৫ রানই ইংলিশের।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ ও গ্রিন। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে ইংলিশকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গুড়াকেশ মোতি। ৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ রান করেন ইংলিশ। তাতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ১১.৩ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান। এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। স্মিথ, গ্রিন—অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটারই এগিয়েছেন সাবলীলভাবে। তৃতীয় উইকেটে ১৬২ বলে ১৪৯ রানের জুটি গড়ে ৬৯ বল আগেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের জয় এনে দেন স্মিথ ও গ্রিন। ৭৯ বলে ৮ চারে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ৩৩তম ফিফটি। অন্যদিকে গ্রিন পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ১০৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৭৭ রান।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫৯ রানেই ক্যারিবীয়রা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। যেখানে গ্রিভস, আথানেজ, পোপ—এই প্রথম তিন উইকেট নেন বার্টলেট। বিপদে পড়া উইন্ডিজের হাল ধরেন কিসি কার্টি ও রস্টন চেজ। পঞ্চম উইকেটে ১২৭ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। উইন্ডিজের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ জুটি। ৬২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৪ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেছেন কার্টি। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বার্টলেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শন অ্যাবট ও গ্রিন। অ্যাডাম জাম্পা নেন ১ উইকেট। বাকি ১ উইকেট রান আউট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ১৫৮। ২০০৯ সালে ব্রিসবেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ২০২২ সালে পার্থে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল কেয়ার্নসে নতুন রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া।
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান শাহিনসের কাছে বাজেভাবে হেরে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আজ ডারউইনে নেপাল জাতীয় দলকে হারিয়েছে ৩২ রানে।
১০ ঘণ্টা আগেআসছে অক্টোবরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাদা বলের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ৩টি টি-টোয়েন্টি ও সমান ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজের সূচিও গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
১২ ঘণ্টা আগেএএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে একই গ্রুপে পড়েছে ভারতীয় ক্লাব এফসি গোয়া ও সৌদি ক্লাব আল নাসর। সব ঠিক থাকলে ভারতে আসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেজন্য ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ঐতিহাসিকে। এফসি গোয়ার প্রধান নির্বাহী রবি পুষ্কুরের কাছে তা জীবনে একবার আসার মতো মুহূর্ত।
১২ ঘণ্টা আগে