ক্রীড়া ডেস্ক
ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পথে কতজনেরই না রেকর্ড ভেঙেছেন ভিয়ান মুল্ডার। নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ কিংবা হাশিম আমলা—কারোর রেকর্ডই অক্ষত থাকেনি। ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পা রাখার পর তিনি যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোয়াড্রপল সেঞ্চুরির দিকে। তখন একটা আশঙ্কাই করা হচ্ছিল—ব্রায়ান লারার ৪০০* রানের রেকর্ডটিও বুঝি ভেঙে যাবে আজ!
সেভাবেই এগোচ্ছিলেন মুল্ডার। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পা রাখার পর অনমনীয় ভঙ্গিতেই ব্যাট করেছেন। ২৯৭ সালে ৩০০ করার পর পরের ৬৭ রান করতে খেলেছেন মাত্র ৩৪ বল। টেস্টে তাঁর এমন খুনে ব্যাটিংয়ে লারার সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসের রেকর্ডটিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কাঁধে যে তাঁর নেতৃত্বের বোঝা! লারার সেই রেকর্ড ভাঙতে গিয়ে যাতে দলের প্রতি অবিচার করা না হয়, সেই জন্যই হয়তোবা রেকর্ড থেকে ৩৪ রান দূরে থাকতেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন; যা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
লারাকে সম্মান জানাতেই ৩৬৭ রানে থেমে যান মুল্ডার। দিনের খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমার মনে হয়েছিল, আমরা যথেষ্ট রান করে ফেলেছি। দ্বিতীয়ত ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি। এমন একজনের কাছেই রেকর্ড থাকাটা প্রাপ্য। আবারও যদি সুযোগ আসে, তাহলে একই সিদ্ধান্ত নেব। আমি শুকরি কনরাডের (প্রধান কোচ) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারও এমনটা মনে হয়েছে। লারা একজন কিংবদন্তি এবং এই রেকর্ডটা তাঁর নামেই থাকা উচিত।’
লারার রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও ৩৬৭ রানের ইনিংস খেলার পথে রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতাতেই আঁকিবুঁকি কেটেছেন মুল্ডার। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে কোনো অধিনায়কের এটি প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিও। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিংয়ের। ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিলেন তিনি তাঁর টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেক টেস্টে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অধিনায়ক ও দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন মুল্ডার।
আগের দিনই ২৫৯ বলে ২৬৪ করে গ্রাহাম ডাউলিংকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন মুল্ডার। আজ ২৭৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গ্রায়েম স্মিথের ২৭৭ রানকে ছাড়িয়ে যান। এরপর ট্রিপল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে ছাড়িয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১১ রানের ইনিংস খেলা হাশিম আমলাকে। মুল্ডারের ট্রিপল সেঞ্চুরিটিই আমলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরি।
অথচ বুলাওয়ে টেস্টে ঘটনাক্রমেই তাঁর অধিনায়কত্ব পাওয়া। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার চোটে থাকায় এই জিম্বাবুয়ে সফরে নেতৃত্ব পেয়েছিলেন কেশব মহারাজ। প্রথম টেস্টের পর তিনিও চোট নিয়ে ছিটকে পড়ায় দায়িত্ব পড়ে মুল্ডারের কাঁধে। এই ভার যে বোঝা নয়, বরং প্রেরণা, নেতৃত্বের প্রথম দিনেই তা প্রমাণ করে দেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিনে তিনি অপরাজিত ২৫৯ বলে ২৬৪ রান করে। দ্বিতীয় দিন ইনিংস ঘোষণার আগে তিনি সেটিকে টেনে নিয়ে যান ৩৬৭ রানে। ২৯৭ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তাঁর চেয়ে কম বলে ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে শুধু ভারতের বীরেন্দর শেবাগেরই। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ২৭৮ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন শেবাগ।
মুল্ডারের রেকর্ড ইনিংসের সুবাদে রানের পাহাড়ে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস ঘোষণার আগে ৫ উইকেটে ৬২৬ রান তোলে তারা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রোটিয়াদের হয়ে অভিষিক্ত প্রেনেলান সুব্রায়েন নেন ৪২ রানে ৪ উইকেট। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পথে কতজনেরই না রেকর্ড ভেঙেছেন ভিয়ান মুল্ডার। নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ কিংবা হাশিম আমলা—কারোর রেকর্ডই অক্ষত থাকেনি। ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পা রাখার পর তিনি যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোয়াড্রপল সেঞ্চুরির দিকে। তখন একটা আশঙ্কাই করা হচ্ছিল—ব্রায়ান লারার ৪০০* রানের রেকর্ডটিও বুঝি ভেঙে যাবে আজ!
সেভাবেই এগোচ্ছিলেন মুল্ডার। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে পা রাখার পর অনমনীয় ভঙ্গিতেই ব্যাট করেছেন। ২৯৭ সালে ৩০০ করার পর পরের ৬৭ রান করতে খেলেছেন মাত্র ৩৪ বল। টেস্টে তাঁর এমন খুনে ব্যাটিংয়ে লারার সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংসের রেকর্ডটিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কাঁধে যে তাঁর নেতৃত্বের বোঝা! লারার সেই রেকর্ড ভাঙতে গিয়ে যাতে দলের প্রতি অবিচার করা না হয়, সেই জন্যই হয়তোবা রেকর্ড থেকে ৩৪ রান দূরে থাকতেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন; যা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
লারাকে সম্মান জানাতেই ৩৬৭ রানে থেমে যান মুল্ডার। দিনের খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমার মনে হয়েছিল, আমরা যথেষ্ট রান করে ফেলেছি। দ্বিতীয়ত ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি। এমন একজনের কাছেই রেকর্ড থাকাটা প্রাপ্য। আবারও যদি সুযোগ আসে, তাহলে একই সিদ্ধান্ত নেব। আমি শুকরি কনরাডের (প্রধান কোচ) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারও এমনটা মনে হয়েছে। লারা একজন কিংবদন্তি এবং এই রেকর্ডটা তাঁর নামেই থাকা উচিত।’
লারার রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও ৩৬৭ রানের ইনিংস খেলার পথে রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতাতেই আঁকিবুঁকি কেটেছেন মুল্ডার। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে কোনো অধিনায়কের এটি প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিও। টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেকে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিংয়ের। ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিলেন তিনি তাঁর টেস্ট নেতৃত্বের অভিষেক টেস্টে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অধিনায়ক ও দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন মুল্ডার।
আগের দিনই ২৫৯ বলে ২৬৪ করে গ্রাহাম ডাউলিংকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন মুল্ডার। আজ ২৭৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গ্রায়েম স্মিথের ২৭৭ রানকে ছাড়িয়ে যান। এরপর ট্রিপল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে এগিয়ে যেতে থাকলে ছাড়িয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১১ রানের ইনিংস খেলা হাশিম আমলাকে। মুল্ডারের ট্রিপল সেঞ্চুরিটিই আমলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরি।
অথচ বুলাওয়ে টেস্টে ঘটনাক্রমেই তাঁর অধিনায়কত্ব পাওয়া। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার চোটে থাকায় এই জিম্বাবুয়ে সফরে নেতৃত্ব পেয়েছিলেন কেশব মহারাজ। প্রথম টেস্টের পর তিনিও চোট নিয়ে ছিটকে পড়ায় দায়িত্ব পড়ে মুল্ডারের কাঁধে। এই ভার যে বোঝা নয়, বরং প্রেরণা, নেতৃত্বের প্রথম দিনেই তা প্রমাণ করে দেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিনে তিনি অপরাজিত ২৫৯ বলে ২৬৪ রান করে। দ্বিতীয় দিন ইনিংস ঘোষণার আগে তিনি সেটিকে টেনে নিয়ে যান ৩৬৭ রানে। ২৯৭ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তাঁর চেয়ে কম বলে ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে শুধু ভারতের বীরেন্দর শেবাগেরই। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ২৭৮ বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন শেবাগ।
মুল্ডারের রেকর্ড ইনিংসের সুবাদে রানের পাহাড়ে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস ঘোষণার আগে ৫ উইকেটে ৬২৬ রান তোলে তারা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রোটিয়াদের হয়ে অভিষিক্ত প্রেনেলান সুব্রায়েন নেন ৪২ রানে ৪ উইকেট। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
ট্রাজেডি—শব্দটি যেন মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উদাহরণ দিতে চাইলে এই সিরিজেরই অনেক কিছু মুহূর্ত তুলে ধরতে পারেন সিরাজ। লর্ডসে অদ্ভুতভাবে বোল্ড হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার সেই দৃশ্য, বোলারদের ক্যাচ মিসের পর হতাশাচ্ছন্ন মুখ, একের পর এক ক্লান্তিকর স্পেল, এমনকি ব্রুকের ক্যাচ নিয়েও
৮ মিনিট আগেঅস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গত বছরের মতো এবারও সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করে আজ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
২৪ মিনিট আগেলন্ডনের ওভালে পঞ্চম টেস্ট শুরুর আগে সিরিজের স্কোরলাইন ছিল ইংল্যান্ড ২: ভারত ১। সিরিজ জিততে ইংল্যান্ডের জন্য সমীকরণ ছিল এই টেস্ট জেতা না হয় ড্র করা। অন্যদিকে সিরিজ বাঁচাতে ভারতকে এই ম্যাচটা জিততেই হতো। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটি ৬ রানে জিতে সিরিজ বাঁচাল ভারত।
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের ম্যাচ হলে আলোচিত ঘটনা না ঘটে কি পারে। কারণ, ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা পাকিস্তানের নামের সঙ্গে ভালোভাবে জুড়ে গেছে। এবার পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘটেছে এক বিরল ঘটনা। এই ঘটনা আগে অনেকবার হলেও পাকিস্তানের ম্যাচের ঘটনাটা একটু বিশেষ।
৩ ঘণ্টা আগে