নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল। তবে বাসায় ফিরে কৃতজ্ঞতা জানালেন সেই সব চিকিৎসক-ট্রেনারকে, যাঁরা তাঁর জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তামিম। দ্রুত তাঁকে বিকেএসপির নিকটতম সাভারস্থ কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক শনাক্ত করেন। জরুরি ভিত্তিতে রিং বসানো হয়। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল দুপুরে তিনি বাসায় ফেরেন।
বাসায় ফিরে নিজের সুস্থতা ও চিকিৎসার অভিজ্ঞতা নিয়ে তামিম রাতে ফেসবুকে একটি আবেগঘন বার্তা দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন আমি বাসায়। উথালপাতাল এই চার দিনে শুধু নতুন জীবনই পাইনি, চারপাশের মানুষদেরও নতুন করে চিনেছি। প্রতিটি মুহূর্ত কৃতজ্ঞতায় ভরা।’
বিকেএসপিতে অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমেই পাশে দাঁড়ান মাঠের দায়িত্বে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল, বিকেএসপির চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্সচালক ও মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফরা। তাঁদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তামিম লেখেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান, অসুস্থ হওয়ার মুহূর্ত থেকেই পাশে পেয়েছি অনেককে। বিকেএসপির চিকিৎসক ও ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারত। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
তবে সবচেয়ে বড় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় দলের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিমের প্রতি। তামিম বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডালিম ভাই সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে আমাকে হয়তো আর বাঁচানো যেত না। আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। আমি সারা জীবন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’
তামিমের অসুস্থতার খবর পাওয়ার পর জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা তাঁকে দেখতে ছুটে যান হাসপাতালে। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান লিটন দাস, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনসহ বেশ কয়েকজন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
কেপিজে হাসপাতালে তামিমের চিকিৎসায় নেতৃত্ব দেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। তাঁর তত্ত্বাবধানে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তামিম লেখেন, ‘ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তাঁর দল দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত। তাঁদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে।’ আরও লেখেন, ‘আমরা প্রায়ই মনে করি, দেশের বাইরে চিকিৎসা করানোই উত্তম, কিন্তু আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের চিকিৎসকেরাও অত্যন্ত দক্ষ ও দায়িত্বশীল। তাঁদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।’
তামিম জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। আপাতত সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। ক্রিকেট মাঠে ফেরার বিষয়ে চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সবার কাছে দোয়া চেয়ে তামিম বলেন, ‘সেরে ওঠার পথ দীর্ঘ। তবে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ইনশা আল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরব। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক।’
আরও খবর পড়ুন:
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল। তবে বাসায় ফিরে কৃতজ্ঞতা জানালেন সেই সব চিকিৎসক-ট্রেনারকে, যাঁরা তাঁর জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তামিম। দ্রুত তাঁকে বিকেএসপির নিকটতম সাভারস্থ কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা এনজিওগ্রাম করে হার্টে ব্লক শনাক্ত করেন। জরুরি ভিত্তিতে রিং বসানো হয়। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল দুপুরে তিনি বাসায় ফেরেন।
বাসায় ফিরে নিজের সুস্থতা ও চিকিৎসার অভিজ্ঞতা নিয়ে তামিম রাতে ফেসবুকে একটি আবেগঘন বার্তা দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় ও আল্লাহর অশেষ রহমতে এখন আমি বাসায়। উথালপাতাল এই চার দিনে শুধু নতুন জীবনই পাইনি, চারপাশের মানুষদেরও নতুন করে চিনেছি। প্রতিটি মুহূর্ত কৃতজ্ঞতায় ভরা।’
বিকেএসপিতে অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমেই পাশে দাঁড়ান মাঠের দায়িত্বে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল, বিকেএসপির চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্সচালক ও মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফরা। তাঁদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তামিম লেখেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান, অসুস্থ হওয়ার মুহূর্ত থেকেই পাশে পেয়েছি অনেককে। বিকেএসপির চিকিৎসক ও ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারত। তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
তবে সবচেয়ে বড় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় দলের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিমের প্রতি। তামিম বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডালিম ভাই সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে আমাকে হয়তো আর বাঁচানো যেত না। আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। আমি সারা জীবন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।’
তামিমের অসুস্থতার খবর পাওয়ার পর জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা তাঁকে দেখতে ছুটে যান হাসপাতালে। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান লিটন দাস, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনসহ বেশ কয়েকজন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
কেপিজে হাসপাতালে তামিমের চিকিৎসায় নেতৃত্ব দেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। তাঁর তত্ত্বাবধানে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তামিম লেখেন, ‘ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ও তাঁর দল দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত। তাঁদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে।’ আরও লেখেন, ‘আমরা প্রায়ই মনে করি, দেশের বাইরে চিকিৎসা করানোই উত্তম, কিন্তু আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের চিকিৎসকেরাও অত্যন্ত দক্ষ ও দায়িত্বশীল। তাঁদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।’
তামিম জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। আপাতত সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে। ক্রিকেট মাঠে ফেরার বিষয়ে চিকিৎসকদের অনুমতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সবার কাছে দোয়া চেয়ে তামিম বলেন, ‘সেরে ওঠার পথ দীর্ঘ। তবে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ইনশা আল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরব। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক।’
আরও খবর পড়ুন:
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৮ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে