ক্রীড়া ডেস্ক
বড় মঞ্চে কীভাবে পারফর্ম করতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়া ভালো করেই জানে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ— একমাত্র দল হিসেবে আইসিসির সব টুর্নামেন্ট জিতে চক্রপূরণ করেছে অজিরা। তবে এবার গল্পটা ভিন্ন হবে বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিদি।
আইসিসি ইভেন্টের শিরোপায় অস্ট্রেলিয়ার ক্যাবিনেট ভর্তি হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা বৈশ্বিক সংস্করণে কেবল একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একমাত্র এই শিরোপা প্রোটিয়ারা জিতেছে ১৯৯৮ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। পরের ২৭ বছরে মেজর টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে অনেকবার আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বার্বাডোজে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কাছাকাছি গিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি প্রোটিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। লর্ডসে পরশু ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা।
সময় যত ঘনিয়ে আসছে, লর্ডসের ফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চ বাড়ছে। এনগিদির আশা এবার তাঁদের শিরোপাখরা কাটবে। আইসিসি ডিজিটালকে গত রাতে প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘আমরা গত দুই বছরে অন্যান্য টুর্নামেন্টে কাছাকাছি গিয়েছি। এখন একটা ভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি। আমার কাছে এটা ক্রিকেটের চূড়ান্ত ব্যাপার। শিরোপা ঘরে আনার স্বপ্ন এবার পূর্ণ হবে। এমনটা হলে অসাধারণ কিছু হবে। আমার মতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কাঠামোটাই পরিবর্তিত হবে তখন। লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাসটা ফেরানো যাবে।’
ক্যারিয়ারে একবারই লর্ডসে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এনগিদি। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিন বছর পর সেই লর্ডসে আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলতে নামছেন এনগিদি। ঐতিহাসিক লর্ডসে খেলাটা কতটা রোমাঞ্চকর, সেই ব্যাপারে প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘লর্ডসে খেলাটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য স্বপ্ন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। সেখানে স্নায়ুচাপ ও রোমাঞ্চের মিশ্রণ ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ুচাপ ধীরে ধীরে প্রশমিত হচ্ছে। অবশ্যই বড় শিরোপা সামনে আছে। কিন্তু টেস্টের সুন্দর দিক হচ্ছে প্রক্রিয়াগত ব্যাপারগুলো একই থাকে। ধারাবাহিকতা আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দলটা কম শক্তিশালী নয়। স্পিন বোলিং লাইনআপে আছেন কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি। পেস বোলিংয়ে এনগিদির পাশাপাশি আছেন কাগিসো রাবাদার মতো তারকারা। যেখানে রাবাদার ২০২২ সালে লর্ডসে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে। তাঁর মতো পেসার লর্ডসের উইকেটে অবদান রাখতে পারবেন বলে আশা এনগিদির। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে আইসিসিকে এনগিদি বলেন, ‘সবশেষ আমরা যখন এখানে খেলেছি, আমার মনে আছে তার (রাবাদা) নাম অনার্স বোর্ডে উঠেছে। ধৈর্য ধরে ধারাবাহিকভাবে খেলাটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। আমি তো তার সঙ্গে আছি। লাইনে বোলিংয়ের চেষ্টা করব। অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করব না। নিজেকে অনেকটাই প্রস্তুত মনে হচ্ছে যেহেতু অনেক সময় পেয়েছি।’
২০১৯-২১, ২০২২-২৩ দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের ফাইনাল খেললেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সবশেষ ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিল অজিরা। আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে আইসিসি ইভেন্টের নকআউটে বারবার পরাস্ত হওয়ার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের কাঁদিয়েছিল অজিরা। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে প্রতিশোধের সুবর্ণ সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।
বড় মঞ্চে কীভাবে পারফর্ম করতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়া ভালো করেই জানে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ— একমাত্র দল হিসেবে আইসিসির সব টুর্নামেন্ট জিতে চক্রপূরণ করেছে অজিরা। তবে এবার গল্পটা ভিন্ন হবে বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিদি।
আইসিসি ইভেন্টের শিরোপায় অস্ট্রেলিয়ার ক্যাবিনেট ভর্তি হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা বৈশ্বিক সংস্করণে কেবল একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। একমাত্র এই শিরোপা প্রোটিয়ারা জিতেছে ১৯৯৮ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। পরের ২৭ বছরে মেজর টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে অনেকবার আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বার্বাডোজে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কাছাকাছি গিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি প্রোটিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে। লর্ডসে পরশু ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামবে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা।
সময় যত ঘনিয়ে আসছে, লর্ডসের ফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চ বাড়ছে। এনগিদির আশা এবার তাঁদের শিরোপাখরা কাটবে। আইসিসি ডিজিটালকে গত রাতে প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘আমরা গত দুই বছরে অন্যান্য টুর্নামেন্টে কাছাকাছি গিয়েছি। এখন একটা ভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি। আমার কাছে এটা ক্রিকেটের চূড়ান্ত ব্যাপার। শিরোপা ঘরে আনার স্বপ্ন এবার পূর্ণ হবে। এমনটা হলে অসাধারণ কিছু হবে। আমার মতে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কাঠামোটাই পরিবর্তিত হবে তখন। লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাসটা ফেরানো যাবে।’
ক্যারিয়ারে একবারই লর্ডসে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এনগিদি। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিন বছর পর সেই লর্ডসে আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলতে নামছেন এনগিদি। ঐতিহাসিক লর্ডসে খেলাটা কতটা রোমাঞ্চকর, সেই ব্যাপারে প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘লর্ডসে খেলাটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য স্বপ্ন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। সেখানে স্নায়ুচাপ ও রোমাঞ্চের মিশ্রণ ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ুচাপ ধীরে ধীরে প্রশমিত হচ্ছে। অবশ্যই বড় শিরোপা সামনে আছে। কিন্তু টেস্টের সুন্দর দিক হচ্ছে প্রক্রিয়াগত ব্যাপারগুলো একই থাকে। ধারাবাহিকতা আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দলটা কম শক্তিশালী নয়। স্পিন বোলিং লাইনআপে আছেন কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি। পেস বোলিংয়ে এনগিদির পাশাপাশি আছেন কাগিসো রাবাদার মতো তারকারা। যেখানে রাবাদার ২০২২ সালে লর্ডসে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে। তাঁর মতো পেসার লর্ডসের উইকেটে অবদান রাখতে পারবেন বলে আশা এনগিদির। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে আইসিসিকে এনগিদি বলেন, ‘সবশেষ আমরা যখন এখানে খেলেছি, আমার মনে আছে তার (রাবাদা) নাম অনার্স বোর্ডে উঠেছে। ধৈর্য ধরে ধারাবাহিকভাবে খেলাটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। আমি তো তার সঙ্গে আছি। লাইনে বোলিংয়ের চেষ্টা করব। অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করব না। নিজেকে অনেকটাই প্রস্তুত মনে হচ্ছে যেহেতু অনেক সময় পেয়েছি।’
২০১৯-২১, ২০২২-২৩ দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের ফাইনাল খেললেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সবশেষ ২০২৩ সালে শিরোপা জিতেছিল অজিরা। আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে আইসিসি ইভেন্টের নকআউটে বারবার পরাস্ত হওয়ার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রোটিয়াদের কাঁদিয়েছিল অজিরা। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে প্রতিশোধের সুবর্ণ সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৭ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে