Ajker Patrika

প্রাণনাশের হুমকিটা এখনো তাড়িয়ে ফেরে ডু প্লেসিকে

প্রাণনাশের হুমকিটা এখনো তাড়িয়ে ফেরে ডু প্লেসিকে

ঢাকা: ক্রিকেট তাঁদের কাছে ধ্যান–জ্ঞান, ভালোবাসা–আবেগ আর পেশা। এই ক্রিকেটের কারণেই কখনো কখনো যদি ক্রিকেটারদের মৃত্যু হুমকি পেতে হয়—কেমন লাগবে বলুন! এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসিস।

ঘটনা ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৯ রানে হারের পর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন ডু প্লেসি! সেবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্তার স্বীকার হতে হয়েছিল।

১১ বছর পর ইএসপিএন ক্রিকেটকে এক সাক্ষাৎকারে পুরোনো সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ডু প্লেসি, ‘ওই ম্যাচের পর মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলাম! আমার স্ত্রীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলেই আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হতো। খুব আক্রমণাত্মক কিছু ব্যাপার ছিল। সেগুলো আমি আর এখন বলতে চাই না।’

ডু প্লেসির সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা তাঁর সাধারণ জীবনযাপন ব্যাহত করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘এসব ঘটনা আপনাকে আত্মকেন্দ্রিক করে ফেলবে। আপনার চারপাশের জায়গাটা ছোট করে দেবে। এমন ঘটনা আমাদের গণ্ডিটা ছোট করে দিতে বাধ্য করেছিল। যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই এমনটা হবে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন ডু প্লেসি! ফাইল ছবি২০১১ বিশ্বকাপের যে ম্যাচকে কেন্দ্র করে ডু প্লেসির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছিল সেই ম্যাচে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছিল ডু প্লেসির ব্যাট থেকেই। ২২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একটা সময় অবশ্য মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকাই জিতবে।

১২১ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসা ডু প্লেসিস এক পাশ আগলে রাখলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানে অল আউট হলে কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ অভিযান। দলের এই হারে যে সবচেয়ে বড় খেসারত দিতে হয়েছিল ডু প্লেসিকেই, সেটা এখন তাঁর মন্তব্যেই পরিষ্কার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত