ক্রীড়া ডেস্ক
অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল যে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন, তাতে রান ২০০ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল। ওভারপ্রতি রান রেটও ছিল ১০-এর বেশি। কিন্তু উড়তে থাকা ভারতকে ঠিকই মাটিতে নামিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে দারুণ বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে ১৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে এ দিন চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। এ ছাড়া বাদ দেওয়া হয় শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে। তাঁদের পরিবর্তে জায়গা পান রিশাদ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিম হাসান সাকিব ও সাইফউদ্দিন। লিটনের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের ভার আসে জাকের আলীর কাঁধে। নতুন নেতৃত্বে শুরুটা কেমন হয়, সেটাই ছিল দেখার পালা।
পাওয়ারপ্লের প্রথম ৩ ওভারে শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল। এই ম্যাচের আগে ৮ বলে দুবার তানজিম হাসানের শিকার হয়েছেন অভিষেক শর্মা। হতে পারতেন এবারও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তৃতীয় বলে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী। বাঁ পাশে ডাইভ দিয়েও বল তালুবন্দী করতে পারেননি তিনি। অভিষেকের রান তখন ৭।
সেই ক্যাচ মিসের চড়া মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। হাত খুলে খেলতে থাকেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করেন গিলও। তাই ৩ ওভারে ১৭ রান থেকে ভারত পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষ করে বিনা উইকেটে ৭২ রান নেয়।
সপ্তম ওভারে এসে বিধ্বংসী এই উদ্বোধনী জুটিতে (৭৭) ভাঙন ধরান রিশাদ হোসেন। তাঁর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন গিল। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রানে ফেরেন এই ওপেনার। পরের ওভারে দারুণ এক গুগলিতে শিভম দুবেকেও (২) ফেরান রিশাদ।
তবু থামেনি অভিষেকের তাণ্ডব। মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দিন ও নাসুম—যাঁকে পাচ্ছিলেন, সহজেই করছিলেন বাউন্ডারি ছাড়া। ফিফটি করতে মাত্র ২৫ বল খরচ করেন এই ওপেনার। কোনো বোলারই যেন তাঁকে আটকানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ রিশাদের এক বুলেটগতির থ্রোয়ে মোস্তাফিজের সহায়তায় রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। নামের পাশে জমা করেন ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস।
অভিষেকের আউটের পরপরই কমতে থাকে ভারতের রানের গতি। সূর্যকুমার যাদবকে থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজ। ১১ বলে ৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। তাঁকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বনে যান মোস্তাফিজ। সাকিবকে (১৪৯) টপকে ১৫০ উইকেটের মালিক বাঁহাতি এই পেসার।
শুরুতে যা-ই হোক, মাঝের ওভারে ম্যাচে ফিরে আসার সক্ষমতা গত কয়েক ম্যাচে ভালোভাবেই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষেও দারুণ কার্যকারিতা দেখালেন মোস্তাফিজরা। সেই লাগাম ধরে রাখেন শেষ ওভার পর্যন্ত। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
হার্দিক পান্ডিয়া চেষ্টা করেছিলেন বটে। কিন্তু যোগ্য সঙ্গ পাননি। ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। তিলক বর্মার ৭ বলে ৫ রান ও অক্ষর প্যাটেলের ১৫ বলে অপরাজিত ১০ রানের ইনিংসে বরং বাংলাদেশেরই সুবিধা হয়েছে। ৩ ওভারে ২৭ রান দিলেও রিশাদের ২ উইকেট ভারতের বড় সংগ্রহ না করার অন্যতম কারণ। ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ অবদান রাখেন সাইফ হাসানও। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন তানজিম, মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন।
২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারতের ছুড়ে দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য হয়তো কঠিন কিছু নয় বাংলাদেশের জন্য। কারণ, কদিন আগেই সুপার ফোরের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে একই রানের লক্ষ্য তাড়া করে।
অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল যে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন, তাতে রান ২০০ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল। ওভারপ্রতি রান রেটও ছিল ১০-এর বেশি। কিন্তু উড়তে থাকা ভারতকে ঠিকই মাটিতে নামিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে দারুণ বোলিংয়ের সামনে কাবু হয়ে ১৬৮ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে এ দিন চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। এ ছাড়া বাদ দেওয়া হয় শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে। তাঁদের পরিবর্তে জায়গা পান রিশাদ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিম হাসান সাকিব ও সাইফউদ্দিন। লিটনের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের ভার আসে জাকের আলীর কাঁধে। নতুন নেতৃত্বে শুরুটা কেমন হয়, সেটাই ছিল দেখার পালা।
পাওয়ারপ্লের প্রথম ৩ ওভারে শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল। এই ম্যাচের আগে ৮ বলে দুবার তানজিম হাসানের শিকার হয়েছেন অভিষেক শর্মা। হতে পারতেন এবারও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তৃতীয় বলে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী। বাঁ পাশে ডাইভ দিয়েও বল তালুবন্দী করতে পারেননি তিনি। অভিষেকের রান তখন ৭।
সেই ক্যাচ মিসের চড়া মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। হাত খুলে খেলতে থাকেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে তাল মেলানোর চেষ্টা করেন গিলও। তাই ৩ ওভারে ১৭ রান থেকে ভারত পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষ করে বিনা উইকেটে ৭২ রান নেয়।
সপ্তম ওভারে এসে বিধ্বংসী এই উদ্বোধনী জুটিতে (৭৭) ভাঙন ধরান রিশাদ হোসেন। তাঁর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন গিল। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রানে ফেরেন এই ওপেনার। পরের ওভারে দারুণ এক গুগলিতে শিভম দুবেকেও (২) ফেরান রিশাদ।
তবু থামেনি অভিষেকের তাণ্ডব। মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফউদ্দিন ও নাসুম—যাঁকে পাচ্ছিলেন, সহজেই করছিলেন বাউন্ডারি ছাড়া। ফিফটি করতে মাত্র ২৫ বল খরচ করেন এই ওপেনার। কোনো বোলারই যেন তাঁকে আটকানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ রিশাদের এক বুলেটগতির থ্রোয়ে মোস্তাফিজের সহায়তায় রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। নামের পাশে জমা করেন ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস।
অভিষেকের আউটের পরপরই কমতে থাকে ভারতের রানের গতি। সূর্যকুমার যাদবকে থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজ। ১১ বলে ৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। তাঁকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বনে যান মোস্তাফিজ। সাকিবকে (১৪৯) টপকে ১৫০ উইকেটের মালিক বাঁহাতি এই পেসার।
শুরুতে যা-ই হোক, মাঝের ওভারে ম্যাচে ফিরে আসার সক্ষমতা গত কয়েক ম্যাচে ভালোভাবেই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষেও দারুণ কার্যকারিতা দেখালেন মোস্তাফিজরা। সেই লাগাম ধরে রাখেন শেষ ওভার পর্যন্ত। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত।
হার্দিক পান্ডিয়া চেষ্টা করেছিলেন বটে। কিন্তু যোগ্য সঙ্গ পাননি। ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। তিলক বর্মার ৭ বলে ৫ রান ও অক্ষর প্যাটেলের ১৫ বলে অপরাজিত ১০ রানের ইনিংসে বরং বাংলাদেশেরই সুবিধা হয়েছে। ৩ ওভারে ২৭ রান দিলেও রিশাদের ২ উইকেট ভারতের বড় সংগ্রহ না করার অন্যতম কারণ। ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও দারুণ অবদান রাখেন সাইফ হাসানও। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন তানজিম, মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন।
২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারতের ছুড়ে দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য হয়তো কঠিন কিছু নয় বাংলাদেশের জন্য। কারণ, কদিন আগেই সুপার ফোরের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে একই রানের লক্ষ্য তাড়া করে।
লক্ষ্যটা কঠিন ছিল, তবে তা লাগালের বাইরে ছিল না বাংলাদেশের। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলে গেলেন সাইফ হাসান। কিন্তু বিশ্বসেরা ভারত দলের সামনে জয়ের জন্য একা সাইফের লড়াই যথেষ্ট ছিল না। ৫১ বলে সাইফ ৬৯ রানের ইনিংস খেললেও বাংলাদেশ ১২৭ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ৪১ রানে...
১ ঘণ্টা আগেবিসিবি নির্বাচনের জন্য সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী আজ প্রায় ৩০টি আপত্তি জমা পড়ে বোর্ড কার্যালয়ের অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনে। এসব আপত্তির মধ্যে আছেন জেলা ও বিভাগীয় কোটার মনোনয়ন না পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা এবং ক্যাটাগরি ২-এর সেই ১৫ ক্লাবের প্রতিনিধিরা, যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে২০২৫ ব্যালন ডি’অর জেতার দৌঁড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন উসমান দেম্বেলে ও লামিনে ইয়ামাল। যদিও ফরাসি উইঙ্গারকে পেছনে ফেলে ফুটবলের সবচেয়ে ব্যক্তিগত সম্মানজনক পুরস্কারটি জেতা হয়নি তার। এই না পাওয়াই তাকে ক্যারিয়ারে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন বার্সেলোনার প্রধান কোচ হান্সি ফ্লিক।
৩ ঘণ্টা আগেলা লিগার নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের কৌতুহল ছিল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচের সূচি নিয়ে। অবশেষে এল ক্লাসিকোর সূচি জানাল স্পেনের শীর্ষ লিগ কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৬ অক্টোবর মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে মাঠে নামবে বার্সা ও রিয়াল।
৪ ঘণ্টা আগে